☞হোস্টিং কেনার আগে ব্যবহারকারীকে বেশকিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালো জানেন এমন সব ব্যক্তিরা ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে নিন্মোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনার কথা বলেছেন।
১.যার যেমন সার্ভার প্রয়োজন
ওয়েবসাইটের হোস্টিং কেনার আগে নিজের বাজেট নির্ধারণ করে নিবেন। যেসমস্ত প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট দিনে প্রচুর ভিজিট হয় এবং একই সাথে কয়েক হাজার ভিজিটর ওয়েবসাইটে থাকে সেগুলোর ক্ষেত্রে সাধারণত ডেডিকেটেড সার্ভার কিনতে হয়। ডেডিকেটের সার্ভারের জন্য প্রতিমাসে দেড়শ থেকে ছয়শ ডলার পর্যন্ত গুনতে হয়। তবে যেসব প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে কম সংখ্যক ভিজিটর আসবেন এবং একসঙ্গে অল্প সংখ্যক ভিজিটর সাইটে থাকেন সেসব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শেয়ারড সার্ভার ব্যবহার করা যাবে। শেয়ারড সার্ভারে খরচও অনেক কম হয়ে থাকে। সাধারণত প্রতিবছর মাত্র ২০০ টাকা থেকে শেয়ারড সার্ভারের হোস্টিং কেনা যায়। মধ্যম সারির এবং ছোট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শেয়ারড সার্ভারই সবচেয়ে উত্তম।
২.ডিস্ক স্পেস
সার্ভারের পরে হিসাব করতে হয় ডিস্ক স্পেস। ব্যক্তিগত আর ছোট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে ৫০ মেগাবাইট থেকে ২০০ মেগাবাইট হোস্টিংই যথেষ্ঠ। যেসব প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে একটু বেশি পরিমাণ ছবি আপলোড করতে হবে সেগুলোর হোস্টিং ২৫০ থেকে ৫০০ মেগাবাইটই যথেষ্ঠ। ফ্রিল্যান্স ওয়েব ডেভেলপার তাওহিদুল ইসলাম রাজিব জানান, অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওয়েব হোস্টিং নিচ্ছেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে প্রয়োজনের বেশি ওয়েব হোস্টিং নিলে কোন অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া যায় না, বরং ব্যবহারকারীর অতিরিক্ত কিছু টাকা নষ্ট হয়। তাছাড়া পরবর্তীতে আরোও হোস্টিং স্পেসের প্রয়োজন হলে তো প্যাকেজ বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ রয়েছে।৩.প্রতিষ্ঠান দেখে হোস্টিং কেনা
ডোমেইন এবং হোস্টিং স্পেস কেনার আগে অবশ্য ভালো প্রতিষ্ঠানের সেবার মান যাচাই করে নেয়া উচিৎ। নতুবা পরবর্তীতে কাংখিত সেবা না পাওয়া গেলেও সাধারণত কিছু করার থাকেনা। আর ওয়েবসাইটের মালিক নিজে এর কারিগরি বিষয়গুলো না জানার কারণে কোন সমস্যা হলেও এটি ঠিক করতে পারেন না। এজন্য হোস্টিং ও ডোমেইন কেনার পর উক্ত প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সাপোর্ট দিবে কি না সেটিও যাচাই করে নিতে হবে। আর সাপোর্টের জন্য ব্যবহারকারীকে অতিরিক্ত কোন টাকা পরিশোধ করতে হবে কি না, বা হলেও সেটি কত পরিমাণ সেটি নির্দিষ্ট করে নিতে হবে।৪.কন্ট্রোল প্যানেল
ওয়েবসাইটে কোন পরিবর্তন আনা বা কোন সেবা পরিবর্তন করার জন্য প্রয়োজন ওয়েবসাইট কন্ট্রোলপ্যানেল। আবার ডোমেইনটিকে অন্য প্রতিষ্ঠানের সাইটে হোস্ট করার জন্যও ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেলের প্রয়োজন। এজন্য যে প্রতিষ্ঠান থেকে সেবাটি নিবেন সেখান থেকে অবশ্যই ডোমেইন এবং হোস্টিংয়ের পূর্ণ কন্ট্রোল প্যানেল (ইউজারনেম-পাসওয়ার্ড) নিজের কাছে রাখবেন। অনেক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের জোর করে নিজ প্রতিষ্ঠানে ধরে রাখার জন্য কন্ট্রোল প্যানেল প্রদান করে না। এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে এড়িয়ে চলা উচিৎ।
*** অসাধারন পোষ্ট। এই জাতীয় টিউন দেখতে ও লেখতে আমাদের সাইট ভিজিট করুন: https://bd.postpeon.com/