আমরা যখন আমাদের ব্যক্তিগত কাজের জন্য একটি কম্পিউটার কিনতে চাই, তখন আমরা ভাবতে থাকি যে, আমরা ডেস্কটপ কিনব নাকি ল্যাপটপ? একটি নতুন কম্পিউটার কেনার ক্ষেত্রে অনেকেরই পছন্দ থাকে ডেস্কটপ কম্পিউটার। আবার এমন অনেকেই রয়েছেন, যারা কোন একটি সুবিধার জন্য ল্যাপটপ বাছাই করে। যাইহোক, আপনি যদি একটি নতুন কম্পিউটার কিনতে চান, তাহলে আপনিও হয়তোবা ভাবছেন যে, Laptop বা Desktop এর মধ্য থেকে কোনটি বেছে নিবেন।
একটি ডেস্কটপ কম মূল্যে সর্বাধিক পারফরমেন্স সমৃদ্ধ কম্পিউটার সরবরাহ করতে পারে, অন্যদিকে একই পারফরমেন্সের ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে অধিক মূল্যের প্রয়োজন হবে। তবে আপনি যদি ডিভাইসটির বহনযোগ্যতাকে সবকিছুর উপরে বিবেচনা করেন, তাহলে আপনার জন্য একটি ল্যাপটপ বেছে নেওয়া যৌক্তিক পছন্দ হবে। আর এই সুবিধার বাহিরে, সকল ক্ষেত্রে আপনার জন্য একটি Desktop Computer কেনা উচিত হবে, কেননা এটি সামগ্রিকভাবেই আপনাকে ভালো পারফরম্যান্স দিতে পারে।
যাইহোক, এবার একটি ল্যাপটপ বাদ দিয়ে কেন ডেস্কটপ কম্পিউটার বেছে নেওয়া উচিত এবং ল্যাপটপের চাইতে ডেস্কটপ উন্নত বা ভালো হওয়ার দশটি কারণ নেয়ার আলোচনা করব।
একটি Desktop Computer কেনার অন্যতম কারণ হলো, এটির Power বা ক্ষমতা। আর অন্যদিকে একটি ল্যাপটপের কথা বিবেচনা করলে, এটিতে ডেস্কটপ কম্পিউটারের মত পারফরম্যান্স পাওয়া সম্ভব নয়। যদিও একটি ল্যাপটপ অনেক শক্তিশালী করে তৈরি করা হয়। তবে এটির পাওয়ারের সীমা রয়েছে, কেননা এখানে প্রতিটি কম্পোনেন্টকে ছোট একটি ডিভাইসের ফিট করা হয়।
Top-of-the-line Performance শুধুমাত্র Desktop Computer থেকেই পাওয়া যায়। আর আপনি যদি কোন একটি ডেস্কটপ কম্পিউটারের মত অনুরূপ পারফরমেন্সের ল্যাপটপ চান, তাহলে সেই অভিন্ন পারফরমেন্সের জন্য আপনাকে উল্লেখযোগ্য ভাবে অনেক বেশি অর্থ খরচ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার বাজেট যদি কম হয়, তাহলে অবশ্যই ভালো পারফরমেন্সের কথা বিবেচনা করে হলেও একটি ডেস্কটপ বাছাই করে নেওয়া উচিত।
তবে এটি লক্ষণীয় যে, আপনি কম্পিউটারে কী করতে চান, সেটির উপর শক্তির গুরুত্ব নির্ভর করবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি শুধুমাত্র ওয়েব ব্রাউজ, ভিডিও দেখা এবং ওয়ার্ড প্রসেসিং করতে চান, তাহলে ডেস্কটপ কম্পিউটার আপনাকে ল্যাপটপের চাইতে তেমন কোনো ভালো সুবিধা দিতে পারে না। এই ধরনের টাস্ক গুলো একটি ল্যাপটপ দিয়েই ভালোভাবে করা যায়। তবে, আপনি যদি এর চাইতে আরো বড় টাস্ক করে থাকেন, তাহলে আপনাকে ডেস্কটপ কম্পিউটারের দিকে যেতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং গেমিং এর মত হেভি কাজগুলো কম্পিউটার ব্যবহার করে করতে চান, তাহলে অধিক পাওয়ার জন্য প্রথমেই একটি Desktop Computer বাছাই করে নিন। এই ধরনের কাজগুলোর ক্ষেত্রে, একটি ল্যাপটপের চাইতে ডেস্কটপ কম্পিউটার সর্বদা ভালো হবে। এমনকি আমি দেখেছি যে, Desktop Computer এর চাইতে বেশি কনফিগারেশন এর ল্যাপটপ, ডেস্কটপ কম্পিউটারের তুলনায় কম পারফর্ম করে।
একটি ল্যাপটপের চাইতে ডেস্কটপ সেরা হওয়ার পেছনে আরো একটি অন্যতম কারণ হলো, ডেস্কটপ কম্পিউটার ল্যাপটপের তুলনায় উল্লেখযোগ্য ভাবে অনেক সস্তা। অর্থাৎ, আপনি যেই দামে একটি Desktop Computer কিনতে পারবেন; একই দামে একই কনফিগারেশনের Laptop কিনতে পারবেন না। আমরা যদি একটি ল্যাপটপ এবং ডেস্কটপ কম্পিউটারের কনফিগারেশন তুলনা করে দাম বিবেচনা করি, তাহলে একই কনফিগারেশন এর জন্য ল্যাপটপের তুলনায় প্রায় অর্ধেক দামে ডেস্কটপ কম্পিউটার পাওয়া সম্ভব।
একটি কম্পিউটার কেনার সময় যদি আপনার বাজেটের পরিমাণ কম থাকে, তাহলে ব্যয় করার সময় আপনাকে অবশ্যই এই বিষয়টি বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি চাইলে একই টাকা খরচ করে অধিক Powerful Component দিয়ে একটি ডেস্কটপ ক্রয় করতে পারবেন। একটি কম্পিউটার কেনার সময় আপনি অবশ্যই দামের এই পার্থক্যটি বিবেচনা করুন এবং আপনার জন্য বেস্ট কম্পিউটার টি বেছে নিন।
আপনি যদি বাড়িতে ব্যবহার করার জন্য একটি পিসি ক্রয় করতে চান, তাহলে আমি আপনাকে অবশ্যই একটি Desktop Computer নিতে বলবো। কেননা, এটির দাম Laptop এর চাইতে অনেক কম হবে এবং এটিতে পারফরম্যান্স ও অনেক ভালো পাবেন। তাই, একটি ল্যাপটপের তুলনাই ডেস্কটপ এর দামের দিকটি বিবেচনা করে হলেও, আপনাকে একটি ডেস্কটপ নেয়া উচিত।
যদিও একটি ল্যাপটপ আপনাদের জন্য সুবিধাজনক, যখন যখন আপনি সেটি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু, আপনি যখন আপগ্রেড করতে চাইবেন, তখন এর বিপরীতটি হয়ে থাকে। আপনি যখন একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার আপডেট করতে চাইবেন, তখন শুধুমাত্র পিসির Cable এবং Case টি খুলে যেকোনো কম্পোনেন্ট যুক্ত করতে পারবেন। ডেস্কটপ এর বিভিন্ন কম্পোনেন্টগুলো এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে করে আপনি সেখানে আরো কিছু কম্পোনেন্ট যুক্ত করতে পারেন এবং যাতে পরবর্তীতে কম্পিউটারটি আপগ্রেড করা যায়।
কিন্তু, অন্যদিকে আপনি ল্যাপটপের ক্ষেত্রে এমন সুবিধা নাও পেতে পারেন। আপনি যেকোনো ল্যাপটপে চাইলেই যেকোন Component লাগাতে পারবেন না। একটি ল্যাপটপকে আপগ্রেড করার ক্ষেত্রে আপনাকে উল্লেখযোগ্য কিছু সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি চাইলেই কিন্তু সকল ল্যাপটপে SSD অথবা অতিরিক্ত কোন হার্ডডিস্ক লাগাতে পারবেন না। আপনার ল্যাপটপটিতে যদি অতিরিক্ত কোন SSD Slot না থাকে, তাহলে আপনি বেশি পারফরমেন্সের জন্য এসএসডি লাগাতে পারছেন না। একইভাবে, ল্যাপটপ টিতে চাইলেই কোন এক্সট্রা গ্রাফিক্স কার্ড লাগানো ও সম্ভব নয়।
