সময়টা পরিবর্তনের। আর তাই থামিয়ে রাখতে পারবে না কেউ। পরিবর্তনের আভাস পাওয়ার অনুভূতিটা সবার সমান থাকে না। কম্পিউটার এখন বিভিন্ন রকমের হয়ে যাচ্ছে-যে যেই কাজে ব্যবহার করে সেই কাজের উপযোগি ইন্টারফেস নিয়ে আসছে আর সেইভাবেই ব্যবহার হচ্ছে। আইফোন, আই পড,আইপ্যাড, ল্যাপটপ, নোটবুক, ই-বুক বিভিন্নরূপে কম্পইউটার মানুষের হাতের যাচ্ছে।
একটা সময় ছিল ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারই সবার প্রিয় ব্রাউজার ছিল। কারন তখনকার ওয়েবের চেহারার সাথে বেশি কিছু সমস্যাজনক পরিবেশ তৈরী হয় নাই। এর পর অপেরা, মজিলা, ক্রোম সহ অনেক ওয়েব ব্রাউজার এসে গেল। আর ইএক্স এর চাহিদা কমতে লাগলো। কিন্তু একটা বিশাল জনগোষ্ঠি এখনো ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করে। তবে দিন দিন এর ব্যবাহার কমে যাচ্ছে। উইনডোজের পুরাতন ভারর্সনের সাথে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার-৬ বিল্ডইন থাকে। আর তাই এটাতে অনেক ইউজার অভ্যস্ত। তবে এর চাহিদাও কমছে দিন দিন। সাম্প্রতিক জরিপে দেখা যায় মাত্র ৪% ভিজিটর ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার-৬ ব্যবহার করে থাকে। ৬.৫% ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার-৭ আর ১৭.৬% ব্যবহার করে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার-৮, মজিলাতে ভিজিট হয় ৪৪%।
একটা সময় ছিল যখন ওয়েবডিজাইনিংএর কোডিং এ ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার-৬ এর জন্য আলাদাভাবে সি্সএসএস কোডিং করে তারপর ডিজাইন করতো। এখন মনে হয় এটার প্রয়োজন নাই। কারন সামনের দিনে এটার ব্যবহার আরো অনেক কমে যাবে।
আইফোন, আইপ্যাড, ইন্টারনেট টিভি সহ বড় বড় মনিটরে সুন্দরভাবে ওয়েবসাইট দেখানোর বেপারটাও ভাবতে হয়। অনেক সময়ই ওয়েবসাইটগুলোর মোবাইল ভার্শন বানানোর প্রয়োজন পড়ে। তাই কিছু কিছু ব্লগগুলোতে ইদানিং ফিক্সট সাইজ লেআউটের পরিববর্তে লিকুইড লেআউট দেখা যাচ্ছে।
যদিও এখন পর্যন্ত সবাই ১০২৪*৭৬৮ পিক্সেলের স্ক্রিনকে লক্ষ্য করে ওয়েবসাইট বানাচ্ছে। হয়তো সামনের দিনগুলোতে অনেক বড় মাপের একটা স্ট্যান্ডার্ড এসে যাবে।
এখন থেকেই ডিজাইনারদের HTML5 এর দিকে ছুটে আসা দরকার। কিছুদিন পর থেকে সার্চ ইঞ্জিনগুলোও HTML5 কে বেশি গুরুত্ব দিবে - এই ধারনা করা যাচ্ছে। HTML5 এর নতুন কয়েকটি ট্যাগ শিখে নিলেই আপাততঃ নিজের সাইটটিকে আরেকটু সুন্দর করা যেতে পারে।
কিছু দিনের মধ্যেই হয়তো ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা সহ অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলোতে HTML5 এর সুবিধা সমৃদ্ধ কোড দেখতে পাবেন।
বর্তমান ভার্শনের সব ব্রাউজারই HTML5 সাপোর্ট করে। আগের ব্রাউজারগুলোতে কাজ করানো যায় খুব সহজ কোডিং করে। একটা জাভাস্ক্রিপ্ট কল করলে আগের ভার্শনেও HTML5 কাজ করে।
CSS3 ও HTML5 মিলে ওয়েব এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। আর তাই এই পরিবর্তনের জন্য আমাদের প্রস্তুত থেকে কাজ শুরু করা উচিৎ এখন থেকেই।
একটা সময় অনেক ভাষার ইউনিকোড সাইটগুলো দেখতেই অসুবিধা হতো। বিশেষ করে বাংলা সাইট বানাতে গেলে আগের EOT ফাইল বানানো দরকার হতো। এই ফাইলের মাধ্যমে বাংলা ফন্ট না থাকলেও ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার এ বাংলা দেখতে অসুবিধা হয় না। উইনডোজের নতুন ভার্শনগুলোতে বিশ্বের (প্রায়) সব বাষার স্ট্যান্ডার্ড ইউনিকোড ফন্ট রয়েছে।
তাছাড়া ডিজাইনিংকে সহজ করার জন্য গুগলের ফন্ট সার্ভিসটাও বেশ মজার। গুগলের সারভারে সংরক্ষিত ফন্ট আপনার ওয়েবে ব্যবহার করতে পারেন খুব সহজেই।
ডিজাইনিং এ আরো অনেক অনেক পরিবর্তন হয়তো আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। সময়ের প্রয়োজনে নিজেকেও পরিবর্তন করে নিতে হয়।
(বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও টিউটোরিয়ালবিডির সৌজন্য প্রকাশিত)
আমি টিউটো। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 66 টি টিউন ও 476 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
তিনি দীর্ঘ দিন ধরে সাফল্যের সাথে টিটোরিয়াল বিডি ব্লগটি পরিচালনা করে আসছেন। বর্তমানে ব্লগিং এর পাশাপাশি একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। http://www.facebook.com/#!/mahbubpalash http://twitter.com/tuto_mahbub
Thannnnks