সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা।
একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ যখন নির্মাণ করা হয় তখন সর্বশেষ অপারেটিং সিস্টেম যেভাবে সাপোর্ট করে সে অনুযায়ী তৈরী করা হয়। আর বেশিরভাগ ল্যাপটপে তো কোন একটি অপারেটিং সিস্টেম ডিফল্ট হিসেবে সেটাপ দেয়া থাকে। এর মানে হল এই যে তাদের এই ডিফল্ট অপারেটিং সিস্টেম বাদ দিয়ে যদি আপনি অন্য কোন অপারেটিং সিস্টেম সেটাপ দিতে চান তাহলে অবশ্যই তাদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে জেনে নিন যে ঐ অপারেটিং সিস্টেম আপনার ল্যাপটপের জন্য ইতিবাচক কি না। তবে ল্যাপটপ ছাড়া পিসিতে অবশ্য প্রায় যে কোন অপারেটিং সিস্টেম সেটাপ করা যেতে পারে।
যেমন আপনি যদি 2005 সালে তৈরি করা কোন পিসি কিনেন তাহলে এতে উইন্ডোজ সেভেন সেটাপ দেয়া তো দূরে থাক সেটাপ সম্ভব না ও হতে পারে। কারণ আপনার পিসি Windows XP based করে তৈরি করা হয়েছে তাই সেভেন সেটাপ দিতে পারলেও বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন। আর আপনার পিসি যদি 2010 সালের হয় তাহলে এক্সপি, ভিসতার চেয়ে সেভেনেই ভালো কাজ করবে।
আমি অনেক আগে থেকে উইন্ডোজ 8 এর জন্য অপেক্ষা করছিলাম কারণ আমার নেটবুকে 7 অনেক কম স্পীডে চলে। কিন্তু উইন্ডোজ 8 সেটাপ দেয়ার পর যথেষ্ট স্পীড পেলেও মহা বিড়ম্বনায় পড়লাম। স্যামসাং এর তৈরী কয়েকটি সফটওয়্যার যা শুধু এই নেটবুকের জন্য তৈরী করা ইন্সটল হয় না। মাঝে-মধ্যে অটোমেটিক রিস্টার্ট হয়ে এরর মেসেজ আসে। ওপেন করার পর ডিসপ্লে জুড়ে হিজিবিজি লম্বা কয়েকটি দাগ চলে আসে, মেট্রো এপস রান করলে এমনভাবে হ্যাং হয়ে যায় যে রিস্টার্ট করা ছাড়া কোন উপায় থাকে না। তাই এজন্য আমি স্যামসাং এর কাস্টমার সার্ভিসের সাথে চ্যাট করলে তারা বলল যে এটি শুধু উইন্ডোজ সেভেন এর জন্য তৈরি করা। উইন্ডোজ 8 সেটাপ দিলে Damage হয়ে যেতে পারে। তাই তাড়াতাড়ি আবার 7 দিলাম।
আবার কয়েকদিন আগে আরেকটি কম্পিউটারে 7 সেটাপ দিতে গিয়ে পড়লাম মহা বিড়ম্বনায়। কারণ এটি ছিল 2006 সালের তৈরী এবং র্যাম 500 এমবি ছিল। কিন্তু 7 এর জন্য আমি এক জিবি করি। 7 সেটাপ দেয়ার পর স্পীড এত বেশি কমে গেল যে সরাসরি পাওয়ার বাটন না চাপলে কোন কাজ করে না। তাই নতূন-পুরাতন ভিন্ন কোন অপারেটিং সিস্টেম সেটাপ দেয়ার আগে অবশ্যই জেনে নিন অথবা এর ম্যানুফাকচারার এর ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এ ব্যাপারে জেনে নিন।
উইন্ডোজ আপডেট
আগে আমি উইন্ডোজ এর আপডেটগুলো ডাউনলোড করে রেখে আমার ভিন্ন কম্পিউটারে সেটাপ দিতাম কিন্তু পরে কম্পিউটার গুলোর ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখলাম তারা ভিন্ন আপডেটের লিংক দিচ্ছে। তারপর উইকিপিডিয়া তে সার্চ করে যা জানতে পারলাম তা হলো কিছু কিছু আপডেট শুধু সেই ধরণের কম্পিউটারের জন্য, যেমন HotFix । একটি কম্পিটারের HotFix অন্যটিতে সেটাপ দেয়া মারাত্মক বোকামি। আমি দেখেছি যে একটি কম্পিউটারের HotFix অন্যটিতে সেটাপ হয়ে যায় ঠিকই কিন্তু কাজ করে না এবং উইন্ডোজের আপডেট আর এটিকে ডাউনলোড করে না। HotFix হলো বিশেষভাবে তৈরি ইঞ্জিনিয়ারিং আপডেট যা আপনার কম্পিউটারে ঐ অপারেটিং সিস্টেম এর জন্য কোন দুর্বলতা থাকলে তা ফিক্স করবে।
আমরা অনেকেই জানি না যে কোনটা HotFix, কোনটা সিকিউরিটি আপডেট এবং কোনটি নন সিকিউরিটি আপডেট। তাই উত্তম হলো যে Windows update সেটিংয়ে Check for updates but let me choose whether download and install them সিলেক্ট করে তারপর এর লিস্ট অনুযায়ী আপডেটগুলো সেটাপ করুন। আর নেটওয়ার্কে স্পীড থাকলে Install updates automatically সিলেক্ট করে দিন। এবং তা হচ্ছে সর্ব্বোত্তম পণ্হা।
ভালো-মন্দ কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন আশা করি।
ফেসবুকে আমি
আমি Saifur Rahman। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 8 টি টিউন ও 41 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Thanks…