আসলে, একটি ল্যাপটপে অনেক কিছু ইন্সটল করা কঠিন করে তোলে। একটি ল্যাপটপকে চাইলেই ডেস্কটপ কম্পিউটারের মত খুব সহজেই আপগ্রেড করা যায় না। তাই আপনি যদি প্রথমে কম দামে একটি কম্পিউটার কিনতে চান এবং পরবর্তীতে সেটিকে আপগ্রেড করার পরিকল্পনা করেন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার কেনা উচিত। এটিকে আপনি যথেষ্ট আপগ্রেড করার সুযোগ পাবেন, যা ল্যাপটপের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়।
যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস চালানোর সময় সেটি যেকোনো সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর আমাদের ব্যবহৃত ডেস্কটপ কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ও এর বিপরীত নয়। যেকোন সময় আমাদের ব্যবহৃত এ ধরনের ডিভাইস গুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে, যেগুলো আমাদের তাৎক্ষণিক মেরামতের প্রয়োজন পড়ে। এক্ষেত্রে যখন একটি Laptop নষ্ট হয়ে যায়, তখন আমাদেরকে সেটি আবার রিপেয়ার করার প্রয়োজন দেখা দেয়।
এক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুসারে ল্যাপটপের কোন পার্টস মেরামত করতে হয় কিংবা সেটি রিপ্লেস করার প্রয়োজন পড়ে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ল্যাপটপের যদি কোন একটি Component ভেঙ্গে যায়, তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই সেটি রিপ্লেস করার প্রয়োজন হয়। কিন্তু, একটি ডেস্কটপ কম্পিউটারে আপনি যেভাবে খুব সহজেই যেকোন পার্টস খুলে লাগাতে পারতেন, একটি ল্যাপটপের ক্ষেত্রে সেটি করতে পারবেন না। একটি ডেস্কটপের ক্ষেত্রে, কোন ব্যক্তি নূন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান নিয়েই নিজের কম্পিউটারকে কিছুটা মেরামত করতে পারে।
অন্যদিকে, একটি ল্যাপটপের ক্ষেত্রে এটি অনেক চ্যালেঞ্জিং কাজ হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায়, ল্যাপটপ খোলার সময়, যেকোনো একটি Component ভেঙ্গে গিয়েছে বা নষ্ট হয়েছে। আর অনেকের ক্ষেত্রে, Individual Components সমূহ Replaced করা সম্ভবও হয়ে ওঠে না। তাই, একটি কম্পিউটার কেনার পর সেটি পরবর্তীতে নষ্ট হয়ে গেলে, সেটি মেরামতের কথা বিবেচনা করে হলেও একটি Desktop Computer নেওয়া উচিত। আপনি যদি একটি ডেস্কটপ নেন, তাহলে পরবর্তীতে কম্পিউটারের কোন সাধারণ সমস্যার জন্য খুব সহজেই সেটির সমাধান করতে পারবেন।
একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার কে চাইলেই দীর্ঘক্ষণ ধরে চালু করে রাখা যায়। দীর্ঘ সময় কম্পিউটার চালানোর জন্য বা দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার জন্য একটি Desktop Computer সর্বোত্তম হবে। যারা দীর্ঘক্ষণ ধরে কাজ করতে চান বা যারা তাদের কম্পিউটারকে সার্ভার হিসেবে ব্যবহার করতে চান, তাদের জন্য ডেস্কটপ হল একটি বড় কার্যকর সমাধান। একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার ঘণ্টার পর ঘণ্টা চালু থাকতে পারে এবং এতে কোন সমস্যা হয় না।
