বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এ যুগে, প্রতিটি ঘরে ঘরে যেন আধুনিক ডিভাইসের ছড়াছড়ি। এরকমই একটি আধুনিক ডিভাইস হল কম্পিউটার মনিটর। বিভিন্ন কারণে আমাদের ঘরে এসব মনিটরের সংখ্যা একের অধিক হয়ে যায়। কারণ অনেক সময় আমরা নতুন মনিটর লাগিয়ে পুরাতনটিকে সরিয়ে ফেলি। এসব পুরাতন মনিটর গুলো আমরা হয় ভেঙে নষ্ট করি বা ফেলে দেই বা কম দামে বিক্রি করে দেই। তো এই কাজ গুলো করা মোটেও ঠিক না। আমাদেরকে অবশ্যই প্রতিটি গ্যাজেট এর রি-ইউজ করা উচিত।
তো বন্ধুরা, আপনার আশেপাশে যদি পুরনো কোন কম্পিউটার মনিটর থাকে এবং আপনি যদি এটি নিয়ে চিন্তায় পরে যান, যে আপনি এটার ব্যবহার কোথায় করবেন, তাহলে আজকের এই টিউনটি হয়তো আপনার জন্য। তো এই টিউনের মাধ্যমে, আজ আমি পুরাতন মনিটর পুনরায় ব্যবহারের ৫ টি চমৎকার উপায় সম্পর্কে জানিয়ে দেব ইনশাআল্লাহ।
আপনারা হয়তো নিশ্চয়ই জানেন যে, অব্যবহৃত ইলেকট্রনিকস গুলো আধুনিক জীবনের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এবং কিছু কিছু ডিভাইস ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেও বটে। অনেক সময় হয় কী, আমাদের জন্য কার্যকরী গ্যাজেট গুলো কোন একটা ঘরের এক কোণে পড়ে থাকে এবং এগুলো দিয়ে কিছু একটা করার কোন উপায় আমাদের জানা থাকে না। আপনি যদি পুরাতন মনিটর পুনরায় ব্যবহারের কথা ভেবে থাকেন এবং এরকমটা ভেবে থাকেন যে এই মনিটর গুলোর সাথে কী করা যায়, তাহলে আমি এই টিউনে ৫ টি চমৎকার আইডিয়া শেয়ার করবো যার যেকোনো একটি পছন্দ করে ভালো কোন প্রজেক্ট এ পুরাতন মনিটর গুলোকে কাজে লাগাতে পারবেন আশা করছি।
আপনার মনিটর যদি কাজ করে তাহলে এই আইডিয়া গুলো কাজে আসবে এবং যদি কাজ না করে তাহলেও এই আইডিয়া গুলো কাজে আসবে। অর্থাৎ মনিটরের যথাযথ কার্যকারিতা এই আইডিয়া গুলোতে বিবেচ্য বিষয় নয়। যদি কম্পিউটারের পুরাতন মনিটর কাজ না করে, তাহলে এটির পার্টস বা অংশ গুলো ব্যবহার করে আপনি নতুন কোন গ্যাজেট তৈরি করতে পারবেন। আপনি চাইলে এটিকে একটি ক্ষুদ্র কম্পিউটার বা বা ড্যাশ বোর্ডে পরিণত করতে পারেন। এছাড়াও এটিকে একটি স্মার্ট আয়নার পরিণত করতে পারবেন। তো চলুন দেখে নেওয়া যাক, কীভাবে পুরাতন মনিটরকে কাজে লাগানো যায়।
Raspberry Pi 4 চমৎকার একটি সার্কিট বা ডিভাইস। এই ডিভাইসটি অন্যান্য গ্যাজেটে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হলেও এটি মূলত পুর্ণাঙ্গ একটি কম্পিউটার। এটি অন্যান্য গ্যাজেটের তুলনায় অনেক ছোট এবং সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। এই গ্যাজেটের দাম ৬০ $ এর মতো হবে হয়তো। তার মানে আপনি মাত্র ৬০ $ ব্যবহার করেই একটা পুরনো মনিটরকে কম্পিউটারে পরিণত করতে পারবেন।
আপনি কি DAKboard চেনেন? এটি হল এক ধরনের LCD ওয়াল ডিসপ্লে যা প্রেজেন্ট সময়, আবহাওয়া অবস্থা বা পূর্বাভাস, ক্যালেন্ডারের ইভেন্টস, স্টক কোটস ও ফিটনেস ডাটা এবং খবরের শিরোনাম ইত্যাদি প্রদর্শন করে থাকে। এসব ইনফরমেশন এই ডিসপ্লে ভিডিওর মাধ্যমে প্রদর্শন করে না বরং শুট করা ফটো বা পিকচার এর মাধ্যমে প্রদর্শন করে।
আমি মনে করি, এই পুরনো কম্পিউটার মনিটরের সাথে সবচেয়ে ভালো অ্যাডজাস্ট অ্যাবল ডিভাইস DIY DAKboard-ই হবে। তো, আপনি চাইলেই একটা অফিসিয়াল DAKboard কিনতে পারেন। তবে, এই DAKboard নির্মাতারা নিজেই দেখিয়েছে, যে কীভাবে Raspberry Pi দিয়ে সহজেই ওয়াল ডিসপ্লে তৈরি করা যায়। যখন এত কম টাকায় এত সুন্দর একটা গ্যাজেট আপনি তৈরি করতে পারছেন বা এতো মজার একটা ডিভাইসে কনভার্ট করতে পারছেন, তাহলে কেন ডিভাইসটি তৈরির আইডিয়াটা সেরা হবে না?
অনেক সময় আমাদেরকে অফিসে সবার সামনে খুবই গোপন এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হয়। অথবা বাসাতে কোন গোপন সাইটে ব্রাউজ করতে হয়। এসব ক্ষেত্রে আমরা চাই, যে আমার মনিটর স্ক্রিন শুধু আমি নিজেই দেখি এবং এটা যেন অন্য কেউ না দেখে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকি। অফিসে হলে স্ক্রিনটা যেন অন্য কোন কলিগ না দেখে এবং বাসায় হলে স্ক্রিনটা যেন কোন বাচ্চা না দেখে এ ব্যাপারে ভাবতে হয়। তো কথা হচ্ছে এসব অন্য চোখকে স্ক্রিন থেকে দূরে রাখার জন্য একটা পুরনো মনিটর ব্যবহার করে আমরা DIY "Your-Eyes-Only" মনিটরটি তৈরি করে পারি।
অন্যরা যদি এই মনিটরের দিকে তাকায় তাহলে তার শুধু সাদা রঙ বা সাদা স্ক্রিন দেখতে পারবে। এছাড়া আর কিছুই দেখতে পারবে না তারা। কিন্তু একটি বিশেষ চশমা পরার কারণে আপনি মনিটরের সব কিছুই দেখতে পারবেন। এবং ইহা অন্য মনিটর হলে সবাই দেখতে পেতো। কথা হচ্ছে এই চশমা অন্য কারো কাছে থাকলে সেও দেখতে পাবে। তাই রহস্য ফাঁস করা যাবে না। আর সবার কাছে চশমা থাকবেও না। এটা ঠিক যেন একটা জাদুকরী ঘটনার মতো। তবে এ প্রকিয়াটা অনেকটাই জটিল প্রক্রিয়া।
কিন্তু, Instructables এর dimovi এর নির্দেশনা বলি যদি আপনি যথাযথ ভাবে ফলো করেন তাহলে এ কাজটি করতে সক্ষম হবেন। আপনি আপনার পুরনো মনিটরে পোলা-রাইজিং ফিল্ম নামক একটি ফিল্ম খুঁজে পাবেন। এটিকে প্রথমে কেটে ফেলতে হবে। পোলা-রাইজিং ফিল্মটি চিনতে অসুবিধা হলে ইলেক্ট্রিশিয়ান এর কাছে থেকে জেনে নিবেন। এটি কাটলে আপনার স্ক্রিনটি সাদা হয়ে যাবে। ফলে কেউ স্ক্রিনে কি ঘটছে বা কী আছে তা কেউ দেখতে পারবে না এমনকি আপনিও দেখতে পারবেন না। এখন আপনি যদি স্ক্রিনটি দেখতে চান তাহলে বিশেষ চশমাটি কিনে, সেটি পরে স্ক্রিনের সামনে বসে পরুন এবং নরমাল মনিটরের মতো সব কাজ করে ফেলুন। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত চোখ থকে স্ক্রিনের তথ্য বা ঘটনাকে বাঁচানোর শ্রেষ্ঠ উপায়।
এ ধরনের মনিটর তৈরির জন্য অবশ্যই পুরনো মনিটর ব্যবহার করা উচিত। কারণ এ ধরনের কাজে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া নতুন মনিটরের পোলা-রাইজিং ফিল্ম কেটে ফেলা, ব্যাপারটি হয়তো অনেকেরই মন মেনে নিতে পারবে না।
পোলা-রাইজিং ফিল্মটি Anti-glare এর সাথে যুক্ত থাকে। পোলা-রাইজিং ফিল্মটি কেটে এটিকে Anti-glare থেকে আলাদা করতে হবে। আলাদা করে আবার মনিটরের প্রতিটি অংশকে একত্রিত করতে হবে। এক্ষেত্রে একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন যে, পোলার-রাইজিং ফিল্মটিকে আলাদা করার সময় মনিটরের অন্য কোন পার্ট যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
