আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনের ঘরে কিংবা বাহিরে সর্বক্ষণ ইন্টারনেটের প্রয়োজন পড়ে। আমরা বাড়িতে ইন্টারনেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে হয়তোবা মোবাইল ইন্টারনেট কিংবা ওয়াইফাই ব্যবহার করি। বাড়িতে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় আমরা স্বাভাবিকভাবে নিজেদের ওয়াইফাই জোনে থেকে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে পারি, কিন্তু ঘরের বাইরে সেটি সম্ভব নয়।
মানুষের সুবিধার জন্য বিভিন্ন বিভিন্ন সংস্থা কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠান পাবলিক ওয়াইফাই জোন তৈরি করে থাকে। এসব পাবলিক ওয়াইফাই জোনে ব্যবহারকারীরা বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে। তাহলে আপনিও কি পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করতে চান?
আপনি যদি সত্যিই পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে একটি বিষয় মাথা রাখতে হবে। আর সেই বিষয়টি হচ্ছে, সাইবার অপরাধীদের কাছ থেকে নিজের ব্যক্তিগত ডেটা গুলোকে রক্ষা করা।
আমরা স্বাভাবিকভাবে পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করে থাকি। এটি আমাদেরকে বিনামূল্যে ডেটা অফার করে থাকে এবং আমরা অনেক স্পিডলি ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে পারি। আপনি যেরকম ভাবে পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পছন্দ করেন, ঠিক সেই রকম ভাবে হ্যাকারেরা ও পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করার মাধ্যমে হ্যাকিংয়ের ফাঁদ পছন্দ করে। একজন সাইবার অপরাধীরা এ ধরনের ওয়াইফাই জোন ব্যবহার করে আপনার ডিভাইস হ্যাক করতে পারে, আপনার প্রাইভেট ডেটাতে অ্যাক্সেস পেতে পারে অথবা আপনার আইডেন্টেকটিউনস চুরিও করতে পারে। যাই হোক, এ ধরনের হটস্পট ব্যবহার করে কয়েকটি উপায়ে হ্যাকারেরা ব্যবহারকারী ডেটাতে অ্যাক্সেস পেতে পারে।
তাই আজকের এই টিউনে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব, কীভাবে আপনি পাবলিক ওয়াইফাই জোনে নিজেকে হ্যাকিং এর হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। এ ধরনের হটস্পট জোনে হ্যাকিং এর অংশ হিসেবে হ্যাকাররা বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে। তাই, আজকে আমরা পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করে হ্যাকিং এর বিভিন্ন উপায় দেখব এবং এগুলো কীভাবে প্রতিরোধ করা যায় সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব।
একটি Man-in-the-Middle Attack বা MITM আক্রমণ হলো, একটি সাইবার অ্যাটাক, যেখানে থার্ড পার্টি একজন পরস্পরের যোগাযোগের মধ্যে বাধার সৃষ্টি করে। স্বাভাবিকভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করলে সার্ভার এবং ক্লায়েন্ট এর মধ্যে সরাসরি ডেটা আদান-প্রদান হয়। কিন্তু, এই পদ্ধতিতে এখানে থার্ড পার্টি ব্যক্তি হিসেবে হ্যাকার উপস্থিত থাকায়, সার্ভার এবং ক্লায়েন্ট এর মধ্যে সরাসরি ডেটা শেয়ার হওয়ার পরিবর্তে সেই লিংকটির ডেটা অন্য কেউ ভেঙ্গে দেখতে পারে।
এক্ষেত্রে সেই থার্ড পার্টি হ্যাকার, আপনাকে তার নিজস্ব কোন বার্তা অথবা তার নিজস্ব কোন সাইট আপনাকে দেখাতে পারে।
MITM অ্যাটাকের জন্য পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ। পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করার ক্ষেত্রে যেহেতু আপনার ট্রান্সমিট হওয়া ডাটা গুলো এনক্রিপ্ট করা হয় না, তাই এটিকে আপনি হটস্পট এর মত পাবলিক ও বলতে পারেন। কেননা, এখানে সেই ওয়াইফাই এর হটস্পট দেওয়া ব্যক্তি পাবলিক ওয়াইফাই এর মতই আপনার ব্রাউজিং করা ডেটা গুলো দেখতে পারে। আপনি যখন কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থার ছাড়াই পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্রাউজ করেন, তখন হ্যাকার এক ধরনের বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনার ব্রাউজিংয়েরে ডেটা দেখতে পারে।
কোন একটি রাউটারকে যদি এমন ভাবে সেটআপ করা হয়, তাহলে সেই রাউটার দিয়ে তুলনামূলক ভাবে আপনার পার্সোনাল ডেটা গুলো জানা খুবই সহজ। এক্ষেত্রে আপনি যদি সেই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কোন একটা একাউন্টে লগইন করেন, তাহলে তারা খুব সহজেই আপনার ইমেইল এড্রেস, আপনার নাম, পাসওয়ার্ড, প্রাইভেট মেসেজ এবং আরো অনেক কিছুতে অ্যাক্সেস পাবে।
বেশিরভাগ পাবলিক ওয়াইফাই গুলো এনক্রিপ্ট করা নাও থাকতে পারে। আর তাই আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে যেসব ওয়েবসাইট সমূহ ব্যবহার করছেন, সেগুলোর ব্যাপারে লক্ষ্য করা উচিত। এক্ষেত্রে আপনার দেখা উচিত যে, সেই ওয়েবসাইটটি তাদের নিজস্ব এনক্রিপশন সিস্টেম ব্যবহার করে কিনা। এটি দেখার জন্য আপনি সেই ওয়েবসাইটটির ইউআরএল এর দিকে লক্ষ্য করতে পারেন। যদি সেই ওয়েবসাইটের URL এর শুরুতে HTTPS হয়, তাহলে এটিতে কিছু লেভেলের এনক্রিপশন রয়েছে। আর যদি HTTPS এর শেষে "S" অক্ষরটি না দেখতে পান, তাহলে আপনার বুঝতে হবে যে, এটিতে ডেটা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে এনক্রিপশন নেই। এখানে, "S" এর দ্বারা Secure কে বোঝানো হচ্ছে।
আপনি যদি কোন একটি ওয়েবসাইটে এমনটি দেখতে পান যে, সেই ওয়েবসাইটটি জেনুইন নয়, তাহলে এটিতে আপনি কোন ডেটা ইনপুট দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনি যদি একটি অনিরাপদ ওয়েবসাইট ব্যবহার করার জন্য সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন, তাহলে বেশিরভাগ ব্রাউজার আপনাকে প্রথমে একটি Warning message দিবে। তবে, বিভিন্ন সরকারি সংস্থা কিংবা কোন একটি প্রতিষ্ঠানে আবেদনের ক্ষেত্রে আপনাকে এরকম Unsecured ওয়েবসাইটেও নিজের ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হতে পারে।
কোন একজন হ্যাকার আপনার তথ্য চুরি করার জন্য পাবলিক ওয়াইফাই জোনে Fake Wi-Fi এর মত ব্যবস্থা চালু করে রাখতে পারে। এই পদ্ধতিতে, তুমি তাদের সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকারদের কাছে দিয়ে দিতে পারে। আর এটার অন্যতম কারণ হচ্ছে, ভুল নেটওয়ার্কের যোগদান করা।
একজন হ্যাকারের পক্ষে Fake Access Point (AP) সেটআপ করা মোটামুটি সহজ। তাই আপনাকে পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করার সময় অবশ্যই সচেতনতার সঙ্গে ওয়াইফাই এর সাথে যুক্ত হতে হবে। একজন হ্যাকার প্রকৃত ওয়াইফাই হটস্পট এর নামেই একটি ফেক হটস্পট তৈরি করতে পারে এবং আপনি এটিকে আসল ভেবে কানেক্ট হতে পারেন।
আপনি যদি কোন একটি Fake network এ কানেক্ট হয়ে যান, তাহলে সেই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আরো দান প্রদান করা ডেটা গুলো হ্যাকারদের মাধ্যমে যায় এবং তারা চাইলে আপনার তথ্যগুলো দেখতে পারে।
আপনি পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হওয়ার সময় যদি কিছু টিপস মাথায় রাখেন, তাহলে আপনি খুব সহজেই ফেক ওয়াইফাই হটস্পট এড়িয়ে চলতে পারবেন। আপনি যদি কোন পাবলিক প্লেসে গিয়ে পাবলিক ওয়াইফাই জোন দেখতে পান এবং সেখানে একই নামে একাধিক হটস্পট থাকে, তাহলে আপনি আশেপাশের দোকান অথবা সেখানে থাকা কর্মীদের সাহায্য নিতে পারেন। আপনি যদি সেখানে থাকে স্থানীয় ব্যক্তিদের সাহায্য নেন, তাহলে তাদের ডিভাইসে সংযুক্ত থাকা রিয়েল ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক কে আপনি খুব সহজেই চিনতে পারবেন।
আপনি যদি আপনার কর্মস্থলে এরকম কোন ফেইক ওয়াইফাই খুঁজে পান, তাহলে আপনি অবশ্যই এ বিষয়ে কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলুন এবং আসল ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক সম্পর্কে জানুন।
এছাড়াও, আপনি আপনার অতিরিক্ত নিরাপত্তার কথা ভেবে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহারকারী এবং ওয়েবসাইটের মধ্যে একটি এনক্রিপশন সংযোগ স্থাপন করে। আপনি যদি ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় একটি ভিপিএন ব্যবহার করেন, তাহলে পথিমধ্যে আপনার ডাটা হ্যাকাররা ডিক্রিপশন কী ছাড়া দেখতে পাবে না।
এটি এমন একটি সফটওয়্যার, যেটির মাধ্যমে কোন একজন হ্যাকার কিংবা কোন একজন ব্যবহারকারী তার নেটওয়ার্ক এ থাকা ব্যবহারকারীদের অনেক ব্যক্তিগত তথ্য দেখতে পারে। মোট কথা বলা চলে যে, Packet Sniffer ব্যবহার করে হ্যাকাররা কোন একজন ব্যবহারকারীর ইনফরমেশন গুলো অ্যাক্সেস করতে সক্ষম হয়।
আমরা বিভিন্ন টিউটোরিয়াল কিংবা আর্টিকেলে এই কথাটি প্রায় শুনে থাকি যে, হ্যাকারেরা আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য এবং আমাদের ব্রাউজিং ডেটা গুলো দেখতে পারে। কিন্তু, তারা ব্যবহারকারীদের ডেটা গুলো কীভাবে অ্যাক্সেস পায়, সেই বিষয়টি হয়তোবা আপনাদের এখন অজানা। আমরাও চাইলে কিন্তু খুব সহজেই একটি বিনামূল্যের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে আমাদের ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে থাকা ব্যবহারকারীদের ব্রাউজিং ডেটা দেখতে পারি। আমরা পরীক্ষার জন্য এটিকে একটি মজাদার অ্যাপ ও বলতে পারি।
নেটওয়ার্ক জুড়ে ব্যবহারকারীদের অ্যাক্টিভিটি গুলো ট্র্যাক করার জন্য Wireshark নামক একটি বিনামূল্যের সফটওয়্যারের সাহায্য নেওয়া হয়। আপনি যদি ইউটিউবে কিংবা গুগলে যদি এই অ্যাপটি ব্যবহার করার টিউটোরিয়াল দেখতে চান, তাহলে আপনি সার্চ করতে পারেন। ইউটিউবে আপনি এরকম অনেক ভিডিও পাবেন, যেখানে Wireshark অ্যাপ্লিকেশনটির ব্যবহার পদ্ধতি দেওয়া রয়েছে। যেখানে শেখানো হয় যে, আপনি Wireshark কীভাবে ব্যবহার করতে হয়।
এই অ্যাপ্লিকেশনটি ওয়েব ট্রাফিক Analyze করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে; যার মধ্যে রয়েছে Security হুমকি এবং দুর্বলতা গুলো সনাক্ত করা, যেগুলো সমাধান করা প্রয়োজন।
যাইহোক, Packet Sniffer তুলনামূলক ভাবে সহজে একটি প্রক্রিয়া এবং এমনকি কিছু ক্ষেত্রে এটি বেআইনি ও নয়। আইটি ডিপার্টমেন্টগুলো তাদের নিরাপত্তা Maintain করার অংশ হিসেবে এটি নিয়মিত ব্যবহার করে; যা কোন একটি কোম্পানির ত্রুটিগুলো খুঁজে বের করতে সাহায্য করে। কিন্তু, এই টুলটি সাইবার অপরাধীদের জন্য ও বেশ উপকারী।
হ্যাকারেরা এটি ব্যবহার করে প্রচুর পরিমাণে ডাটা পেতে পারে। এছাড়াও তারা পাসওয়ার্ড এর মত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য অনেক সময় এটি ব্যবহার করে।
আপনি যদি প্যাকেট স্নিফিং থেকে রক্ষা পেতে চান, তাহলে আপনাকে শক্তিশালী এনক্রিপশন এর উপর নির্ভর করতে হবে। আর আপনি এরকম সম্ভাব্য ঝুঁকির হাত থেকে বাঁচার জন্য ভিপিএন ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনি যে সকল ওয়েবসাইট গুলোতে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য দিবেন, সেসব সাইটগুলোতে আপনি নিশ্চিত করুন যে, সেগুলোতে SSL/TSL সার্টিফিকেট রয়েছে। যেমন: আপনি সে ওয়েবসাইটে গিয়ে ইউআরএল এর শুরুতে HTTPS আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।
Sidejacking পদ্ধতিটি Packet Sniffer এর মাধ্যমে তথ্য পাওয়ার উপর নির্ভর করে। এই পদ্ধতিতে কোন একজন হ্যাকার সেই ব্যবহারকারীর রিয়েল টাইম এক্টিভিটি গুলো মনিটর করতে পারে। এখানে আরো একটি খারাপ খবর হলো যে, সাইড জ্যাকিং ব্যবস্থায় এনক্রিপশনের কিছু ডিগ্রী বাইপাস করা যায়।
কোন একটি ওয়েবসাইটে যখন লগইন করা হয়, তখন Login details সাধারণত Encrypted network এর মাধ্যমে পাঠানো হয় এবং ওয়েবসাইটের একাউন্টের তথ্য ব্যবহার করে যাচাই করা হয়। আর এরপর এটি আপনার ডিভাইসে পাঠানো কুকিজ ব্যবহার করে Response করে। কিন্তু, ওয়েব সাইটে লগইন করার পর বাকি Detiles গুলো সব সময় এনক্রিপ্ট করা হয় না। কোন একজন হ্যাকার যদি Session Hijacking করতে পারে, তাহলে সে আপনার লগইন ডিটেলস গুলো পেয়ে যাবে এবং আপনার একাউন্টে অ্যাক্সেস করতে পারবে।
আপনি যদি এর একটি উদাহরণ দেখতে চান, তাহলে Session Hijacking লিখে ইউটিউবে সার্চ করলে এরকম উদাহরণ দেখতে পাবেন।
অনেক সময় সাইবার অপরাধীরা সাইডজ্যাকিং এর মাধ্যমে আপনার পাসওয়ার্ড পড়তে না পারলেও, তারা এই ধরনের ডেটা পাওয়ার জন্য আপনার ডিভাইসের ম্যালওয়্যার ডাউনলোড করতে পারে। তারা যদি আপনার লগইন ডিটেলস নাও পায়, তবুও তারা আপনার ইনফরমেশন চুরি করার জন্য প্রচুর তথ্য পেতে পারে। যেমন: শুধুমাত্র আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাক্টিভিটি গুলো থেকে আপনার ডেটার একটি অংশ অনুমান করা যেতে পারে।
হ্যাকারদের জন্য পাবলিক ওয়াইফাই বা হটস্পট গুলো একটি আকর্ষণীয় জায়গা। কেননা, এটি একটি উন্মুক্ত জায়গা এবং এখানে অনেক বেশি ব্যবহারকারী নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হয়।
Standard encryption method গুলো সাইড হাইজ্যাকিং এর বিরুদ্ধে কাজ করে। তাই, উচ্চমানের এনক্রিপশন পদ্ধতিতে ডেটা স্থানান্তর করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি ভিপিএন ব্যবহার করা উচিত। আর এজন্য আপনি এমন একটি Vpn application ব্যবহার করবেন, যেটি আপনাকে শক্তিশালী এনক্রিপশন সহ যেটা স্থানান্তর করার অফার করে।
এছাড়াও আপনি অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে, পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করার পর সর্বদা একাউন্টগুলো থেকে লগ আউট করুন। আপনি যদি পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করার সময় কোন একটি একাউন্টে লগইন করেন, তবে পরবর্তীতে ও হ্যাকার আপনার সেই একাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে থাকতে পারে। আর সোশ্যাল মিডিয়ার সাইটগুলোতে লগইন করার পর আপনি এটি দেখতে পারেন যে, কোন অবস্থানে থেকে আপনি লগইন করেছিলেন এবং পরবর্তীতে বাড়িতে এসে সেই অ্যাকাউন্টটিকে সাইন আউট করতে পারেন।
আমরা পাবলিক প্লেসে অথবা যে কোন জায়গায় গিয়ে এই সুরক্ষা ব্যবস্থাটির কথা ভুলেই যাই। আমরা যখন কোন একটি পাবলিক প্লেসে যাই, তখন আমাদের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে লগইন করার প্রয়োজন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, এটিএম ব্যবহার করার সময় যেমন আশেপাশের লোকদের দেখা উচিত যে, আপনার পিনটি প্রবেশ করানোর সময় কেউ উঁকি দিয়ে দেখছে কিনা।
