উইন্ডোজ ফোন; শব্দ পরিচিত হলেও বাংলাদেশে এর ইউজার তুলনামূলক কম। যদিও আমাদের ৯৯% কম্পিউটার উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমএ চলে। কিন্তু উইন্ডোজ ফোন এর জায়গায় অ্যান্ড্রয়েডই বেশি ব্যবহার হয়। কারন শুনতে চাইলেই মানুষ বলে উইন্ডোজ ফোন এর অ্যাপস কম। আবার একটা আইফোন পাইলে সেই ভাব। আই ও এস প্ল্যাটফরম এর অ্যাপস কি উইন্ডোজ ফোন এর থেকে খুব বেশি? তাইলে ফ্রী অ্যাপস হিসাব করলে আইওএস এর তো কোন চিহ্নই থাকে না। যাই হোক আমি কিছু উৎসাহী জনতা খুজে পেয়েছি তাদের জন্যই এই টিউন।
উইন্ডোজ মোবাইলের কাজ শুরু করা হয় ২০০৪ সালে (এনড্রয়েড ২০০৩ সালের অক্টোবরে) । সে সময় এর সাংকেতিক নাম ছিল “ফোটোন”। কিন্তু কার্যক্রম খুব ধীর গতিতে হতে থাকে এবং চূড়ান্তভাবে প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৮ সালে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ মোবাইল গ্রুপ পুনরায় সংগঠিত করে এবং একটি নতুন মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের উপর কাজ শুরু করে। এটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ২০০৯ সালে, তবে কিছুদিন দেরি হওয়ার কারণে অন্তবর্তীকালীন সংস্করণ হিসেবে উইন্ডোজ মোবাইল ৬.৫ মুক্তি দেয় মাইক্রোসফট।
উইন্ডোজ ফোনের উন্নয়ন খুব দ্রুত সংঘটিত হয়। তবে নতুন এই অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ মোবাইলের অ্যাপলিকেশনগুলো সমর্থন করে না। মাইক্রোসফটের মোবাইল ডেভলপার এক্সপেরিয়েন্সের জেষ্ঠ্য পন্য ব্যবস্থাপক ল্যারি লিবারম্যান ইউইককে বলেন, “যদি আমাদের আরও সময় এবং সম্পদ থাকত, তাহলে আমরা হয়ত পূর্বেকার সংস্করণের সাথে সামঞ্জস্য রাখার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু করতে পারতাম।” লিবারম্যান বলেন যে মাইক্রোসফট মোবাইল বাজারকে নতুনভাবে দেখার চেষ্টা করছে।
২০১২ সালে একটি ছোটখাট সংস্করণ মুক্তি পায় যা “ট্যাঙ্গো” নামে পরিচিত। এতে পূর্বেকার সংস্করণের ত্রুটিগুলোকে সারানো হয় এবং হার্ডওয়্যারের প্রয়োজনীয়তা খর্ব করা হয়। ফলে একটি যন্ত্রে উইন্ডোজ ফোন চালানোর জন্য ৮০০ মেগাহার্জের সিপিইউ এবং ২৫৬ মেগাবাইট র্যামই যথেষ্ট।
২০১৩ সালের জানুয়ারিতে উইন্ডোজ ফোন ৭.৮ মুক্তি পায়। এতে উইন্ডোজ ফোন ৮-এর কিছু বৈশিষ্ট্য যোগ করা হয়। যেমনঃ স্টার্ট স্ক্রিন হালনাগাদ করা হয়, বর্ণবিন্যাসের বিকল্প দ্বিগুন করা হয় এবং বিং ইমেজ অফ দ্য ডে চিত্রটিকে লক স্ক্রিনের ওয়ালপেপার হিসেবে রাখার সুবিধা প্রদান করা হয়। উইন্ডোজ ফোন ৭.৮-এর উদ্দেশ্য ছিল উইন্ডোজ ফোন ৭-এর পুরানো ফোনগুলোকে বেশিদিন টিকিয়ে রাখা। কেননা, হার্ডওয়্যার সীমাবদ্ধতার কারণে এগুলোকে উইন্ডোজ ফোন ৮-এ হালনাগাদ করা সম্ভব নয়। অবশ্য, এখনও অনেক ব্যবহারকারীর কাছে উইন্ডোজ ফোন ৭.৮-এর হালনাগাদ পৌছায়নি।
মাইক্রোসফট ঘোষণা করেছে যে উইন্ডোজ ফোন ৭.৮ পরবর্তীতেও হালনাগাদ করা হবে, যেহেতু উইন্ডোজ ফোন ৭ এবং উইন্ডোজ ফোন ৮ কিছু সময় একই সাথে বিদ্যমান থাকবে। এতে উইন্ডোজ ফোন সমর্থিত বিভিন্ন মূল্যের মোবাইল ফোন বাজারে পাওয়া যাবে।
২০১২ সালের ২৯ অক্টোবর মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ফোন ৮ অবমুক্ত করে, যা উইন্ডোজ ফোন অপারেটিং সিস্টেমের দ্বিতীয় প্রজন্ম। উইন্ডোজ ফোন ৮-এ পূর্বেকার উইন্ডোজ সিই ভিত্তিক স্থাপত্যের পরিবর্তে উইন্ডোজ এনটি কার্নেল ব্যবহার করা হয়েছে। উইন্ডোজ ফোন ৭ সমর্থিত স্মার্টফোনে উইন্ডোজ ফোন ৮ হালনাগাদ করা বা চালানো সম্ভব নয়। তবে উভয় সংস্করণ একই ধরণের অ্যাপ্লিকেশন সমর্থন করে। বর্তমানে এর উপডেটেড ভার্সন উইন্ডোজ ফোন ৮.১ প্রচলিত রয়েছে।
উইন্ডোজ ফোন এনড্রয়েডকে পিছনে ফেলতে না পারলেও উইন্ডোজ ফোন ১০ বের হওয়ার পর আইওস প্লাটফর্ম এর জনপ্রিয়তা কিছুটা কমবে।
উইন্ডোজ ফোন ১০ নিয়ে মাইক্রোসফট আশা বাদি হলেও এর অ্যাপ স্টোর এর উন্নতি হয় নি। মাইক্রোসফট এর তৈরী করা অ্যাপস গুলোর কিছু আপডেট পাওয়া যাবে উইন্ডোজ ফোন ১০ এ কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড কে ছাড়িয়ে যেতে যা প্রয়োজন তা আগামী ১০ বছরেও মাইক্রোসফট এর পক্ষে সম্ভব না। তাই কিছু গোপন (এখন আর গোপন নাই) তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, মাইক্রোসফট আর অ্যাপ ডেভলপার নিয়োগ দেবে আর তাতেও যদি কাজ না হয় তবে উইন্ডোজ ১০ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সমর্থন করবে (হয়তো এরকম কিছু হবে না)।
উইন্ডোজ ফোন এর পিছিয়ে থাকার একমাত্র কারন অ্যাপ স্টোর। ভবিষ্যতে এর উন্নতি হবে বলেই আশা করা যায়। আসুন এর কিছু উইন্ডোজ ফোন দেখে নেয়া যাক।
ভাল বাজেট থাকলে এটাই হতে পারে আপনার জন্য সেরা। 5.0 ইঞ্চি 1080 x 1920 পিক্সেল রেসুলেশন নিয়ে এর ডিসপ্লে অতুলনীয়। এছাড়াও ২ জিবি র্যাম ৩২ জিবি রম (১২৮ জিবি পর্যন্ত মেমোরি কার্ড সাপোর্টেড) ও ২.৩ GHz প্রসেসরের সাথে এর পারফর্মেঞ্চ নিয়ে কোন কথা থাকে না। [বিস্তারিত এখানে]
নোকিয়া ছেরে মাইক্রোসফট এর প্রথম ডিভাইস এটি। অল্প দামে এর মত আর কোন মোবাইল এখন বাজারে নেই। এতে করনিং গরিলা গ্লাস ৩ ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও সামনে ও পেছনে দু জায়গায়ই রয়েছে ৫ মেগা পিক্সেল ক্যামেরা। এছাড়াও এতে রয়েছে ১ জিবি র্যাম ও ৮ জিবি রম। এর বর্তমান দাম ১১৫০০ (ডুয়েল সিম)। [বিস্তারিত এখানে]
Microsoft Lumia 435
মাত্র ৭,৯৯৯ টাকা। ৪ ইঞ্চি ডিসপ্লে ১ জিবি র্যাম ও ৮ জিবি রম। ক্যামেরা ও ডিসপ্লে সাইজ বাদে সব কিছুই লুমিয়া ৫৩৫ এর মত। [বিস্তারিত এখানে]
সময় পেলে স্টোরে একবার হানা দিয়ে আসবেন
Cortana সম্পর্কে আর কিছু জানতে দুটি ভিডিও দেখে নিন
আমি নাফিউল ইসলাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 41 টি টিউন ও 157 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
vdo call hoy na kano…windwos phone e,,,,lumia 1020