আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কপিরাইট স্ট্রাইক আসলে কী করবেন? ফেয়ার ইউস কী?

আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কপিরাইট স্ট্রাইক আসলে কী করবেন? ফেয়ার ইউস কী?

ইউটিউবারদের জন্য কপিরাইট স্ট্রাইক একটি আতংকের নাম, হউক সে নতুন কিংবা পুরাতন ইউটিউবার। অনেক নতুন ইউটিউবারদের চ্যানেলে ১ম বার কপিরাইট স্ট্রাইক আসলে মনিটাইজেশন এর চিন্তায় বর্তমান চ্যানেলটি বন্ধ করে নতুন চ্যানেল শুরু করে। আবার অনেকে জানেই না স্ট্রাইক কেন আসে বা আসলে কিভাবে সমাধান করতে হবে। আজকের টিউনটি মূলত এইসব সমস্যার সমাধান নিয়েই লেখা।

1.কপিরাইট স্ট্রাইক কী ?

আপনি যদি অন্যের content এর কিছু অংশ বা সম্পূর্ন অংশ তার অনুমতি ছাড়া নিজের যেকোন লাভজনক কিংবা অলাভজনক কাজে ইউটিউবে ব্যবহার করেন তাহলে content এর মালিকের করা রিপোর্টের ভিত্তিতে ইউটিউব যাচাই করে আপনার বিরুদ্ধে যেই ব্যবস্থা নেয় সেটাই কপিরাইট স্ট্রাইক।

2.কোন কোন বিষয়ের উপর স্ট্রাইক আসে ?

আপনি যদি অনুমতি ছাড়া কারো ভিডিও, মিউজিক, থাম্বনেইল, গুগল ইমেজ কিংবা একটি স্ক্রীনশর্টও ব্যয়ভার করেন তাহলে স্ট্রাইক আসতে পারে। সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক আসে মিউজিকের কারণে। তাই এই বিষয়ে সতর্ক হন।

3.আসল মালিক কিভাবে জানবে আপনি তার content কপি করেছেন ?

ধরুন, নবীতা ও ডরিমনের আলাদা দুটি চ্যানেল আছে। নবিতা ডরিমনের চ্যনেলের content এর সম্পূর্ন বা কিছু অংশ নিজের চ্যানেলে আপলোড করল। এখন যদি ইউটিউবের ডেটবেজে নবিতা ও ডরিমনের content ম্যাচ করে তাহলে ইউটিউব তা আসল মালিকের কাছে জানিয়ে দেবে। তখন ডরিমন যদি কপিরাইট ক্লেইম করে তাহলে ইউটিউব নবিতার চ্যানেলে একটি স্ট্রাইক দিবে এবং ভিডিওটি ডিলেট করে দিবে।

4.স্ট্রাইক আসলে কী করবেন ?

স্ট্রাইক আসলে চিন্তার কিছু নেই। এর জন্য আপনার কাছে তিনটি সমাধান আছে।

  • অপেক্ষা করুনঃ যদি ১ম বার স্ট্রাইক আসে তাহলে ৯০ দিন অপেক্ষা করুন এবং এই সময়ের মধ্যে এমন কোন ভিডিও আপলোড করবেন না যা আবার স্ট্রাইক আসার কারণ হয়। তাহলে ৯০ দিন পর স্বাভাবিক ভাবে স্ট্রাইক চলে যাবে। কিন্তু এই ৯০ দিনের মধ্যে যদি ৩টি স্ট্রাইক আসে তাহলে আপনার চ্যানেলটি বাতিল হবে এমনকি একই জিমেইল দিয়ে তৈরি সকল চ্যানেল বাতিল হয়ে যাবে।

  • সাবমিট কাউন্টার নোটিফিকেশনঃ আপনি যদি মনে করেন আপনার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ ভুল কিংবা এটা ফেয়ার ইউসের মধ্যে পরে তাহলে আপনি পাল্টা নোটিফিকেশন জমা দিতে পারেন।

  • অভিযোগকারীর সাথে যোগাযোগঃ আপনার বিরুদ্ধে করা কপিরাইট দাবি প্রত্যাহার করার জন্য অভিযোগকারীর কাছে অনুরোধ করতে পারেন।

5.ফেয়ার ইউস নীতি কী ?

ফেয়ার ইউস নীতি ইউটিউবের সবচেয়ে চর্চিত বিষয়। যেই নীতি ব্যবহার করে কিছু শর্তসাপেক্ষে অন্যের কন্টেন্ট নিজের ভিডিওতে ব্যবহার করতে পারেন সেটাই ফেয়ার ইউস পলিছি। রোস্টিং, শিক্ষামূলক বা নিউজ রিপোর্টং এর মতো ভিডিও তে অন্যের কন্টেন্ট ফেয়ার ইউস নীতির অধীনে ব্যবহার করতে পারেন। তার মানে এই নয় যে এই শর্ত মানলে আপনার স্ট্রাইক আসবে না। কারণ ইউটিউব মূলত এই শর্তগুলো আমেরিকান সরকারের ফেয়ার ইউস পলিছি থেকে নিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দেশের আইন বিভিন্ন রকম। তাই ইউটিউব কখনো ঠিক করতে পারে না কোনটি ফেয়ার ইউস আর কোনটি নয়। এটি অবশ্যয়ই সেই দেশের কোর্ট ঠিক করবে।

6.কত সেকেন্ডের ভিডিও নিজের ভিডিও তে ব্যবহার করা যায় ?

এটি ইউটিউবারদের আরেকটি ভুল ধারনা। আপনি ১ সেকেন্ডেরও ভিডিও মালিকের অনুমতি ছাড়া নিজের ভিডিও তে ব্যবহার করতে পারবেন না। আসলে ইউটিউব শুধু আপনার জন্য ফেয়ার ইউস পলিছির অপশনটি চালু রেখেছে যেন আপনি অন্যের ভিডিও এর কিছু অংশ ব্যবহার করতে পারেন, কিন্তু এর সকল দায়দায়িত্ব আপনার। কারণ আসল মালিক যদি ক্লেইম করে তাহলে ইউটিউব আপনার চ্যানেলে স্ট্রাইক দিতে বাধ্য।

Level 2

আমি মোঃশামীম হোসাইন। , dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 18 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস