কেনো ব্লগার নয়? ওয়ার্ডপ্রেস বেছে নেওয়া উচিত!

Level 6
Sonic টিউনার, টেকটিউনস, গাইবান্ধা, রংপুর

আসসালামু আলাইকুম। টেকটিউনস ওয়েবসাইটের নতুন আরো একটি টিউনে আপনাকে স্বাগতম। আমি স্বপন আছি আপনাদের সাথে, আশাকরি সকলেই অনেক অনেক ভালো আছেন। বন্ধুরা, নতুন অবস্থায় আমরা যারা ব্লগিং করি অথবা ব্লগিং করতে চাচ্ছি তারা প্রায় সময় একটি প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে থাকি। প্রশ্নটি হল, ব্লগিং করব কিন্তু প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্লগার কে বাছাই করব নাকি ওয়ার্ডপ্রেসকে বাছাই করব? যদিও এটি একটি কমন প্রশ্ন তবুও সকল শুরু করতে চাওয়ার নতুন ব্লগারদের জন্য বেশ চিন্তার বিষয়। অনেকেই আছেন যারা সঠিক গাইডলাইনের অভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তারা বুঝতে পারেনা তাদের ব্লগিং করার জন্য কোন প্লাটফর্মটি সবচেয়ে সেরা। তো আজকের টিউনে আমরা এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আশাকরি আজকের আলোচনার পর আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন, কেন ব্লগার নয় ওয়ার্ডপ্রেস আপনার বেছে নেওয়া উচিত? তো আজকের পোস্টটি যেহেতু নতুনদের জন্য লেখা সেহেতু আজকের টিউনে বেসিক থেকেই বিস্তারিত আলোচনা শুরু করব। আপনি নতুন ইউজার হোন কিংবা পুরাতনের ইউজার হোন আজকের পোস্টটি পড়ার পর আপনি আজকের টিউন থেকে নতুন অনেক কিছু শিখতে অথবা জানতে পারবেন বলে আমি মনে করি। তাই নতুন অথবা পুরাতন উভয়ই ইউজারকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত পোস্টটি পড়ার জন্য অনুরোধ করা হইল। আশাকরি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আপনার সময় নষ্ট হবে না। তো চলুন শুরুতেই জেনে নেই ব্লগার কী?

ব্লগার কী?

ব্লগার স্বয়ং গুগলের তৈরি একটি ব্লগিং সার্ভিস। যা আপনি একদম বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন। ব্লগার প্লাটফর্ম ব্যবহার করার জন্য আপনার আলাদাভাবে অথবা হিডেন কোন চার্জ দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। অন্য সকল ওয়েবসাইট বানানোর প্ল্যাটফর্ম গুলোর মতই ব্লগার প্লাটফর্মটি বেশ জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট মেকিং প্লাটফর্ম। ব্লগার ওয়েবসাইটে আপনি একটি ওয়েবসাইট রান করাতে চাইলে আপনাকে আলাদা করে কোন ডোমেইন হোস্টিং কিনতে হবে না। ব্লগার থেকেই দেওয়া সাবডোমেইনে আপনি সম্পূর্ণ একটি ব্লগার ওয়েবসাইট সুন্দর মত রান করাতে পারবেন। যারা নতুন অবস্থায় শুধুমাত্র প্র্যাকটিস করার জন্য একটি ওয়েবসাইট বানাতে চাচ্ছেন তাদের জন্য ব্লগার প্ল্যাটফর্মটি বেশ ভালো এবং শিক্ষণীয় প্লাটফর্ম হতে পারে। আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে ব্লগার একটি ফ্রি এবং ওপেন সোর্স ওয়েবসাইট বানানোর জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম। যা ব্যবহার করে একদম ফ্রিতেই একটি ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন।

ব্লগারের সুবিধাগুলো কী কী?

শুরুতেই আমি বলেছিলাম ব্লগার গুগলের একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট মেকিং প্ল্যাটফর্ম। এই প্লাটফর্মে অনেকগুলো সুবিধা থাকার পরেও সবচেয়ে জনপ্রিয় সুবিধা হল সম্পূর্ণ ফ্রিতে একটি প্রফেশনাল লেভেলের ওয়েবসাইট তৈরি করা। বর্তমানে বাংলাদেশে ব্লগার দিয়ে তৈরি অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। তারা অনেকে আবার অনলাইন থেকে সফলভাবে ব্লগিং করে ইনকাম করছেন। যারা নতুন করে ব্লগিং করছেন অথবা একটি প্রফেশনাল লেভেলের ওয়েবসাইট বানাতে চাচ্ছেন কিন্তু কাছে টাকা না থাকার কারণে একটু ওয়েবসাইট বানাতে পারছেন না তাদের জন্য ব্লগার প্লাটফর্ম একটি ভালো বাছাই হতে পারে। এছাড়াও ব্লগার ওয়েবসাইট পরিচালনা করার জন্য ফ্রি অফ কষ্টে আপনি অনেকগুলো সুবিধা পেয়ে যাবেন। নিম্নে ব্লগারের সুবিধা গুলো তুলে ধরা হলো:

  1. যেকোনো সময় ব্লগার ওয়েবসাইটকে আলাদা প্লাটফর্মে ট্রান্সফার করতে পারবেন।
  2. ওয়েবসাইট বাড়ানোর পর নিজের ইচ্ছামতো ডোমেইন নাম কিনে যুক্ত করতে পারবেন।
  3. প্রফেশনাল লেভেলের ওয়েবসাইট বানাতে কোন অর্থের প্রয়োজন হয় না।
  4. ডোমেইন অথবা হোস্টিং কেনার প্রয়োজন হয় না। গুগল থেকে দেওয়া সাব ডোমেইনেই ওয়েবসাইট রান করতে পারবেন।
  5. থিম আপলোড করেই ওয়েবসাইটকে প্রফেশনাল আর সুন্দর লুকিং দেওয়া যায়।
  6. এক্সট্রা প্লাগ-ইন কিনার প্রয়োজন হয় না।
  7. খুব সামান্য পরিমাণ কোডিং জ্ঞান থাকলেই ব্লগারের তৈরি ওয়েবসাইটকে সুন্দর ডিজাইন করা সম্ভব।

বন্ধুরা এতক্ষণ তো আমরা ব্লগারের সুবিধাগুলো আলোচনা করলাম। উপরে আলোচনা করার সমস্ত সুবিধাগুলো আপনি ফ্রিতেই উপভোগ করতে পারবেন। এই সুবিধাগুলোর জন্য আপনার এক্সট্রা কোন অর্থ প্রদান করতে হবে না। তবে নতুন অবস্থায় যারা ব্লগার দিয়ে ব্লগিং শুরু করতে চাচ্ছেন তাদের প্রথমে ব্লগিং নিয়ে সামান্য একটু জ্ঞান থাকা দরকার। তবেই তারা ব্লগারে একটি ভালো আর প্রফেশনাল লেভেলের ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন। তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক ব্লগারের অসুবিধা গুলো কী কী।

ব্লগারের অসুবিধা গুলো কী কী?

ব্লগার প্ল্যাটফর্মটি সম্পন্ন ফ্রি হওয়ায় এখানেও কিছু বাধ্যবাধকতা অথবা নির্দিষ্ট একটি সীমানা রয়েছে। এর বাহিরে আপনি ডিজাইন করা থেকে শুরু করে নিত্য নতুন ফিচার উপভোগ করা পর্যন্ত নির্দিষ্ট একটি সীমার মধ্যে আবদ্ধ থাকবেন উদাহরণ হিসেবে বলতে গেলে আপনি এখানে শক্তিশালী কোডিং করে আলাদা একটি টুলস বানাতে পারবেন না। এ সকল সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ব্লগার বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট মেকিং প্লাটফর্ম। ব্লগারের ফ্রি অফ কষ্টে অনেক বেশি সুবিধার মধ্যেও বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে নিম্নে ব্লগারের অসুবিধা গুলো তুলে ধরা হলোঃ

  1. সাবডোমেইনের নাম তুলনামূলক অনেক বড় হয় যা দেখতে অনেকটাই খারাপ দেখায়।
  2. একটি প্রাইমারি ডোমেইন অ্যাড্রেস না কিনলে ওয়েবসাইট সহজে সার্চ রেজাল্টে আসতে চায় না।
  3. ওয়েবসাইটের ডিজাইন করতে চাইলে অল্প হলেও কোডিং এর জ্ঞান থাকতে হয়।
  4. ওয়েবসাইটে প্লাগইন আপলোড বা বানানোর কোন অপশন নেই।
  5. ডিজাইনের সমস্ত কোডিং থিম এর এর মধ্যে করতে হয় যার কারণে ওয়েবসাইট স্লো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ব্লগারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আপনি এখানে চাইলেই নিজের ইচ্ছামতো ডিজাইন করতে পারবেন না। যে কোন ডিজাইন করতে চাইলে আপনাকে কোডিং এর উপর অনেক ভালো অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এখানে আরো একটি অসুবিধা হলো প্লাগিন। ব্লগার ওয়েবসাইটে অন্য সকল ওয়েবসাইটের মত আপনি প্লাগিন ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে এখানে আপনি প্লাগিন এর বদলে উইথগেট সিস্টেমটি পেয়ে যাবেন। যেটি অনেক প্লাগিন এর মত কাজ করে থাকে। ব্লগার প্ল্যাটফর্মে তৈরি ওয়েবসাইট থেকে নির্দিষ্ট একটি সার্ভিস পেতে গেলে আপনাকে সেই সার্ভিসের জন্য নির্দিষ্ট ভাষায় অর্থাৎ সাপোর্ট করে এমন ভাষায় কোডিং লিখে থিমের মাঝে কোডিং আপলোড করে সে সুবিধাটি উপভোগ করতে হবে। এ সমস্যাগুলোই ব্লগার প্লাটফর্মের জন্য বেশ বড় ধরনের সমস্যা।

ওয়ার্ডপ্রেস কী?

ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগারের মত সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট মেকিং প্লাটফর্ম। আজকের এই টিউন টি যারা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পড়ে আসতেন তারা সকলেই জানেন ওয়েবসাইট মেকিং প্লাটফর্ম গুলো আসলে কী? হ্যাঁ, সেই ওয়েবসাইট মেকিং প্লাটফর্মগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট মেকিং প্ল্যাটফর্ম হল এই ওয়ার্ডপ্রেস। একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝালে এর জনপ্রিয়তা সম্পর্কে খুব ভালোভাবেই আন্দাজ করতে পারবেন। সারা বিশ্বে যদি প্রতিবছরে ১০ টি ওয়েবসাইট বানানো হয় তার মধ্যে ৭টি ওয়েবসাইডে ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারাই মেকিং করা হয়। ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে বাড়ানো ওয়েবসাইটগুলো দ্বারা নিজের মনের ইচ্ছা মতো সুন্দর ডিজাইন এবং নিজের ইচ্ছামতো যেকোনো কাজের সার্ভিস প্রদান করতে পারবেন।

ওয়ার্ডপ্রেস প্লাটফর্মে ওয়েবসাইট বানাতে চাইলে এর জন্য কোন প্রকার অর্থ প্রদান করতে হয় না। তবে এই প্লাটফর্মে ওয়েবসাইট বানানো বেশ ব্যয়বহুল। কেন এত ব্যয়বহুল তা আমরা একটু পরে বিস্তারিত আলোচনা করব। আমাদের এই পর্বের প্রশ্নে ওয়ার্ডপ্রেস কী? এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা সহজভাবে বলতে পারব ওয়ার্ডপ্রেস একটি ওয়েবসাইট বানানোর ফ্রি মাধ্যম। ওয়ার্ডপ্রেস প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ওয়েবসাইট রান করানোর জন্য আপনাকে এই ওয়ার্ডপ্রেস প্লাটফর্মকে কোন প্রকার অর্থ প্রদান করা লাগবে না। ওয়ার্ডপ্রেস হলো বর্তমান সময়ের বেশ জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট মেকিং প্ল্যাটফর্ম।

ওয়ার্ডপ্রেস প্ল্যাটফর্ম ফ্রি হয়েও কেন ফ্রিতে ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন না?

একটু আগে আমি আপনাদের একটা আলোচনার মধ্যে বলেছিলাম ওয়ার্ডপ্রেস প্লাটফর্ম ফ্রি হওয়া সত্ত্বেও আপনি এখানে ফ্রিতে ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন না। শুরুতেই বলে নেওয়া ভালো ওয়ার্ডপ্রেস প্ল্যাটফর্ম আর ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট দুটি সম্পন্ন ভিন্ন জিনিস। ওয়ার্ডপ্রেস প্ল্যাটফর্মে আপনার নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট বানাতে চাইলে আপনাকে সর্বপ্রথম ডোমেন এবং হোস্টিং টাকা দিয়ে ক্রয় করতে হবে। তারপর সেই হোস্টিংয়ের সাথে ডোমেইনটি সংযুক্ত করে ওয়ার্ডপ্রেস প্লাটফর্মে আপনার ওয়েবসাইটটি থেকে রান করাতে হবে। জানি আলোচনার মূল বিষয়টি অনেকেরই মাথার উপর দিয়ে চলে গেল। অনেকেই বিষয়টি বুঝতে পারলেন না। তো চলুন বিষয়টি প্রথমে একটু উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যাক। মনে করুন আপনি সাইকেল বানাতে পারেন আপনার সে অভিজ্ঞতা আছে। এখন সাইকেল বানানোর জন্য সাইকেলের যন্ত্রপাতি আবশ্যক। কিন্তু এই যন্ত্রপাতি গুলো আপনি নিজে বানাতে পারবেন না এগুলো আপনাকে অন্য কোথাও থেকে ক্রয় করতে হবে। সাইকেল বানানোর সমস্ত যন্ত্রপাতি আপনার কাছে থাকলে তবেই নিজের বাসায় বসে থেকে আপনি একটি সাইকেল বানাতে পারবেন।

এবার সম্পূর্ণ বিষয়টি একটু বিশ্লেষণ করা যাক। এখানে আপনি সাইকেল বানাতে পারেন এটা আপনার অভিজ্ঞতা ঠিক তেমনি ওয়ার্ডপ্রেস প্লাটফর্মে ওয়েবসাইট বানাতেও অথবা রান করাতেও আপনার অভিজ্ঞতা লাগবে। তারপর আসি সাইকেলের যন্ত্রপাতি নিয়ে, সাইকেল বানানোর জন্য যন্ত্রপাতি আপনি যে-রকম কিনলেন ঠিক সেরকমই ওয়েবসাইট বানানোর জন্য ডোমেইন হোস্টিংও যন্ত্রপাতির মতোই আপনাকে কিনতে হবে। এবার আসি সাইকেল বানানোর জায়গা অর্থাৎ প্ল্যাটফর্ম। সাইকেলটি আপনি আপনার বাড়িতে বসেও বানাতে পারবেন। ঠিক এরকমই একটি ওয়েবসাইট বানাতে হলেও আপনাকে একটি জায়গার প্রয়োজন হবে আজ সেটি দিবে ওয়ার্ডপ্রেস প্ল্যাটফর্ম। আর এই ওয়ার্ডপ্রেস প্ল্যাটফর্ম দাঁড়াই আপনি সম্পূর্ণ একটি ওয়েবসাইট ফ্রিতেই রান করাতে পারবেন। এজন্য শুরুতেই বলছিলাম প্ল্যাটফর্মটি ফ্রি হলেও ডোমেন হোস্টিং না ক্রয় করা পর্যন্ত আপনি এখানে একটু ওয়েবসাইট বানিয়ে তা রান করতে পারবেন না। এজন্যই ওয়ার্ডপ্রেস প্লাটফর্ম ফ্রি হওয়া সত্ত্বেও আপনাকে টাকা ব্যয় করতে হবে৷

ওয়ার্ডপ্রেসের সুবিধাগুলো কী কী?

ওয়ার্ডপ্রেস একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট মেকিং প্ল্যাটফর্ম হওয়ায় এখানে আপনি সব ধরনের সুবিধাগুলো পেয়ে যাবেন। সব ধরনের সুবিধা পাওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো আপনি যেহেতু এখানে নিজস্ব অর্থ খরচ করে ওয়েবসাইট বানাচ্ছেন সেহেতু এই ওয়েবসাইট টি সম্পূর্ণ নিজস্ব মালিকানায় থাকবে। আপনি এই ওয়েবসাইট দ্বারা যখন যা ইচ্ছা তখন তাই করতে পারবেন এতে কোন ধরা বাধা নিয়ম কানুন নেই। তাই আপনি এখানে নিজস্ব ইচ্ছামতো যে কোন সার্ভিস প্রদান করতে পারবেন। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় বেশিরভাগ মানুষ ওয়ার্ডপ্রেসে তাদের ওয়েবসাইট রান করে সফল হয়েছেন৷ ওয়ার্ডপ্রেসে অনেকগুলো সুবিধা দেওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে তারা আপনার থেকে টাকা নিচ্ছে। এছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে আরো বিশেষ কিছু সুবিধা রয়েছে নিম্নে সেই সুবিধাগুলো তুলে ধরা হলোঃ

  1. ওয়েবসাইট অনেক বেশি রেসপন্সিভ এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি হয়ে থাকে।
  2. সহজেই এডসেন্স থেকে অ্যাপ্রুভাল পাওয়া যায়।
  3. নিজের ইচ্ছামতো যেকোনো ধরনের ডিজাইন করতে পারবেন।
  4. বিশ্বের প্রায় সকল ভাষায় প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ গুলো সাপোর্ট করে।
  5. সবচেয়ে জনপ্রিয় হল প্লাগিন সুবিধা যার কারণে কোন ডিজাইন ছাড়া সকল ধরনের বিশেষ সুবিধা উপভোগ করা যায়।
  6. যেকোনো সেকশনের জন্য যে কোন ডিজাইন আলাদা আলাদা ভাবে ভাগ ভাগ করেও করতে পারবেন।
  7. ওয়েবসাইট ম্যানেজ করার আকর্ষণীয় ড্যাশবোর্ড থাকার কারণে ওয়েবসাইট ম্যানেজ করা অনেক বেশি সহজ হয়।

উপরে আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের এর সমস্ত সুবিধা গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। তবে ওয়ার্ডপ্রেসের সুন্দর একটি ডিজাইন করতে চাইলে অবশ্যই ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে। এ সমস্ত সুন্দর সুন্দর সুবিধাগুলো উপভোগ করতে আপনাকে অর্থ প্রদান করতে হবে না। তবে ওয়ার্ডপ্রেসের অনেক ডিজাইনের জন্য অনেক সময় প্লাগিন ব্যবহার করতে হয় এই প্লাগিনগুলোর এক্সট্রা ফিচারের পাওয়ার জন্য অর্থ প্রদান করতে হবে। তবে আমি মনে করি এক্সট্রা ফিচারগুলো না নিয়ে সেখানে থাকা ফ্রি ফিচারগুলো দিয়েই থাকে আপনি প্রায় সমস্ত ধরনের কাজগুলো করতে পারবেন। তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক ওয়ার্ডপ্রেসের অসুবিধা গুলো কী কী?

ওয়ার্ডপ্রেসের অসুবিধা গুলো কী কী?

আমরা অনেকেই সচরাচর গুণীদের মুখ থেকে শুনে থাকি, যে জিনিসগুলোর সুবিধা রয়েছে সে জিনিসগুলোর অসুবিধা রয়েছে। হ্যাঁ ঠিক সেরকমই ওয়ার্ডপ্রেসের এত এত সুবিধা থাকার পরও এর কিছু অসুবিধা রয়েছে। আজকের পোস্টটি পড়ার পর আপনারা অনেকে হয়ত ওয়ার্ডপ্রেসের বিশেষ গুণগুলো সম্পর্কে ভালোভাবেই ধারণা পেলেন। ওয়ার্ডপ্রেসের এমন গুন দেখে হয়ত অনেকেই ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট বানানোর জন্য তাড়াহুড়া শুরু করলেন। একটু দাঁড়ান এত তাড়াহুড়ো না করে সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধা সম্পর্কেও জ্ঞান নিয়ে যান। ওয়ার্ডপ্রেস এর কিছু অসুবিধা হলোঃ

  1. ডোমেইন এবং হোস্টিং অর্থ দিয়ে কিনতে হয় যার কারণে ওয়ার্ডপ্রেসে একটি ওয়েবসাইট বানানো অনেক ব্যয়বহুল।
  2. সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট ম্যানেজ করার জন্য কোডিং সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হয়।
  3. যেকোনো ধরনের হাই কোয়ালিটির ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে চাইলে এক্সপার্ট ডেভেলপমেন্ট হায়ার করতে হয় যা অনেকটাই ব্যয়বহুল।
  4. নিজস্ব অভিজ্ঞতা না থাকলে অনেক সময় এক্সট্রা ফিচারের জন্য প্লাগিন কিনতে হয় যা অনেকটাই ব্যয়বহুল।
  5. ওয়েবসাইটের অ্যাক্সেস এবং সমস্ত জিনিসপত্র নিজস্ব মালিকানায় থাকার কারণে ওয়েবসাইট একবার হ্যাকারদের দখলে চলে গেলে তা রিকভার করা বেশ মুশকিল।

ওপরে ওয়ার্ডপ্রেসের সমস্ত অসুবিধা গুলো বিস্তারিত আলোচনা করলাম। এ সমস্ত অসুবিধা ছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেসে আরও কিছু অসুবিধা থাকতে পারে। যা বর্তমানে আমার জানা নাই যদি আপনার জানা থাকে তা অবশ্যই টিউমেন্ট করে জানাবেন। আমার জানামতে উপরের এই সমস্যাগুলো ছাড়া ওয়ার্ডপ্রেসে প্ল্যাটফর্মে ওয়েবসাইট বানানোর আর কোন সমস্যা নেই। উপরে আমার আলোচনা করা অসুবিধা গুলো মেনে নিয়ে আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস প্লাটফর্মে নিজের ওয়েবসাইট রান করাতে চান তাহলে করাতে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেসে আপনাকে স্বাগতম।

শেষ কথা

বন্ধুরা, আজকের টিউনে আমি আপনাদের সাথে ব্লগার এবং ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে যতটা সম্ভব বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনার যারা নতুন অবস্থায় ব্লগিং করতে যাচ্ছেন অথবা অন্য যে কোন বিষয়ে নিজের একটি ওয়েবসাইট বানাতে চাচ্ছেন শুরুতেই তারা বুঝতে পারে না তারা ওয়েবসাইট বাড়ানোর জন্য কোন প্ল্যাটফর্মটি বেছে নেবেন। আমার আজকের টিউনে বিষয় ছিল, কেনো ব্লগার নয়? ওয়ার্ডপ্রেস বেছে নেওয়া উচিত! আজকের পোস্টটি যারা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ছেন, আশাকরি তারা সকলেই ব্লগার আর ওয়ার্ডপ্রেস এর মধ্যে যে তফাত সেটা খুব ভালো হবেই বুঝতে পারছেন।

এখন আপনার জন্য কোনটি ভালো আর কোনটি মন্দ এ বিষয়টি আপনাকেই বুঝে নিতে হবে। তবে আপনি যদি আমার মতামত চান সেহেতু আমি বলব আপনার শুরুটা যদি এটাই প্রথম হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে ব্লগার প্ল্যাটফর্ম দিয়েই শুরু করা উচিত। আর আপনি যদি প্রফেশনাল লেভেল এ সার্ভিস প্রদান করতে চান অথবা টাকা খরচ করতেও ইচ্ছুক আছেন তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস প্লাটফর্ম দিয়ে শুরু করতে পারেন। আজকের টিউনের বিষয় নিয়ে আপনার যদি দেওয়ার মত ভাল কোন পরামর্শ থেকে থাকে তা অবশ্যই টিউমেন্ট করে জানাবেন। আপনার করা মতামতটি গঠনমূলক হলে তা অবশ্যই আমি আমার টিউনে যুক্ত করে নেব।

তো বন্ধুরা, এই ছিল আমাদের আজকের টিউন, কেনো ব্লগার নয়? ওয়ার্ডপ্রেস বেছে নেওয়া উচিত! আশাকরি টিউন টি আপনাদের একটু হলেও হেল্পফুল হবে। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি, দেখা হবে পরবর্তী টিউনে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণ অবধি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং টেকটিউনস এর সাথেই থাকবেন।

Level 6

আমি স্বপন মিয়া। Sonic টিউনার, টেকটিউনস, গাইবান্ধা, রংপুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 104 টি টিউন ও 28 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

টেকনোলজি বিষয়ে জানতে শিখতে ও যেটুকু পারি তা অন্যর মাঝে তুলে ধরতে অনেক ভালো লাগে। এই ভালো লাগা থেকেই আমি নিয়মিত রাইটিং করি। আশা করি নতুন অনেক কিছুই জানতে ও শিখতে পারবেন।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস