আসসালামু আলাইকুম। টেকটিউনস ওয়েবসাইটের নতুন আরো একটি টিউনে আপনাকে স্বাগতম। আমি স্বপন আছি আপনাদের সাথে, আশাকরি সকলেই অনেক অনেক ভালো আছেন। স্বাগতম সবাইকে মহিলাদের ঘরে বসে আয় করার সেরা ২৩ টি উপায় নিয়ে নতুন আরো একটি টিউনে। মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার করার উপায়। আপনি যদি একজন মেয়ে হয়ে থাকেন তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। আপনি যদি মেয়ে হন এবং অর্থ উপার্জন করতে চান, তাহলে আমি মনে করি আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমি মনে করি আপনার মূল্যবান সময় থেকে কিছু সময় ব্যয় করে আপনি প্রতিদিন দুই এক ঘণ্টা কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
আপনাকে ঘরে বসে ইনকাম করতে হলে অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। পরিশ্রম ছাড়া ঘরে বসে আয় করা সম্ভব নয়। বর্তমান সমাজে মেয়েরা এখন স্বাধীনতা চায়। যার ফলে মেয়েরা ঘরে বসে ইনকাম করতে চায়। মেয়েদের এই আকাঙ্ক্ষাগুলোকে আরো সহজ করে দিয়েছে ইন্টারনেটের প্রসার। এখন চাইলেই একটা মেয়ে কোনো রকম চাকরিতে না গিয়ে বা ঘরের বাইরে না গিয়ে নানা উপায়ে ইনকাম করতে পারে। তাই আমরা আলোচনা করব মেয়েদের ঘরে বসে ইনকাম করার উপায়। আমার আজকের এই পোস্টটি আপনি যদি মনে করে পড়েন তাহলে আশাকরি আপনি একজন মেয়ে হয়েও সফলভাবে ইন্টারনেট থেকে ইনকাম করতে পারবেন। পোস্টটি শুরু করার আগে চলুন জেনে নেই আজকে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আপনি কি কি জানতে ও শিখতে পারবেন?
ঘরে বসে আয় করার জনপ্রিয় কিছু মাধ্যম
মেয়েদের ঘরে বসে টাকা রোজগার করার উপায়
কোনো প্রকার বিনিয়োগ ছাড়াই মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার করা সম্ভব। আমাদের বর্তমান সময়ে মেয়েদের বাইরে কাজ করাটা এখনো অনেকে মেনে নিতে পারে না। যার কারণে মেয়েরা বাহিরে কাজ করতে পারেন না। আজকাল দুই কারণে মেয়েরা কোনো না কোন কাজ করে আয় করতে চান যার মধ্যে প্রথম কারণ হলো আর্থিক অসচ্ছলতা আর দ্বিতীয় কারণ হলো নিজে নিজে কিছু করার ইচ্ছা। সত্যি বলতে কি বর্তমান সময়ে সমাজের ধর্মীয় ও মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়ের ফলে মেয়েরা বাইরে অতটা নিরাপদ ও নয়। প্রতিদিনই শোনা যায় নানা রকম নারী নির্যাতনের খবর।
আপনাদের ঘরে বসে টাকা আয় এর জন্য প্রয়োজন শুধু মোবাইল/ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট কানেকশন। ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করার জন্য অনলাইনে অনেকগুলি উপায় রয়েছে, তবে তাদের বেশিরভাগই কেবল পুরুষদের জন্য উপযুক্ত। তবে কিছু উপায় আছে যা নারীরা অবলম্বন করতে পারেন। আপনি যদি একজন গৃহিণী বা ছাত্র হন, তাহলে এই আর্টিকেল আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা অর্থ রোজগারের উপায় সম্পর্কে কথা বলব যা প্রতিটি মহিলা ঘরে বসে সহজেই করতে পারবেন। তবে এই কাজগুলো করার জন্য এবং ইন্টারনেট থেকে ইনকাম করার জন্য শুরুতে অবশ্যই আপনাকে অনেক পরিশ্রমই হতে হবে। সে সাথে অনেক ধৈর্য ধরতে হবে তাহলে আমি মনে করি আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে এখানে আমি বেশ কিছু অনলাইন মাধ্যম দেখাবো। যার মাধ্যমে ভালো আয় করা সম্ভব। মেয়েদের ঘরে রোজগার করার উপায় নিচে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করা হলো। আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আশাকরি আপনি একজন মহিলা হয়েও বাড়িতে বসে থেকে শুধুমাত্র মোবাইল দ্বারা অনলাইনের মাধ্যমে অনেক ভালো পরিমাণ অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। ইন্টারনেট থেকে ইনকাম করার অনেক ধরনের উপায় থাকলেও মেয়েদের জন্য সহজ কোনো পদ্ধতি নেই। কারণ অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চাইলে অবশ্যই সেখানে সময় এবং পরিশ্রম দুটোই দিতে হবে।
