বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। আসসালামুআলাইকুম । সবাইকে আমার আন্তরিক প্রীতি, সম্মান, শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জ্ঞাপন করছি। আশাকরি আল্লাহ্র অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন।
সাফল্য একটি বক্সের মধ্যে থাকে। বক্সের চারদিকের আবরণ ভাঙ্গা যায় শুধুমাত্র পরিশ্রম দিয়ে। বেশীরভাগ মানুষই ঐ পরিশ্রমটুকু করতে পারে না বলে সহজ সাফল্যকে হারিয়ে ফেলে। আমার মাথায় অনেকগুলো টিউন ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু সব বিষয় ছাপিয়ে এই টিউনটি লেখার অনেক বেশী প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।
______________________________________________________________
টেকটিউনস কমিউনিটিন অনেক সম্মানিত মহোদয়গণ আমার টিউন দেখেন। অনেকে দেখে হয়তো ভাবেন আমার টিউন থেকে হাজারগুন ভাল টিউন দেয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব। অবশ্যই সম্ভব।
তার চেয়েও বড় কথা অনেকের ভালোবাসায় আমি সিক্ত হয়েছি। ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংলিশ কিংবা বাংলিশে আমার টিউনে টিউমেন্ট করেছেন।
নেতাজী শুভাস চন্দ্র বসু বলেছিলেন- “আমাকে তোমরা রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো”
নেপালিয়ন বলেছিলেন- “আমাকে একটা শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের শিক্ষিত জাতি দেবো।”
আমি আপনাদের কাছে রক্ত কিংবা শিক্ষিত মা কোনোটাই চইবো না। শুধুমাত্র প্রতিদিন দুই ঘন্টা আমার টিউনটির নির্দেশ মতো সময় দিন। যারা বাংলা লিখতে পারেন তাদের কাছে সময় চাচ্ছি না। যারা বাংলা লেখা আধো আধো জানেন কিংবা মোটেও জানেন না তাদের উদ্দ্যেশ্যে বলছি শুধু মাত্র দু’টি ঘন্টা প্রাকটিস করুন। ৫-৭ দিনের মধ্য আপনি হয়ে যাবেন বাংলা লেখায় এক্সপার্ট।
এই টিউনটি ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি পর্ব আকারে চলবে। দয়া করে পাশে থাকবেন।
__________________________________________
আমার এই টিউনটি আমি সহজাত যেভাবে লেখি তেমনই হবে। যদি কারও টিউনের সাথে মিলে যায় তা একান্তই কাকতালীয়। তবে সেক্ষেত্রে আমি কথা দিচ্ছি টিউনটি সরিয়ে নেবো। তবে আপনাদের কাছে আরও সহজ ও সুন্দর পলিসি থাকলে আমাকে জানাবেন।
যে ভাষায়ই টাইপ করুন না কেনো সবার আগে দরকার ফিংগারীং। কী-বোর্ড এ সব অক্ষর গুলো ধরারাহিক ভাবে নেই। A,B,C,D,E,F,G,H,I,J,K,L,M,N,O,P,Q,R,S,T,U,V,W,X,Y,Z এভাবে ধারাবাহিক না হয়ে A,S,D,F,G,H,J,K,L,Q,W,E,R,T,Y,U,I,O,P,Z,X,C,V,B,N,M, এমন এলোমেলো কেনো? পৃথিবীর যে কী-বোর্ডেই হাত দিন না কেনো লক্ষ্য করে দেখুন “F” এবং “J” এই দুটো কী এর উপর একটু খাজকাটা বা একটু স্পিড ব্রেকারের মত উঁচু করা আছে। এটি একটু চোখ বন্ধ করে কীবোর্ডের উপরে আঙ্গুল দিয়ে অনুভব করার চেষ্টা করুন। তাহলে “F” এবং “J” এর ব্যাপারটি স্পষ্ট হবে।
ফিংঙ্গারিংটি ইংরেজী দিয়ে শুরু করলে ভালো। আমি চাচ্ছি প্রতিদিন কমপক্ষে দুই ঘন্টা এটি নিয়ে থাকুন।
ডাউনলোড সেটআপ ক্লিক করুন।
নেক্সট ক্লিক করুন।
আই এগ্রি ক্লিক করুন।
নেক্সট ক্লিক করুন।
নেক্সট ক্লিক করুন।
ইন্সস্টল হচ্ছে।
ফিনিস ক্লিক করুন।
রেপিড টাইপিং ওপেন করুন।
এখান থেকে ইংলিশ সিলেক্ট করে নেক্সট ক্লিক করুন।
ফিনিস ক্লিক করুন।
রেপিড টাইপিং টিউটর থেকে টাইপিং প্রাকটিস করুন। খুব দ্রুত করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে ফিংঙ্গারীং টা আসল। রেপিড টাইপিং টিউটরই এখন আপনার শিক্ষক।
যথাশিঘ্র ২য় পর্ব নিয়ে হাজির হচ্ছি। সে পর্যন্ত রেপিড টাইপিং টিউটর মনপ্রাণ দিয়ে প্রাকটিস করুন।
কষ্ট করে আমার এই টিউনটি দেখার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি আপনাদের ভালবাসায় সিক্ত ও পরিতৃপ্ত। আপনাদের ব্যাপক সাড়া আমার নিত্যদিনের প্রেরণা।
আমি মোঃ আসিফ- উদ-দৌলাহ্। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 115 টি টিউন ও 1147 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
মা ও বাংলা ভাষার কাঙ্গাল
হাসান ভাইর লগে রেস করতে করতে কিবোর্ড লে আউট মুখস্থ হয়া গেছে। 😀 স্পিডও এখন ৪০-৪২ WPM। 😛
কাজের টিউন। 🙂