সবাইকে স্বাগতম আইফোন এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সিরিজের প্রথম পর্বে. মূলত যারা আইফোন ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে আগ্রহী কিন্তু কিভাবে এবং কোথায় শুরু করতে হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই, তাদের জন্যই এই সিরিজ. আমাদের দেশে ইদানিং অনেকেই Outsourcing কাজে সফল হয়েছেন এবং অনেকে শুরু করেছেন, তাদের জন্য আইফোন ডেভেলপমেন্ট একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র. আশা করি এই সিরিজ থেকে আপনারা আইফোন এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট এর প্রাথমিক ধারণা পাবেন. পরবর্তী পর্বগুলোতে ধারাবাহিকভাবে থাকবে কিভাবে আপনি আপনার প্রথম আইফোন application লিখবেন তার উপর বিস্তারিত.
বর্তমান সময়কে বলা হয় "Mobile Computing Revolution " এর সময়. গত কয়েক বছরে স্মার্টফোনের জগতে যে অভাবনীয় উন্নয়ন ও পরিবর্তন হয়েছে, তাতে ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ কম্পিউটার-এর অন্তিম সময় যে আসন্ন তা পরিস্কার. এই ক্ষেত্রে অগ্রবর্তী ভুমিকা APPLE এর, তারাই প্রথম কমপ্লিট টাচ মোবাইল ফোন "iPhone" নিয়ে আসে ২০০৭ সালে, এবং সেই সাথে "মোবাইল " এর ধারণা আমূল পরিবর্তন হয়ে যায়. আগে মোবাইল ব্যবহৃত হত শুধু কল করা এবং টুকটাক হিসাব করা ও ছোট ছোট গেম খেলার জন্য, কিন্তু আইফোন এসে বুঝিয়ে দেয় মোবাইল ডিভাইস দিয়ে প্রায় সব কিছুই করা যায় যা ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ এ করা যায়.
এখন পর্যন্ত আইফোন স্মার্টফোনের জগতে তার আধিপত্য ধরে রেখেছে, এরপরেই আছে এনড্রয়েড ফোনগুলি, এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন আগামী ৫-৮ বছর এই অবস্থা বজায় থাকবে. আইফোন এর জন্য অনলাইন app -store এ এখন পর্যন্ত আছে ২ লাখ এর মত এপ্লিকেশন, যা একটি রেকর্ড. দিনে দিনে এই এপ্লিকেশন এর সংখা বাড়ছে এবং সাথে পাল্লা দিয়া বাড়ছে কাজের সংখাও. সুতরাং একটি সম্ভাবনাময় কাজের ক্ষেত্র হিসাবে বাংলাদেশ এর প্রোগ্রামাররা আইফোন এর কাজ শুরু করতে পারেন, এখনি.
আইফোন এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট করতে প্রথম ও প্রধান যে বিষয়গুলো জানা দরকার সেগুলো হচ্ছে
এর বাইরেও কিছু বিষয় জানা দরকার যা আপনারা এই সিরিজ এর বিভিন্ন পর্বে জানতে পারবেন.
(১) Operating System : MACINTOSH (or Hackintose!! )
অনেকে প্রশ্ন করেন iOS ডেভেলপমেন্ট (আইফোনের OS এর নাম iOS দেওয়া হয়েছে) কেন শুধু MAC এ করা লাগে? WINDOWS এ কেন নয়? এর উত্তর হলো, APPLE কিছু বিষয় সব্সময়্ নিজের কাছে রাখে, এটিও তেমন. তারা windows এর জন্য কোনো SDK কখনো ছাড়েনি, অদূর ভবিষ্যতেও ছাড়ার সম্ভাবনা নেই. সুতরাং একমাত্র ভরসা হচ্ছে MAC .
এখন কথা হচ্ছে কোথায় পাব MAC OS ? আপনার যদি যথেষ্ঠ টাকাপয়সা থাকে তাহলে কিনতে পারেন APPLE MAC মিনি (MAC এর সি.পি.উ, ৫৮০০০-৬৩০০০ টাকা) অথবা APPLE MACBOOK (৮৫০০০ - ৯০০০০) / APPLE MACBOOK Pro (১০৫০০০ - ১৬৫০০০) ল্যাপটপ অথবা APPLE iMAC (MAC এর ডেস্কটপ ১০০০০০+) যা Computer Source , Executive Machines , AlohaiShoppe থেকে কিনতে পারেন. সবগুলিতেই genuine MAC OSX দেওয়া থাকে. আর জেনুইন MAC OX শুধুমাত্র APPLE এর অরিজিনাল computer এর জন্য, অন্যগুলোতে setup নেয়না.