তবে মেয়েরা শুধুমাত্র অনলাইনে মাধ্যমে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে পারবে তবে মেয়েদের জন্য অনলাইনে অনেক বেশি সময় ব্যয় করাটা হয়ত অনেকের জন্যই সম্ভব হবে না। তাই আজকের টিউনে আমি আপনাদের জন্য অনেক ভালো এবং সহজ কিছু অনলাইন ইনকামের মাধ্যমে শেয়ার করব। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি একজন মেয়ে হয়েও খুব সহজেই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। এখানে অন্যান্য অনলাইন আর্নিং ওয়েবসাইটগুলোর থেকে তুলনামূলকভাবে সময় অল্প দিলেও আপনি একটি হিউজ পরিমাণ অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। তবে অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রমই হতে হবে। তো চলুন আজকে আমি আপনাদের মাঝে অনলাইন ইনকামের সহজ কিছু উপায় তুলে ধরি।
গ্রাম বাংলা বা শহরের প্রায় প্রতিটি মেয়ে কিছু বিশেষ প্রতিভা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। আপনাদের এই প্রতিভা কাজে লাগিয়ে আপনি অনলাইনে ব্যবসায় করতে পারেন। আপনি খুব সুন্দর করে কথা বলতে পারেন। আপনি খুব সুন্দর কবিতা আবৃত্তি করতে পারেন। আপনি খুব সুন্দর গল্প বলতে পারেন। আপনি খুব সুন্দর গান করতে পারেন। আপনি খুব সুন্দর বাড়িঘর ডিজাইন করতে পারেন। আপনি খুব সুন্দর ছবি আঁকতে পারেন। আপনি যেটাই পারেন না কেন সেটাকে পুঁজি করে অনলাইনে আয় করতে পারেন। সামান্য কিছু ব্যয় করে একজন মেয়ে বা নারী ঘরে বসে উপার্জন করতে পারে।
আমি খুব সুন্দর বাড়ি ঘর ডিজাইন করতে পারি। এবং বাড়ি ঘর ডিজাইন করে সেই ছবি ভালো বাঁধতে পারি। এবং সেই কাজটা আমি ইউটিউব চ্যানেলে সবাইকে শিখিয়ে আমি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করি। আপনি ও এই ধরনের কাজ ইউটিউবে সবাইকে শিখাতে পারেন। আপনি নিয়মিত আপনার ক্রিয়েটিভিটি ইউটিউবে ভিডিও আকারে আপলোড করলে দিনে দিনে আপনার youtube এর সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। যার ফলে আপনি সহজেই ইউটিউবে এডসেন্স চালু করতে পারবেন। আর ইউটিউবে অ্যাডসেন্সের বিনিময়ে আপনি ভিডিও আপলোড করার কারণে আপনার ভিডিও যত মানুষ দেখবে আপনার ইনকাম হচ্ছে তত বেশি হবে।
ইউটিউব এখন মেয়েদের আয়ের সেরা উপায়। আমাদের মধ্যে যারা ঘরে বসে টাকা আয় করতে চান তাদের জন্য এটি একটি সূবর্ণ সুযোগ। কারণ তাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় আছে ইউটিউবে দেওয়ার জন্য। মেয়েদের জন্য ঘরে বসে আয় করার জন্য এটি একটি অন্যতম মাধ্যম হতে পারে। ইউটিউবে আপনি বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারেন। মেয়েদের জন্য স্বাভাবিক ভাবেই রান্নার কাজটা অনেক ভালো। ইউটিউবে অনেকেই অনেক ধরনের ভিডিও দিয়ে টাকা ইনকাম করে তবে মেয়েদের জন্য সহজ উপায় হলো রান্নার বিষয়। আপনি নতুন নতুন রেসিপির ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন।
আপনি দেখবেন যে অনেকের কাছেই আপনার রান্না ভালো লাগছে এবং অনেকেই হয়ত আপনার রান্নার পদ্ধতি অনুসরণ করে উপকৃত হচ্ছে। মানুষ খাদ্য প্রেমিক হয়ে থাকে এবং দিন দিন বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করে, শুধু মাত্র একটি কন্টেন্টের কথা বললাম। আপনারা বাড়িতে বসে শুধুমাত্র রান্নার ভিডিও ছাড়াও আপনি গেমিং ভিডিও বানাতে পারেন এবং এছাড়াও রয়েছে শিক্ষামূলক, কমেডিয়ান, বিউটি পার্লার, গ্রাফিক্স ডিজাইন, নাটক, রান্নাবান্নার টিপস, মিউজিক, ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স ইত্যাদি আপনার পছন্দমতো যেকোনো কন্টেন্ট বেছে নিয়ে, তার উপর ভিডিও বানিয়ে আপনাদের চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন।
ইউটিউব থেকে অনেকভাবে আয় করা যায় যেমন চ্যানেল মনিটাইজেশন করার মাধ্যমে, স্পনসরশিপ মাধ্যমে, গুগল এডসেন্স যোগ করার মাধ্যমে, অথবা আপনি নিজস্ব কোন প্রডাক্ট বিক্রির মাধ্যমে ইত্যাদি। তবে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে হলে আপনাকে youtube এর প্রাইভেসি পলিসি অনুযায়ী নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। তোর চলুন নীচ থেকে জেনে নেই শর্তগুলো কী কী?
উপরের দুইটি শর্ত পূরণ হলেই আপনি এডসেন্স মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এরপর এডসেন্স কর্তৃপক্ষ চ্যানেলকে রিভিউ করবে এবং আপনার চ্যানেলকে ভেরিফিকেশন এর মাধ্যমে পরীক্ষা করবে। এতে সফল ভাবে উত্তীর্ণ হলে আপনাকে এডসেন্স দেওয়া হবে।
আপনি যদি টেকনোলজি পছন্দ করেন এবং ঘরে বসে কাজ করে ইনকাম করতে চান, তাহলে টেকটিউনস আপনার জন্য একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় টেকনোলজি ওয়েবসাইট হিসেবে টেকটিউনস আপনাকে আপনার জ্ঞান শেয়ার করার জন্য অথবা অন্যদের সাহায্য করার জন্য টেকটিউনস আপনাকে অনেক ভালো আয় করার সুযোগ দিতে পারে।
সারা বিশ্বে ইংরেজির অনেক চাহিদা রয়েছে, তাই এই জবটি ভাষাতে পারদর্শী যেকোনো ব্যক্তির জন্য উপযুক্ত। আপনি একটি প্রফেশনাল ফেইসবুক পেইজ খুলে ওই পেইজে আপনি বিজ্ঞাপণ দিয়ে বলবেন আপনি অনলাইনে ইংরেজি কোচিং সেন্টার ওপেন করছেন। আপনি দুই মাসের মধ্যে ইংরেজি শিখাবেন। এখান থেকে আপনি ২০-৩০ জন ছাত্র ছাত্রী পেয়ে গেলে, প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রী থেকে আপনি ৫০০ টাকা ফিস নিবেন। এভাবে আপনি অনলাইনে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি অনলাইন থেকে বই পড়ে এবং রিভিউ লিখে ইনকাম করতে পারবেন। কোম্পানির বই পড়ার জন্য এবং তারপর বইগুলির উপরে রিভিউ লিখতে বইয়ের পাটকদের প্রয়োজন। এটি আপনি বাড়িতে বসে অর্থোপার্জনের একটি দুর্দান্ত উপায় এবং মা, ছাত্র, অবসরপ্রাপ্ত এবং অন্যরা যখন খুশি কাজ করতে পারবেন। এই অনলাইনে ইনকাম পদ্ধতিটি মেয়েদের জন্য বেশ জনপ্রিয় একটি অনলাইন আর্নিং উপায়। কারণ এই কাজ মেয়েরা তাদের ইচ্ছামতো যে কোন সময় সম্পূর্ণ করতে পারে এবং মাস শেষে অনেক ভাল পরিমাণ একটি অর্থ ইনকাম করে থাকে। তাই আপনি চাইলে আপনিও এই কাজটি করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং পেশার নাম শোনেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবেনা। বর্তমান সময়ে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছেন। ফ্রিল্যান্সিং পেশাটা ঘরে বসে করা যায় বলে এই পেশাটা অনেকেই করতে চাই। তাই আমার মতে এই ফ্রিল্যান্সিং পেশাটা মেয়েদের জন্য উপযুক্ত। আপনি ঘরে বসে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান এর জন্য আপনাকে অনেক বেশি ধৈর্য এবং স্কিলের প্রয়োজন হবে। কারণ বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যতটা জনপ্রিয় ঠিক ততটাই কঠিন। বর্তমানে অনলাইনে যারা যারা কাজ করতে অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছে তাদের সর্বপ্রথম টার্গেট থাকে ফ্রিল্যান্সিং করা। তাই ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা একটু বেশি কষ্ট করা হবে।
অনলাইন থেকে অফলাইন প্রতিটি কর্মসংস্থান জায়গায় প্রতিযোগিতা। আপনাকে আপনার ক্যারিয়ার প্রতিযোগিতা করেই গড়ে তুলতে হবে। সফলতার সহজে আপনার কাছে ধরা দেবে না সফলতাকে ছিনিয়ে নিতে হয়। তাই আমার মত আপনার মধ্যেও যদি ফ্রিল্যান্সিং করার আগ্রহ জেগে থাকে তাহলে আমি বলবো সর্বপ্রথম আপনি ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে অনেক ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। তারপর ছোট ছোট দুই একটি প্রজেক্ট সম্পন্ন করুন। তারপর আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের বড় মার্কেটপ্লেসে নিজেকে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তুলে ধরুন। তবে আপনি অনেকটাই সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবেন। এছাড়া আপনি যদি অভিজ্ঞতাহীন অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রবেশ করেন তাহলে কাজ না পাওয়ার জন্য শুরুতেই আপনি সর্বোচ্চ হতাশ হয়ে যাবেন। যার ফলে আপনার মধ্য থেকে অনলাইন ইনকামের আসাটাই মরে যাবে।
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় সমূহের মধ্যে এটা অন্যতম ও জনপ্রিয় উপায়। গৃহপালিত পশু পালন করে আয় করার জন্য আপনি আপনার গৃহিণীটাই বেছে নিলে ভালো হয়। তবে আপনি গৃহপালিত পশুর খামার করেও ইনকাম করতে পারবেন। এই কাজটা আপনি পড়ালেখার পাশাপাশি ও করতে পারবেন। আপনি এদের দুধ, ডিম, বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আপনি অবশ্যই জেনে থাকবেন গ্রাম, শহর, ও চর এলাকাসহ বাংলাদেশের সকল জায়গায় নারীরা নিজের বাড়িতে হাঁস, মুরগি, কবুতর, গরু, ছাগল ইত্যাদি গৃহপালিত পশু পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছে অনেক মহিলা।
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় গুলির মধ্যে এটি একটি ব্যবসায় যেটা একমাত্র আপনার শখের উপর নির্ভরশীল। আপনি বাড়ির ছাদে বারান্দায় বা বাড়ির পাশে বেশ কিছু জায়গায় নিয়ে আপনি তুলতে পারেন আপনার শখের বাগান। এই শখটি হয়ে উঠতে পারে আপনার আয়ের নতুন এক মাধ্যম। আপনি চাইলে নিজের জমির টাটকা শাক-সবজি বিক্রি করেও আয় করা সম্ভব। আপনি কৃষি অফিস থেকে কিংবা অনলাইন শপিং মহল থেকে বিভিন্ন শাক-সবজি ও ফলমূলের বীজ অর্ডার করতে পারেন।
আপনি বিভিন্ন কীটনাশক দিয়ে মাটির উর্বরতা শক্তি বাড়াতে পারেন। এতে করে আপনার শখকে কাজে লাগিয়ে বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন, এবং তার পাশাপাশি আপনার জমির টাটকা শাক-সবজি ও ফলমূলের পরিমাণ অনুযায়ী বিক্রি করে টাকা উপার্জন করতে পারেন। বর্তমানে দেশের মানুষ টাটকা ফলমূল এবং শাকসবজির প্রতি অনেক বেশি আগ্রহী। তাই আপনি শাকসবজি ফলিয়ে বাগান তৈরি করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনেক বেশি লাভবান হতে পারবেন। এছাড়াও উক্ত শাক সবজি আপনার নিজের সাংসারিক কাজে ও ব্যবহার করতে পারবেন। এতে আপনি আর্থিকভাবে এবং সাংসারিক ভাবেও স্বচ্ছলতার দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে যেতে পারবেন।
সেলাইয়ের কাজ মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার আরেকটি সহজ উপায়। বর্তমানে সেলাইয়ের কাজ একটি জনপ্রিয় কাজ মেয়েদের জন্য। আপনি চাইলে সেলাইয়ের কাজটা ঘরে বসে করতে পারেন। বর্তমানে বেশিরভাগ মহিলারা তাদের পছন্দসই বুটিক হাউস এবং ফ্যাশন হাউস দিচ্ছে। যেখানে তারা নিজেদের পছন্দের কাপড় বা নিজের হাতের কারুকাজ বুটিক হাউসে সাজিয়ে রাখেন। সেলাইয়ের এই কাজ শুধুমাত্র কাপড়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে তা আজ ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাগ, জুতা, দেওয়ালে পেইন্টিং এবং নানা শিল্পকর্ম তৈরিতে। অত্যন্ত আনন্দের বিষয় এই যে প্রতিটি নারী ঘরে বসে করতে পারে।
মেয়েদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা মেকআপ করতে পছন্দ করেন। নারীদের স্ক্রীন কেয়ার এবং বিভিন্ন প্রোগ্রামের জন্য কীভাবে নিজেকে তৈরি করবেন এবং কীভাবে নিজেকে সবচেয়ে সুন্দরভাবে প্রদর্শন করবেন তার ওপর জ্ঞান রয়েছে। আপনি এই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বিউটি পার্লার দিতে পারেন। নারীদের এই পেশায় দক্ষতার জুড়ি নেই। প্রকৃতপক্ষে বিউটি পার্লার অন্যতম একটি জনপ্রিয় কাজ বেশ কয়েক বছর ধরেই। আর বিউটি পার্লার এর কাজ করে অনেক নারীদের যেমন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে তেমনি অনেক খুঁজে পাচ্ছেন নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার এর নতুন এক দিগন্ত।