অন্যদিকে, একটি ল্যাপটপকে ও অনির্দিষ্টকালের জন্য এভাবে চালু করে রেখে দেওয়া যেতে পারে। তবে, এটিকে এই উদ্দেশ্যে ডিজাইন করা হয়নি। আপনি যদি Laptop ব্যবহার করে এমনটি করেন, তাহলে সেটির হার্ডওয়্যারে ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। তাই, আপনার কাজ যদি হয় দীর্ঘ সময়ের এবং কম্পিউটারটি যদি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য চালু করে রাখতে হয়, তাহলে Desktop Computer আপনার পছন্দের তালিকার প্রথমে থাকা উচিত। কেননা, এটি দীর্ঘক্ষণ চালু থাকলেও সমান পারফরমেন্স এবং অক্ষত থাকবে।
একটি ল্যাপটপকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া খুবই সহজ। আর এ কারণে, চোরদের কাছে এই ডিভাইসটি চুরি করা একটি জনপ্রিয় কাজ। অন্যদিকে একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার বহন করা প্রায়ই অনেক কঠিন এবং কেউ চাইলেই এটির সম্পূর্ণ সেট চুরি করতে পারবে না। যদিও একটি ডেস্কটপ কম্পিউটারের আলাদা আলাদা কম্পোনেন্ট চুরি করতে পারে, তবে সেগুলো নেওয়ার মাধ্যমে আপনার তেমন কোন ক্ষতি করতে পারবে না। কিন্তু, একটি ল্যাপটপ যেকোন ব্যক্তি চাইলেই চুরি করে নিয়ে যেতে পারে এবং আপনি অনেক বড় আর্থিক সম্মুখীন হবেন। যাইহোক, যেকোনো ডিভাইস ই চুরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সর্বক্ষেত্রে আমাদের সাবধান থাকতে হয়।
তবে, যখন আপনি বাহিরে যান এবং কোন পাবলিক প্লেস ব্যবহার করেন, তখন ল্যাপটপ চুরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনি এ ধরনের জায়গাগুলোতে ল্যাপটপ চুরি রোধ করার জন্য ব্যাগে লক করে রাখতে পারেন, তবে এমনটি করলে সেটি বহন করা এবং অন্যান্য সুবিধা ও হ্রাস পায়।
আপনি যদি খুবই শখ করে একটি ল্যাপটপ কিনতে চান এবং সেটিকে হারানোর ভয় থেকে নিরাপদ করতে চান, তাহলে প্রথমেই একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার কিনে নিন। যেখানে এটি আপনার বাড়িতে কোন একটি রুমের ভেতরে সেটআপ করা থাকবে এবং এটি বাহিরের মানুষ দ্বারা চুরি করা প্রায় অসম্ভব। আপনি যদি বাড়িতে কম্পিউটার ব্যবহার করতে চান, তাহলে আপনি এক্ষেত্রে ডেস্কটপ কম্পিউটার টিই বাছাই করে নিন।
Laptop এবং Desktop কম্পিউটারে কাজ করার সময় এটির ভেতরে থাকা কুলিং ফ্যান থেকে কিছুটা শব্দ উৎপন্ন হয়। তবে, কম্পিউটারে এই নয়েজ উৎপন্ন এবং সেটি নির্গমনের ক্ষেত্রে ডেস্কটপ অনেক ভালো পারফর্ম করে। আপনি যদি এমন কোন ডেস্কটপ কিনতে চান, যেটি সম্পূর্ণভাবে Silent কাজ করবে, তাহলে এটি খুঁজে পাওয়া কঠিন নয়। এর কারণ হলো, আপনি একটি ডেস্কটপে কোন নয়েজ যুক্ত না করে, সেটির ভেতরে প্রয়োজনীয় জায়গাগুলোতে ফ্যান ইন্সটল করতে পারবেন। আর, একটি ডেস্কটপে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কুলিং ফ্যান লাগানোর জন্য যথেষ্ট জায়গা থাকে।
কিন্তু, অন্যদিকে আপনি ল্যাপটপের ক্ষেত্রে এর বিপরীত টি দেখবেন। একটি ল্যাপটপে তো আপনি কোন অতিরিক্ত ফ্যান লাগাতেই পারবেন না, অন্যদিকে সেখানে থাকা ফ্যানের মাধ্যমে ও অতিরিক্ত শব্দ তৈরি হতে পারে। একটি ল্যাপটপে Install করা ফ্যানগুলো প্রাথমিকভাবে সেগুলোর সাইজের উপর বেছে নেওয়া হয়। এর ফলে, অনেক ল্যাপটপে Resource-Intensive Application চালানোর সময় সেগুলো অনেক শব্দ তৈরি করে। আর এর কারণ হলো, ল্যাপটপ দিয়ে High Task করার সময় সেটি অনেক বেশি হিট জেনারেট করে এবং সেটি ঠাণ্ডা করার জন্য ফ্যান ও স্পিডে ঘুরে।
একটি ডেস্কটপে বিভিন্ন ধরনের পোর্ট রয়েছে। এটিতে আপনি যত পোর্ট চান, সেগুলোর সমস্তই পাবেন। আর যদি আপনার কম্পিউটারে কোন একটি নির্দিষ্ট পোর্ট পাওয়া না যায়, তাহলে সেটি যোগ করাও সম্ভব হতে পারে।
অন্যদিকে ল্যাপটপের ক্ষেত্রে আপনি এ ধরনের Flexibility পাবেন না। একটি Laptop সবসময় খুবই ছোট করে ডিজাইন করা হয়, আর যেকারণে এটিতে অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আর এই জায়গা স্বল্পতার কারণে, এখানে অনেক বিকল্প পোর্ট থাকে না। কিন্তু, আপনাকে যদি নতুন কোন পোর্টের মাধ্যমে কোন একটি ডিভাইসকে কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত করতে হয়, তাহলে ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় আপনি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
তাই এখন থেকেই বিবেচনা করুন, যদি আপনাকে আপনার ল্যাপটপে বিভিন্ন পোর্ট লাগানোর প্রয়োজন পড়ে এবং আপনার কাজ থাকে ভিন্ন ভিন্ন, তাহলে ল্যাপটপের চাইতে ডেস্কটপ ভালো হতে পারে। যদিও ল্যাপটপে ও পোর্ট সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি USB Port সংখ্যা বাড়াতে চান, তাহলে একটি USB Hub কিনে নিয়ে লাগালেই হবে। কিন্তু তবুও, একটি Desktop Computer আপনাকে প্রথম থেকেই যেসব Port অফার করবে, তা একটি ল্যাপটপের ক্ষেত্রে পাবেন না।
আমরা একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার মনিটর কেনার সময় সর্বদাই বড় ডিসপ্লে খুঁজে থাকি। কেননা, এখানে কম্পিউটারের আউটপুট অনেক বড় করে দেখা যায় এবং আমাদের ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ও ভালো হয়। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ল্যাপটপের স্ক্রিন গুলোতে উল্লেখযোগ্য ভাবে অনেক উন্নতি হয়েছে। ল্যাপটপ গুলোতে ১৭ ইঞ্চি স্ক্রিন এখন সাধারণ ব্যাপার এবং এ ধরনের ল্যাপটপগুলোতে এত বেশি পিক্সেল রয়েছে যে, আপনি একই সাথে একাধিক ট্যাব এবং প্রোগ্রাম ওপেন করে আরামেই কাজ করতে পারবেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও, Laptop গুলো তাদের স্ক্রিনের আকার দিয়ে ডেস্কটপের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে না।
