হ্যালো টেকটিউনস কমিউনিটি, কেমন আছেন সবাই। আমি আবার চলে আসলাম আপনাদের কাছে নতুন টপিকস নিয়ে। এই ডিজিটাল যুগে আমাদের অনেকের পার্সোনাল ওয়েব সাইট আছে বা আমরা কেউ কেউ ব্লগ বা বিজনেস ওয়েব সাইট মেইন-টেইন করি। সেক্ষেত্রে আমরা নতুন হিসেবে অনেক বিষয় জানি না বা অনেক বিষয় জানলেও প্রয়োগ করা হয়ে উঠে না। এই বিষয়ে প্রায়ই ফেসবুকে আমাকে বিভিন্ন সমাধান দিতে হয়। অনেকে তার ওয়েব সাইটের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। অনেক সময় গুছিয়ে সব কিছু বলা হয় না তাদের। যেকারনে এই টিউন নিয়ে আপনাদের সামনে চলে আসা।
তারা যদি এই ওয়েব সাইটের টিপস গুলা সুন্দর ভাবে ফলো করেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইট অনেকটা ঝামেলামুক্ত হবে। কারণ সঠিক পদ্ধতিতে ওয়েব সাইট পরিচালনা করতে না পারলে আপনি পিছিয়ে যাবেন। তাছাড়া ভুল পথে হাঁটলে হয়তো আপনার নিজের আগাতে অনেক বেশি কষ্ট করতে হবে উপরে উঠতে। সেজন্য সঠিক ভাবে ভেবে নিজেকে তৈরি করা উচিত। কি সেই রহস্য জনক টিপস? আসুন তাহলে শুরু করি।
এই ভুলগুলো আপনার অনলাইন বিজনেস নষ্ট করতে পারে যদি আপনি সঠিক ভাবে তার সমাধান না করতে পারেন।
প্রথমেই আসে ওয়েবসাইট তৈরির আগের হিসাব। সাপোস, আপনি একটি রেস্টুরেন্ট দিবেন। আপনি টাকা নিয়ে বসে আছেন বা শুরু করে দিলেন কাজ কি হবে? আপনি ব্যর্থ হবেন। কারণ আপনাকে কিভাবে কি করবেন সব পরিকল্পনা আগে থেকেই করে ফেলতে হবে। কি ধরণের খাবারে আপনি ব্র্যান্ড করবেন? কিভাবে আপনি আপনার কাস্টোমার এট্রাক্ট করবেন? কোন বেলায় এক্সট্রা কি আইটেম রাখবেন। ঠিক এরকমই!!
এভাবে আপনি ওয়েব সাইট করতে গেলেও টু দ্য পয়েন্ট পরিকল্পনা করে আগাতে হবে। কি ধরণের কন্টেন্ট আপনি রাখবেন? কিভাবে কন্টেন্ট মার্কেটিং করবেন। ইউনিক কন্টেন্ট কতো ভালো মানের আপনার ওয়েবসাইটে। কারণ ইউনিক কন্টেন্ট আপনার ব্রান্ডিং এর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া সার্চ ইঞ্জিন র্যাঙ্কের জন্যও ইউনিক কন্টেন্ট এবং পরিকল্পনা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
সার্চ ইঞ্জিনে আপনার সাইটের পেজ অপটিমাইজ করার জন্য শুধু শুধু আপনার সাইটের ম্যাক্সিমাম পেজ দীর্ঘ করবেন না। কারণ বেশি লেখা ম্যাক্সিমাম পাঠক পছন্দ করেন না। তারা অল্পের মধ্যে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজতে চান। এতে করে আপনার পেজে পাঠক বিরক্ত হয়ে অন্য সাইটে চলে যেতে পারে। তাতে কিন্তু আপনি পেজ র্যাঙ্ক হারাবেন আবার। সেহেতু পাঠক ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন টিপস অনুসরণ করুন। আপনার লেখাকে কৌতূহলী করে তুলুন এবং সুন্দর করে সাজান। যাহাতে পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেন। অপ্রয়োজনীয় কথা বেশি না বলে তথ্য দিয়ে পেজ সমৃদ্ধ করুন।
বেশির ভাগ ওয়েব পোর্টাল তাদের নিজেদের বেশি ফোকাস করে, যা খুব ক্ষতিকারক। আপনার ভিজিটরকে ভালো কিছু দিতে শুরু করুন তারা আপনাকে এমনি খুজে নিবে। আপনি যদি বেশি বেশি নিজেকেই বা নিজের প্রডাক্ট নিয়ে মার্কেটিং করতে থাকেন তাহলে পাঠক আপনার প্রতি আকর্ষণ হারাবে। তারা অন্য দিকে চলে যেতে বাধ্য হবে। কিন্তু যদি আপনি আপনার ওয়েব পেজকে ব্রান্ডিং করতেন তাহলে এমনি পাঠক আপনার সেবা নিতো। তখন এতো ব্র্যান্ডিং করা লাগতো না। সেহেতু নিজের বা সেবার প্রচার না করে পাঠকদের ভালো কিছু দিতে শুরু করুন।
আপনার ওয়েব সাইটে বিভিন্ন মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি কিছু ভিজিটর আপনার সাইটে নিয়ে আসলেন। কিন্তু তাদের কাছ থেকে আপনি কি চান? তারা যদি আপনার ওয়েব সাইটে না থাকে তাহলে কি আপনি সার্থক? যেকারনে আপনাকে ভিজিটর ধরে রাখতে হবে। যেকারনে আপনার ওয়েবের হোম পেজকে ক্লিয়ার রাখুন। খুবই সাধারণ ডিজাইন হোক, কিন্তু অগোছালো যেন কোন ভাবেই না হয়। তাহলে পাঠক পড়েও মজা পাবে, আপনি ভিজিটরও ধরে রাখতেও পারবেন। ক্লিয়ার পেজ আপনার ওয়েব সম্পর্কে ভালো ধারনা তৈরি করবে।
আপনার ওয়েব পেজের প্রথমেই আপনি একটি স্লাইড শো দিয়ে কিছু মেসেজ প্রথমেই পাঠকদের দিতে পারেন। কিন্তু এটি লোড হতে যেহেতু সময় নেই আর নেক্সট স্লাইডের জন্য অপেক্ষা করতে হয়, সেহেতু এটা অনেক সময় পাঠকদের বিরক্ত করে তুলে। সেহেতু আপনি যদি হোম পেজ ক্লিয়ার রেখে সুন্দর অপটিমাইজের মাধ্যমে আপনার ওয়েব পেজ ক্লিয়ার রাখতেন সেটাই আরও ভালো ফল দিতো। সেহেতু পর্যাপ্ত চেষ্টা করুন স্লাইড শো উঠিয়ে দিয়ে যদি ভালো ভাবে পেজের প্রথমেই তথ্য রেখে পাঠকদের আকর্ষণ করতে পারেন।
আপনার ওয়েব সাইটের সব লেখা কখনও আপনার ওয়েবের ১০০% পাঠকদের জন্য এটা ভেবে ব্যর্থ চেষ্টা করবেন না। স্পেসেফিক পাঠকদের জন্য স্পেসাল লেখা দিন। অর্থাৎ কম সংখ্যক পাঠকদের জন্য বিশেষ বিশেষ লেখা দিন। এটা আপনার নির্দিষ্ট লেখার প্রতি নির্দিষ্ট পাঠকের আকর্ষণ করতে সুবিধা হবে।
তাতে আপনি ফলোয়ার পাঠক পেয়ে যাবেন বিভিন্ন ধরণের। আর্টিকেল বেজড ভালো সার্চ ইঞ্জিন র্যাঙ্কও পাবেন আপনার সাইটের জন্য।
এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ টপিকস আপনি যদি আপনার ওয়েব সাইট আপডেট না রাখেন তাহলে আপনি পাঠক হারাবেন। আপনি যদি কোন কারনে আপনার অফিস এড্রেস বদলান তাহলে সেটা যতোদ্রুত সম্ভব চেঞ্জ/আপডেট করুন। আপনার ফোন নাম্বার ইত্যাদি ঠিক রাখুন। ওয়েবের ভেতরের কোন প্রতিষ্ঠান তাদের নাম চেঞ্জ করলে তা ঠিক করুন অতি- দ্রুত। কারণ এগুলো আপনার ব্যাড রেপুটেশন বয়ে আনতে পারে।
উপরের টিপস গুলো আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার সাথে মিল রেখে বের করা। সেহেতু আপনাকে এই পদ্ধতিগুলা আপনার অনলাইন জীবনকে আরও বেশি সুন্দর করবে এই আশা রাখি।
আরও কিছু টিপস থাকছে পরবর্তী সিকুয়াল টিউনে। সেই পর্যন্ত সবার কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি। আমার জন্য দোয়া করবেন। 🙂
ধন্যবাদ সবাইকে। 😆
আর আপনাদের নিজের কিছু অভিজ্ঞতা থাকলে টিউমেন্টে জানাতে পারেন, পরবর্তী সিকুয়ালে উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো।
আমি আইটি সরদার। Web Programmer, iCode বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 261 টি টিউন ও 1750 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 22 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি ইমরান তপু সরদার (আইটি সরদার),পড়াশুনা করেছি কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি নিয়ে; পেশা কন্টেন্ট রাইটার এবং মার্কেটার। লেখালেখি করি নেশা থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৩ থেকে। লেখালেখির প্রতি শৈশব থেকেই কেন জানি অন্যরকম একটা মমতা কাজ করে। আর প্রযুক্তি সেটা তো একাডেমিকভাবেই রক্তে মিশিয়ে দিয়েছে। ফলস্বরুপ এখন আমার ধ্যান, জ্ঞান, নেশা সবকিছু...
সুন্দর টিউন। পরবর্তী সিকুয়ালের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।