আমার সাথে টেকটিউনসের যারা ফেসবুকে কানেক্টেড তারা যানেন যে আমার কিঞ্চিত ফটোগ্রাফির বাতিক আছে। এর আগেও ডিজিটাল ক্যামেরা, ফেস ডিটেকশান টেকনোলজি, ফটো ইফেক্টস ও ফটোগ্রাফি সম্পর্কিত কয়েকটি টিউন আমি করেছি। আমি শখের ফটোগ্রাফার, তবে আমার তোলা ফটো এখনএ ফটোগ্রাফির কাতারে দাড়া করানো টা বোকামি হবো। তবে ফটোগ্রাফির সময়ে কিছু টিপস সবসমই ফলো করি। বরাবরই কালার ফটোগ্রাফি করে থাকি, তবে ইদানিং ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট ফটোগ্রাফি ও আমাকে কাছে টানে। আজ তাই কিছু ব্ল্যাক এ্যান্ড ফটোগ্রাফির টিপস তুলে ধরার চেষ্টা করব –
আপনার ক্যামে যদি এই মোড ব্যবহার করার অপশন থেকে থাকে তাহলে আপনি এই মোডটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনাকে আপনার তোলা ইমেজের উপর আরো কন্ট্রোল করতে সাহায্য করবে। তবে এর একটা নেগেটিভ ব্যাপার হচ্ছে একে পরে আবার ফটোশপে প্রসেসিং করতে হবে। তাই যারা ফটোশপে দক্ষ নয় তাদের সমস্যা হতেই পারে। তবে যারা মোটামুটি কাজ জানেন তাদের জন্যে বিপুল সম্ভবনা সৃষ্টি হবে। কারন সেখানে আপনি আপনার র ইমেজকে কোয়ালিটি তে টাইন করাতে পারবেন।
রিচ কোয়ালিটির এবং ডিটেইল সিনারির টেক্সচার আপনার ছবিকে অটোমেটিক্যালি আকর্ষনীয় করে তোলে। ব্ল্যাক এ্যান্ড হোয়াইট ছবিতে যেহেতু কালারের বাতিক নাই, তাই আপনি চাইলে আপনি চাইলে বেশির ভাগ সময়েই আপনার ব্ল্যাক এ্যান্ড হোয়াইট ফটোর টেক্সচার হিসেবে সাদা – কালো বেছে নেয়াটাই বুদ্ধিমত্তার হবে।
যেহেতু আপনি কালার ফটোগ্রাফি করছেন না, তাই আপনার ছবিকে এক্সট্রা লুক দিতে কনট্রাস্ট একটা ভাইটাল ইফেক্ট হতে পারে এবং আপনি লাইটের ব্যবহারকে কন্ট্রোল করে আপনার এই কন্ট্রাস্ট কন্ট্রোল করতে পারেন। দিতে পারেন ফটোগ্রাফিতে প্রানের ছোঁয়া। আলো ছায়া নিয়ে খেলা করার চেষ্টা করুন। যেমন – ছবিতে সাইড লাইটিং ব্যবহার করলে দীর্ঘ ছায়াময় অংশ পাবেন আপনার ফটোগ্রাফিতে। কন্ট্রাস্টের প্রতি যত্ন নিন। কারন কন্ট্রাস্ট ঠিক থাকলে আপনার ফটোগ্রাফিতে এমন সব জিনিস উঠে আসবে যা আপনি খালি চোখে কল্পনা করতে পারবেন না।
ফটোগ্রাফিতে ISO নম্বর আপনার তোলা ইমেজের সেনসিটিভিটি ইন্ডিকেট করে থাকে। নম্বর বেশি হলে সেনসিটিভিটি বেশি এবং কম হলে কম। আপনার ISO বাড়তে থাকলে অন্ধকারে আপনার ছবি তোলার সম্ভবনা তত বাড়ে (ফ্লাশের ব্যবহার)।
তাই সাদা – কালো ফটোগ্রাফির জন্যে ISO যতটা সম্ভব কমিয়ে আনুন। সাদা – কালো তো হাই ISO আপনার ইমেজে নয়েজের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। আপনার ISO বাড়ার সাথে সাথে আপনার ছবিতে অনাঙ্খিত ডটের আগমন ঘটতে থাকবে। আর এ কারনেই সাদা – কালো ফটোগ্রাফাররা ছায়াময় এবং ডিম দিনকেই বেশি পছন্দ করে থাকেন।
আজকাল অনেক অনুষ্ঠানেই সাদা – কালো ফটোগ্রাফি বেশ প্রসংশিত হচ্ছে। এই সমস্ত অনুষ্ঠানে যখন বড় স্পেসে পটোগ্রাফি করবেন তখন খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনার পর পর ছবিগুলোতে যেন একই টোন না চলে আসে। মানে, আপনার ছবির সিকোয়েন্সে ভ্যারিয়েশান আনার চেষ্টা করুন। বোরিং হলে আসলে ব্ল্যাক এ্যান্ড হোয়াইটের ইজ্জত যাবে। কারণ, সাদা – কালো মানেই ড্রামাটিক এবং ভিউয়ারের উপর স্ট্রাইকিং ইম্প্যাক্ট তাকবে।
আবার অনেকে সঙ্গেল সাবজেক্টেও ফটোগ্রাফি করে থাকেন এবং এটি সবচেয়ে পপুলার প্যাটার্ণ। সাধারণত পোট্রেইট ই হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে গ্রে স্কেলই আপনার সাবজেক্টকে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্যে করবে।
আমি দুঃসাহসী টিনটিন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 200 টি টিউন ও 1531 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 34 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
মানুষ হিসেবে তেমন আহামরি কেউ নই আমি। সাটামাটা জীবনটাই বেশী ভালো লাগে। আবার মাঝে মাঝে একটু আউলা হতে মন চায়। ভালো লাগে নিজেকে টিনটিন ভাবতে .... তার মত দুঃসাহসী হতে মন চায় ..... কিন্তু ব্যক্তি জীবনে অনেকটা ভীতুই বটে ..... অনেক কিছুই হাতছাড়া হয়ে গেছে জীবনে এই কারনে ..... আবার...
ধন্যবাদ (টিনটিন) ভাই