পাবলিক ব্যবহার করার সময়ও এরকম ঘটনা ঘটতে পারে। পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করে কোন প্রাইভেট ওয়েবসাইটে লগইন করার সময় যদি দেখেন যে আপনার চরপাশে কেউ ঘোরাঘুরি করছে, তাহলে তাকে এড়িয়ে চলুন এবং তারপর পাসওয়ার্ডটি প্রবেশ করান।
হতে পারে যে, আপনার পাশে থাকা সেই ব্যক্তিটি আপনার পাসওয়ার্ডটি দেখে নিয়ে হ্যাকারদের সহযোগিতা করবে।
কোন একটু ওয়েবসাইটে লগইন করার সময় সতর্ক থাকুন এবং চারপাশে লক্ষ্য করুন। আপনি যদি আপনার চারপাশের লোকদের সম্পর্কে নিশ্চিত না হন, তাহলে অবশ্যই Private কোন কিছু টাইপ করতে যাবেন না।
আপনি যেটি টাইপ করছেন কিংবা যেটি পড়ছেন, সেই বিষয়টিকে কখনো অবমূল্যায়ন করবেন না। আপনার কোন একটি একাউন্টের তথ্য কিংবা আপনার অন্য কোন ব্যক্তিগত তথ্য পাবলিক প্লেসে কাউকে দেখতে দেওয়া উচিত নয়। উদাহরণস্বরূপ, মেডিকেল ইনফরমেশন অনেক সময় পরিচয় চোরদের দরকারী হতে পারে। এছাড়াও, আপনার অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য চারপাশের লোক দেখলে, আপনি পরবর্তীতে অনেক বিব্রতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারেন।
আপনাদের অনেক সময় পাবলিক প্লেসে কোন বন্ধুর সাথে প্রাইভেট আলোচনা থাকতে পারে। আর এ সময় আপনার চারপাশের যদি অনেক মানুষ থাকে, তাহলে আপনি পাবলিক প্লেসে চ্যাটিং করার ক্ষেত্রে Privacy screen বা Screen Guard অ্যাপ্লিকেশনগুলোর সাহায্য নিতে পারেন। এসব অ্যাপসগুলো আপনাকে স্ক্রিনের উপর একটি পর্দা দিয়ে ঢাকতে সাহায্য করবে এবং আপনার প্রাইভেসি বজায় রাখবে। যাই হোক, আপনি এ ধরনের অ্যাপ্লিকেশন গুলো ডাউনলোড করার জন্য গুগল প্লে স্টোরে সার্চ করতে পারেন।
পাবলিক ওয়াইফাই এর মূল উদ্বেগের বিষয়টি হচ্ছে এনক্রিপশনের অভাব। আর একটি VPN আপনার Personal Information গুলো এনক্রিপ্ট করে এবং সেগুলো ডিসক্রিপশন কী ব্যতীত দেখা যায় না। তবে, আমাদের স্বাভাবিকভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও একটি ভিপিএন অপরিহার্য। কেননা, একটি ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক আমাদের নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত একটি স্তর হিসেবে কাজ করে।
আপনি ল্যাপটপ, কম্পিউটার কিংবা স্মার্টফোনের মত ডিভাইস গুলোর জন্য সম্পূর্ণ ফ্রি ভিপিএন সফটওয়্যার খুঁজে পাবেন। তবে, আপনি যদি খুব বেশি নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেন, তাহলে আপনাকে সাবস্ক্রিপশন মডেলের ভিপিএন অ্যাপ্লিকেশন গুলোর দিকে যাওয়া উচিত। যেসব ভিপিএন সার্ভিসগুলো আপনাকে আপনার Personal Information সংরক্ষণ করার ব্যাপারে যথেষ্ট গুরুত্ব দিবে।
আমরা যখন বাসা থেকে বাহিরে যাই, তখন অবশ্যই কোন পাবলিক ওয়াইফাই এর সাথে কানেক্ট হওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু, পাবলিক ওয়াইফাই এর মত জায়গা গুলোতে হ্যাকাররা তাদের ফাঁদ পেতে বসে থাকে এবং আপনার ইনফরমেশন গুলো যেকোনোভাবে কালেক্ট করার চেষ্টা করবে। তাই, পাবলিক প্লেসে গিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় আমাদের আরো সতর্ক হওয়া উচিত।
আমি মো আতিকুর ইসলাম। কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 12 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 421 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 62 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
“আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।” —হযরত মোহাম্মদ (সঃ)