অরিজিনাল উইন্ডোজ ব্যবহার করলে কি অ্যান্টি-ভাইরাসের প্রয়োজন হয়?

উইণ্ডোজ ডিফেণ্ডারে অনেক ভালো কিছু ফিচার যুক্ত করা আছে যা সাধারণ ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার জন্যে মোটামুটি যথেষ্ট। তবে একটা প্রিমিয়াম অ্যাণ্টিভাইরাস সফটওয়্যারের যেসব ফিচার থাকে সেগুলো উইণ্ডোজ ডিফেণ্ডারে আপনি কখনোই পাবেন না। এটা নিয়ে মজার একটা মিম দেখেছিলাম, আপনার সামনে অনেক গোলাগুলি হচ্ছে আর আপনি নিজেকে বাঁচানোর জন্যে একটি সাইকেলের পেছনে লুকিয়ে আছেন। উইণ্ডোজ ডিফেণ্ডারের কাজও অনেকটা এরকম। (ব্যক্তিগত মতামত, অনেক ডিফেণ্ডার ব্যবহারকারীই উইণ্ডোজ ডিফেণ্ডার নিয়ে সন্তুষ্ট এবং তাদের কাছে মনে হয় এটাই সবচেয়ে ভালো অ্যাণ্টিভাইরাস সফটওয়্যার)

সাধারণত উইণ্ডোজ ডিফেণ্ডারের রিয়েল টাইম প্রোটেকশন অন করা থাকলে তা কোনো অপরিচিত ফাইল, সফটওয়্যার পিসিতে অ্যালাও করেনা। এছাড়া যেসব সফটওয়্যারগুলো কোড জেনারেট করতে পারেসেগুলোকেই সাশপিসিয়াশ বলে আইডেণ্টিফাই করে উইণ্ডোজ ডিফেণ্ডার। ম্যালওয়্যার প্রোটেকশন অন করা থাকলেও অনেকক্ষেত্রে অনেক ম্যালওয়্যার'ই ধরতে পারেনা উইণ্ডোজ ডিফেণ্ডার যেগুলো ম্যালওয়্যারবাইটসে ধরা পড়ে। আবার বিভিন্ন ওয়েবসাইট সার্ফ করতে করতে পিসিতে বিভিন্ন অ্যাডওয়্যার/ট্র্যাকিং ফাইলসেভ হতে থাকে যেগুলো অনেকসময় হ্যাকাররা ব্যবহার করতে পারে আপনার অজান্তেই। এসব অনেককিছুই শুধু উইণ্ডোজ ডিফেণ্ডার ব্যবহার করলে ধরা পড়ে না যা একটি প্রিমিয়াম অ্যাণ্টিভাইরাস সফটওয়্যার থেকে আপনি পাবেন।

আমি যেহেতু গেইমিং এর জন্যে পিসি ব্যবহার করি তাই আমাকে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন টরেণ্ট সাইটে প্রবেশ করতে হয় এবং টরেণ্ট ফাইল নামাতে হয়। টরেণ্টে অনেকক্ষেত্রেই ভাইরাস থাকে। আর সেই সাইটগুলো সিকিউরড ও নয়। অ্যাডওয়্যারও থাকে প্রচুর। এজন্যে আমি ব্যক্তিগতভাবে দুই-তিনটা বাড়তি সফটওয়্যার ব্যবহার করি আত্মসন্তুষ্টির জন্যে।

প্রথমত ম্যালওয়্যার, র‍্যানসমওয়্যার ভাইরাসের জন্যে ম্যালওয়্যারবাইটস সফটওয়্যারটি ব্যবহার করি। এটি একটি প্রিমিয়াম অ্যাপ। তবে এটার ফ্রি ভার্সন ব্যবহার করতে পারবেন। এজন্যে আপনাকে সেটিংস এ গিয়ে ভার্সনটাইপ চেঞ্জ করে নিতে হবে। ফ্রি ভার্সনের অসুবিধা হলো এটা আপনাকে রিয়েল টাইম প্রোটেকশন দেবেনা। মেন্যুয়ালি আপনাকে স্ক্যান করে নিতে হবে। প্রতিমাসে একবার করে স্ক্যান করে নিলেই যথেষ্ট আপনার সুরক্ষার জন্যে। ডিপ স্ক্যান করতে প্রায় ১৫ মিনিটের মতো সময় লাগে ম্যালওয়্যারবাইটসের। তবে এটা আপনার স্টোরেজ কতখানি এর ওপর নির্ভর করবে।

এরপরে অ্যাডওয়্যার/ট্র্যাকিং ফাইলগুলোর জন্যে আপনি যার শরণাপন্ন হবেন তার নাম সুপারঅ্যাণ্টিস্পাইওয়্যার। এটিও প্রিমিয়াম একটি অ্যাপ। তবে ফ্রি ভার্সন ব্যবহার করতে পারবেন আর এখানেও ফ্রি ভার্সনের সেই সমস্যা, কোনো রিয়েল টাইম প্রোটেকশন নেই। এই সফটওয়্যারটি যখনই ব্যবহার করবেন তখনই এটিতে নতুন ডেটাবেজ আপডেট করে নিতে বলবে। অর্থাৎ সবসময়েই নতুন করে অ্যাডওয়্যার রিলিজ হতে থাকে এবং সেগুলো আপনার পিসিতে সেভ হতে থাকে আপনার অজান্তেই। আপনি যখন কোনো ওয়েবসাইট ব্যবহার করেন যেগুলোতে সিকিউর কানেকশন নেই, সেসব ওয়েবসাইটে আপনি আপনার পার্সোনাল ইনফরমেশনগুলো প্রবেশ করাবেন না স্বাভাবিকভাবেই। একইভাবে আপনার পিসিতে এসব অ্যাডওয়্যারগুলোকেও রাখতে চাইবেন না আপনার নিরাপত্তার জন্যে। সেজন্যেই এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করবেন। এটার ক্ষেত্রে সপ্তাহে একবার করে স্ক্যান করে নেয়াই যথেষ্ট। ডিপ স্ক্যান করতে প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় লেগে যায়। তবে এটাও আপনার স্টোরেজ কতখানি এর ওপর নির্ভর করবে।

এছাড়া উইণ্ডোজের কিছু টেম্পোরারি ফাইল থাকে যেগুলোকে সিক্লিনার দিয়ে রিমুভ করে নিতে পারেন। এটিও আপনি ফ্রি ব্যবহার করতে পারবেন। মাসে একবার করে স্ক্যান করে নিলেই হয়।

আর সবশেষে আপনার উইণ্ডোজ ডিফেণ্ডার (অথবা আপনি যদি অন্য কোনো ফ্রি অ্যাণ্টিভাইরাস ব্যবহার করে থাকেন, যেমন অ্যাভাস ফ্রি অ্যাণ্টিভাইরাস) ব্যবহার করে ফুল স্ক্যান করে নিন পিসি। তাহলেই আপনি একটা প্রিমিয়াম অ্যাণ্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করে যেসব সুবিধা পেতেন, মোটামুটি ওরকম সুবিধাই পাবেন বলে মনে হয়। আমি সন্তুষ্ট আরকি এতে।

 

লাইভ রিপোর্ট বিডিতে আমার প্রোফাইল কে অনুসরণ করুন এবং যে কোন প্রশ্ন থাকলে সেখানে প্রশ্ন করতে পারেন আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করবো |

Level 3

আমি রতন কুমার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 24 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।

allylook profile link : https://allylook.com/roton


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস