হাতে থাকা মোবাইলটি একটু কম বাজেটের হলে সমস্যার যেন শেষ থাকে না। মোবাইল স্টোরেজ কম হওয়ার ফলে বারবার হ্যাং করতে থাকে। হয়তো কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন ঠিক ঐ সময়েই মোবাইল হ্যাং করলো। এমন অবস্থায় ইচ্ছে হয় মোবাইল আছড়ে ভেঙ্গে ফেলি। কিন্তু একদমই এটা করবেন না, বরং ঠান্ডা মাথায় সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করুন।
মোবাইল হ্যাং করলে সাথে সাথে আমরা কিছু স্টেপ নিতে পারি। যার ফলে মোবাইল আবার কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। আজকে আপনাদের সাথে এমন ৫ টি ট্রিকস শেয়ার করবো যা ফলো করে হ্যাং হওয়া মোবাইলকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক মোবাইল হ্যাং হলে আমাদের কী কী স্টেপ ফলো করতে হবে।
মোবাইল হ্যাং করলে আমরা সাথে সাথে যে ভুলটা করি তা হলো বার বার মোবাইলের ওপর প্রেশার দিতে থাকি। ফলে মোবাইল স্বাভাবিক হওয়া তো দূরের কথা আরও বেশি হ্যাং হয়ে যায়। কেননা মোবাইল এর সিস্টেম তখন আর কোনো ইনপুট নিতে পারে না। ফলে আপনি যতোই চেষ্টা করুন না কেন এটি আর স্বাভাবিক ভাবে কাজ করে না।
তাই যখনই দেখবেন মোবাইল হ্যাং করছে সাথে সাথে মোবাইলটি হাত থেকে রেখে দিন। কিছুক্ষণ এভাবে রেখে দিলে মোবাইল পুনরায় কাজ করা শুরু করবে। তাড়াহুড়ো করলে মোবাইল আপনার চলমান কাজের পুরো সিস্টেম থেকে বের করে দিতে পারে।
মোবাইল হ্যাং করার পরেও বার বার মোবাইল স্ক্রিনে ক্লিক করলে কোনো সিস্টেমই কাজ করবে না। অনেক সময় দেখা যায় খুব দ্রুত কাজ করার জন্য আমরা বার বার একই অপশনে ক্লিক করতে থাকি। ফলে সঠিক দিকনির্দেশনা না মেনে মোবাইল আপনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত ফাংশনে নিয়ে যেতে পারে। বেশিরভাগ সময় অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য ডিলিট হওয়ার চান্স-ও থাকে।
তাই যখন দেখবেন মোবাইল হ্যাং করছে তখন একটি ক্লিক করার পরে অপেক্ষা করবেন। আপনার প্রথম ক্লিক অনুযায়ী মোবাইলের স্ক্রিন পরিবর্তন হলে পরবর্তী ক্লিক করবেন। এভাবে ঠান্ডা মাথায় কাজ না করলে কম স্টোরেজ এর মোবাইল ব্যবহার করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
আমাদের বেশিরভাগ সময় কম স্টোরেজ এর মোবাইলেও ভাড়ী App ব্যবহার করে থাকি। এখানে ভাড়ী App বলতে বেশি স্টোরেজ এর App কে বোঝানো হয়েছে। এই App মোবাইল স্টোরেজ এর অনেক জায়গা দখল করে ফেলে। তাই মোবাইল অনেক ধীর গতিতে কাজ করা শুরু করে। তাই এই ধরনের ভাড়ী App ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
প্লে স্টোরে প্রতিটি ভাড়ী App এর লাইট ভার্সন পাওয়া যায়। চাইলে বিকল্প হিসেবে এই লাইট App ব্যবহার করতে পারেন। যেমন: ফেসবুক লাইট, মেসেঞ্জার লাইট, টিকটক লাইট ইত্যাদি। এই App গুলো তুলনামূলক অনেক কম স্টোরেজ এর হয়ে থাকে কিন্তু সার্ভিস প্রায় একই।
একটা বিষয় হয়তো অনেকেই লক্ষ করে থাকবেন যে মোবাইলে ইন্টারনেটে সংযোগ করার সাথে সাথেই এটি খুব স্লো কাজ করতে থাকে। কারণ ইন্টারনেটে চালিত প্রতিটি App তখন একই সাথে কাজ করতে শুরু করে। আর কম স্টোরেজ এর মোবাইলে একই সাথে সকল App চলমান থাকলে মোবাইল হ্যাং করা শুরু করে। তাই অফলাইনে করা যায় এমন কোনো কাজ করার সময় অবশ্যই আপনার মোবাইলের ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে নিন।
ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকলে শুধুমাত্র একটি কিংবা দুটি App চলমান থাকবে। বাকিগুলো নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকবে। ফলে যে কোনো কাজ খুব সহজে এবং দ্রুত করতে পারবেন।
আপনার মোবাইল স্টোরেজ যতো খালি থাকবে মোবাইল ততোই ভালোভাবে কাজ করবে। অর্থাৎ মোবাইল হ্যাং করবে না। তাই ডিভাইসে যতোটা সম্ভব কম ডাটা রাখার চেষ্টা করুন। সুতরাং অপ্রোয়জনীয় যে কোনো ছবি, ভিডিও ফাইল ডিলিট করে দিন। যে App গুলো আপনার কাজে লাগছে না তা আনইন্সটল করে দিন।
অর্থাৎ যতোটুকু না রাখলেই নয় ঠিক ততোটুক ডাটা মোবাইলে রাখবেন। এভাবে স্টোরেজ কম খরচ হবে ফলে মোবাইল হ্যাং করবে না। তাই এখনই আপনার মোবাইল এর অপ্রোয়জনীয় সকল ডাটা খুঁজে বের করে ডিলিট করে দিন।
মোবাইল হ্যাং হওয়া নিয়ে যাদের সমস্যা ছিল আশাকরি কিছুটা হলেও সমাধান পেয়েছেন। আসলে মোবাইল একটু পুরোনো হয়ে গেলে হ্যাং করবেই। তাই একটু টেকনিক খাটিয়ে কাজ করাটাই শ্রেয়।
আমি শারমিন আক্তার। শিক্ষার্থী, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গাজীপুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 115 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 6 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।