বৈদ্যুতিক সংযোগ হলো যে কোন যন্ত্রকে সচল করার মুল শক্তি। সঠিক ভাবে বৈদ্যুতিক সংযোগ না করতে পারলে যেমন শক খাওয়ার সম্ভাবনা আছে, তেমনি ভাবে ডিভাইস জ্বলে যাবার সম্ভাবনাও আছে। টেলিকমের সকল ডিভাইস ডিসি বিদ্যুতে চলে, এর জন্য প্রয়োজন রেকটিফায়ার। ৩ ফেজের ৪৪০ভোল্ট কে রেক্টিফিকেশন করে বিভিন্ন ডিভাইসের জন্য একাধিক আউটপুট নেয়া হয়। প্রতিটি ডিভাইসে সংযোগ দেয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে, কতটুকু পাওয়ার কঞ্জাপশন করে ডিভাইসটি, ঠিক ততমানের সার্কিট ব্রেকার লাগাতে হবে। রেক্টিফায়ার দিয়ে দুইরকমের ডিসি সাপ্লাই পাওয়া যায়, ১.প্রায়োরিটি ডিসি ২. নন প্রায়োরিটি ডিসি।
AC DB (Distribution Board) হলো মেইন পাওয়ার বোর্ড। যেখানে বিদ্যুতের লাইন মিটার থেকে এসে ডিষ্টিবিউট হয়। যেমন রেক্টিফায়ার পাওয়ার। মেইন ব্রেকার, এয়ার কন্ডিশনার, রুমের লাইট, বাইরের লাইট, জেনারেটর রুমের লাইট, সিকিউরিটি রুমের লাইট, ইন্ডীকেটর লাইট (যে লাল লাইট টা রাত হলে টাওয়ারের মাথায় জ্বলে) এগুলো। নিচে DB এর একটি চিত্র দিলাম দেখে নিন। এরপরের চিত্রটা রেক্টিফায়ার মডিউল, এরপরের চিত্রটা রেক্টিফায়ারের।
দেশের বিদ্যুতের যে অবস্থার (!) কন্ডিশন তাতে এতো বড় নেটওয়ার্ক চালাতে অবশ্যই হাই এনার্জির ব্যাটারী ও জেনারেটর লাগবে। কারন একটি একটি টাওয়ার অনেক বেশি ট্রাফিক পায়, একারনে পাওয়ার কঞ্জাম্পশন বেশি করে থাকে। চায়না, জার্মানির, ইন্ডিয়ান অনেক ভালো হাই এনার্জির রিচার্জেবল ব্যাটারী ইউজ করা হয়। ব্যাটারি আলাদা আলাদা থাকে এগুলো র্যাকের মাঝে সাজিয়ে কানেকশন করতে হয়। ব্যাটারী সেটিঙ এর ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন কখনো যেন নেগেটিভ পজিটিভ এক হয়ে না যায়। বিশেষ করে বোল্ট এক পোর্টে টাইট দেয়ার সময় অন্য পোর্ট Dali যেন স্পর্শ না করে। ব্যাটারির সাথে গ্রীজ দেয়া থাকে, অবশ্যই গ্রীজ ইউজ করবেন। নিচে টেলিকমে ব্যবহৃত ব্যাটারির চিত্র দিলাম।
বিভিন্ন রেক্টিফায়ার প্রোভাইডার আছে যেমন, Delta/Eltek/Altergy/OEM/AEG। এখানে চায়না ESTEL রেকটিফায়ার সংযোগ গুলো দেখাবো। এসি সংযোগ বা জেনারেটর সংযোগ, ব্যাটারি সংযোগ, ব্রেকার সংযোগ। সব রেক্টিফায়ারের ভিতরের সংযোগ একই হয়ে থাকে, কোনটার মডিউল উপরে, কোনটা নিচে থাকে, আবার কোন রেক্টিফায়ার ওয়াল মাউন্টেড হয়। ভিতরে ক্যাবল কানেকশনে যথেষ্ট সাবধানতা অবল্মবন করবেন, বিশেষ করে লাইভ সাইটের কাজের সময়, শর্ট হলে সাইট ডাউন হয়ে পুরো এলাকার নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। সাথে পানিশমেন্ট তো ফ্রী খাবেনই।
প্রায়োরিটি ডিভাইসের পাওয়ার কানেকশন দেবার সার্কিট ব্রেকার।
নন-প্রায়োরিটি ইকুইপমেন্টের পাওয়ার কানেকশন দেবার সার্কিট ব্রেকার।
মডিউল গুলো ফ্রেমে ঢুকিয়ে চাপ দিন, যতক্ষন না শেষ পর্যন্ত ঢুকে যায়, পিছনের পোর্টে কানেকশন পেলে মডিউলের ফ্যান ঘুরতে শুরু করবে। মডিউলের সংখ্যা ইকুপমেন্টের পাওয়ার কঞ্জাম্পশনের উপরে নির্ভর করে। কোন কোন BTSএ একাধিক রেকটিফায়ারও থাকতে পারে।
DB Board সেটিং করার প্রক্রিয়া। AC সংযোগ সাবধানে দেবেন, নয়ত ৪৪০ ভোল্ট এর শক খাবেন। আর অবশ্যই ডিবি বোর্ডকে গ্রাউন্ডিং করে দেবেন, যাতে লিকেজ কারেন্ট টুকু মাটিতে চলে যায়। *(প্রতিটি ডিভাইস কেই গ্রাউন্ডিং সংযোগ করে দেবেন, আপনিও নিরাপদ থাকবেন, ডিভাইস ও নিরাপদ থাকবে। আগের টিউনেও বলেছি গ্রাউন্ডিং এর কথা। আর হ্যা আমার প্রথম টিউনটিই কিন্তু ছিলো গ্রাউন্ডিং নিয়ে। :))
সকল রেকটিফায়ার প্রায় একই রকমের হয়ে থাকে। সুতরাং পাওয়ার কানেকশন নিয়ে এতটুকুই জানলে চলবে, বাকীটা কাজে গেলে বুঝতে পারবেন।
টিউনমেন্টে যে কোন প্রশ্ন বা মতামত জানাতে পারেন। আমাদের অনেকের বাসায় ভালোভাবে নেটওয়ার্ক পায় না, তাই ৩জি ইন্টারনেট ইউজ বা ভালোভাবে কথা বলতে করতে পারি না। কিছু টাকা খরচ করে এর সমাধান আমরাই করতে পারবো। এই সমস্যার সমাধানের জন্য, সামনের টিউনে GSM/UMTS রিপিটার নিয়ে কিছু কথা বলবো। আজ এ পর্যন্তই, ভালো থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি জনি আহমেদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 25 টি টিউন ও 301 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি ২জি নেটে থাকি ভালভাবে পিসি তে নেট চালাতে পারি না, নেটের স্পীড নাই ট্রাফিক বেশি। কিভাবে নেটের স্পীড পেতে পারি বললে উপকৃত হতাম। আপনার ফেসবুক অর ইমেইল টা যদি দিতেন। facebook.com/rajibulislam.monir