কীভাবে আপনার সন্তানকে অনলাইনে নিরাপদ রাখবেন?

Level 6
Sonic টিউনার, টেকটিউনস, গাইবান্ধা, রংপুর

আসসালামু আলাইকুম। টেকটিউনস ওয়েবসাইটের নতুন আরো একটি টিউনে আপনাকে স্বাগতম। আমি স্বপন আছি আপনাদের সাথে, আশাকরি সকলেই অনেক অনেক ভালো আছেন। স্বাগতম সবাইকে আপনার সন্তানকে অনলাইনে কীভাবে নিরাপদ রাখবেন নিয়ে নতুন আরো একটি টিউনে। আপনি কী আপনার সন্তানের অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত? আপনার সন্তানের হাতে সব সময় স্মার্টফোন এবং সে অনেক ছোট তাই জানে না অনলাইনে কী কী ঝুঁকি তার জন্য রয়েছে তবে আপনি জানেন তাই অভিভাবক হিসাবে আপনার আপনার সন্তানকে নিয়ে খুবই চিন্তা হয়? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাকে কয়েকটি টিপস দিব যেগুলো মেনে চললে আপনি অনলাইনে আপনার সন্তানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবেন। এবং এর পাশাপাশি আমি আপনার সন্তানের জন্যও কিছু টিপস দিবো যেগুলো আপনি আপনার সন্তানকে দায়িত্ব করে জানিয়ে দিবেন এতে করে সেও অনলাইনে নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারবে।

আজকের এই পুরো আর্টিকেলে আমি আপনার সাথে যেই টিপসগুলো শেয়ার করব সেগুলো আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে নিয়েছি। আমি নিজেও আমার সন্তানের অনলাইন নিরাপত্তার জন্য এই টিপসগুলো মেনে চলি এবং আল্লাহর রহমতে আমার সন্তান অনলাইনে এখন নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে। তাই এই টিপসগুলো আমি আপনার সাথে এই আর্টিকেলে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনার খুব কাজে দিবে। তো চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে এবার চলে যাওয়া যাক মূল আর্টিকেলে এবং জেনে নেওয়া যাক যে অনলাইনে আপনার সন্তানকে নিরাপদ রাখতে কোন কোন টিপস গুলো আপনার এবং আপনার সন্তানের মেনে চলতে হবে সেগুলো।

আজকের এই আর্টিকেলটি আমি দুই পার্টে ভাগ করেছি একটি পার্ট হল অভিভাবক হিসাবে আপনার জন্য দেওয়া টিপস এবং আরেকটি পার্ট হল অভিভাবক হিসেবে আপনার সন্তানকে যে টিপসগুলো আপনার নিজ দায়িত্বে বুঝাতে হবে সেই টিপসগুলো। তো চলুন এবার সেই টিপস গুলো দেখে নেওয়া যাক। সন্তানদের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভিভাবকের জন্য টিপস। নিচের কয়েকটি টিপসগুলো অভিভাবক হিসেবে আপনার জন্য। এই টিপসগুলো আপনি ভালোভাবে পড়বেন এবং আপনার বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করবেন। তো চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক আপনার সন্তানের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আপনার কী কী টিপস মেনে চলতে হবে সেগুলো।

১. বাচ্চাদের সাথে নিয়মিত আলোচনা করুন

আপনার সন্তানের সাথে বন্ধু-স্বরূপ আচরণ করে বর্তমানে অনলাইনে কোন কোন ঝুঁকি রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে তার সাথে খোলামেলা আলোচনা করুন। তাদের সাথে অনলাইন এর সাথে জড়িত সকল ঝুঁকি সম্পর্কে আলোচনা করুন সেটি যতই লজ্জাজনকই হোক না কেন হতে পারে কোন এডাল্ট স্ক্যাম বা যেকোনো ধরনের অনলাইন ঝুঁকি সবকিছু নিয়ে আপনার সন্তানের সাথে খোলামেলা আলোচনা করুন। তাদেরকে বুঝান যে কিভাবে অনলাইনে কোন ধরনের প্রতারণা হয়ে থাকে। এবং কিভাবে কোন ধরনের প্রতারণা হওয়া থেকে নিজেকে বাঁচানো যায়। আপনি নিজে অনলাইনের সব ধরনের ঝুঁকি সম্পর্কে আপডেট রাখুন এবং আপনার সন্তানকে তা জানান এবং তাকে শেখান যে কিভাবে সেই প্রতারণা থেকে নিজেকে বাঁচানো যায়।

২. ইন্টারনেট ব্যবহারের নিয়ম নির্ধারণ করুন

আপনার সন্তানের ইন্টারনেট ব্যবহারের স্পষ্ট নিয়ম নির্ধারণ করুন। তারা সপ্তাহে কতদিন এবং দিনে কতক্ষণ এবং কখন কখন ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে কোন কোন ওয়েবসাইটে যেতে পারবে সেগুলো নির্ধারণ করুন এবং তাদেরকে সেই নিয়মগুলো মেনে চলতে উৎসাহিত করুন। অবশ্যই, একদম তাদেরকে ইন্টারনেট থেকে দূরে রাখবেন না। তাদেরকে পড়াশোনার পাশাপাশি সঠিকভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্পষ্ট নিয়ম তৈরি করে দিন এবং তাদেরকে সেটি মানতে উৎসাহিত করুন। এটির জন্য আপনি একটি সঠিক নিয়ম তৈরি করতে পারেন যেমন সাপ্তাহিক দুই দিন ছুটির দিনে তিন থেকে চার ঘণ্টা ইন্টারমিট ব্যবহার ও স্কুল খোলা থাকাকালীন প্রতিদিন এক থেকে দুই ঘন্টা ইন্টারনেট ব্যবহার করার নিয়ম তাদের জন্য নির্ধারণ করতে পারেন।

এখন আপনি বলতে পারেন যে তাহলে তারা বাকি সময় কী করবে? তাদেরকে ইন্টারনেট থেকে একদম দূরে রাখবেন না প্রতিদিন তাদেরকে দুই ঘন্টার মত ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দিন এবং বাকি সময় খেলাধুলা ও পরিবারের সাথে সময় কাটাতে উৎসাহিত করুন। এবং তাদের নিরাপত্তার জন্য তাদেরকে নির্ধারণ করে দিন যে তারা কোন কোন ওয়েবসাইটে যেতে পারবে আর কোন কোন ওয়েবসাইটে যেতে পারবে না। যেহেতু তারা ছোট তাই তাদেরকে এডাল্ট ওয়েবসাইট থেকে দূরে রাখুন।

৩. প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ব্যবহার করুন

আপনার সন্তানের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবশ্যই প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ব্যবহার করুন। নাম শুনেই নিশ্চয়ই বুঝতেই পেরেছেন যে এটি অভিভাবকদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে তাদের সন্তানের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। এটি এমন একটি ফাংশন যেটি ব্যবহার করে আপনি আপনার সন্তানের ব্যবহৃত ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারণ করতে পারবেন। ধরুন আপনি আপনার সন্তানের ফোনে নির্দিষ্ট কিছু ওয়েবসাইট ব্লক করতে চান যেন সে সেই ওয়েবসাইটগুলোতে ঢুকতে না পারে তাহলে আপনি এই ফাংশন ব্যবহার করে সেই ওয়েবসাইটগুলো আপনার সন্তানের ফোনে ব্লক করে রাখতে পারবেন।

এছাড়াও কখন সে তার ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে আর কখন পারবে না সেটি আপনি সেট করে রাখতে পারবেন। এবং সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো যে, আপনি এই ফাংশনটি ব্যবহার করে দেখতে পারবেন যে আপনার সন্তান তার ফোনে কখন কি ব্যবহার করছে সে সবকিছু। তাই অবশ্যই আপনার সন্তানের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তার ফোন বা কম্পিউটার এবং আপনার বাসার ওয়াইফাই এ এই ফাংশনটি চালু করে রাখুন।

৪. তাদের প্রতিদিনের সকল কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করুন

আপনার সন্তান তার ফোনে কি করছে সেটি লক্ষ্য রাখুন তবে তাদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করবেন না। অর্থাৎ, তারা কোন কোন ওয়েবসাইট প্রতিনিয়ত ভিজিট করে সেগুলো লক্ষ্য করুন যদি দেখেন যে সে এমন কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করছে যেটি তার ভিজিট করা উচিত নয় তাহলে তখন তাকে আটকে দিন কিন্তু যদি দেখেন যে সে তার বন্ধুদের সাথে ফোনে কথাবার্তা বলে থাকে তো তখন তার এই গোপনীয়তা লংঘন করার প্রয়োজন নেই। যদি আপনার সন্তানের অ্যাক্টিভিটি তারা বুঝতে পারেন যে সে কোন ঝুঁকিতে রয়েছে তখন চাইলে আপনি তার ব্যক্তিগত কনভারসেশন দেখতে পারেন তাছাড়া তার ব্যক্তিগত কনভারসেশন আপনি দেখে তার গোপনীয়তা লংঘন করবেন না। এক কথায়, তারও ব্যক্তিগত জীবন রয়েছে তাই তাকে সেটি উপভোগ করতে দিন তবে যখন দেখবেন সে ঝুঁকিতে রয়েছে তখনই শুধু সেখানে আপনি ইন্টারফেয়ার করুন।

৫. বিশ্বস্ততা খুঁজে বের করুন

আপনার সন্তানকে বুঝান যে অনলাইনের কোন তথ্যগুলো সত্য হয় এবং কোনগুলো মিথ্যা হয় এবং কোনগুলো আমাদের বিশ্বাস করা উচিত এবং কোনগুলো গুজব। আপনার সন্তানকে শিক্ষামূলক কনটেন্টের প্রতি আগ্রহী করে তুলুন এবং ভুয়া জিনিসগুলো থেকে তাদেরকে দূরে রাখুন এবং বুঝান যেন তাদের মাথায় যে কোন কিছু ঢুকে না যায়। তাদেরকে সত্য এবং মিথ্যা সম্পর্কে বুঝান কারণ মনে রাখবেন ছোটবেলায় তারা যেটি দেখবে সেটি তাদের ভিতরে কঠিন ভাবে ঢুকে যাবে এবং বড় হয়েও তারা সে মিথ্যাকে সত্য বলে মানবে। তাই অবশ্যই তাদেরকে ছোটবেলায় সঠিক এবং সত্য কনটেন্টগুলো দেখার প্রতি আগ্রহী করে তুলুন।

৬. তাদের সমস্যাগুলো সমর্থন দিন

আপনার সন্তানকে সমর্থন দিন এবং তাদেরকে বুঝান যে তারা যদি ভবিষ্যতে কোনরকম ঝুঁকিতে পড়ে যায় তাহলে তারা যেন আপনার সাথে সেটি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করে আপনাকে কোনরকম ভয় না করে এবং সে সম্পর্কে আপনাকে খোলামেলা আলোচনা করে জানায়। তাদেরকে বারবার বুঝান যে তারা যদি কোন ভুল করে কোন বিপদে পড়ে যায় তারা যেন আপনাকে কোনরকম ভয় না করে সেটি সম্পর্কে আপনাকে জানায়। তাদেরকে এটি পুরোপুরি নিশ্চিত করুন যে আপনি তাদের করা ভুলগুলোর জন্য তাদেরকে দোষারোপ করবেন না এবং আপনি তাদেরকে সাহায্য করবেন।

অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন তাদের মনে যেন আপনার জন্য ভয় না ঢুকে যায় তাহলে তারা আর আপনাকে সেটি সম্পর্কে জানাবে না এবং আরো বড় বিপদে পড়ে যাবে। তাই তারা কোন ভুল করে ফেললে এবং কোন ঝুঁকিতে পড়ে গেলে তাদেরকে দোষারোপ না করে তাদেরকে সুন্দরভাবে সাহায্য করুন। এবং বারবার বোঝেন যে আপনি তাদের করা কোন ভুলের জন্য তাদেরকে দোষারোপ করবেন না বরং তাদের সাহায্য করবেন এবং তারা যেন তাদের করা যেকোনো ভুল সম্পর্কে আপনাকে খোলামেলাভাবে জানিয়ে দেয়।

এই ছিল সন্তানের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভিভাবকের জন্য কিছু টিপস। তো এবার আপনার সন্তানের জন্য কিছু টিপস আমি নিচে শেয়ার করছি যেগুলো আপনার নিজ দায়িত্বে আপনার সন্তানকে জানিয়ে দেওয়া আপনার দায়িত্ব। নিচে শেয়ার করা টিপসগুলো আপনার সন্তানকে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বলুন তাহলে আশা করা যায় যে তারা অনলাইনে কোন ঝুঁকির সম্মুখীন হবে না। তো চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক অনলাইন তো চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক আপনার সন্তানের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের জন্য দেওয়া কিছু টিপস গুলো কী কী তা। সন্তানদের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সন্তানদের জন্য কিছু টিপস:

১. নিজের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না

আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, ঠিকানা, স্কুলের নাম, এড্রেস, মোবাইল নাম্বার, ছবি এবং আপনি কখন কোথায় যান কী করেন এইসব তথ্য অনলাইনে কখনোই কাউকে শেয়ার করবেন না। কারণ এই তথ্যগুলো কেউ জেনে গেলে সে আপনাকে টার্গেট করতে পারে যার ফলে আপনি কিডন্যাপ হওয়ার মতো ঝুঁকিতে পরতে পারেন। তাই এইসব ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে কাউকে শেয়ার করবেন না।

২. পাসওয়ার্ড গোপন রাখুন

আপনার অনলাইন যতগুলি অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেগুলোর পাসওয়ার্ড আপনি গোপন রাখুন এবং কাউকে তা শেয়ার করবেন না। যদি কেউ আপনার কাছ থেকে সেই পাসওয়ার্ড গুলো জানতে চাই তাহলে তাকে সেই পাসওয়ার্ড বলবেন না এবং সাথে সাথে সেই ব্যক্তিটির সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিন।

৩. অপরিচিত কারো সাথে কথা বলবেন না

অপরিচিত ব্যক্তি যাদের আপনি চিনেন না এমন ব্যক্তিদের সাথে অনলাইনে বা ফোনে কথা বলবেন না। অপরিচিত ব্যক্তিদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা থেকে বিরত থাকুন এবং যদি কেউ আপনাকে বারবার বিরক্ত করে তাহলে তাকে আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে আনফ্রেন্ড করে দিন ও প্রয়োজন পরলে ব্লক করে দিন।

৪. অনলাইনে যা দেখেন তার সবকিছু বিশ্বাস করবেন না

অনলাইনে আপনি যে ধরনের কনটেন্ট গুলো দেখেন সেগুলোর সবকিছুই বিশ্বাস করবেন না। মনে রাখবেন, অনলাইনে বেশিরভাগই কনটেন্ট এডিট ও গ্রাফিক্স ব্যবহার করে শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য তৈরি করা হয় ও কিছু কুচক্র নিজেদের ইনকাম বৃদ্ধি করতে অনেক গুজব ছড়িয়ে থাকেন। এছাড়াও অনেকেই নিজেদের স্বার্থের জন্য অনেক গুজব মিথ্যা কথা ছড়িয়ে থাকেন তাই অনলাইনে যা দেখেন তার সবকিছুই বিশ্বাস করবেন না। অনলাইনে কিছু দেখে বিশ্বাস করার আগে সেটি যাচাই করুন নিজে যাচাই করতে না পারলে অভিভাবক ও বিশ্বস্ত বড়দের কে জানান।

৫. অনলাইনে কোন ঝামেলা হলে বড়দের কে জানান

আপনি যদি অনলাইনে ইন্টারনেট বা ফোন ব্যবহার করতে গিয়ে কোন ঝামেলায় পড়ে গিয়েই থাকেন তাহলে অবশ্যই সাথে সাথে সেটি সম্পর্কে বড়দের কে জানান। ভয় পাবেন না মনে রাখবেন যেটিই হোক আপনার অভিভাবক আপনাকেই সাহায্য করবে কারণ তারা যেমনই হোক না কেন তারা কিন্তু শেষমেষ আপনার ভালোই চায়। তাই ভয় না করে অনলাইনে কোন ঝামেলায় পড়ে গেলে সাথে সাথে আপনার অভিভাবক বা বিশ্বাসযোগ্য বড় কাউকে জানান। আপনার কাছে সমস্যাটি বড় মনে হলেও তারা সহজেই এদের সমাধান করে আপনাকে দিতে পারবে।

শেষ কথা

দিন দিন প্রযুক্তি উন্নত হচ্ছে এবং সেই সাথে কিছু কূ চক্র এই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনলাইনে অনেক রকম প্রতারণা করছে এবং তাদের বেশিরভাগই টার্গেট হচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক ও ছোট্টরা যারা এখনো কিছু বুঝতে শিখেনি তারা। তাই অবশ্যই আপনার সন্তান অনলাইনে কিভাবে সময় ব্যয় করছে এবং কী কী করছে সে সম্পর্কে নজরদারি রাখুন এবং সচেতন থাকুন। এবং তাদেরকে বারবার এটি বুঝান যে তারা যে ভুলই করুক না কেন আপনি তাদের সাথে আছেন এবং আপনি তাদের সেই ভুল করার জন্য তাদেরকে দোষারোপ করবেন না এবং তাদেরকে সাহায্য করে সে বিপদ থেকে তাদেরকে রক্ষা করবেন। এবং আপনি নিজেও আপনার সন্তানদেরকে ভয় না দেখিয়ে তাদের সাথে বন্ধুত্ব-স্বরূপ সম্পর্ক তৈরি করুন এতেই সে কোন কিছু না লুকিয়ে আপনাকে সে জানাবে এবং আপনি এবং আপনার সন্তান দুজনই তখন বড় ঝুঁকি থেকে বেঁচে যাবেন।

তো বন্ধুরা, এই ছিল আমাদের আজকের টিউন, আপনার সন্তানকে অনলাইনে কীভাবে নিরাপদ রাখবেন! আশাকরি টিউন টি আপনাদের একটু হলেও হেল্পফুল হবে। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি, দেখা হবে পরবর্তী টিউনে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণ অবধি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং টেকটিউনস এর সাথেই থাকবেন।

Level 6

আমি স্বপন মিয়া। Sonic টিউনার, টেকটিউনস, গাইবান্ধা, রংপুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 107 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

টেকনোলজি বিষয়ে জানতে শিখতে ও যেটুকু পারি তা অন্যর মাঝে তুলে ধরতে অনেক ভালো লাগে। এই ভালো লাগা থেকেই আমি নিয়মিত রাইটিং করি। আশা করি নতুন অনেক কিছুই জানতে ও শিখতে পারবেন।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস