ছবি তুলতে এখন আর ফিল্ম শেষ হয়ে যাওয়ার চিন্তা মাথায় না রাখলেও চলে। হাতের ছোট-খাট আধুনিক ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে আপনি এখন অনায়াসেই তুলে ফেলতে পারেন হাজার খানেক ছবি। বিভিন্ন আঙ্গিকের, বিভিন্ন মাত্রার। সহজে বহন উপযোগী ও ফিল্মের ঝামেলা না থাকার কারণে বেশ কয়েক বছর ধরে ডিজিটাল ক্যামেরা এ দেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। খুব দ্রুতই ফিল্ম ক্যামেরা হারিয়ে যেতে শুরু করেছে। এ ধরনের ক্যামেরাও এখন আর দুষ্প্রাপ্য ও দামি কোনো বিষয় নয়। বাংলাদেশের মানুষের ইলেকট্রনিক পণ্যাদি ক্রয়ের তালিকায় শীর্ষ স্থানটিই এই মুহূর্তে দখল করে আছে ডিজিটাল ক্যামেরা। কিন্তু এই ক্যামেরা কেনার সময় কোন কোন বিষয়গুলোর প্রতি আমাদের বেশি মনোযোগী হতে হবে—সে বিষয়ে রয়েছে এক ধরনের অজ্ঞতা। আসুন, আমরা দ্রুত চোখ বুলিয়ে নিই, ডিজিটাল ক্যামেরা ক্রয়ের ক্ষেত্রে আমাদের কোন বিষয়গুলো নজরে রাখা উচিত বা কোন বিষয়গুলো দেখে, পরখ করে একটি ডিজিটাল ক্যামেরা কেনা উচিত।
মেগাপিক্সেল:
আমাদের সবার একটা সাধারণ ধারণা রয়েছে, একটি ডিজিটাল ক্যামেরার মেগাপিক্সেল যত বেশি হবে, ছবির মানও তত ভালো হবে। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। মেগাপিক্সেল কেবল ছবির আকার নির্ধারণ করে। ‘পিকচার এলিমেন্ট’ শব্দদ্বয় থেকেই ‘মেগাপিক্সেল’-এর উত্পত্তি (pixel)। প্রতিটি ডিজিটাল ক্যামেরার প্রায় ৮০ লাখ পিক্সেল থাকে। একটি ৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা দিয়ে ৪ গুণ ৬ ইঞ্চি আকারের একটি ছবি তোলা যাবে। ৮ মেগাপিক্সেল দিয়ে তোলা যাবে ১১ গুণ ১৭ ইঞ্চি আকারের ছবি। ১০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরায় ফুটে উঠবে ১৩ গুণ ১৯ ইঞ্চি আকারের ছবি।
সেনসর
ক্যামেরার ভেতরের একটি ছোট্ট চিপ বিদ্যমান। এই চিপ ছবি রেকর্ডে সহায়তা করে। একে বলা হয় ইমেজ সেনসর। এই ইমেজ সেনসরের ওপরই আপনার তোলা ছবির মান নির্ভর করছে। এই সেনসর ২৫ এমএম২ থেকে ২০০০ এমএম২ মানের হয়ে থাকে। বড় মানের ইমেজ সেনসর সাধারণত এসএলআর ক্যামেরায় থাকে। ইমেজ সেনসরের আকার যত বড় হবে, ছবির মান তত ভালো হবে। ডিজিটাল ক্যামেরার দুনিয়ায় সাধারণত দুই ধরনের ইমেজ সেনসর দেখা যায়। একটি সিসিডি ও আপরটি সিএমওএস। সিএমওএস সেনসর সাধারণত কম ব্যাটারি খরচ করায়। এর গতিও সিসিডির চেয়ে অনেক বেশি।
জুম
ক্যামেরাগুলোর সাধারণ দুই ধরনের জুম থাকে। একটি অপটিক্যাল ও অপরটি ডিজিটাল। এই দুই ধরনের জুমের মধ্যে অপটিক্যাল জুম বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ লেনসের ফোকাল লেংথ পরিবর্তন করে সাবজেক্টকে অনেক কাছে নিয়ে আসে। এতে ছবির মান অটুট থাকে।
ডিজিটাল জুম সাধারণত সফটওয়্যার-নিয়ন্ত্রিত। তবে আমাদের দেশে এখনো ডিজিটাল জুমসংবলিত ক্যামেরা সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরেই রয়েছে।
আইএসও
আইএসও আলোর ব্যাপারে সেনসরের স্পর্শকাতরতা (sensitivity) নির্দেশ করে। উচ্চমাত্রার আইএসও তৈরি করে উচ্চমাত্রার স্পর্শকাতরতা। উচ্চমাত্রার আইএসও দিয়ে আপনি স্ফটিকস্বচ্ছ ছবি তুলতে পারবেন। কিছু ডিজিটাল ক্যামেরা এই আইএসও স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারণ করে নেয়। অনেক ক্যামেরায় ইচ্ছামাফিক আইএসও নির্ণয়ের অপশন থাকে ।
আমাদের সাথে ফেসবুক এ যোগ দিন: CLICK HERE
তথ্যসুত্রে: prothom-alo.com
আমি djuicelife। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 19 টি টিউন ও 69 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Nothing To Say...
Thank you.