অনেক দিন পর আবার আমার ”SEO টিউটোরিয়াল” পর্ব শুরু করলাম।বড্ড দেরী হয়ে গেল তাই না!তাই আপনাদের সবার কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।আশা রাখি এর পরের পর্ব গুলো নিয়মিত প্রকাশ করতে পারবো।আজ আমি আমার ধারাবাহিক টিউন পর্বে আলোচনা করবো অন-পেজ অপটিমাইজেশন নিয়ে ।যেখানে থাকবে কিভাবেঅন-পেজ অপটিমাইজেশন করা হয়।অন-পেজ অপটিমাইজেশন কি এর প্রয়োজীয়তা,বিভিন্ন টিপস ইত্যাদি।তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করি আজকের টিউন।
সাধারন ভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কে আমরা ২ ভাগে ভাগ করতে পারি।
১।অন পেজ অপটিমাইজেশন (On-Page Optimization)
২।অফ পেজ আপটইমাইজেশন (Off-Page Optimization)
অন-পেজ অপটিমাইজেশন কথাটি দেখলেই বোঝা যায় যে ওয়েব পেজের মধ্যে যে সকল অপটিমাইজেশন করা হয় তাকেই অন-পেজ অপটিমাইজেশন বলা হয়।
আমরা একটু গভীর ভাবে বিষয়টিকে চিন্তা করার চেষ্টা করি।
প্রথমে অমাদের ভাবতে হবে আমরা ওয়েব পেজে কি কি কাজ করে থাকি। সাধারন ভাবে আপনার উত্তর হতে পারে লেখা লেখি করি, ছবি বসাই, গান আপলোড করি ফ্লাশ মিডিয়া বসাই ইত্যাদি। প্রায় ৭০% নতুন ওয়েব ডিজাইনাররা এসব নিয়েই ব্যস্ত থাকে।কিন্তু সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে এসব বিষয় গুলো প্রধানত প্রধান্য পায় না।এসকল বিষয়কে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য উপযোগী করাই হল অন-পেজ অপটিমাইজেশন।ওয়েব পেজে বিভিন্ন ধরনের ট্যাগ ব্যবহার করা,কনটেন্ট লেখায় কলাকৌশল,লিংকের ব্যবহার,ইত্যাদি করে অন-পেজ অপটিমাইজেশন করা হয়।
বেশ কিছু মৌলিক বিষয় নিয়ে অন পেজ অপটিমাইজেশন করা হয়।যেসব বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনার জানা থাকলে আপনার অন-পেজ অপটিমাইজেশন করতে সুবিধা হয়।আসুন দেখে নিই অন-পেজ অপটিমাইজেশনে কি বিষয় অন্তভুক্ত থাকে
১।মেটা ট্যাগের ব্যবহার
২।টাইটেলে ট্যাগের ব্যবহার
৩।কী-ওয়ার্ড ট্যাগের ব্যবহার
৪।Description ট্যাগের ব্যবহার
৫।ALT ট্যাগের ব্যবহার
৬।h1-h6 ট্যাগের ব্যবহার
৭।পেজ - ফাইলের নামকরন
৮।কী ওয়ার্ড সমৃদ্ধ কনটেন্ট বনানো
৯।XML Sitemaps তৈরী করণ ইত্যাদি।
এসকল বিষয় গুলোকে যদি আপনি আয়ত্তে আনতে পারেন তাহলে ফলাফল আপনার হাতের মুঠোয়।আসুন এবার এসব বিষয় নিয়ে একটু ফুটবল খেলি।
মেটা ট্যাগ হল HTML এর এমন কিছু ট্যাগ যে গুলো আপনার ওয়েব সাইটের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলোকে সার্চ ইন্জিনের কাছে প্রকাশ করে থাকে।এসকল ট্যাগের মধ্যকার লেখা গুলো ব্রাউজারে প্রকাশ পায় না (টাইটেল ট্যাগ বাদে)।কিন্তু এই ট্যাগ ব্যবহারের ফলে সার্চ ইন্জিন বা অন্য ওয়েব ডেভলপাররা জানতে পারে ওয়েব সাইটের লেখক ,ওয়েব সাইট তৈরীর তারিখ, শেষ আপডেট করার সময় ইত্যাদি। তবে সকল ট্যাগ গুলো SEO তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় যতটা টাইটেলে,কী ওয়ার্ড,Description ট্যাগ গুলো। এই ৩টি ট্যাগ SEO জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ মূলত আমরা এই তিনটি বিষয় নিয়েই আলোচনা করব।
এতোক্ষণ ধরে মেটাট্যাগ নিয়ে আমি যে বকবকানি করলাম হয়তো মনে আসতে পারে মেটা ট্যাগের প্রয়োজনীয়তা সমন্ধে।আসুন জেনে নিই কি জন্য মেটা ট্যাগের গুলো এতটা গুরুত্বপূর্ণ SEO এর জন্য।
মেটা ট্যাগ ২টি কারণের জন্য SEO তে গুরুত্বর্পর্ণ বিষয় হয়।
১। মেটা ট্যাগ SERPs (Search Engine Result Page) সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্টের পেজে সাইটের তথ্য সরবারাহ করতে সাহায্যে করে।
২। মেটা ট্যাগের মাধ্যমে আপনার ওয়েব সাইটকে SEO তে ভাল স্থানে রাখার পাশাপাশি সাইটের অন্যান্য অংশ বিভিন্ন ভিজিটরদের কাছে প্রকাশ পায়।
