আগে এটা নিয়ে আদনান ভাই টিউন করেছেন ১৮ই জুন, ২০১১তে। আদনান ভাই তখন FireBug দিয়ে শিখিয়েছিলেন, আমি তখন এটা চালু করে নিয়ে ছিলাম। গত কয়েকদিন আগে পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখি আমাদের বাংলাদেশ ওই তালিকাতে আছে। তাই ভাবলাম খবরটা জানিয়ে দেই সবাইকে। পুরাতনদের মনে করিয়ে দেওয়া হবে আর নতুনদের কাজে লাগবে। আদনান ভায়ের প্রতি শ্রদ্দা জানিয়ে, আমার আজকের টিউনটি আদনান ভাই কে উৎসর্গ করলাম।
ফিশিং-এর হাত থেকে বাঁচার জন্যই গুগল এই অতিরিক্ত ভেরিফিকেশনের সেবা চালু করেছে। যাতে করে কেউ যদি আপনার গুগলের পাসওয়ার্ড জেনেও যায় তাও সে আপনার গুগল অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারবে না, কারন ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দেওয়ার পরেই আপনার মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে একটি কোড আসবে এবং ওই কোড টা না দিলে গুগল অ্যাকাউন্ট ওপেনও হবে না। তার মানে সোজা হিসাব আপনি ছাড়া বা আপনার আদেশ ছাড়া আর কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না। এই নিয়ে আর বেশি কথা বলব না, কারন ফেসবুকের ২য় স্টেপ ভেরিফিকেশন সবাই কম বেশি ব্যবহার করেন। ব্যবহার না করলেও এই ব্যাপারটা কম-বেশি জানেন। তাই না?
শর্তঃ যারা আগে থেকেই ব্যবহার করছেন তাদের জন্য আর দরকার নাই। আর এসএমএস জন্য কোন টাকা লাগে না। সম্পূর্ণ ফ্রী!
যেভাবে চালু করবেন এটাঃ
আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট ওপেন করুন।
অ্যাকাউন্ট সেটিং-এ ক্লিক করুন, ডানে উপরে। বুঝতে অসুবিধা হলে স্ক্রীন শর্ট দেখুন।
পারসনাল সেটিংস্ এর Using 2-Step Verification-এ ক্লিক করুন।
Start Setup এ ক্লিক করুন।
Choose one এ ক্লিক করে Text Message (SMS) or Voice Call সিলেক্ট করুন।
Country বাংলাদেশ পছন্দ করুন, মোবাইল নম্বর দিন প্রথম ০ ছাড়া।
সেন্ড কোড এসএমএস বা ভয়েজ সিলেক্ট করুন।
সেন্ড কোডে ক্লিক করুন, সেন্ড কোডে ক্লিক করলে আপনার মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে একটা কোড পাবেন।
এসএমএসে প্রাপ্ত কোডটা কোডের জায়গায় বসিয়ে ভেরিফাই এ ক্লিক করুন। কোডটি ভুল হলে লাল কালি দিয়ে জানাবে। পুনরায় সঠিকটা দিন। তারপরেও আপনি যদি মনে করেন যে আপনি ঠিক আছেন অন্য কথাও ভুল হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে সেন্ড কোডে আবার ক্লিক করুন গুগল পুনরায় কোড পাঠাবে। আর সঠিক হলে লেখা আসবে Your Phone Number is Configured.
হয়ে গেলে নেক্সটে ক্লিক করুন।
ব্যাকআপ ফোন নাম্বার দিন। কোন কারনে যদি আপনার আগের ফোনটি নষ্ট বা হারিয়ে যাই সেক্ষেত্রে ব্যাকআপ ফোন দিয়ে কাজ চালাতে পারবেন।
নেক্সটে ক্লিক করুন।
নেক্সট পেজে ব্যাকআপ ১০টা কোড আসবে, এই কোড অবশ্যই অবশ্যই করে প্রিন্ট বা সেভ করে গোপন ফাইলে রাখুন কারন ফোন ছাড়া এই কোডের যেকোন একটি দিয়ে আপনার অ্যাকাউন্টে ঢোকা যাবে। যদি কখনও আপনার দুইটা ফোনই হারিয়ে যায়, আপনি এই ব্যাকআপ কোড দিয়েও ঢুকতে পারবেন। প্রিন্ট বা সেভ করা হয়ে গেলে Yes, I have a copy of my backup verification codes এ সিলেক্ট করে নেক্সটে ক্লিক করুন।
Turn on 2-step verification বাটনে ক্লিক করুন।
এবার আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করুন।
দেখুন মোবাইলে কোডসহ এসএমএস এসে গেছে, কোডটা এখানে বসিয়ে দিন। ভেরিফায়ে ক্লিক করুন। ব্যাস হয়ে গেল ২য় স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু।
ভেরিফিকেশন পেজের ২টা জিনিস শেয়ার করিঃ Remember this computer for 30 days. ব্যাপারটা বুঝতে পারছেন যে এটা সিলেক্ট করে লগইন করলে ৩০ দিন আর কোড ভেরিফিকেশন লাগবে না। তাই সাবধান যদি সাইবার ক্যাফেতে বা বন্ধুর বা অন্য কোন কম্পিউটারে কাজ করেন তবে এটা আনসিলেক্ট করে দেবেন।
এই ফোন কোড ছাড়া ব্যাকআপ ফোন বা ব্যাকআপ কোড দিয়ে ওপেন করতে চাইলে others ways to got a verification code বাটনে ক্লিক করুন।
আমি মুন্সি জাহাঙ্গীর জিন্নাত। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 14 টি টিউন ও 146 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
সেই সর্বাপেক্ষা জ্ঞানী, যে নিজে শিখে ও অপরকে শেখাই...
বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ 😀