ডিজাইন একটি ব্লগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্লগের ডিজানই পাঠককে অনেকক্ষণ ব্লগে অবস্থান করতে বাধ্য করে। প্রত্যেক ব্লগারের উচিত নিজের সাইটের টেমপ্লেটকে হালকা ও কিছুটা চমকপ্রদ রাখা। অনেক সময় পাঠক মুগ্ধ না হয়ে সাইটের প্রথম পাতা থেকেই ফিরে চলে যায়, এটিকেই বাউন্স রেট বলে। বাউন্স রেট শতকরা হিসেবের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। bounce-rate বাউন্স রেট বেশি হলে ব্লগের জন্য সেটি মারাত্নক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সাধের ব্লগ যদি পাঠকেরই পছন্দ না হয় তাহলে ব্লগ বানিয়ে লাভ কি? বাউন্স রেট বেশি হওয়ার সম্ভাব্য দু-তিনটি কারণ :
1.পাঠক যেই টিউনের সন্ধানে বা যে সূত্র ধরে আপনার ব্লগে এসেছে সেরকম টিউনের অনুপস্থিতিপাঠককে প্রথম পাতা থেকে চলে যেতে উৎসাহিত করে।
সাইটের ডিজাইন পাঠককে আকৃষ্ট করার মত নয়।
2.সাইটের লোডিং সময় অনেক বেশি হওয়ার কারণে পাঠক ধৈর্যহারা হয়ে পড়ে।
3.ভুল তথ্য ও কপি-পেস্ট টিউন পাঠককে দারুণ ভাবে নিরুৎসাহিত করবে আপনার ব্লগ পড়ার জন্য।
এবার মূল আলোচনায় ফিরে আসি। ব্লগাররা স্বাভাবিক ভাবে চায় তার ব্লগের বাউন্স রেট কম থাকুক। আর তাই সেইসব ব্লগারদের জন্য আজকে বেশ কয়েকটি টিপস আপনাদের সামনে তুলে ধরব যা আপনার সাইটের বাউন্স রেট কম রাখতে বহুলাংশে সহায়তা করবে।
* কন্টেন্ট: সাইটের কনটেন্ট বাউন্স রেট কম রাখার সবচেয়ে সাধারণ উপায় হচ্ছে উন্নতমানের কনটেন্ট। পাঠক যদি আপনার সাইটের লেখাগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে অথবা কনটেন্টগুলো পাঠকের উপকারে আসলে পাঠক অবশ্যই আপনার সাইট ছেড়ে যেতে চাইবেন না। এজন্য প্রচুর ভালো ও উন্নতমানের টিউন লেখার অভ্যাস করতে হবে। আর সাইটের প্রতি যদি পাঠকের প্রথম ইম্প্রেশন খারাপ হয় তখন উচ্চ বাউন্স রেটের শিকার হবে আপনার সাইট। অর্থাৎ পাঠক প্রথম দেখাতেই না খুশি হয়ে চলে গেল।
* ওয়েবসাইটের ডিজাইন : পূর্বেই আমি বলেছি সাইটের ডিজাইন বাউন্স রেটকে কম রাখতে অনেকটা প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। পাঠক প্রথমেই আপনার সাইটের ডিজাইনের দিকে চোখ দেয় পরে সাইটের বিষয়বস্তুর ওপর (সব ক্ষেত্রে নয়)। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে ডিজাইন থেকে বিষয়বস্তুকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আবার সকল পাঠকের মন-মানসিকতা একরকম নয়। আপনাকে অবশ্যই সাইটের ডিজাইনের দিকে দৃষ্টি দিতেই হবে।
* সাইটের টেম্পলেটটি যে ধরণের হওয়া উচিত- ফাস্ট লোডিং।
* অপ্রয়োজনীয় উইজেট পরিহার।
* অতিরিক্ত এড না থাকা।
* সাইটে অবশ্যই একটি সার্চ বক্স রাখা।
এরকম টেম্পলেট পাঠককে সাইটে ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
* পপ-আপ অ্যাডভার্টাইজমেন্টগুলোকে না বলুন। আমি অনেকগুলো ব্লগে লক্ষ্য করেছি তারা সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর জন্য পপ-আপের সাহায্য নেয়। পপ-আপ দিয়ে পাঠককে সাবস্ক্রাইবের জন্য আবেদন করে। তবে আমি বলব সাবসক্রাইবার বাড়ানোর আরো অনেক পন্থা আছে। এরকম পপ-আপ পাঠককে সাবস্ক্রাইবে উৎসাহিত না করে বরং অনুৎসাহিত করে। সাইটে প্রথম প্রবেশ করেই এরকম পপ-আপ বক্স বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমি সকলকে পরামর্শ দিব প্রতিটি টিউনের নিচে একটি সাবস্ক্রাইব বক্সের ব্যবস্থা রাখতে। এতে পাঠকের লেখা ভালো লাগলে পাঠক অবশ্যই আপনার সাইটের সাথে যুক্ত থাকতে চাইবে। আর্কষনীয় হোমপেজ পরিসংখানে দেখা গেছে ৯০ ভাগ ভিজিটর কোন ওয়েবসাইটের মূল লিংক ধরেই সাইটের হোমপেজে পৌছায়। মূল লিংকবলতে বুঝিয়েছি সাইটের মূল ডোমেইন নেম। তবে যারা সাইট সাব–ডোমেইন ব্যবহার করে তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। সুতরাং হোম পেজে পাঠককে সন্তুষ্ট করার জন্যযথেষ্ঠ পরিমান কনটেন্ট রাখতে হবে। অনেকে ম্যাগাজিন স্টাইল থিম ব্যবহার করে থাকে। এই ধরণের থিম ব্যবহার করার সুফল হল কম স্পেসে প্রচুর কনটেন্ট দেখান যায়।
* সাইটম্যাপ বা আর্কাইভ পেজ তৈরী সাইটম্যাপ আর্কাইভার একটি সাইটের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। আর্কাইভার পেজে সাইটের সমস্ত টিউনের লিস্ট রাখা হয়। সাধারণত বছর বা মাস ভিত্তিক আর্কাইভার দেখা যায়। আর্কাইভার পৃষ্ঠা রাখার মাধ্যমে পাঠক সহজেই আপনার সাইটের সকল টিউন ব্রাউজ করতে পারবে। আর্কাইভার পেজে বা সাইটম্যাপ তৈরীর জন্য ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীরা নিচের প্লাগিনগুলোর যেকোনটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
এগুলো আপনার সাইটে ভিজিটর ধরে রাখবে।
আমি আতিকুর রহমান সোহেল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 31 টি টিউন ও 289 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
খুব সাধারণ একজন । প্রযুক্তিকে ভালবাসি, এর জন্য সব কিছুই করতে পারি । জীবনের লক্ষ্য হিসেবে প্রযুক্তিকেই বেছে নিয়েছি । জানি না কতটুকু সফল হবো । তবুও সারা দিন রাত চলে আমার লক্ষ্য অর্জনের অবিরন্ত প্রচেষ্ঠা । হয়তো একদিন হবে সফল , নয়তো বিফল । তবুও যতদিন থাকবো, প্রযুক্তিকে ভালোবাসবো...
কোন সমস্যা হলে জানাবেন