কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভাল আছেন। অনেকদিন পর একটি টিউন লিখছি। এই টিউনে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব মোবাইল আসক্তির কুফল ও এর প্রতিকার সম্পর্কে। প্রত্যেকটা মোবাইল ব্যবহারকারীর উচিত এই বিষয়গুলো জেনে নেওয়া।
বর্তমানে মোবাইল আমাদের জন্য একটা আশীর্বাদ। আমরা সবাই বিভিন্ন প্রয়োজনে মোবাইল ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এর কিছু কুফলও রয়েছে। কিছু কিছু মানুষ দেখা যায় সব সময় মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকে। এক কথায় তারা মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে যায়। এই মোবাইলের প্রতি আসক্তির কিছু কুফল রয়েছে। যা আমাদের স্বাস্থ্যের এবং মানসিক ক্ষতি করে।
অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করার ফলে আমাদের শারীরিক ও মানসিক নানাবিধ সমস্যা হতে পারে। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ পরে আমাদের চোখের উপর। অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করলে আমাদের চোখের উপর অনেক বেশি ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। এছাড়াও এটি আমাদের ঘুমের সমস্যা ও করে। এই মোবাইলে অতিরিক্ত সময় কাটানোর জন্য আমরা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ করার সুযোগ পায় না। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন রকমের সমস্যা। চলুন এবার জেনে নিব এর প্রতিকারের কিছু উপায়।
মোবাইল যদিও আমাদের অনেক উপকারে আসে কিন্তু এর অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের জন্য খারাপ কিছু বয়ে আনে। তাই আমাদের সবার মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তির কিছু উপায় সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। নিচে আমি কয়েকটি টিপস শেয়ার করছি।
আপনি যদি মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার মোবাইল ব্যবহারের একটি সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে। উক্ত সময়ের মধ্যে আপনি নির্দিষ্ট কাজগুলো করে নিবেন। বিশেষ করে বিভিন্ন সোশ্যাল এক বা কারো সাথে যোগাযোগ এগুলো নির্দিষ্ট একটি সময়ের মধ্যে করে ফেলবেন।
আপনার উচিত ফোনের সকল নোটিফিকেশন বন্ধ রাখা। আমাদের মোবাইলে যেহেতু আমরা বিভিন্ন সোশ্যাল অ্যাপ্স ব্যবহার করে থাকি সেহেতু আমাদের ফোনে বিভিন্ন নোটিফিকেশন আসে। যখন আমরা কোন একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ দেই তখন যদি কোন একটি নোটিফিকেশন আসে তখন আমরা ওই কাজটি ফেলে নোটিফিকেশনে মনোযোগ দিব। এছাড়াও আমরা যদি নোটিফিকেশন চেক করতে যাই তাহলে ওইদিকে অনেক সময় নষ্ট করে ফেলি।
আপনি চাইলে আপনার ফোনের জন্য একটি অ্যাপ ট্রেকার ব্যবহার করতে পারেন। এই অ্যাপ ট্র্যাকারগুলো মতন আপনি জানতে পারবেন কোন অ্যাপসে আপনি বেশি সময় কাটাচ্ছেন। এর হিসাব অনুযায়ী আপনি বেশি সময় কাটানো অ্যাপস গুলোর প্রতি মনোযোগ কমাতে পারেন। বর্তমানে অনলাইনে অনেক এক চাকার অ্যাপ রয়েছে। আপনি যে কোন একটি ব্যবহার করতে পারেন।
আপনার উচিত একটি মোবাইল মুক্ত জোন তৈরি করা। হত্যার আপনার চারপাশটা মোবাইল ভক্ত রাখুন। বিশেষ করে বেডরুম, খাওয়ার রুম, পড়া রুম ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলো থেকে মোবাইল ধরে রাখুন।
সব সময় চেষ্টা করবেন নিজেকে অন্যান্য কাজে যোগ ব্যস্ত রাখতে। আপনি যদি অন্য কোন কাজে ব্যস্ত থাকেন তাহলে মোবাইল ব্যবহার করার সময়টা কম পাবেন। এতে করে আপনার মোবাইলের প্রতি আসক্তি অনেকটা কমে যাবে।
আপনি যদি নিজে থেকে মোবাইল আসক্তি কমাতে না পারেন তাহলে আপনি চাইলে পরিবারের কারো সাহায্য নিতে পারেন। কারো সাথে আপনার এই সমস্যার কথা আলোচনা করুন। তারপর তাকে বলুন আপনাকে সাহায্য করতে।
উপরের টিপস গুলো অনুসরণ করে আপনি খুব সহজে আপনার মোবাইল আসক্তি কমাতে পারবেন। আশাকরি আপনার পোস্টটি ভালো লাগবে। এছাড়াও বিভিন্ন মোবাইল টিপস পেতে আমার ওয়েবসাইটে ঘুরে আসতে পারেন। আমি আমার ব্লগে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মোবাইল টিপস এবং দরকারি সব অ্যাপস নিয়ে আলোচনা করি।
আমার ব্লগ: মোবাইল প্রযুক্তি
ফেসবুক পেইজ: মোবাইল প্রযুক্তি - টিপস এন্ড ট্রিকস
আমি রুদ্র অনিক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 74 টি টিউন ও 7 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 8 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।