ফেসবুক হ্যাকিং কী আসলেই সম্ভব? সম্ভব হলে কীভাবে?

টিউন বিভাগ টিউটোরিয়াল
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

ফেসবুক হ্যাকিং কী? সত্যিই কী ফেসবুক হ্যাকিং সম্ভব? সম্ভব হলে কিভাবে? এরকমই আরো অনেক প্রশ্ন যারা আমার এই আর্টিকেল পড়ছেন তাদের মনে ঘুরপাক করে। তো আর প্রশ্নগুলোকে ঘুরপাক করতে দিয়েন না। কারণ আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর আমি আমার এই আর্টিকেলে দিবো।

আস সালামু আলাইকুম। আমি ইবরাহীম হাসান। আমি ভালো আছি আশাকরি আপনারাও ভালো আছেন। তো আর কথা না বাড়িয়ে আমি আমার আজকের আর্টিকেল শুরু করছি।

তো প্রথম প্রশ্ন: ফেসবুক হ্যাকিং কী? এই প্রশ্ন বাদ দিন বরং প্রশ্নটা এরকম হবে যে, হ্যাকিং কী? তো সোজা বাংলায় বলতে গেলে হ্যাকিং হলো কারো জিনিস তার অজান্তেই ব্যবহার করা এবং তার অজান্তেই নিয়ে যাওয়া বলতে গেলে এটা চুরির ওপর নাম। কিন্তু এটা ইন্টারনেট হওয়ায় এটা এরকম হবে যে, কারো জিনিস তার অজান্তেই ব্যবহার করা।

এরপরের প্রশ্ন: সত্যিই কী ফেসবুক হ্যাকিং সম্ভব? যদি এর সোজা বাংলায় উত্তর হয় তাহলে উত্তর হবে: না। কারণ আমি জানি আমার এই আর্টিকেল কোনো হ্যাকার পড়ছেন না। সাধারণত যারা পড়ছেন তারা এই কারণে পড়ছেন যে, কিভাবে কারো আইডি হ্যাক করবেন বা এমনেই সময় কাটাচ্ছেন বা সাধারণ জ্ঞান অর্জন করছেন। কারণ কোনো হ্যাকারের আমার মতো পাতি হ্যাকারের আর্টিকেল পড়ার প্রয়োজন হবে না। তো মূলকথা হলো ফেসবুক হ্যাকিং সম্ভব না বরং ফেসবুক আইডি হ্যাকিং সম্ভব।

এরপরের প্রশ্ন হলো, কীভাবে সম্ভব? দেখুন সাধারনভাবে একটা কথা বলি, যে হ্যাকারই হোক বা যতবড় হ্যাকারই হোক। সবাই একটাই পদ্ধতি ব্যবহার করে আর সেটা হলো Phishing অর্থাৎ ফিশিং। অনেকেই ভাববেন যে, এখানে মাছ ধরার বিষয় কথার থেকে আসছে। আসলে ব্যাপার টা এরকম আমরা অনেকেই জানি মাছ কিভাবে ধরে অনেকেই জানি না তো যারা জানে না তাদের জন্য বলছি মাছ কিভাবে ধরা হয়:-

প্রথমে একটা বড়শির মধ্যে খাবার দিয়ে মাছকে খাবারের প্রতি আকৃষ্ট করা হয়। অতঃপর মাছ যখন খাবারের লোভে পরে খাবার গিলে তখনই বড়শিটা তার গলায় আটকায় আর সে ধরা খেয়ে যায়। সেরকমই হ্যাকিংএ বড়শিটা হলো একটা ফিশিং লিংক আর খাবারটা হলো কোনো পর্নো নাইকার ছবি বা কোনো কুইজ বা কোনো বিশাল অঙ্কের উপহার এমনেই আপনাকে দেয়া হচ্ছে। আর যখনই আপনি সেই লোভনীয় বস্তুটাকে অর্জন করার চেষ্টা করবেন সাথে সাথে আপনি ফিশিং লিংকে আটকে যাবেন। মনে রাখবেন যখনই আপনি একটা মোবাইলকে সেফ না রেখে সেফ মনে করবেন তখনই আপনি হ্যাকিংয়ের শিকার হবেন। যেমন: আপনি কোনো পর্নো সাইটে গেলেন তখন আপনাকে ভিডিও দেখার থেকে বাধা দেওয়ার জন্য অনেক ধরনের পারমিশন চাইবে আর আপনিও ভিডিও দেখার জন্য প্রত্যেকটাতেই পারমিশন দিয়ে যান। কিন্তু আপনি কখনো কি চিন্তা করেছেন একটা পর্নো সাইটে এত পারমিশন কেন চায় সেই হিসেবে তো অন্যান্য সাইটগুলোতে এর অর্ধেক পারমিশনও চায় না। এর কারণ হলো যেই পারমিশনগুলো চায় প্রায় প্রত্যেকটিতেই ফিশিং লিংক থাকে। হ্যা আপনারা চিন্তাও করতে পারবেন না। আর এই পারমিশনগুলোই হ্যাকারদের আপনার মোবাইলে প্রবেশ করার মত একটা রাস্তা তৈরি করে দেয়। যেখানে এইসব পারমিশন Allow করে না এরকম মানুষের মোবাইলে ঢুকতে যেই পরিমাণ কষ্ট হয় একজন হ্যাকারের সে হিসেবে পারমিশন Allow করা মোবাইলে ঢুকতে একটুও কষ্ট করতে হয় না। কারণ তাদের জন্য আপনি রাস্তা খুলেই রেখেছেন।

এবার আলোচনা ফিশিং কিভাবে করে:-

তো ফিশিং করার অনেক পদ্ধতি আছে যেগুলো আমি সামনের পর্বে আলোচনা করবো ততক্ষণের জন্য ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমাদের সাথেই থাকুন।

 

Level 0

আমি ইবরাহীম হাসান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 3 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস