বর্তমানে লক্ষ করলে দেখা যায় যে ওয়েবসাইটগুলো তৈরী হচ্ছে তার বেশিরভাগই WordPress CMS দিয়ে তৈরী। এটি এমন একটি সফটওয়্যার যেখানে সকল তথ্য যেমন টেক্সট, ফটো, ফাইল, নথি ইত্যাদি সঞ্চয় করে, যা পিএইসপি, মাইএসকিউএল দ্বারা তৈরী একটি ওপেন সোর্স ব্লগিং সফটওয়ার এবং খুব সহজেই নিজের একটি ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ সাইট বা ওয়েবসাইট তৈরী করা যায়। বিশ্বের প্রায় ৪০, ০০, ০০০ ওয়েবসাইটের মধ্যে ১২ % এটি ব্যবহার করে।
যেহেতু ওয়েবসাইট তৈরী ক্ষেত্রে, WordPress ব্যবহার করা হচ্ছে সেহেতু, ওয়েবসাইট তৈরী ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেস সিকিউরিটি সম্পর্কে যদি না জানা থেকে তাহলে ওয়েবসাইট হ্যাঁকিং হওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই ওয়ার্ডপ্রেস সিকিউরিটি সম্পর্কে জানা দরকার-
নিচে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট নিরাপদ রাখার ৬ টি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলঃ
ওয়ার্ডপ্রেস নিয়মিত আপডেট রাখাঃ
নিয়মিত আপডেট রাখা হল ওয়ার্ডপ্রেস সফটওয়্যার এর নিরাপত্তার প্রথম ও প্রধান বিষয়। প্রায়ই ওয়ার্ডপ্রেস তাদের বিভিন্ন ত্রুটি সমাধানের লক্ষে ও নতুন ফিচার আনার মাধ্যমে নতুন আপডেট ছাড়ে। তাই আপডেট আসার পরই ওয়ার্ডপ্রেস সাইটকে আপডেট করা ভালো। কারণ আপনার সাইটি যদি আপডেট না করা হয়, তাহলে পুর্ববর্তী সফটওয়্যর এর ত্রুটিগুলার মাধ্যমে সহজেই হ্যকাররা আপনার ওয়েবসাইট হ্যাক করতে পারে।
জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করাঃ
ওয়ার্ডপ্রেসের এর নিরাপত্তার জন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত। মনে রাখার জন্য অনেকেই নিজের নাম কিংবা জন্মতারিখ অথবা মোবাইল নাম্বার দিয়ে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন যার ফলে পরিচিত কেউ কিংবা হ্যাকাররা বিভিন্ন সুত্রের মাধ্যমে এসব তথ্য জেনে আপনার ওয়েবসাইট হ্যাক করতে পারে।
তাই আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন যেমনঃ অক্ষর, সংখ্যা ও সাংকেতিক চিহ্ন দিয়ে পাসওয়ার্ড দিতে পারেন। তাহলে আপনার সাইটের নিরাপত্তা অনেকাংশেই নিশ্চিত হবে।
Ssl সিকিউরিটি ইন্সটল করাঃ
ssl হচ্ছে একটি encryption protocols যা ওয়েবসাইটের সুরক্ষার জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে। ব্যবহারকারি যখন কোন ssl certificate যুক্ত ওয়েবসাইটে তথ্য তার ব্রাউজারে প্রদান করে সার্ভার তখন ইনক্রাপ্টেড ডাটা প্রেরণ করে যার ফলে তৃতীয় ব্যক্তি এসকল ডাটা পড়তে পারে না। এর ফলে sslL যুক্ত ওয়েবসাইটে ইউজার যে ডাটা ইনপুট করে এইটা নিরাপদ থাকে।
WordPress ওয়েবসাইটের জন্য Ssl setup করা এবং ব্যবহার করা খুব কঠিন না। Ssl দুটি উপায়ে পাওয়া যায়-
ফায়ারওয়েল ইন্সটল করাঃ
WordPress আরও একটি সিকিউরিটি সিস্টেমে ফায়ারওয়েলের সাথে যুক্ত- ফায়ারওয়াল এমন এক স্ক্রিপ্ট যা অনলাইনের বিভিন্ন ধরনের হুমকি থেকে কম্পিউটারকে শুরুক্ষা প্রদান করে। এটি এক নেটওয়ার্ক এর মধ্য থেকে অন্য নেটওয়ার্কে ডাটা প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি যেভাবে ইনকামিং ট্রাফিক মনিটরিং ও কন্ট্রোল করে ঠিক তেমনি আউটগোয়িং নেটওয়ার্ক ট্রাফিকেও মনিটরিং কন্ট্রোল করে থাকে।
আপনার WordPress ওয়েবসাইটে- একটি ফায়ারওয়েল সিকিউরিটি ইন্সটল করতে পারেন। এই ধরনের ফায়ারওয়েল সিকিউরিটি আপনার ওয়েবসাইটের ভাইরাস ম্যালওয়ার ও হ্যাকারদের থেকে রক্ষা করবে।
নিয়মিত সাইটের ব্যাকআপ রাখাঃ
ওয়ার্ডপ্রেস নিরাপত্তার জন্য ওয়েবসাইট ব্যাকআপ খুবই গুরুত্তপুর্ন। কোনও কারণে সাইটের ডেটা মুছে গেলে এই ব্যাকআপ ফাইল দিয়েই সাইটকে রিকোভার করা যাবে। সেক্ষেত্রে ব্যাকআপ রাখার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে বেশ কিছু প্লাগইন আছে।
থিম ও প্লাগইন আপডেটেড রাখাঃ
আপনার ব্যবহারিত থিম ও প্লাগইন সবসময় ওয়ার্ডপ্রেস ভার্সনে আপডেটেড রাখতে হবে। প্রতিটি প্লাগিন এবং থিম ব্যবহার করার পূর্বে ভালো করে দেখে নিন। অপ্রয়োজনীয় প্লাগিন এবং থিম ইন্সটল করে রাখা যাবে না।
পরিশেষে বলা যায় যে, উল্লেখিত ৬ টি পদ্ধতি বা উপায়গুলি মেনে চললে আপনার ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং সাইট টি হ্যাকিং হওয়া থেকে মোটামুটি ভাবে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।
আমি ছায়া ইয়াসমীন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 22 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
আমি ছায়া ইয়াসমিন । একজন Brand Promoter -MyLightHost( web hosting service provider)