নকশিকাঁথা বাংলাদেশের ঐতিহ্য। আমাদের মধ্যে অনেকেই সেলাইয়ের কাজ খুব পছন্দ করেন। আমরা যদি আমাদের আশেপাশে প্রতিটি গ্রামের ঘরগুলোর দিকে ভালো করে লক্ষ করি তাহলে আমরা দেখতে পারবো প্রতিটি ঘরের মহিলারা ফ্রি সময়ে সুঁই আর সুতা দিতে কাঁথা শেলাই করে। তবে আপনি জানলে অবাক হবেন যে বর্তমান সময়ে সুঁই আর সুতার তৈরি কাথাগুলো অনেক বেশি জনপ্রিয় আর ইন্টারনেটে এসব কাঁথার চাহিদা প্রায় আকাশ ছোঁয়া। তাদের জন্য আয় করার অন্যতম একটি মাধ্যম হলো তারা ঘরে বসেই নকশিকাঁথা সেলাই করতে পারেন এবং এগুলো বিক্রয় করে রোজগার এর একটি রাস্তা উন্মোচন করতে পারেন নিজের জন্য।
ঠিক নকশিকাঁথার মত পিঠা তৈরি ও মানুষের অনেক শখ এর একটি কাজ। শীতকাল আসলেই দেখা যায়। শীতকাল দেখা যায় ব্যস্ত নগরীর কর্মব্যস্ত মানুষ সময়ের জন্য তাদের বাসায় পিঠা বানানোর সময়টুকু বের করতে পারেন না। আর ঠিক তখনই গরম পিঠার স্বাদ আহরণে ব্যস্ত মানুষ ভরসা করেন পিঠা বিক্রেতাদের কাছে। ঢাকা শহরের রাস্তার গলিতে গলিতে অনেক মহিলা এবং পুরুষ পিঠা তৈরিতে নিজের যোগদান দিয়ে উপার্জনের রাস্তা তৈরি করেছে।
তাছাড়া আপনি পিঠা তৈরি করে বিভিন্ন পিঠার দোকানে এবং ফাস্টফুডের দোকানে পিঠা বিক্রি করতে পারেন। আপনি যদি এই রকম কয়েকটি দোকান ঠিক করতে পারেন তাহলে আপনার ইনকাম ভালো হবে। এতে দিনে দিনে আপনার পিঠার চাহিদা কেমন বাড়ছে তার প্রতি আপনি লক্ষ্য রাখতে পারবেন। আপনার পিঠার চাহিদা অনেক বেশি অথবা সম্ভব হলে সময় এবং সুযোগ মতো আপনার পিঠার রেট বাড়িয়ে দিন। এতে আপনি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের অনেক বেশি পরিচিত এবং অনেক ভালো পরিমাণ অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। এই ব্যবসাটি আপনি আপনার শখের বসেও করতে পারবেন। বেশ লাভজনক একটি ব্যবসা আইডিয়া।
আমি একজন ডিজিটাল মার্কেটার। আমি প্রায় পাঁচ বছর থেকে এই ফিল্ডে কাজ করছি। আমি বিভিন্ন ধরনের এড তৈরি করার জন্য আমার ভিডিও দরকার হয়। ভিডিও এডিটিং এর জন্য একজন মেয়ে এই কাজের জন্য হায়ার করে থাকি। সে খুব ভালো ভিডিও এডিটিং করতে পারে। আপনি ভিডিও এডিটিং শিখতে পারেন এবং বাড়িতে বসে ইনকাম করতে পারেন। এছাড়াও আপনার ভয়েস যদি অনেক সুন্দর এবং মিষ্টি হয়ে থাকে তাহলে আপনি আপনার নিজের ভয়েসকে ভিডিও এডিট এর সময় ব্যবহার করতে পারেন। যাকে আমরা অনলাইনের ভাষায় ভয়েস ওভার বলে থাকি। বর্তমানে ভিডিও এডিটের জন্য মহিলা হিউম্যান ভয়েস ওভার অনেক বেশি চাহিদা সম্পন্ন।
তবে ভিডিও এডিটের কাজগুলো একটু সময় সাপেক্ষ হয়। তাই আপনি যদি একজন ভিডিও এডিটর হিসেবে নিজের ক্যারিয়ারকে গড়ে তুলতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভিডিও এডিটিং এর জন্য অনেক বেশি সময় দিতে হবে। তবে আপনি যদি একজন সফল ভিডিও এডিটর হয়ে যান। তাহলে আপনি ভিডিও এডিটিং করে খুব অল্প সময়ে অনেক বেশি পরিমাণ অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। তবে আমি মনে করি, একজন মহিলা হিসেবে আপনাকেও অবশ্যই ভিডিও এডিটিং নিয়ে কাজ করে অনলাইন থেকে ইনকাম করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত। কারণ আপনি একবার সফল হতে পারলে আপনাকে আর পিছে ফিরে তাকাতে হবে না।
অনেক বড় ইউটিউবার আছে বা বড় কোম্পানি আছে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলো ম্যানেজমেন্ট করার জন্য ফ্রিল্যান্সার হায়ার করে থাকে। আপনি ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি বিষয় ভালো ধারণা থাকলে এই সেক্টরে কাজ করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার কাজগুলো অনেক ভাবেই হয়ে থাকে। কেউবা ইউটিউবে হিসেবে, কেউবা নিজের বিজনেস প্রমোট করানোর জন্য, আবার কেউবা নিজের প্রোডাক্ট সেল করার জন্য একজন ভালো অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার পারসন সব সময় খুঁজে থাকে। কারণ সেই সকল কাস্টমার চায় তারা তাদের নিজের লক্ষ্যবস্তুকে আরো সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে।
আপনি একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে আপনাকে আপনার কাস্টমারের কথা অনুযায়ী কোন প্রোডাক্ট অথবা কোন বিজনেস এমনকি আপনার কাস্টমারের যে কোন ভিডিওকে প্রমোট করে দিতে হবে। ভিডিও প্রোমোট প্লাটফর্ম হিসেবে অবশ্যই আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া গুলো বাছাই করে নিতে হবে। কারণ আপনি নিজেই একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার। এই কাজটি করার জন্য অনেক বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না। আপনি অনেক অল্প সময়ের মধ্যে অনেক বেশি পরিমাণ অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। আর আপনি যদি আপনার একজন কাস্টমারকে খুশি করতে পারেন তাহলে তো আর কথাই নেই। তাই আমি মনে করি একজন মেয়ে হিসেবে অবশ্যই আপনার এই বিজনেসটিও ট্রাই করে দেখা উচিত।
বর্তমানে অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা কন্টেন্ট রাইটার হায়ার করে থাকে। আপনি বাংলা বা ইংরেজি লেখা লিখে ঘরে বসে আয় করতে পারেন। আপনাকে প্রচুর ব্লগ কন্টেন্ট পড়তে হবে। আপনাকে জানতে হবে কীভাবে লেখাটি উপস্থাপনা করা হয়েছে এবং তা শেষ করা হয়েছে। আপনার লেখার মান যত বেশি ভালো হবে আপনি তত বেশি কাজ পাবেন। এতে করে আপনি ঘরে বসে মাসে ১০০০০-১৫০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে শুরুতে আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, আপনি আসলে কোন বিষয়ে অনেক বেশি আগ্রহী অথবা আপনি কোন বিষয়ে লিখতে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
কারণ আপনি যদি আর্টিকেল রাইটার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান আর আপনার মাঝে যদি আর্টিকেল লেখার জন্য কোনো আগ্রহ না থাকে তাহলে আপনি আর্টিকেল রাইটিং করে ইনকামের পথে খুব বেশি এগিয়ে যেতে পারবেন না। তাই শুরুতে অবশ্যই আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তারপর লেখার কোয়ালিটি বাড়ানোর উপর মনোযোগ দিতে হবে। কারণ কন্টেন্ট রাইটিং এমন একটি পেশা যেখানে আপনার লেখার মান যত ভালো হবে আপনার ইনকামের পরিমাণ ঠিক ততটাই বেশি হবে। তাই আমি মনে করি মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ফ্রি সময়ে ইনকাম করার সেরা একটি উপায় হলো কন্টেন্ট রাইটিং করা।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা হলো মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসায় করার সহজ উপায়। আপনাকে কোনো পণ্য কিনতে হবে না কোনো ভোক্তাকে পণ্য ডেলিভারি করতে হবে না। আপনি ঘরে বসে ওয়েবসাইট তৈরি করে অনলাইনে আয়ের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনার যদি ভালো মানের একটি ওয়েবসাইট থাকে এবং সেটিতে ভালো ভিজিটর আসে তাহলে আপনি চাইলেই যে কোনো অ্যাফিলিয়েট লিংক বসিয়ে প্রোডাক্ট বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চাইলে এখানে আপনাকে আগে থেকেই বেশ ভালো পরিচিত হতে হবে। কারণ এটি একটি অনলাইন মার্কেটিং সিস্টেম। এখানে আপনার পরিচিত যত বেশি আপনার সেল অথবা বিক্রি ততো বেশি। আর বিক্রি যত বেশি আপনার প্রফিট ততো বেশি। তাই আপনি যদি আগে থেকেই অনলাইনে অনেক বেশি ভাইরাল পারসন হয়ে থাকেন তাহলে আমি মনে করি আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা উচিত। এতে আপনি খুব অল্প দময়ে অনেক বেশি বিক্রি করতে পারবেন। যার কারণে বিনা পুঁজিতে আপনি অনেক বেশি ইনকাম করতে পারবেন। এটি অনলাইনের মাধ্যমে বিনা পুঁজিতে ইনকামের উপায় হওয়ার লোকসানের কোন ভয় থাকে না।
যে মেয়েরা সার্ভে কাজ করে আয় করতে আগ্রহ প্রকাশ করে তাদের জন্য এমন অনেক গুলো ওয়েবসাইট রয়েছে। এগুলো তারা সাইন আপ করলে দেখতে পাবে যে তাদের সম্পূর্ণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সার্ভে এবং অফার রয়েছে। আপনি যদি প্রতিটি সার্ভে বা অফার সম্পন্ন করেন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিবে। আপনার একটা কাজ সম্পূর্ণ করতে কতটা সময় লাগে সেটা কাজের উপর নির্ভর করে। যে মেয়েরা একাধিক সার্ভে বা অফার সম্পূর্ণ করার জন্য সময় ব্যয় করতে ইচ্ছুক তারা এটি করে বেশি সময় অর্থ উপার্জন করতে পারে।
তবে আমি শুরুতেই বলে নিয়েছি সার্ভে করে আয় করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে তুলনামূলকভাবেই একটু বেশি সময় নষ্ট করতে হবে। কারণ আপনি যখন কোন একটি সার্ভে শুরু করবেন তখন আপনাকে প্রতিটি সার্ভে সম্পূর্ণ করতে প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বেশি সময় ব্যয় করতে হবে। তবে সময় অনুযায়ী ইনকামের পরিমাণ খুব একটা বেশি নয়। তবুও আমি মনে করি ঘরে বসে ফ্রি টাইমে ইনকামের জন্য সার্ভে করে আয় করাটা বেশ ভালো একটি উপায়। আপনি চাইলে আজ থেকেই সার্ভে করে আয় করাটা শুরু করতে পারেন।
আপনি যদি অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রীয় ভাষা জেনে থাকেন এবং আপনি চাইলে আপনার এই ভাষার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে আপনি ভাষা অনুবাদ করে দিয়ে আয় করতে পারেন। উক্ত উপায়টি হতে পারে আপনার মতো নারীদের ঘরে বসে কাজ করে উপার্জন করার উপায়। বর্তমান সময়ে এটিও বেশ জনপ্রিয় একটি অনলাইন আর্নিং উপায়। কারণ বর্তমান সময় ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে অনেক বেশি অগ্রগতি হওয়ার কারণে আপনি দেশে থেকেই বাহিরের যেকোনো দেশের ভাষাকে নিজের ভাষায় পরিণত করতে পারবেন।
তবে ভাষা অনুবাদ করে আয় করার উপায় টি কিছুদিন আগেও অনেক বেশি জনপ্রিয়তা থাকলেও বর্তমান সময়ে ভাষা অনুবাদ করার কাজের ডাক খুব একটা বেশি পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ হিসাবে Ai কে চিহ্নিত করা যায়। এছাড়াও বর্তমান সময়ে এতো বেশি লোক এই ছোট কাজে ফ্রিল্যান্সার হয়ে উঠছে যার কারণে কাজ আসলেও ছোট খাট ফ্রিল্যান্সাররা এই কাজগুলো সহজে হাতে পাচ্ছে না। তবে আপনি যদি চান তাহলে আপনি এই ভাষা অনুবাদ করে আয় উপায় টি কিছুদিন চেষ্টা করে দেখতে পারেন। হয়ত আপনি এতে সফলতা পাবেন।
আপনার যদি অনেক ফলোয়ার সমৃদ্ধ ফেসবুক পেইজ থাকে তাহলে আপনি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বা যেকোনো পণ্য বা সেবা বিক্রি করে আয় করতে পারেন। মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসায় করার জন্য বিভিন্ন পণ্য বা সেবা বিক্রির পাশাপাশি আপনার ফেসবুক পেইজ যখন দশ হাজার ফলোয়ার হবে তখন আপনি মনিটাইজেশন করে বিভিন্ন ভিডিও তৈরি করে গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপণ দেখিয়ে ইনকাম করতে পারেন। এটা আপনি ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। এটা নারীদের জন্য বেস্ট অর্থ উপার্জনের।
বর্তমান সময়ে মানুষ তাদের অনলাইন থেকে অফলাইনের প্রয়োজনীয় সকল জিনিসের বেশি সংখ্যক জিনিস ফেসবুক থেকেই ক্রয় করে আসছে। কারণ আমরা আমাদের দিনের বেশিরভাগ সময় ফেসবুকে ব্যয় করে ফেলি। ফেসবুকে দিন দিন গ্রাহক অথবা কাষ্টমারের সংখ্যা বেড়েই চলছে। যার কারণে ফেসবুকের সাহায্য কোন একটি পণ্য বিক্রি করা অনেক বেশি সহজ। আপনি যেহেতু একজন মহিলা, তাই আপনি ফেসবুকে কিছুটা সময় ব্যয় করে নিজের হাতে বানানো জিনিসগুলোই বিক্রি করেই খুব অল্প সময়ে ফেসবুকের মাধ্যমে অনেক বেশি অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি ঘরে বসে ডাটা এন্ট্রির কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে ডাটা এন্ট্রির কাজের জন্য আপনাকে অনেক বেশি সময় দিতে হবে। কারণ আমরা সকলেই জানি ডাটা অর্থ তথ্য আর এন্টি অর্থ নোট করে রাখা। অর্থাৎ ডাটা এন্ট্রি কাজগুলোকে আপনাকে বায়ার যে তথ্যগুলো নোট করতে বলবে আপনাকে সেই তথ্যগুলোই microsoft এ নোট করে দিতে হবে। অথবা কোথায় নোট করবেন এটা বায়ারের রিকুয়ারমেন্ট অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হতে পারে। ডাটা এন্ট্রি কাজগুলোতে মূলত একজন বায়ার অনেক বড় বড় নোটগুলো দিয়ে থাকে গুগলডক্সে টাইপ করে নোট করে দেওয়ার জন্য।
আর সেসব বড় বড় ফাইলগুলোর নোট করার জন্য অবশ্যই আপনাকে কিছু সময় দিতে হবে। তবে আপনার কাজের উপর এবং সে সকল ফাইলগুলো কত বড় সেগুলোর উপর নির্ভর করে বায়ার আপনাকে অর্থ প্রদান করার চেষ্টা করবেন। এতে আপনি এক এক ডাটা এন্টি কাজের জন্য একেক পরিমাণ অর্থ পেয়ে থাকবেন। আশাকরি ডাটা এন্ট্রি কাজগুলো কীভাবে করতে হয় এ বিষয়ে আপনি কিছুটা ধারণা পেলেন। তবে এই কিছুটা ধারণার উপর নির্ভর করে ডাটা এন্ট্রি কাজগুলো শুরু করা উচিত নয়, ডাটা এন্ট্রির কাজে নিজেকে সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তুলে ধরার জন্য অবশ্যই ডাটা এন্ট্রি কাজে আপনাকে ভালো পরিমাণ স্কিল অর্জন করতে হবে। আপনি ইউটিউবে অনেক টিউটোরিয়াল পাবেন ডাটা এন্ট্রির কাজের উপর। বিভিন্ন ধরনের ডাটা এন্ট্রির কাজ আছে সকল বিষয় আপনাকে ধারণা রাখতে হবে।
মেয়েদের বাইরে কাজ করতে পারে না বলে তুচ্ছ বলে মনে কর না। মেয়েরা চাইলে ঘরে বসে আয় করতে পারবে উপরের এই মাধ্যম গুলি মেনে চলে। আপনারা যারা লেখালেখি পছন্দ করেন আমি তাদের ফ্রিল্যান্সিং করতে বলব। আর যারা ইউটিউব থেকে আয় করতে চান তারা ওয়েবসাইট থেকেও আয় করতে পারবেন। আপনি যদি ঘরে বসেই নিজের ব্যবসায় সফল একটি ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী হন তাহলে উপরের উপায় সমূহ অনুসরণ করবেন। তাহলে আপনার ভবিষ্যতের জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইলো। মনে রাখবেন সফলতা খুব সহজেই ধরা দেয় না। সফলতা পেতে হলে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। অনেক পরিশ্রমের বিনিময়ে একবার সফলতা পেলে আগে পরিশ্রমের কথা আর মনে থাকবে না।
তাই আজকে টিউনে শেয়ার করা অনলাইন ইনকামের সহজ উপায়গুলো নিয়ে আপনি আগে ভাবতে থাকুন। আপনি কোনোটাতে অনেক বেশি পারদর্শী, কোনটা আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে। এছাড়াও আপনি আরো ভাবুন, আজকের টিউনের বিষয়গুলোর মধ্যে কোন বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে আপনার অনেক বেশি ভালো লাগে সে বিষয়টি নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিন। আপনি নিজেকে সেভাবেই তৈরি করুন। তারপর নিজেকে উপযুক্ত মনে হলে একসময় ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজের পরিচয় প্রকাশ করুন। এছাড়াও আজকের টিউন নিয়ে আপনার মনে কোনো মন্তব্য থেকে থাকলে তা অবশ্যই টিউমেন্ট করে জানাবেন। আপনার করা মন্তব্য গঠনমূলক হলে তা অবশ্যই আমি আমার টিউনে যুক্ত করে নেব। আপনার কাছের বন্ধুদেরও উপরোক্ত উপায়ে ব্যবসায় করে সফল ক্যারিয়ার গড়তে উৎসাহিত করার জন্য পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন।
তো বন্ধুরা, এই ছিল আমাদের আজকের টিউন, মহিলাদের ঘরে বসে আয় করার সেরা ১৯ টি উপায়! আশাকরি টিউন টি আপনাদের একটু হলেও হেল্পফুল হবে। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি, দেখা হবে পরবর্তী টিউনে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণ অবধি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং টেকটিউনস এর সাথেই থাকবেন।
আমি স্বপন মিয়া। Sonic টিউনার, টেকটিউনস, গাইবান্ধা, রংপুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 107 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
টেকনোলজি বিষয়ে জানতে শিখতে ও যেটুকু পারি তা অন্যর মাঝে তুলে ধরতে অনেক ভালো লাগে। এই ভালো লাগা থেকেই আমি নিয়মিত রাইটিং করি। আশা করি নতুন অনেক কিছুই জানতে ও শিখতে পারবেন।