আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আসা করি ভাল। কারন, আমি ভাল নেই। জ্বর হাঁচি কাশি সব একসাথে ধরসে আমাকে।
এর আগে মাউসের উপর একটা লেখা লিখে অনেক সমালচিত হয়েছিলাম। একজন বলেছিল ফালতু টিউন। এই লেখার জন্য যে জুতা খেতে হবে এই ব্যপারে মোটামুটি সিওর।
আমরা বাংলাদেশি কম্পিউটার ইউজাররা খুবই স্মার্ট। কারন আমরা সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক উইনডোজ ইন্সট্রল করি। তবে এতে আমাদের কোনই সমস্যাই হয়না। জদিও অনেক ডাটা ও সময় এতে নষ্ট হয়।
আসুন দেখি কেন আমরা উইনডোজ ইন্সট্রল করি। আমারা প্রায়ই কম্পিউটার অন করার পরে দেখি কোন কিছুই কাজ করতেসে না অথবা সব কিছু খুবই স্লো বা কম্পিউটার চালুই হচ্ছে না! তাই আমরা বাধ্য হয়েই নিয়মিত উইনডোজ ইন্সট্রল করি। কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার সফটওয়্যার নিয়মিত আপডেট হচ্ছে এবং ইন্টারনেটের স্পিড বারছে আমাদের সময় বাঁচানোর জন্য। যেই সময়টুকু বাঁচল সেই সময়টুকু আমরা ব্যয় করি উইনডোজ ইন্সট্রল করতে। এতে দোষের তো কিছু নেই তাই না। 😀
আসুন এইবার দেখি আমরা এতো স্মার্ট হওয়ার পরেও কেন কম্পিউটারে এমন হয়। প্রধান কারন কম্পিউটারে কোন এ্যন্টি ভাইরাস নেই বা থাকলেও সেটা ফ্রি এ্যন্টি ভাইরাস। আমরা দুনিয়ার সব সফটওয়্যার ফ্রিতে ক্র্যাক করে ব্যবহার করি আর এ্যন্টি ভাইরাস কিনব ১,০০০/- টাকা খরচ করে! এ্যন্টি ভাইরাস কম্পানিগুলা ফাইজলামির আর জায়গা পায় না! মার্কেটে গিয়ে যখন দেখি ক্ষ্যাত পোলাপাইন গুলা এ্যন্টি ভাইরাসের লাইসেন্স করা সফটওয়্যার কিনতেসে তখন হাসি আর চেপে রাখতে পারিনা। মামুকে জিজ্ঞেস করলেইতো মামু কয়েক কোটি এ্যন্টি ভাইরাসের সিরিয়াল আর ক্র্যাক জোগার করে দিবে। খালি খালি টাকা নষ্ট করে পরিচিত পাবলিক দের কাসে ক্ষ্যাত হওয়ার কোন মানে নাই।
ভাই বা বোন আমার বিশেষ অনুরোধ উপরের লেখার সাথে আপনার কোন রকমের মিল পাওয়া গেলে নিচের লেখা পড়া থেকে বিরত থাকুন। চাইলে অসাধারণ এই ভিডিওটা দেখে আসতে পারেন।
আচ্ছা কখনও কি ভেবেছি ফ্রিতেইতো কত এ্যন্টি ভাইরাসের পাওয়া যায়। ৩০/- টাকার একটা সিডিতে প্রায় ৫/৬ টা প্রফেশনাল এ্যন্টি ভাইরাসের পাওয়া যায়। এর পরেও মার্কেটে ১,০০০/- টাকার এত এ্যন্টি ভাইরাস কেন বিক্রি হয়? মানুষ যতই বড় লোক হোক না কেন ফ্রিতে যদি কোন কিছু পাওয়া যায় তাহলে ফ্রিতেই কিনবে টাকা খরচ করে কিনবে না।
আসুন এইবার দেখি আপনার কম্পিউটারের মূল্য কত এবং কনফিগারেশন কি। ধরলাম অনেক বছর আগের কিনা পেন্টিয়াম 4 কম্পিউটার। মূল্য আনুমানিক ৪০,০০০/- টাকা। যদি ধরি বর্তমানে কেনা (দোয়েল ব্যাতিত) কোন নেটপ্যাড লো কনফিগারেশনের তাও সেটা ২০,০০০/- এর কমতো না। তার পরেও যদি আরও কম দামি সেকেন্ড হ্যান্ড বা থার্ড হ্যান্ড কোন কম্পিউটার আপনি ব্যবহার করে থাকেন তাহলে এই ওয়েবসাইটে এসে আপনার এই লেখা পরার সম্ভাবনা খুবই কম। ১,০০০/- টাকা দিয়ে যদি কেউ লাইসেন্স করা একটা এ্যন্টি ভাইরাস ১ বছরের জন্য কিনে তাহলে তার দৈনিক গড়ে ৩/- টাকার ও কম খরচ হবে! আপনার কম্পিউটারের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য এই পরিমান টাকা কি খুব বেশি হয়ে গেল? আপনি যদি এককালীন নূন্যতম ২০,০০০/- টাকা দিয়ে কম্পিউটার কিনতে পারেন তাহলে ১,০০০/- টাকা দিয়ে তার নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য লাইসেন্স করা একটা এ্যন্টি ভাইরাস কিনতে পারবেন না? আপনার প্রিয় কম্পিউটারের ভালোর জন্য একটু স্মার্টনেস নাহয় কমালেনই!
আমি ব্যক্তিগতভাবে ডাউনলোড করা আর ৩০/- টাকার সিডিতে কেনা প্রায় ৮-১০ টা এ্যন্টি ভাইরাসর ইউস করসি এবং অনেক বার উইনডোজ ইন্সট্রল করসি। আর লাইসেন্স করা তিনটা এ্যন্টি ভাইরাস পান্ডা ক্যাস্পারস্কি নরটন ইউস করসি। কিন্তু এই শয়তান এ্যন্টি ভাইরাসগুলার জন্য কখনও উইনডোজ ইন্সট্রল করার কোন সুজোগ পাইনি। 🙁
আমার এই লেখা যদি আপনাদের ভাল লাগে (না লাগার চান্স ৯৫%) তাহলে আমার এই থার্ড ক্লাস সরি ফোর্ত ক্লাস এই ওয়েবসাইট থেকে ঘুরে আসতে পারেন। ফালতু একটা ব্লগ তৈরি করসি। বাংলায় বানাতে কষ্ট হবে তাই ইংলিশে বানাইসি। আলসেমির চূড়ান্ত পর্যায় বোঝেনইতো। ইন্দুর বিলাই কাউয়া কেউই এই ওয়েবসাইটে ঢুকে না ।
সবাই ভাল থাকবেন। মন্তব্য করতে ভুলবেন না। কোন প্রশ্ন থাকলেও জিজ্ঞেস করবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি upol69। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 62 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ভাই পড়ে ভালই লাগলো। আপনি কি একবার ভেবে দেখেছেন ক্রাক করা উইনডোজে জেনুইন এন্টিভাইরাস কেমন লাগে? ঠিক যেন লুঙ্গিতে কোট পরা।ভাই লিনাক্স ব্যবহার করেন ভাইরাসের চিন্তা থেকে রেহায় পান।উইনডোজের অনেক সফট লিনাক্সে ব্যবহার করা যায়।