ডুয়েল কারেন্সি কার্ড কি? 

Level 2
প্রথম বর্ষ, সরকারি বাঙলা কলেজ, ঢাকা

ডুয়েল কারেন্সি কার্ড কি?  ডুয়েল কারেন্সি কার্ড কেন প্রয়োজন? কোন কোন ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি কার্ড প্রদান করে? ডুয়েল কারেন্সি কার্ড কিভাবে করব?

ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের কথা হয়তোবা আমরা শুনেছি অনেকবার এবং অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে গিয়ে আমাদের কাছে না থাকার কারণে আমরা হয়তো বা সে কাজটি আর করতে পারিনি। তাই আপনাদের হয়তোবা অনেক ক্ষেত্রে  ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের প্রয়োজন পড়ে ফেসবুকে বা youtube এ বুষ্ট করার জন্য অথবা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পেমেন্ট করার জন্য। আর তাই আজকের এই কনটেন্ট  আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। ডুয়েল কারেন্সি কার্ড কি? কখন প্রয়োজন? কিভাবে পাবেন? কোন ব্যাংক আপনাকে দিবে? এবং এই কার্ডটি পেতে কি কি প্রয়োজন? এ সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু আজকের এই কনটেন্টটিতে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। চলুন শুরু করা যাক।

ডুয়েল কারেন্সি কার্ড কি?

আমরা সবাই জানি যে ডেবিট ক্রেডিট কার্ড সাধারণত আমরা আমাদের ব্যাংক থেকে পেয়ে থাকি। যেটার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন বুথ থেকে টাকা ট্রানজেকশন করতে পারি অথবা পৃথিবীর যে কোন লোকাল ই-কমার্স সাইট বা ডোমেস্টিক ই-কমার্স সাইট থাকে সেই সাইটগুলো থেকে ট্রানজেকশন করতে পারি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়তোবা আমরা বিভিন্ন জায়গায় পেমেন্ট করতে পারি কিন্তু আন্তর্জাতিক কোন পেমেন্ট কিন্তু আমরা আমাদের সাধারণ কার্ড দিয়ে করতে পারিনা। সে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট করার জন্যই কিন্তু আপনাকে ডুয়েল কারেন্সি ব্যবহার করতে হবে। আর ডুয়েল কারেন্সি হচ্ছে এমন একটি কার্ড যে কার্ডের মাধ্যমে আপনি ডোমেস্টিক কার্ডের পেমেন্ট করতে পারবেন বা ট্রানজেকশন করতে পারবেন।

এছাড়াও লোকাল কারেন্সির বাইরে ও আপনি আন্তর্জাতিক যে কারেন্সি টা আছে সেই কারেন্সিও কিন্তু ব্যবহার করতে পারবেন। তার মানে হচ্ছে একই কার্ডের মাধ্যমে আপনি লোকাল এবং আন্তর্জাতিক দুইটা কারেন্সি পূর্ণ করতে পারবেন। আপনার ব্যাংক একাউন্টে থাকবে বাংলাদেশী টাকা। কিন্তু আপনার যদি আমেরিকা বা কানাডায় কোন ইউনিভার্সিটিতে পেমেন্ট করতে হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার বাংলাদেশী টাকা থাকলে সেই টাকা থেকে কিন্তু আপনি আমেরিকা, কানাডায় আপনার ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। এছাড়া নরমাল যে ডেবিট ক্রেডিট  ভিসাকার্ড আমাদের দেশের লোকাল  বুথ বা এটিএম ব্যবহার করার জন্য আমরা পেয়ে থাকি সেই  কার্ড দিয়ে কিন্তু আপনি সেটা করতে পারবেন না। এছাড়া আপনি যদি ফেসবুক বা ইউটিউব এ বুস্ট করতে চান বা প্রমোট করতে চান আপনার ইউটিউব চ্যানেলের বা ফেসবুক পেজে সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে এরকম  ডুয়েল কারেন্সি  কার্ড থাকতে হবে। তো ডুয়েল কারেন্সি কার্ড কি সেটা নিশ্চয়ই আপনারা ইতিমধ্যে বুঝে গিয়েছেন।

এটা আমাদের কখন প্রয়োজন?

একদম সহজ একটি কথা যখন আপনার বাংলাদেশী সীমানার বাইরে আপনি কোন পেমেন্ট গেট ওয়েতে অ্যাক্সেস করতে চাইবেন তখনই আপনার একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড লাগবে। যার মাধ্যমে ডলারে বা ইউনাইটেড স্টেট ডলারের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। যেমন হচ্ছে আমি একটু আগেই বললাম বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে পেমেন্ট করতে পারবেন, তারপর ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট গুলো করতে পারবেন। ইন্টারন্যাশনাল কোন সাইট থেকে আপনি কোন কিছু কিনতে পারবেন, সেটা অ্যামাজন হোক অথবা আলী এক্সপ্রেস হোক যেটাই হোক না কেন।

এবার চলে আসি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড আপনি কিভাবে পাবেন?

ডুয়েল কারেন্সি কার্ড আপনি কিভাবে পাবেন এটা সহজ একটি উত্তর হচ্ছে আপনি যেভাবে আপনার লোকাল কারেন্সির কার্ড পেয়েছেন ঠিক সেইভাবে। আপনার যদি ব্যাংক একাউন্ট থাকে তাহলে আপনি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে তাদের যদি ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের সার্ভিস থাকে তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনি একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের এপ্লাই করে তারপরে আপনি একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড নিতে পারবেন। তবে ব্যাংক ভেদে এটার বিভিন্ন রিকোয়ারমেন্ট থাকে। কিন্তু ডুয়েল কারেন্সি কার্ডটি আপনি আবেদন করলেই পাবেন ব্যাপারটা কিন্তু এরকম নয়। আপনি কিন্তু আবেদন করলেই পেতে পারেন তবে এটা কে একটিভ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই পাসপোর্ট থাকতে হবে। কারণ আপনি যখন ডুয়েল কারেন্সি ট্রানজেকশন করতে চাইবেন তখন আপনার পাসপোর্টে কিন্তু একটা নির্দিষ্ট পরিমাণের লিমিট দিয়ে  ডলার  এন্ড্রোজমেন্ট করা থাকতে হবে। যে ডলার  এন্ড্রোজের আওতার মধ্যে আপনাকে আসলে এই পাসপোর্ট নাম্বারের আদলে পেমেন্ট করতে হবে। যাতে করে এটার  হিস্ট্রি বাংলাদেশ ব্যাংকের  কাছে থাকে যে বাংলাদেশের কোন পাসপোর্ট হোল্ডার বা কোন আইডি হোল্ডার এই টাকাটা বাংলাদেশের বাইরে কোন কারনে কি মাধ্যমে গেটওয়ে করছে অথবা পেমেন্ট করছে।

এটার একটা প্রবলেম থাকার জন্য কিন্তু আপনাকে আপনার ব্যাংকে গিয়ে আপনার পাসপোর্ট এর কপি দিয়ে ডলার অ্যান্ড্রোজমেন্ট করে আপনি যে  কার্ডটি নিবেন সেই সেই কার্ডের আদলে এটাকে একটিভ করে তারপর আপনি ইন্টার্নেশনাল ট্রানজেকশন আপনার ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের মাধ্যমে করতে পারবেন। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে পাবেন। একদম সহজ কথা আপনার ব্যাংকে গিয়ে আপনার পাসপোর্ট নিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করবেন তাদের কোন ইন্টারন্যাশনাল ডুয়েল কার্ড সার্ভিস চালু আছে কিনা? যদি চালু থাকে তাহলে সেই কার্ডটি নেওয়ার জন্য আপনাকে কি কি করতে হবে? কোন ফরম ফিলাপ করতে হবে? তাদেরকে বললেই তারা আপনাকে ফরমটি দিয়ে দিবে। সেই ফর্মটা ফিলাপ করে তাদেরকে জমা দিতে হবে এবং যখন কার্ডটি পেয়ে যাবেন তখন আপনি ডলার এন্ড্রোজমেন্ট লিমিটের মধ্যে করে সেই ডলার এন্ড্রোজের মাধ্যমে কিন্তু আপনার কার্ডকে একটিভ করে আপনি ডুয়েল কারেন্সি পেমেন্ট করতে পারবেন।

কোন ব্যাংকগুলো আপনাদেরকে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড প্রদান করবে?

EBL, Eastern Bank Ltd, Dutch Bangla Bank Ltd. এই ব্যাংকগুলোর বাইরে ও ইসলামিক ব্যাংক সাধারণত ডুয়েল কারেন্সি কার্ড প্রদান করে থাকে, সার্ভিস দিয়ে থাকে, তাদের মাধ্যমেও কিন্তু আপনি ইন্টারন্যাশনাল ট্রানজেকশন ডুয়েল কারেন্সি কার্ড পেতে পারেন। এই ব্যাংকগুলো ছাড়াও যে সকল ব্যাংক অনলাইনে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে থাকে সেই ব্যাংকগুলো সম্ভবত এই ডুয়েল কারেন্সি কার্ড প্রদান করে থাকে। আপনাকে শুধু গিয়ে আপনার যেখানে ব্যাংক একাউন্ট আছে তাদেরকে বলতে হবে আপনি একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড করতে চাচ্ছে তখন বিস্তারিত তারাই বলে দিবে।

Level 2

আমি আয়শা আক্তার দিপা। প্রথম বর্ষ, সরকারি বাঙলা কলেজ, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 11 টি টিউন ও 6 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস