ওয়েব ডিজানই- সাধারনত বিভিন্ন ধরনের কালার, ফন্ট এবং ওয়েব টাইপোগ্রাফি সম্পর্কে সম্মুখ ধারনা রাখবে এবং একটি ওয়েব সাইটের ব্যাসিক ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন করবে। ওয়েব ডিজাইনার কিন্তু ওয়েব ডেভলপমেন্ট এর কোন কাজ করবে না তবে, ওয়েব ডিজাইনার রা ডেভলপমেন্ট এর খুটিনাটি বিষয় গুলো জেনে থাকতে পারে এবং এটা যদি সে জানে তবে তার ডিজাইন করতে অনেক বেশী সহজ হয়।
ওয়েব ডিজাইন টা হচ্ছে ওয়েব সাইটের বাহ্যিক রূপ যেটা আমরা দেখতে পাই বা দৃশ্যমান হয়।
ওয়েব ডেভলপমেন্ট-এটা হল ওয়েব সাইটের ভেতরের সাইড যেটা দৃশ্যমান হয় না, যেটা ব্যাকএন্ডে হয়ে থাকে। উদাহরন স্বরুপ আমরা যদি কোন ল্যাপটপ কে দেখি তার ডিস্পেলে, স্পিকার, টাচপ্যাড, কি-বোর্ড ইত্যাদি এগুলো হল আমরা দেখতে পাই কারন এগুলো আমরা দেখতে পাই আর এটাই হল ওয়েব ডিজাইন। ঠিক তেমনই একটি ল্যাপটপের ভিতরে যেমন একটি পার্টস পত্র থাকে যার কারনে ল্যাপটপ টি চলে যেমন র্যাম প্রসেসর মাদার বোর্ড এটি হল ডেভলপমেন্ট পার্ট।
মূলত ওয়েব সাইট ডিজাইনের মাধ্যমে আমরা ওয়েব সাইটের একটি বাহ্যিক রূপ দিচ্ছি আর ডেভলপমেন্টের মাধ্যমে দিচ্ছি প্রান।
আর অনেকেই হয়ত মনে করেন একজন ওয়েব ডিজাইনার শুধু মাত্র html & css নিয়ে কাজ করেন। তাহলে আপনি ভুল, কারন ওয়েব ডিজাইন হচ্ছে ওয়েবসাইটের ইন্টারফেস টাকে তৈরী করা।
আবার ওয়েব ডেভলপমেন্টের মধ্যেও রয়েছে html & css কিন্তু সে ফ্রন্টএন্ড অথবা ব্যাকএন্ড ডেভলপার হতে পারে। এখানে আবার দুটো ভাগ আছে একজন ওয়েব ডেভলপার এর মাঝে।
আরো বিস্তারিত বিষয়টি জানতে বা বুঝতে ভিডিওটি দেখুন।
১। ফ্রন্ট এন্ড ডেভলপার
২। ব্যাক এন্ড ডেভলপার
ফ্রন্টএন্ড বলতে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের সেই অংশটিকেই বুঝায় ইউজার হিসেবে যা আপনি দেখতে পারেন বা যার সাথে সরাসরি ইউজারের ইন্টারেক্ট হচ্ছে। সহজ কথায় তিনি সাইটের সামনের অংশ নিয়ে কাজ করবেন।
ব্যাকএন্ড ডেভলপার যিনি সার্ভার, অ্যাপলিকেশন এবং ডাটাবেজ কে নিয়ে ভিতরের অংশে কাজ করেন।
আরেক ধরনের ডেভলপার আছে যাদের কে আমরা বলি ফুল স্ট্যাক ডেভলপার বলি কারন, তারা ফ্রন্ট এবং ব্যাকএন্ড এ দুটোই নিয়েই কাজ করবে।
এটাই ছিল ডিটেইল ডেভলপমেন্ট পরিচিতি।
আমি আরো বলি একজন ওয়েব ডিজাইনার গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিভিন্ন টুল ফটোশপ ইলুসট্রেটর বা বিভিন্ন ওয়ার ফ্রেমিং সফটওয়ার ব্যবহার করে ওয়েব সাইটের একটি ব্যাসিক ইন্টারফেস তৈরী করবে। সেই ইন্টারফেসটা যখন ডেভলপার হাতে পাবে সে তখন সেটা দেখে ডেভলপ করবে বা কোডিং করবে। আর কোডিং করার সময় সে বিভিন্ন ধরনের এডিটর ব্যবহার করবে। যেমন- সাবলাইম, ব্রাকেট, ড্রিমওয়েভার, নোটপ্যাড ইত্যাদি।
এবং সেই ডিজাইনের ভিতর বিভিন্ন ইফেক্ট স্টাইল প্লাগিন ব্যবহার করে সেই ওয়েব সাইটে প্রান সঞ্চার করবে।
আরো বিস্তারিত বিষয়টি জানতে বা বুঝতে ভিডিওটি দেখুন।
আমি সুমন হালদার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 49 টি টিউন ও 356 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
খুব সুন্দর করে প্রতিটি বিষয় সাজিয়েছেন। ধন্যবাদ