মানসম্মত ছবি তোলার ১০ টি টিপস
ডিজিটাল ক্যামেরা আসার পরে প্রত্যেকে নিজেই একজন ফটোগ্রাফার হয়ে উঠেছে। কারণ আপনার কাছে যদি একটি স্মার্টফোন থাকে তাহলে আপনি বিনা খরচে হাজার হাজার ফটো তুলতে পারবেন। কিন্তু অনেকেই মানসম্মত ছবি তুলতে গিয়ে সমস্যায় পরে। আপনি যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য। আমি আপনারদের যেই টিপসগুলি দিচ্ছি টা পালন না করলে যে আপনার ছবি খারাপ হবে তার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে এই গাইডলাইন অনুসরন করলে আপনার ছবির মান আশ্চর্যজনকভাবে উন্নয়ন ঘটবে।
1.সাবজেক্টকে কেন্দ্র থেকে সরানঃ এই একটি টিপস যা আপনার ফটোগুলিকে নাটকীয়ভাবে উন্নত করবে। বেশিরভাগ অপেশাদার ফটোগ্রাফারেরে প্রতিটি ফটোর একটি কেন্দ্রিক বিষয় থাকে। আপনি যদি আপনার সাবজেক্টকে ফটোগ্রাফের পাশে রাখেন তবে আপনি আরও ভাল ফলাফল পাবেন।
2.আলো পর্যবেক্ষণ করুনঃআলো ফটোগ্রাফির জন্য সর্বাধিক গুরুত্বপুর্ন। আপানার ফটো তোলার পুর্বে আলোর পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করুন। আলো অপ্টিমাইজ করার জন্য আপনি কিংবা আপনার সাবজেক্টের বিভিন্ন পরিবর্তন করতে হতে পারে। সাধারণত মানুষ দিনের বেলা নরম আলোতে ছবি তুলতে পছন্দ করে, অতিরিক্ত আলো এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। মনোরম ফটোগ্রাফের জন্য, খুব ভোরে এবং সন্ধ্যাবেলা সবচেয়ে ভাল সময়। এই সময় আপনি দীর্ঘ ছায়া এবং সমৃদ্ধ রঙের ফটোগ্রাফ তোলার সুযোগ পাবেন।
3.সাবজেক্টের কাছে যানঃকোন সাবজেক্ট এর কাছাকাছি গিয়ে ছবি তুললে অনেক অপ্রয়োজনীয় ব্যাকগ্রাউন্ড কমিয়ে ফেলা যায়। বেশিরভাগ সাবজেক্ট আপনাকে এটি করার জন্য অনুমতি দেয়। কিন্তু কিছু লোক নিজের খুব কাছের ছবি তোলাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। সেই বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে।
4.সাবজেক্টের চোখের দিকে তাকানঃ এই ধরনের ফটো বাস্তবতাকে স্পর্শ করে। কারো ছবি তোলার সময় তার মনোমুগ্ধকর হাসি ক্যামেরায় অবদ্ধ করতে ক্যামেরাটি সাবজেক্টের চোখের স্তরে ধরুন। আপনার বিষয়কে আপনার দিকে তাকাতে হবে এমন কোন বাধ্যাধকতা নেই। আপনার বিষয়য়ের চোখের স্তরের কোণটি একটি ব্যক্তিগত এবং আমন্ত্রণমূলক অনুভূতি তৈরি করবে যা আপনাকে ছবিতে টানবে।
5.স্থির থাকুনঃ ছবি তোলার সময় যতটা সম্ভব নিজেকে স্থির রাখার চেষ্টা করুন। যদি আপনার হাত নাড়াচাড়া করে করে তাহলে আপনার ক্যামেরা বা স্মার্টফোনটিও নড়তে থাকবে। যার ফলে ছবির কোয়ালিটির অবনতি ঘটে এবং ছবি ঝাপসা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
6.সময় দিন এবং নিজে পরিচালনা করুনঃ যখন আপনি কোন পারিবারিক বা দলগত ফটো তুলবেন, তখন কছু সময় নিয়ে ফটো তুলুন। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ এবং কোন থেকে ছবি তোলার চেষ্টা করুন। আপনার ছবিতে ব্যক্তির ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করুন।
7.বাইরে ফ্লাশ ব্যবহার করুনঃ বাইরে ফটো তোলার সময় ফিল ফ্লাশ সেটিং ব্যবহার করলে ছবির প্রিন্টিং কোয়ালিটি কয়েকগুন বেরে যায়। আপনার সাবজেক্টের চোখ এবং নাকের নিচের অন্ধকার ছায়া হাল্কা করতে উজ্জ্বল আলোতেও ফ্লাশ ব্যবহার করুন।
8.সরল ব্যাকগ্রাউন্ডঃ বিশৃঙ্খল ব্যাকগ্রাউন্ড আপনার ফটোগুলিতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। তাই যথাসম্ভব পরিষ্কার ও সাধারণ ব্যাকগ্রাউন্ডে খুব বেশি কার্যকালাপ না করে ফটো তোলার চেষ্টা করুন।
9.আপনার সাবজেক্টের স্তরে নামুনঃ এই পদ্ধতি মূলত ছোট বাচ্চা, পশুপাখি কিংবা কোন ছোট বস্তুর ছবি তোলার জন্য বেশি গুরুত্বপুর্ন। আপনার হাঁটুতে বসে পরুন এবং বিভিন্ন কোন থেকে ফটো তুলুন, যা আপনাকে আরো ভালো ফলাফল দেবে। এটি একটি ভালো পরামর্শ, আপনি চাইলে দাড়িয়ে ছবি তোলার পরিবর্তে বিভিন্ন উচ্চতায় ও কোন থেকে আপনার সাবজেক্ট কে করতে পারেন যা আপনাকে কছু অসাধারণ ছবি তুলতে সহায়তা করবে।
10.বেশি বেশি ছবি তুলুন এবং ছবি তোলার চর্চা করুনঃ কয়েক হাজার ছবির মধ্যে মাত্র কয়েকটি পারফেক্ট ছবি পাওয়া যায়। যেহেতু ছবি তোলার জন্য এখন আর আর্থ খরচ করতে হয় না তাই অনেক অনেক ছবি তুলে তার মধ্য থেকে আপনার পারফেক্ট ছবিটি বেছে নিন। আপনি যত টিপস ফলো করেন না কেন যদি আপনি ছবি তোলা চর্চার মধ্যে না থাকে তাহলে পারফেক্ট ছবি তোলা কষ্টকর। ভালো ছবি তোলার জন্য আপনাকে এর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
আমি মোঃশামীম হোসাইন। , dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 18 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।