টুইটার কী? কেন আপনার টুইটার ব্যবহার করা উচিত? জেনে নিন ৫ টি কারণ

Level 6
শিক্ষার্থী, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গাজীপুর

প্রযুক্তির উন্নয়নের স্রোতধারায় গা ভাসিয়ে চলছে বর্তমান বিশ্ব। কোনো খবরই আজকাল চাপা পড়ে থাকছে না। সাধারণ কিংবা অসাধারণ যে কোনো ঘটনা কোনো না কোনো ভাবে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ছে পুরো বিশ্ব জুড়ে। তবুও যেন কিসের একটা প্রতিযোগিতা। কার আগে কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে, কার কাছে তুলনামূলক বেশি তথ্য আছে এই নিয়ে এক অদৃশ্য প্রতিযোগিতা চলছে বিশ্বজুড়ে।

তাইতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ব্যবহারকারীর আজ অভাব নেই। প্রচলিত সবগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে বৈ কমছে না৷ কেননা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর সাহায্যেই যে কোনো তথ্য সবার আগে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে সবথেকে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক হলেও অন্যান্য সাইট গুলোও কিন্তু পিছিয়ে নেই। সমান তালে ব্যবহার করা হচ্ছে ইন্সটাগ্রাম, লিংকড-ইন, টুইটার ইত্যাদি।

আজকে আমরা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে কথা বাড়াতে চাইছি না। আজ কথা হবে টুইটার নিয়ে। বিশ্বব্যাপী টুইটার ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেশি হলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এর সংখ্যা নিতান্তই কম। তবে সচেতন শিক্ষিত সমাজের লোকজন এখন টুইটার ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে। তাহলে আপনি কেন চমৎকার এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বিচ্ছিন্ন থাকবেন?

আগে জেনে নিন টুইটার কী? আর কেনই বা আপনি টুইটার ব্যবহার করবেন? টুইটারে এমন কী আছে যা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাবেন না। এই সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন আজকের টিউনে৷

টুইটার কী?

টুইটার এর সংজ্ঞা

টুইটার বর্তমানে একটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যার যাত্রা শুরু হয়েছিল একটি মাইক্রোব্লগিং সাইট হিসেবে। ২০০৬ সালের ১৫ ই জুলাই থেকে টুইটার এর যাত্রা শুরু হয়েছে যা এখনও পর্যন্ত জনপ্রিয়তার সাথে চলমান রয়েছে। সাধারণত বিশ্বের স্বনামধন্য সব সেলিব্রিটি, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের অথেনটিক অ্যাকাউন্ট রয়েছে টুইটারে। তাছাড়া সাধারণ জনগণের জন্যও এই সোশ্যাল মিডিয়া সাইটটি উন্মুক্ত।

টুইটারকে বর্তমানে X Corp নামে পুনরায় ব্রান্ডিং করা হচ্ছে। টুইটারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অ্যাড্রেস সহ পরিবর্তন হয়েছে এর লোগো। পুরাতন পাখির প্রতীক বাদ দিয়ে টুইটারের বা X Corp এর বর্তমান প্রতীক হিসেবে X অক্ষরটি ব্যবহার করা হচ্ছে। নতুন ভাবে টুইটার আত্মপ্রকাশ করেছে ব্যবহারকারীদের সামনে।

অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া সাইটের মতো টুইটারেও আপনি Post করতে পারবেন। তবে টুইটারের ভাষায় একে বলে টুইট। এখানে আপনি চালাইলেই নিজের ইচ্ছামতো বেশ দীর্ঘ টুইট করতে পারবেন না। টুইট করার জন্য আপনাকে সর্বোচ্চ ২৮০ অক্ষরের মধ্যে ভাব প্রকাশ করতে হবে অর্থাৎ এই সাইটে যে কোনো ব্যবহারকারী অল্প কথায় নিজের মনের অভিব্যক্তি বর্ণনা করতে পারবে৷

এই যে টুইট লেখার দৈর্ঘ্যের সীমাবদ্ধতা এটাই মূলত অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে টুইটারকে আলাদা করেছে। এছাড়াও টুইটার এর ম্যাসেজ ফিচার, শেয়ার ফিচার, হ্যাশট্যাগ ফিচার, ফলো ফিচার সহ অসংখ্য ইউজ ফুল ফিচার রয়েছে যা আপনাকে খুব ইজি ভাবে এই সাইটকে এক্সপ্লোর করতে সাহায্য করবে। তাই টুইটার এর ওয়েবসাইট বা অ্যাপে প্রবেশ করে নিজের একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে পারেন এখনই।

টুইটার

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ টুইটার

যে ৫ টি কারনে আপনার টুইটার ব্যবহার করা উচিত

যে ৫ টি কারনে আপনার টুইটার ব্যবহার করা উচিত

টুইটার কী এ সম্পর্কে তো ধারণা পাওয়া গেল। কিন্তু এতো এতো সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম থাকতেও কেন আপনি টুইটার ব্যবহার করবেন? এই প্রশ্নটা হয়তো ইতোমধ্যেই মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। চলুন ৫ টি কারণ দেখে নেই যার জন্য আপনার টুইটার ব্যবহার করা উচিত। এরপর আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যে টুইটার ব্যবহার করবেন কি না।

১. যে কোনো নিউজ সবার আগে পেতে

অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে কোনো ন্যাশনাল বা ইন্টারন্যাশনাল নিউজ পৌঁছনোর আগেই তা ছড়িয়ে যায় টুইটারে। এটা টুইটারের একটি বিশেষ গুন বা বৈশিষ্ট্য। মূলত টুইটার ব্যবহারকারীরা সমগ্র বিশ্বের সকল তথ্য সবার আগে পায়। আর ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার ইউজার যারা আছেন তারা যে কোনো নিউজ ভাইরাল হওয়ার পরে জানতে পারেন। তাই সবার আগে গুরুত্বপূর্ণ নিউজ গুলো জানতে চাইলে আপনাকে টুইটারে নিয়মিত অ্যাকটিভ থাকতে হবে।

আপনার যদি পেশাগত কারণে বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে যে কোনো তথ্য সবার আগে জানার প্রয়োজন হয় তবে আপনার অবশ্যই একজন টুইটার ইউজার হওয়া উচিত। টুইটারে যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বা সংবাদ আপনি আজ পাবেন তা দেখবেন কিছুদিন পরে ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল। কখনও কখনও তো গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য ফেসবুক থেকে পাওয়াই যায় না। ফলে আমাদের অজানা থেকে যায় অনেক ঘটনা কিংবা তথ্য।

বর্তমান সময়ে যে সবথেকে বেশি তথ্য জানে সে ততোটাই ক্ষমতাবান। তুলনামূলক বেশি তথ্য জানা থাকলে দৈনন্দিন জীবনে যে কোনো সমস্যা আপনি অল্প সময়ের মধ্যেই সমাধান করতে পারবেন। তাই উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে আপডেট রাখতে প্রতিদিন কমপক্ষে একবার টুইটারে ঢু মেরে আসুন।

২. বিশ্বের স্বনামধন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সরাসরি অনুসরণ করতে পারবেন

বেশিরভাগ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ তাদের ব্যক্তিগত তথ্য, মতামত, পরবর্তী কার্য পরিকল্পনা টুইটারে প্রকাশ করে থাকেন। বিশেষ করে উন্নত বিশ্বের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ টুইটারে নিজেরাই টুইট করে থাকেন। অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার থেকে তাদেরকে টুইটারে বেশি অ্যাকটিভ দেখা যায়। অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের অফিসিয়াল পেইজ গুলো সাধারণত তাদের অ্যাসিস্ট্যান্ট এর সাহায্যে পরিচালিত হয়। তাই অথেনটিক তথ্য গুলো ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার থেকে টুইটারে বেশি পাওয়া যায়।

রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার মাধ্যমে আপনি বিশ্ব রাজনীতির হালচাল সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাবেন। নতুন নতুন আপডেট সবার আগে চোখে পড়বে। কোন রাজনৈতিক নেতা কখন কী করছে, কখন কোথায় যাচ্ছে, কীভাবে কৌশলগত দক্ষতা কজে লাগিয়ে নিজেকে জনপ্রিয় করে তুলছে তা খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাবেন টুইটারে। সুতরাং আপনার যদি রাজনৈতিক হালচাল সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকে তাহলে টুইটারে চোখ রাখতেই হবে।

৩. সেলিব্রিটি ও খেলোয়াড় দের লাইফস্টাইল খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করতে

বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশের সেলিব্রিটি দের টুইটার প্রোফাইল খুব সহজেই খুঁজে বের করতে পারবেন। তাদের ফলো করে রাখলে আপনি খুব কাছ থেকে যে কোনো সেলিব্রিটি দের লাইফস্টাইল পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। টুইটারে এমন সব কনটেন্ট তারা প্রকাশ করে যা আপনি অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে না-ও পেতে পারেন। একই ভাবে বিশ্বসেরা সব খেলোয়াড় দের টুইটার প্রোফাইলে নিয়মিত তাদের লাইফস্টাইল বিষয়ক অথেনটিক কনটেন্ট পাবলিশ হতে থাকে। তারা ক্যারিয়ার বিল্ড আপ করতে কী কী করছে, অবসরে কী করছে, কী চিন্তাভাবনা করছে, ফ্যান ফলোয়ার দের সম্পর্কে কী বলছে সব কিছুর আপ টু ডেট নিউজ পাবেন টুইটারে।

তাই আপনার যদি সেলিব্রিটি বা খেলোয়াড় দের লাইফস্টাইল সম্পর্কে কিউরিওসিটি কাজ করে তবে টুইটারে তাদের অনুসরণ করতে পারেন। তাদের লাইফস্টাইল ও চিন্তাভাবনা থেকে আমাদের শেখার আছে অনেক কিছুই। সবার আগে শতভাগ স্প্যাম মুক্ত তথ্য পাবেন এই প্ল্যাটফর্মে।

৪. বিশ্বসেরা ব্যবসায়ীদের চিন্তাভাবনা ও টিপস সরাসরি জানতে

ব্যবসায় ক্ষেত্রে সফল ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেক ব্যক্তিকেই আপনি ফেসবুক কিংবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পাবেন না। তারা মাঝে মাঝে নিজেদের টুইটার প্রোফাইলে বিভিন্ন বিষয়ের ওপরে টুইট করে। টুইটারে তাদের ফলো করে গুরুত্বপূর্ণ অনেক বাস্তব অভিজ্ঞতার বর্ণনা জানতে পারবেন। কীভাবে জীবনে চড়াই-উতরাই পার হয়ে তারা সফল হয়েছে সেই গল্প জানতে পারবেন। বিভিন্ন টিপস পাবেন যা আপনাদের ক্যারিয়ার জীবনে কাজে লাগবে।

অর্থাৎ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ যাদের অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া মুশকিল তাদের আপনি টুইটারে সহজেই খুঁজে পেতে পারেন। তাদের চিন্তাভাবনা, জীবনের প্রতিটি টার্ম, সাধারণের উদ্দেশ্যে তাদের উপদেশ সবকিছু কোনো থার্ড পার্টির মাধ্যম ছাড়াই সরাসরি এখানে পাবেন। তাই নিজের আইডল খুঁজে বের করুন টুইটার থেকে আর সুপার ফাস্ট স্পিডে নিউজ সংগ্রহ করুন সবার আগে।

৫. অল্প কথায় বেশি তথ্য পেতে

ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় Post করার জন্য নির্ধারিত কোনো অক্ষরের সীমা নেই। তাই গুরুত্বপূর্ণ Post গুলো বেশিরভাগ সময়ই বেশ দীর্ঘ হয়। আমাদের অনেকেরই হয়তো এতো সময় নিয়ে ঐ Post গুলো পড়া হয়ে ওঠে না। কিন্তু টুইটারে Post বা টুইট করতে হবে ২৮০ অক্ষরের মধ্যে। তাই এই প্ল্যাটফর্মে টুইট গুলো বেশ সংক্ষিপ্ত হয় যা পড়তে ভালো লাগে। এখানে কে কতো কম অক্ষরে বেশি তথ্য তুলে ধরতে পারে, বেশি অর্থপূর্ণ টুইট করতে পারে এই নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা।

তাই টুইটারে আপনি কোনো টুইট পড়ে বিরক্ত বোধ করবেন না। বরং অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনি মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই সংগ্রহ করতে পারবেন। যা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সচরাচর হয় না বললেই চলে। এখন আপনিই সিদ্ধান্ত নিয়, আপনি গাদাগাদা লেখা পড়ে কোনো নিউজ পেতে চান নাকি মাত্র ২৮০ বা তার কম অক্ষরের শব্দ পড়ে ঐ তথ্য পেতে চান।

আশাকরি টুইটার কেন ব্যবহার করবেন তার উত্তর আপনি পেয়ে গেছেন। সুপার ফাস্ট দুনিয়ায় নিজেকে অন্য ১০ জনের থেকে তুলনামূলক বেশি ফাস্ট রাখতে টুইটার এর সাথে সংযুক্ত থাকা জরুরি।

ফেসবুক গুরুত্বপূর্ণ নাকি টুইটার?

ফেসবুক গুরুত্বপূর্ণ নাকি টুইটার

আসলে দৈনন্দিন জীবনে কাছের মানুষদের সাথে, বন্ধুবান্ধবদের সাথে, আত্মীয়স্বজনদের সাথে সংযুক্ত থাকতে হলে ফেসবুকের বিকল্প নেই। বর্তমান সময়ে ছোটো থেকে বৃদ্ধ সকলেরই কমবেশি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে। বলা যায় যোগাযোগের তাগিদে আমাদের ফেসবুকে প্রতিদিনই কমবেশি আসতে হয়।

অন্যদিকে টুইটারে আপনি আপনার নিকটাত্মীয় বা বন্ধুমহলের সবাইকে না-ও পেতে পারেন৷ কেননা টুইটার বাংলাদেশে সাধারণ একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিনত হয়ে উঠতে পারেনি। তাই বলা যায় টুইটার ব্যবহার না করলেও যোগাযোগের তাগিদে ফেসবুক ব্যবহার করতেই হবে। এটা আপনার ব্যক্তিগত যোগাযোগের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু নিজের প্রয়োজনে, বিশ্বের হালচাল বুঝতে, সেলিব্রিটি ও বিখ্যাত ব্যক্তিদের সান্নিধ্য পেতে চাইলে আপনাকে টুইটারে আসতে হবে। ফেসবুকে আপনি নিজের পরিচিত দের খুঁজে পেলেও উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গের হদিস মিলবে টুইটারে এসে। নিজের জানার আগ্রহকে প্রাধান্য দিতে চাইলে, আপডেট দুনিয়ায় নিজেকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে টুইটার হবে আপনার তথ্য সংগ্রহের সহযোগী৷ পাশাপাশি আপনার পরিচিতদের মধ্যে কেউ টুইটার ব্যবহারকারী হলে তাদের সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ সারতে পারবেন এই মাধ্যমেই। তবে টুইটারে যারা আসে তাদের মূল উদ্যেশ্যই থাকে গোটা বিশ্বের উপর মহলের হালচাল সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা।

সুতরাং টুইটার বেশি গুরুত্বপূর্ণ নাকি ফেসবুক, এই তর্কে যাওয়াটা বোকামি বৈ কিছুই না। দুটো যোগাযোগ মাধ্যম দুই আঙ্গিকে গুরুত্বপূর্ণ। এটা ব্যবহারকারীর নিকট কতোটুকু গুরুত্ব পাবে তা সম্পূর্ণ তার চাহিদা ও উদ্দেশ্যের ওপর নির্ভর করবে। তবে আমার মতামত হলো টুইটার ব্যবহার করলেও এর পাশাপাশি সকলেরই একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকা জরুরি। তবে ফেসবুকের থেকে টুইটারে বেশি সময় ব্যয় করলে তা সময়ের সদ্ব্যবহার বলে বিবেচিত হবে।

সুতরাং টুইটার গুরুত্বপূর্ণ নাকি ফেসবুক এটা বড় কথা না। আপনি কোন সাইটকে কতোটুকু কাজে লাগাতে পারছেন, নিজেকে কতোটুকু আপডেট করতে পারছেন, সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে পারছেন সেটাই হলো আসল বিষয়। বিশেষ করে ফেসবুকে সময় অপচয় করার থেকে কিছু সময় টুইটার স্ক্রল করাই উত্তম।

শেষকথা

টুইটার এর মতো চমৎকার একটা সোশ্যাল মিডিয়া সাইট সম্পর্কে যাতের ইতোপূর্বে ধারণা ছিলো না আশাকরি তাদের কাছে টিউনটি ভালো লেগেছে। চাইলে আজ থেকেই টুইটারে নিজেকে আপ টু ডেট রাখতে পারেন৷ তবে সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেরই ভালো এবং খারাপ দিক রয়েছে৷ আপনি এর ভালো দিকটা বেছে নেবেন নাকি খারাপ দিক বেছে নেবেন এটা পুরোপুরি আপনার ওপরেই নির্ভর করবে। তবে আশা করছি আপনি টুইটারকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করে এর মাধ্যমে নিজেকে উপকৃত করতে পারবেন৷ ধন্যবাদ।

Level 6

আমি শারমিন আক্তার। শিক্ষার্থী, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গাজীপুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 115 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 6 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস