গুগল, অ্যাপল, আসুসের মত বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সাম্প্রতিক সময়ে তাদের স্মার্টফোনে অগমেন্টেড রিয়েলিটি চালু করেছে।
এটা নিশ্চিত ভাবে নির্দেশ করছে আগামী দিনগুলোতে অগমেন্টেড রিয়েলিটি আরো সুদূর প্রশারি ও ব্যাপক ভাবে ব্যাবহৃত হবে। কারণ বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুলোকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গুলো ফলো করবে।
অগমেন্টেড রিয়েলিটি হল এমন একটি অবস্থা যেখানে আপনার চারপাশের জগতেই ভার্চুয়ালি কোন বস্তু যোগ করা হবে। ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে বর্তমানে অগমেন্টেড রিয়েলিটি অনেক বাস্তব সম্মত হয়েছে। এখন ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তির অগমেন্টেড এলিমেন্ট গুলো চারপাশের পরিবেশের সাথে বেশ মিলিয়ে নিতে পারে।
অগমেন্টেড রিয়েলিটি কিভাবে কাজ করে?
অগমেন্টেড রিয়েলিটি কাজ করে মূলত ক্যামেরার মাধ্যমে। বিশেষধরনের ক্যামেরার সেন্সরের মাধ্যমে চারপাশের বস্তুগুলোর দূরত্ব ত্রিমাত্রিক ভাবে নির্ণয় করা হয়। তারপর সে দূরত্ব প্রসেস করে সেখানে ত্রিমাত্রিক অগমেন্টেড এলিমেন্ট যুক্ত হয়।
ধরুন আপনি বিদেশের কোন নতুন শহরে গেলেন, কিন্তু সে শহরের কোন কিছুই আপনি ভাষার কারণে পড়তে পারছেন না। আপনি তখন আপনার অগমেন্টেড রিয়েলিটির স্মার্টফোনটি ওপেন করলেই সে আপনাকে ত্রিমাত্রিক ভাবে জানিয়ে দিবে কোন দোকান কিসের এবং রাস্তাটি কোনদিকে গেছে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি আর অগমেন্টেড রিয়েলিটিকে এক ভাববেন না। দুটো সম্পূর্ন আলাদা জিনিস।
অগমেন্টেড রিয়েলিটি কি? এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পার্থক্য জানিয়েছি মাত্র ২ মিনিটের এই ভিডিওতে!
সবাইকে ধন্যবাদ 🙂
আমি ফাহিম আলম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে ও লিখতে পছন্দ করি।