আর আরেকটা বিষয় মনে রাখবেন, যে যখন অন্যরা আপনার স্ক্রিন দেখতে পারছে না তখন কিন্তু তারা আপনার অভিব্যক্তি বা অঙ্গভঙ্গির দিকে ঠিকই নজর রাখবে অর্থাৎ আপনার হাত কোথায় আছে সেটা কিন্তু তারা অবশ্যই খেয়াল করবে। হ্যাঁ আমি সে ব্যাপারটা সম্পর্কেই বলছি যেটা আপনার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
আমাদের বাসায় অনেক সময় পুরনো দুই একটা মনিটর থাকে। কোনটা ভাঙা এবং কোনটি হয়তো একটু ভালো অর্থাৎ চলে কিন্তু একটু পুরনো। ভাঙা মনিটর ব্যবহার করে আমরা এক ধরনের আয়না তৈরি করতে পারি। কিন্তু যদি মনিটরটি পুরনো হয় এবং একটু কাজেরও হয় তাহলে মনিটরের সাথে Raspberry Pi ব্যবহার করে একটি স্মার্ট ম্যাজিক মিরর তৈরি করা যাবে।
আপনি বিভিন্ন ধরনের Raspberry Pi স্মার্ট ম্যাজিক মিরর প্রজেক্টগুলো থেকে যেকোনো একটি বেছে নিতে পারেন। তবে টাকা পয়সার কথা চিন্তা করে আমরা ম্যাজিক মিরর^২ প্রজেক্টটি বেছে নিব। অন্যান্য প্রজেক্ট এর তুলনায় এটি সবচাইতে জনপ্রিয় এবং স্মার্ট আয়না তৈরি করার সবচেয়ে সহজ উপায়। এই স্মার্ট আয়নাটি ঘড়ি, ক্যালেন্ডার, আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও নিউজ ফিড প্রদর্শন করে থাকে।
আপনি যদি প্রথমবার এই DIY স্মার্ট মিরর প্রজেক্ট এর সাথে জড়িয়ে থাকেন তাহলে ১০০ $ স্মার্ট মিরর প্রজেক্ট নির্বাচন করুন। এটি একটি LCD মনিটর ব্যবহার করে স্মার্ট মিরর তৈরির সেরা প্রজেক্ট না হলেও অনেকটাই কার্যকরী একটা প্রজেক্ট। এই ম্যাজিক মিররে সব ধরনের মৌলিক বৈশিষ্ট্য গুলো থাকবে এবং এটি সম্পন্ন করতে ব্যাপক অর্থেরক খরচ হবে না।
আপনার কাছে যদি দু একটা এক্সট্রা মনিটর থাকে তাহলে আপনি দুটো মনিটর একসাথে ব্যবহার করতে পারবেন। এতে করে আপনার প্রোডাক্টিভিটি বেড়ে যাবে। অর্থাৎ, আপনার কম্পিউটার ডেস্কে যদি জায়গা থাকে তাহলে আপনি দুটো মনিটর একসাথে সেট-আপ করতে পারবেন। দুটো মনিটর লাগানোর অনেক সুযোগ সুবিধা আছে। দুটো মনিটর একসাথে সেট-আপ করলে আপনি পাবেন অনেক বেশি স্ক্রিন স্পেস, সোশ্যাল মিডিয়া বা নিউজ আপডেট এর জন্য একটা ড্যাশ-বোর্ড পাবেন এবং ডেডিকেটেড করা ভিডিও কনফারেন্সিং এর জন্য একটা আলাদা স্ক্রিন ও পাবেন।
আমাদের ব্যবহার করা সমস্ত ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেম গুলোতে দুটি মনিটর ব্যবহার করার ক্ষমতা রয়েছে। অর্থাৎ যেকোনো উইন্ডোজে দুটি মনিটর সেটআপ করা খুবই সহজ এবং এরপর আপনি দুটি মনিটর কিভাবে কাস্টমাইজ করবেন সেটা আপনার ব্যাপার। আপনি যদি দুটি মনিটর সংযোগ করতে চান, তাহলে সম্ভবত আপনার একাধিক HDMI পোর্ট ও একটি গ্রাফিক্স কার্ডের প্রয়োজন হতে পারে অথবা ডেস্কটপে একটি HDMI এবং একটি VGA পোর্ট এর প্রয়োজন পড়তে পারে। একবার যদি আপনি আপনার ডেস্কে দুটি মনিটর সেটআপ করেন তাহলে স্পষ্টভাবে বুঝতে পারবেন যে এই দুটি মনিটর সেটআপের ফলে সুবিধাগুলো কী কী এবং অসুবিধা গুলো কী কী।
উপরে শেয়ার করা আইডিয়া গুলোর কোনটিই যদি আপনি কাজে লাগাতে না পারেন অর্থাৎ আপনার প্রয়োজনীয়তার সাথে খাপ না খায়, তাহলে নিচে শেয়ার করা আইডিয়া গুলো নিয়ে ভাবতে পারেন। যদি এই আইডিয়া গুলো একটু অদ্ভুত, তবুও ঠিকঠাক মতো করতে পারলে কাজের ও বটে। এই আইডিয়া গুলোর মাঝে আপনি মজাও খুঁজে পেতে পারেন।
এটি করা খুবই সহজ। যদি টিভির দরকার থাকে তবে কেন নয়? এটি করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনাবলির জন্য "এখানে ক্লিক" করুন।
আপনার কাছে যদি এখনও একটা পুরনো CRT মনিটর থাকে তাহলে আপনি "Buzzfeed এর কিছু আইডিয়াতে ক্লিক" করতে পারেন।
Ninetendo Wii একটা VGA মনিটরের সাথে কানেক্ট করতে পারে এবং আপনার কাছে যদি Wii না থাকে তাহলে একটি কিনে নিন। আসলে একটা সেকেন্ড হ্যান্ড বা ব্যবহৃত একটা Wii কিনুন এবং এটি Craigslist এ খুবই কম দামে পাওয়া যায়।
অন্যান্য গ্যাজেট গুলোর মতই মনিটরেরও একটা লিমিটেড Shelf লাইফ রয়েছে। তো, পুরাতন মনিটর গুলোর সাথে আপনি কি করতে চান সে সম্পর্কে একটা সুস্পষ্ট ধারণা হয়তো ইতিমধ্যে আপনার পেয়ে গেছেন। এখন পুরাতন মনিটরের সাথে কি করবেন সেটা আপনার আইডিয়া বা প্রজেক্ট বেছে নেয়ার উপর নির্ভর করবে। তবে স্মার্ট মিরর তৈরির ক্ষেত্রে সমস্যা জনিত মনিটর নিয়ে কাজ করা উচিত হবে না। Raspberry Pi এর প্রজেক্ট গুলো পরিবর্তন করা অত্যন্ত সহজ।
আপনার কাছে যদি পুরাতন মনিটর থাকে এবং পুরাতন পিসির যন্ত্রাংশ গুলো থাকে তাহলে আপনি পুরো পিসি পুনরায় তৈরি করতে পারবেন বা ঠিক করে নিতে পারবেন। আপনি এগুলোকে একটি সিকিউরিটি সিস্টেম বা একটি হোম সার্ভার বা মিডিয়া সেন্টারে হিসেবে তৈরি করে নিতে পারবেন। এছাড়াও আর বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল প্রজেক্ট গুলোতে ব্যবহার করতে পারবেন এই পুরনো মনিটর গুলোকে।
তো বন্ধুরা, এই ছিল আজকের টিউন। আশাকরি ভালো লেগেছে। যদি ভালো লাগে তাহলে একটা জোসস দিয়ে আমাকে উৎসাহিত করবেন। টিউন সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে টিউমেন্ট করে আমাকে অবশ্যই জানাবেন। দেখা হচ্ছে পরবর্তী কোন এক টিউনে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ।
আমি মো তানজিন প্রধান। ২য় বর্ষ, বগুড়া আজিজুল হক কলেজ, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 91 টি টিউন ও 65 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 24 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।
কখনো কখনো হারিয়ে যাই চিন্তার আসরে, কখনোবা ভালোবাসি শিখতে, কখনোবা ভালোবাসি শিখাতে, হয়তো চিন্তাগুলো একদিন হারিয়ে যাবে ব্যাস্ততার ভীরে। তারপর ব্যাস্ততার ঘোর নিয়েই একদিন চলে যাব কবরে।