যদি আপনি এগুলো কিনতে না চান তাহলে একটু কষ্ট করতে হবে, MAC OSX এর Hacked version (যা Hackintose নামে পরিচিত) SetUp দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন আপনার ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপ এ, যদিও এক্ষেত্রে setup নেওয়ার সম্ভাবনা ৫০/৫০. বিভিন্ন গ্রুপ তাদের মত করে অরিজিনাল MAC কে রূপান্তর করে সাধারণ কম্পিউটার এর উপযোগী করে Hackintose তৈরী করেছে. তবে তাদের মধ্যে থেকে আমার মতে সবচেযে ভালো Hackintose হলো iAtkos এর বিভিন্ন রিলিজ. সবচেয়ে latest রিলিজ হলো iAtkos S3 V2 যা আসলে MAC OSX ১০.৬.৩ এর modified version, এটি খুব এ ভালো, আপনার কম্পিউটার/ল্যাপটপ যদি ইন্টেল এর মাদারবোর্ড+ইন্টেলএর প্রসেসর থাকে তাহলে আপনি setup দেওয়ার try করতে পারবেন, যদিও অন্যান্য (sound , network , graphics ) ঝামেলা করতে পারে. আপনি গুগলে "iAtkos S3 V2" সার্চ করে বিভিন্ন ডাওনলোড লিঙ্ক পাবেন ( এখানে একটি লিঙ্ক দেয়া হলো ), যার সাইজ প্রায় ৪ গিগাবাইটের মত, ডাওনলোড করে এই DVD Image টি Write / Burn করে নিন.
তারপর XP / WIN 7 যেভাবে SetUp দেয় সেইভাবে দেওয়া শুরু করুন, মানে DVD Rom কে First Boot Device দিয়ে iAtkos এর dvd থেকে boot করুন. প্রথমে পর্দায় APPLE এর একটা sign এসে নিচে একটা
SPINNER ঘুরতে থাকবে অনেক সময় ধরে. একটা পর্যায়ে এসে আপনার কাছে language select করে কোন drive এ setup দিবেন option চাইবে( এই মুহুর্তে কোনো drive select করতে পারবেন না ). আপনার কোনো খালি drive (অন্তত ৩০ গিবি) কে format করতে হবে, এজন্য Menu থেকে TOOLS > Disk Utility খুলুন, এবং সেখান থেকে আপনার খালি Drive টি Select করে "Mac OSX Journaled " option দিয়ে format করুন. তারপর Disk Utility বন্ধ করে দিন ,সাথে সাথে আবার drive select করার option চাইবে. এবারে আপনার format করা drive টি select করে continue দিন. এই পর্যায় পার হয়ে গেলে আপনার কাজ ৫০% শেষ. এবার বাকিটা নিজে নিজে setup হউয়ার কথা, যদি মাঝে কোনো
জায়গায় আটকে যায় বা হ্যাং হয়ে যায় তাহলে আপনার কপাল খারাপ, আরো এক দুইবার try করুন. আর যদি সব ঠিকঠাক মত হয় তাহলে তো খুব ভালো. আপনি নেট-এ কিভাবে iAtkos S3 V2 টি setUp দিতে হয় তার manual পাবেন, সেগুলো অনুসরণ করে setup দেওয়ার try করুন. একবার Setup হয়ে গেলে Network / AGP setup দেওয়ার try করুন. http://www.insanelymac.com/ এ এই সংক্রান্ত অনেক post আছে, আপনার motherboard এর মডেল দিয়ে search দিলেই পাবেন. এছাড়াও আছে http://wiki.osx86project.org/ যেখান থেকে hackintose supported ল্যাপটপ / ডেস্কটপ এ লিস্ট পাবেন.
প্রথম পর্ব এই পর্যন্তই. খুব শীঘ্রই সামনের পর্ব প্রকাশিত হবে. ভালো থাকবেন, ধন্যবাদ. আমাকে e-mail করতে পারেন: [email protected] এই ঠিকানায়.
আমি শিমুল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 12 টি টিউন ও 153 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Working on iPhone development...and i just wanna be myself....
দারুন শীমুল ভাই , অসাধারন 🙂