বন্ধুরা আশাকরি সকলেই ভালো আছেন। মোবাইল ব্যবহারের সময় সবথেকে বেশি যে প্রতিবন্ধকতাটি হয় সেটি হলো, মোবাইলের চার্জ বেশি খরচ হতে থাকা। আজকে আমি আপনাদেরকে পাঁচটি টিপস বলবো, যার মাধ্যমে আপনাদের মোবাইলের চার্জ কিছুটাও সাশ্রয় করতে পারবেন।
মোবাইলের চার্জ বেশি খরচ হয়ে থাকে মূলত আপনাদের কারনেই। আপনারা যদি মোবাইল ব্যবহারের সময় কিছু বিষয়ে আরও কৌশলী হতে পারেন, তাহলে মোবাইলের চার্জ আরও সাশ্রয় করতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে দেখে নেয়া যাক কেন বিষয়গুলোর জন্য মোবাইলের চার্জ অতিরিক্ত খরচ হয়।
ফোন ব্যবহার করা অবস্থায় সবচাইতে বেশি চার্জ খরচ করে থাকে মোবাইলের অতিরিক্ত ব্রাইটনেস এর কারণে। আপনার প্রয়োজন না হলে আপনি আপনার মোবাইলের ব্রাইটনেস সবসময় কমিয়ে রাখুন। এতে করে আপনার চার্জের খরচ অনেকাংশই কমে যাবে। আপনি সব সময় চেষ্টা করবেন ঘরের ভেতরে থাকা অবস্থায় আপনার মোবাইলের ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখার। এতে করে আপনার মোবাইলের চার্জ অনেকাংশই সাশ্রয় হবে। এছাড়া এতে করে আপনার চোখেরও সমস্যা হবে না।
আপনার মোবাইলের স্লিপ টাইম বেশি দেওয়া থাকলে মোবাইল ব্যবহারের পরেও আপনার মোবাইলের চার্জ খরচ হতে থাকে। কেননা স্লিপ টাইম বেশি দেওয়া থাকলে, মোবাইল ব্যবহার করে রেখে দিলেও অতিরিক্ত সময় ডিসপ্লে চালু থাকে। যার ফলে চার্জ বেশি খরচ হয়। তাই ব্যাটারি বাঁচাতে অবশ্যই sleep time কমিয়ে রাখুন।
অতিরিক্ত ব্রাইটনেস এর পরে যে বিষয়টি সবচাইতে বেশি চার্জ খরচ করে থাকে সেটি হলো, মোবাইলের লাইভ ওয়েলপেপার। অনেকেই মোবাইলের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য লাইভ ওয়ালপেপার সেট করে থাকে। এতে করে আপনার মোবাইলে সবচাইতে বেশি চার্জ খরচ হয়। তাই আপনি আপনার মোবাইলে কখনোই লাইভ ওয়ালপেপার সেট করবেন না। এতে করে আপনার মোবাইলের চার্জ খরচ কমে যাবে এবং আপনার ব্যাটারি দীর্ঘক্ষন চলবে।
আপনি যদি আপনার মোবাইলে অতিরিক্ত অ্যাপ ইন্সটল করে রাখেন, সে ক্ষেত্রে সেসব অ্যাপ থেকে কিছুক্ষণ পরপরই নোটিফিকেশন আসতে শুরু করে। অনেকেই flashlight নোটিফিকেশন এবং ভাইব্রেশন চালু করে রাখে। এক্ষেত্রে সেসব অ্যাপ থেকে কিছুক্ষণ পরপর নোটিফিকেশন আসলে আপনার মোবাইলে flashlight নোটিফিকেশন এবং ভাইব্রেট হয়। যার ফলে আপনার মোবাইলে অতিরিক্ত চার্জ খরচ হয়। আপনি চেষ্টা করবেন আপনার মোবাইলে ফ্ল্যাশ লাইট নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখার। এতে করে আপনার মোবাইলের অনেক চার্জ বেঁচে যাবে।
আপনার মোবাইলে সবচাইতে বেশি চার্জ খরচ করে থাকে যতক্ষণ আপনার মোবাইলে জিপিএস চালু থাকে। আপনি যখন কোন জায়গায় যাওয়ার জন্য বের হবেন তখন অবশ্যই আপনার মোবাইলের জিপিএস চালু রাখবেন, যাতে করে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে আপনার সর্বশেষ লোকেশন বের করা যায়। এক্ষেত্রে আমি আপনার মোবাইলের চার্জ বাঁচানোর জন্য আপনাকে আপনার মোবাইলে জিপিএস বন্ধ করে রাখতে বলছি না। তবে আপনি গন্তব্যে পৌঁছালে অবশ্যই আপনার মোবাইলের জিপিএস বন্ধ করে রাখবেন।
আপনি যখন জিপিএস চালু করেন তখন আপনার লোকেশন কয়েক সেকেন্ড পরপর রিফ্রেশ হতে থাকে। এর ফলে কিন্তু মোবাইলের অতিরিক্ত চার্জ খরচ হয়। আপনি যদি এটি বিশ্বাস না করেন, তাহলে আপনি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন আপনার মোবাইলের জিপিএস চালু করে কোন জায়গায় ভ্রমণ করে। তাই আপনার মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যাটারি খরচ বাঁচাতে অপ্রয়োজনে অবশ্যই আপনার মোবাইলের জিপিএস বন্ধ করে রাখবেন।
অপ্রয়োজনে আপনার মোবাইলের ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ বন্ধ করে রাখবেন। কেননা ওয়াইফাই রাউটার থেকে যদি আপনার ডিভাইসটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে আপনার ডিভাইসটি নিকটবর্তী কোন রাউটার স্ক্যান করতে থাকে। আর এই স্ক্যান করতে কিন্তু আপনার মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যাটারি খরচ হয়।
ওয়াইফাইয়ের মত ব্লুটুথ ও কিন্তু নিকটবর্তী কোন ডিভাইসকে স্ক্যান করতে থাকে। যতক্ষণ না সেটি অন্য কোন ডিভাইসের সাথে কানেক্ট হতে পারছে ততক্ষণ স্ক্যান করেই যেতে থাকে। এজন্য অপ্রয়োজনে অবশ্যই আপনার মোবাইলের ব্লুটুথ বন্ধ করে রাখবেন।
বন্ধুরা এই ছিল মোবাইলের ব্যাটারি খরচ কমানোর পাঁচটি টিপস। সম্পূর্ণ টিউনটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আজ এ পর্যন্তই, দেখা হবে পরবর্তী টিউনে ইনশাআল্লাহ।
আমি মো আতিকুর ইসলাম। কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 421 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 62 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
“আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।” —হযরত মোহাম্মদ (সঃ)