কোন ব্যক্তি চাইলেই যে কোন একটি Desktop কম্পিউটারকে নিজের ইচ্ছামত স্ক্রিন দিয়ে সাজাতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, ডেস্কটপগুলো উল্লেখযোগ্য-ভাবে অনেক বড় স্ক্রিনের হয় এবং সেগুলো সাধারণত ২০ ইঞ্চি থেকে শুরু হয়। কিন্তু, একটি ল্যাপটপের ক্ষেত্রে অধিক বড় স্ক্রিন পাওয়া সম্ভব নয়। এটির স্ক্রিন স্বাভাবিক ভাবেই অনেক ছোট হবে।
যদিও আপনি একটি ল্যাপটপে External Monitor যুক্ত করতে পারবেন, তবে আপনি সেই মনিটরটি কিন্তু সকল জায়গায় বহন করতে পারবেন না। অনেকেই Portability সুবিধার জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ল্যাপটপ ক্রয় করে থাকে। তবে আপনার বাড়িতে কম্পিউটারে কাজ করার জন্য যদি বড় স্ক্রিনের প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনি প্রথমেই Laptop বাদ দিয়ে Desktop বেছে নিন। ল্যাপটপের ডিসপ্লের কথা বিবেচনা করলে, ডেস্কটপ সর্বদাই ভালো হবে।
আমরা যখন একটি ল্যাপটপ ক্রয় করি, তখন আমাদের সামনে বিভিন্ন কনফিগারেশনের Laptop বাছাই করে নেওয়ার সুযোগ থাকে। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন কনফিগারেশনের ল্যাপটপ বিক্রি হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ম্যানুফাকচাররা তাদের ল্যাপটপে RAM এবং Hard Drive এর ভিত্তিতে অনেক বিকল্প মডেল সরবরাহ করে। অর্থাৎ, আপনি Ram অথবা হার্ডডিস্ক কমবেশি অনুযায়ী একটি Laptop বাছাই করে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। যেখানে, আপনি মূলত সেসব মেনুফ্যাকচারদের দেওয়া একটি নির্দিষ্ট তালিকা থেকে ল্যাপটপটি বেছে নিচ্ছেন।
কিন্তু, আপনার যদি তাদের তালিকাতে থাকা ল্যাপটপগুলোর ভেতরে কোন একটি স্পেসিফিকেশন পছন্দ না হয়, তাহলে আপনার কিছু করার থাকবে না। অন্যদিকে আপনি যদি একটি ডেস্কটপ বেছে নেন, তাহলে আপনি সেখানে নিজের মত করে সকল হার্ডওয়্যার বাছাই করে নিতে পারছেন। এখানে আপনি প্রত্যেকটি কম্পোনেন্ট বাছাই করে নেওয়ার সুযোগ পাবেন, এতে করে আপনি আপনার মনের মত করে কম্পিউটার ডিজাইন করতে পারবেন। আর এর ফলে, আপনার প্রয়োজন অনুসারে ডেস্কটপ কম্পিউটার তৈরি করা সম্ভব হবে।
প্রত্যেক ব্যক্তিই তার প্রয়োজন অনুযায়ী নিজের কম্পিউটার কাস্টমাইজেশন করে নিতে চায়। ডেস্কটপ কম্পিউটারের ক্ষেত্রে আপনি এরকমই সুবিধা পাবেন। আপনি চাইলেই আপনার ইচ্ছামত যেকোন একটি হার্ডওয়্যার স্পেসিফিকেশন বেশি নিতে পারবেন অথবা কোনটি কম নিতে পারবেন। অন্যদিকে, ল্যাপটপের ক্ষেত্রে এই সুবিধাটি পাওয়া সম্ভব নয়। সেখানে আপনাকে তাদের দেওয়া লিস্ট থেকে যেকোন একটি ল্যাপটপকে বাছাই করে নিতে হবে, আর যেখানে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী হার্ডওয়্যার সামগ্রী নাও থাকতে পারে।
তাই, একটি কম্পিউটার কেনার সময়, আপনি নিজের ইচ্ছার কথা বিবেচনা করে ডেস্কটপ কম্পিউটার বেছে নিতে পারেন।
ল্যাপটপ গুলো সর্বদাই অত্যন্ত Probable এবং এজন্য কিছু লোকের কাছে এটি অবশ্যই পছন্দের একটি ডিভাইস। তবে আপনার যদি এমন একটি কম্পিউটারের প্রয়োজন হয়, যা প্রায় সপ্তাহ জুড়ে বিভিন্ন স্থানে ব্যবহার করা লাগতে পারে, তাহলে এক্ষেত্রে ডেস্কটপ কম্পিউটার অবশ্যই অনুপযুক্ত হবে। কেননা, এটিকে চাইলেই খুব সহজে এক এখান থেকে অন্য স্থানে বহন করার সহজ নয়।
এছাড়াও, ল্যাপটপ বেশি নেওয়ার জন্য আরও একটি যুক্তি প্রযোজ্য হতে পারে। আপনার বাসায় যদি জায়গা স্বল্প হয়, তাহলে আপনি হয়তোবা কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, একটি ডেস্কটপ এর জন্য অবশ্যই একটি ডেস্ক প্রয়োজন, যেখানে একটি ল্যাপটপ যেকোন জায়গায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
যদিও নির্দিষ্ট কিছু সমস্যার কারণে একটি Desktop Computer বাছাই করে নেওয়া খারাপ সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে, উল্লেখযোগ্য সুবিধার কারণে বেশিরভাগ মানুষের জন্য ডেস্কটপ হলো একটি ভালো অপশন। এটি আপনাকে সর্বনিম্ন মূল্যে সর্বাধিক পাওয়ার সরবরাহ করতে পারে, এটিকে আপগ্রেড বা মেরামত করা সহজ এবং এটি দিয়ে বেশিরভাগ কাজ সম্পাদন করা সহজ হয়। সেক্ষেত্রে সবদিক থেকে বিবেচনা করলে, একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার সবসময় একটি ল্যাপটপ কম্পিউটারের চাইতে ভালো হয়।
আমাদের প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে একটি ডেস্কটপ অথবা একটি ল্যাপটপ বাছাই করে নিতে হয়। তবে, আমরা যদি একটি ল্যাপটপ বেছে নিই, তাহলে সেখানে কিছু লিমিটেশন থাকে এবং যেকারণে পরবর্তীতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। আর একটি কম্পিউটার কেনার আগে আমরা যদি এসব বিষয়গুলোর কথা একবার বিবেচনা করি, তাহলে শুরুতেই ল্যাপটপকে বাদ দিয়ে একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার নিতে পারব।
তবে, এটির সবটিই নির্ভর করছে আমাদের চাহিদার উপর। উদাহরণস্বরূপ, কারো ডেস্কটপ কম্পিউটার নিলে বহন করতে অসুবিধা হবে এবং যেকারণে তিনি ল্যাপটপ বাছাই করে নিবেন। তবে, একটি কম্পিউটারের পারফরম্যান্স এবং ভবিষ্যৎ আপগ্রেড এর কথা বিবেচনা করে নিজের কাজের জন্য Laptop এর চাইতে Desktop সবসময় ভালো হবে। আজকের এই টিউটিতে মূলত একটি Desktop Computer কেন ল্যাপটপ এর চাইতে ভালো, সেটি সম্পর্কে কয়েকটি কারণ নিয়ে আলোচনা করলাম। আশা করছি যে, এসব বিষয়গুলো বিবেচনা করার মাধ্যমে আপনি একটি ল্যাপটপ অথবা একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার বাছাই করার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। ধন্যবাদ, আসসালামু আলাইকুম।
আমি মো আতিকুর ইসলাম। কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 421 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 62 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
“আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।” —হযরত মোহাম্মদ (সঃ)