এবার আসি মেটা ট্যাগের বর্ণনায়।
টাইটেল মেটা ট্যাগ মানে বোঝাই যাচ্ছে এটা ব্যবহারিত হয় আপনার ওয়েব সাইটের শিরোনাম বা টাইটেল দেবার জন্য। এসইও তে টাইটেল মেটা ট্যাগ বিশেষ কোন কাজে আসে না। তবে একটি সুন্দর টাইটেল আপনার সাইটে অধিক ভিজিট (CRT) বাড়তে পারে।
আপনার পছন্দের কী- ওয়ার্ডের দ্বারা টাইটেল ট্যাগ লেখার সময় কিছু কিছু বিষয় মাথায় রেখে কাজ করলে এইসও তে সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি হবে। যেমনঃ-
১। টাইটেলকে ৬৫ অক্ষরের মধ্যে রাখুন।
২। যথাসম্ভব ছোট করে টাইটেল দিন, আবার বেশি ছোট করতে গিয়ে অদ্ভুত করে ফেলার দরকার নেই।টাইটেল আপনার দেয়া টার্গেটকৃত কীওয়ার্ডটি ব্যবহার করুন।
৩। এ ধরণের চিহ্ন যেমন- ( @, #,!,%,^,() ....) ইত্যাদি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
৪।টাইটেল ট্যাগটিকে এমন ভাবে লিখবেন যাতে করে যে কেউ আপনার টাইটেল পড়ে সাইটে প্রবেশ করতে আগ্রহী হয়।
যেমন :আপনার সাইটি যদি Hinid Movie কী- ওয়ার্ড দিয়ে বানানো হয় তাহলে ভিজিটররা হিন্দি মুভি সম্পর্কে জানার জন্য ভিজিট করবে।সেখানে যদি আপনি টাইটেলর সাথে কেবল মাত্র Download কথাটি মিলিয়ে Download Hindi Movie করে দেন তাহলে আপনার সাইট যদি ২-৫ নম্বরের মধ্যেও থাকে তবে আপনি অন্যদের তুলনায় বেশি ভিজিটর পেতে পারেন।
কী-ওয়ার্ড ট্যাগ হল আপনার সাইটে যেসকল কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করেন তার একটা সূচিপত্র হিসাবে কাজ করে থাকে।আমি এর আসে কী-ওয়ার্ড ট্যাগ নিয়ে একটি পর্ব করেছি।তাই রসম্পর্কে আমি বিস্তারিত বলছিনা।এর জন্য আপনারা আমার এই টিউন ও এই টিউনটি দেখতে পারেন।তাহলেই আপনারা কী-ওয়ার্ড নিয়ে সকল কিছু বুঝতে পারবেন।
Description ট্যাগটি ব্যবহার করা হয় আপনার সাইটের বা ওয়েব পেজের একটা ছোট Description বা বর্ণনা দেবার জন্য।আমরা যেমন একটা বিশদ বিষয়ের অনেক সময় সংক্ষেপে প্রকাশ করি তেমনি Description ট্যাগের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনকে আমরা আমাদের ওয়েব পেজের একটা সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেয়া হয়।এটি SERPs পেজে সার্চ ইঞ্জিন গুলো প্রকাশ করে।
কিছু টিপস এর মাধ্যমে আপনি সুন্দর একটা Description আপনার সাইটের জন্য লিখতে পারবেন যেমন
১। আপনার Description টি ২৫০ অক্ষরের মধ্যে রাখুন।কেননা প্রায় সকল সার্চ ইঞ্জিন ২৫০ অক্ষরের বেশী তাদের SERPs পেজে প্রকাশ করে না।
২।এই ট্যাগে বানান যেন ভুল যায় না সেদিকে খেয়াল রাখুন।
৩।ট্যাগটিতে আপনার পছন্দের কী-ওয়ার্ড লিখুন।তবে খেয়াল রাখবেন কোন কী-ওয়ার্ড বা বিষয় যেমন ৩ বারের বেশি ব্যবহার না করা হয়।
তাছাড়া টাইটেলে যেসকল টিপস দেয়া আছে তা আপনি Description ট্যাগে ব্যবহার করতে পারেন।আসলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সকল কথাই এক।
আগামী অংশে আমি অন পেজ অপটিমাইজেশনের যে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো তা হল ৫।ALT ট্যাগের ব্যবহার
৬।h1-h6 ট্যাগের ব্যবহার
৭।পেজ - ফাইলের নামকরন
৮।কী ওয়ার্ড সমৃদ্ধ কনটেন্ট বনানো
৯।XML Sitemaps তৈরী করণ ইত্যাদি।
তো আজ এই পর্যন্তই আগামী অংশ দেখার জন্য সকলকে আমন্ত্রন জানাচ্ছি।সবাই ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।
আমি সজীব রহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 69 টি টিউন ও 819 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
চালিয়ে যান সজীব ভাই,
অনেক ভাল হইতেছে টিউটোরিয়ালটা।
শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।