ছোট বেলা থেকে মেয়েদের গুছিয়ে চলার বেপারটা দেখে আসতেছি। নিয়মিতই ওদেরএই গুছিয়ে চলাটা আমার কাছে বিরক্তের কারন ছিল। কোথাও এক সাথে বের হতে গেলে কয়েক ঘন্টা সাজগোজেই আপচয় হয়ে যাবে। কি ভয়ানক বেপার বলুন তো!!! এক দিনে আমার বান্ধবী যে পরিমানে প্রসাধনী ব্যবহার করে তা হয়তো আমি মাসেও করি না। আর যে কোন বেপারেই ওদের রয়েছে একটা খুতখুতে ভাব। টাকার নোট দিলেও তারা ভাল ভাবে দেখে আর নতুন নোটের প্রতি রয়েছে ওদের অস্বাভাবিক রকমের অপ্রয়োজনীয় চাহিদা। আশ্চর্য সব বেপার!!!
কিন্তু এ বেপারটাকে আমি একটু পজিটিভ ভাবে দেখলাম যখন ডিজাইন করতে গেলাম। আমার দরকার ছিল একটু সমালোচক, একটু গুছিয়ে চলা লোক। তাহলে মেয়েদের কাছ থেকে কি কিছু শিখে নেয়া যায় নাকি…বলুন তো..।
(Previously Published on: bigganprojukti.com)
কোন দিন ডেটিং এর সময় দেয়া থাকলে একেবারে আগেই হাজির। আসলে ওদের তো কোন কাজ নেই তাই হয়তো তারাতারি এসে পরে। ওয়েব ডিজাইনার হতে হলে নাকি সময় সচেতনাতা শিখতে হবে মেয়েদের কাছে। যাক.. তাহলে শিখে নেব।
ঐ যে বলেছিলাম, যে কোন বিষয়ে খুতখুতে স্বভাব। যা এনে দেন তাই পরীক্ষা করে দেখবে। কোন তরকারীতে পোকা আছে তা ওদের কাছে না গেলে বুঝতেই পারবেন না। আপনি না হয় ডিজাইনার। একটা ডিজাইন করে ফেলেছেন। এখন যদি ভাল করে না দেখেন তাহলে কি চলবে?
আমার বড় দুই বোন। ওরা সব সময় একই রঙের জিনিস এক সাথে পড়তো। আমি ছোট ছিলাম তাই হা… করে তাকিয়ে থাকতাম। কানের, নাকের, গলার গহনা, হাতের চুরি, জামা, ওড়না এমন কি জুতার মধ্যেও নাকি একই রকমে রঙের ডিজাইন প্রয়োজন। মার্কেটে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যায় মিলানো যায় না সহজে। ইদানিং কালের ভাল ভাল ওয়েব ডিজাইনারদের মাঝেও এই বেপারটা দেখতেছি। প্রতিটি ডিজাইনের লগো,আইকন, ফেভিকন, থিমের ডিজাইন, কনটেন্ট ও ফন্টের রঙের মাঝে বেশ একটা রঙের মিল। মনে হয় এটা ওই সব মেয়েদের কাছ থেকেই শিখেছে ওরা।
নতুন এলাকাতে গেলাম কিছু দিন আগে। আমার বোনেরা আসে পাসের অন্যান্য মেয়েদের সাথে বেশ ভাল এক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করে ফেলেছে। আমি কারো সাথে পরিচিত হতেই পারি নি। পরীক্ষার হলে ম্যাডাম গার্ড দিতে এলে আমার বিরক্তের অন্ত ছিল না। আমি জানি ..মেয়েরা একটু বেশি-ই বক বক করে।আজ কাল মোবাইল ফোনে মেয়েরা মিস কল দিয়ে দিয়ে ছেলেদেরা টাকা শেষ করে শুধু ওদের বক বক স্বাধ মিটায়।
কিন্তু এই বেশি বেশি বক বক করাটা নাকি আজ কাল নেটওয়ার্কিং এর জন্য ভাল। ফেসবুক টুইটার,ম্যাসেঞ্জারে সারাদিন বক বক করে নাকি আনেক লাভ হয়। অনলাইনের একটা ধন্দাও নাকি এর মধ্যে লুকিয়ে থাকে.. কি ভয়ানক!!!
দশ বছরের ব্যাচেলর জীবনে কখনো গুছিয়ে থাকি নি। সে দিন খালাম্মা বেড়াতে এলো । আমরা তো আমাদের মতোই সব কিছু এলো মেলো রাখি। অপরিস্কার জীবনটাই আমাদের স্বাভাবিকতা। কয়েক ঘন্টার মধ্যে খালাম্মা আমাদের ঘরের চেহারাটাই পাল্টে দিল।
ওয়েব ডিজাইনারদেরও নাকি গুছিয়ে রাখতে হয়। সিএসএস এর বক্স বানিয়ে বানিয়ে কনটেন্টগুলোকে ভাজ ভাজ করে রাখা খুব দরকারী। আরএই কাজ টা করতে পারলেই তো ওয়েব ডিজাইনের ৯০ ভাগ শেখা হয়ে যায়।
ছবি: Rave Master
বাজারে ইদানিং মেয়েদের আনাগোনা বেড়েছে। কারন ছেলেরা নাকি ভাল জিনিস পছন্দও করতে পারে না, বেশি দাম দিয়ে কিনে ফেলে। দোকানদাররাও জানে মেয়েরা অনেক দামাদামি করে।
কয়েক জনের ওয়েব বানিয়ে দেওয়ার অফার পেলাম, কিন্তু আমি দামের বেপারে কিছুই বলি নি। “ঠিক আছে বানিয়ে দবে টাকা পয়সার বেপারে কিছু বলতে হবে না।” কাজ শেষে যা দিল-তা রীতি মতো অপমানজনক। তাই মেয়েদের কাছ থেকে দামাদামিটা শিখেই নিতে হবে -ভাবছি।
মেয়েরা কি ক্রিয়েটিভ? আমার অফিসের বন্ধু বলে-”মেয়েদের মাঝে নাকি ক্রিয়েটিভ কিছু নাই।” কিন্তু কয়েকটা বান্ধবীর ক্লাস হ্যান্ড নোট দেখে মনে হলো একটু বেশিই ইউনিক। যাই হোক। বেশ কিছু ইউনিক আইডিয়া পেতে মেয়েদের কাছে গেলে আসুবিধা কোথায়?
ভাবছি কোন একটি ডিজাইনের কাজ শেষ করার আগে কোন এক মেয়ে মানুষকে সমালোচনা করার জন্য দিব। … বেপারটা কি একটু বাড়াবাড়ি নাকি?
তাহলে আজ মনের স্বাদ মিটিয়ে মেয়েদের বিরুদ্ধে বললাম। সমালোচনা করতে ভুলে গেলে চলবে না।
লেখাটি Nikunj Tamboli ‘র মাথা থেকে নেওয়া ও নিজের মতো সম্পাদনা করা
আমি টিউটো। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 66 টি টিউন ও 476 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
তিনি দীর্ঘ দিন ধরে সাফল্যের সাথে টিটোরিয়াল বিডি ব্লগটি পরিচালনা করে আসছেন। বর্তমানে ব্লগিং এর পাশাপাশি একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। http://www.facebook.com/#!/mahbubpalash http://twitter.com/tuto_mahbub
ভাই বিষয় গুলি পজেটিভ চেঞ্জে চিন্তা করার জন্য ধন্যবাদ।