হ্যালো টিউটার বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আল্লাহ তাআলা আপনাদেরকে ভালোই রেখেছেন। বরাবরের মতো আজ ও আমি নিয়ে এসেছি আপনাদের জন্য একটি টিউন।
তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে তথ্য চুরি বা লেখা চুরি একটি সচরাচর ঘটনা। তথ্য চুরি বা লেখা চুরি এক ধরনের অপরাধ সেটা হয়তো আপনারা নিশ্চয়ই জানেন। তো কোন ব্যক্তির লেখা চুরি কে কি বলে সেটা কি আপনারা জানেন?
অনেকেই হয়ত জানেন আবার অনেকেই হয়তো জানেন না। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই তথ্য চুরি কে বা অন্যের লেখা চুরি করাকে কি বলে?
অন্যের লেখা চুরি করে নিজের নামে প্রকাশ করা বা চালিয়ে দেয়াকেই প্লেজিয়ারিজম বলে।
কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠাননের কোনো গবেষণার ফসল বা সম্পাদিত কর্ম হুবহু নকল করে বা আংশিক পরিবর্তন করে নিজের নামে চালিয়ে দেয়া কেই বলা হয় প্লেজিয়ারিজম।
অনেক সময় কোন লেখার গুরুত্বপূর্ণ শব্দগুচ্ছ ও নকল করলে তা প্লেজিয়ারিজম এর মধ্যে পরবে। প্লেজিয়ারিজম একটি বেআইনি কাজ। কাজেই প্লেজিয়ারিজম প্রতিরোধ করতে হবে।
বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে প্লেজিয়ারিজম অনেক বেশি দেখা যায়। শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে উচ্চতর চিন্তা করার দক্ষতা লাভ অর্থাৎ কোন বিষয়ে যতই কঠিন হোক না কেন তা বিশ্লেষণ, মূল্যায়ন, সংক্ষেপণ বা নতুন ধারণা প্রবর্তন করার দক্ষতা অর্জন।
প্লেজিয়ারিজমের কারণে যোগ্যতা অর্জন অসম্ভব হয়ে পরে। লেখার ক্ষেত্রেও নকল বা অনুলিপি করাকে প্লেজিয়ারিজম বলে। নীতিগতভাবে এটা বলা যায় যে, প্লেজিয়ারিজম এক জটিল সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শিক্ষামূলক পরিবেশে প্লেজিয়ারিজম ঘটে তখনই যখন কোন লেখক উদ্দেশ্যমূলকভাবে অন্যের ভাষা চিন্তা বা লেখাকে নিজের মনে কতে ব্যবহার করে এবং বিষয়বস্তু সূত্র উল্লেখ না করে ব্যবহার করে।
অনলাইনে প্রকাশিত কোন লেখা বা গবেষণার ফলাফলের ক্ষেত্রে প্লেজিয়ারিজম হতে পারে। দেশের শাসকরা প্লেজিয়ারিজম নিয়ে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। কারণ তারা চান শিক্ষার্থীরা আহরিত জ্ঞানের উপর যে কাজ করে সেই কাজে শিক্ষার্থী নিজের চেস্টার চিন্তা প্রকাশ পাক।
তবে ইন্টারনেটের এই যুগে অসংখ্য লেখা যেকোনো বিষয়ের উপর অতি সহজে পাওয়া যায় তখন শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা নিজস্ব চিন্তা করার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে বেশ বেগ পেতে হয়।
অনলাইনের মাধ্যমে প্লেজিয়ারিজমকে সাইবার প্লেজিয়ারিজম বলে।
ইন্টারনেট হতে প্রাপ্ত গবেষণাপত্র বা কোন আর্টিকেল এর অংশবিশেষ ডাউনলোড করা বা সম্পুরে অনুলিপি করাকে সাইবার প্লেজিয়ারিজম বলে।
তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমরা সবাই চাই প্লেজিয়ারিজম থেকে মুক্তি পেতে। সাধারণত আমাদের নিজস্ব চিন্তা ধারার লিখিত রুপ সহজে প্লেজিয়ারিজম হয় না। তবে আমরা পাঠ্য পুস্তক অথবা কোন ম্যাগাজিনে থেকে জ্ঞান নিয়ে তার লিখত রুপে কিছু প্রকাশ করার চেষ্টা করি তখন তার কিছু লাইন প্লেজিয়ারিজম হয়।
ট্রাস্টেড সাইটে প্লেজিয়ারিজম এর কারণে আপনি হারাতে পারেন আপনার ট্রাস্টেড ব্যাজ। তাই জেনে নিন কিভাবে প্লেজিয়ারিজম মুক্ত আর্টিকেল লিখবেন-
১.প্রথমে আপনি আপনার আর্টিকেল বা লিখিত যাই হোক না কেন তা সম্পুর্ণ কপি করবেন। তারপর গুগল ওপেন করবেন।
তারপর গুগ সার্চ বারে গিয়ে লিখবেন plagiarism cheeker।
২.তারপর যে পেইজটি দেখাবে তার প্রথম লিংক এ ক্লিক করতে হবে।
২.তারপর যে পেইজটি দেখাবে তার একটু নিচে যেতে হবে। তারপর বর্গাকারের একটি বক্স দেখা যাবে ওখানে লেখা প্যাস্ট করতে হবে। ঠিক নিচের ছবির মতো।
৩. এরপরে আরেকটু নিচে গিয়ে I am not robot এ ক্লিক করতে হবে। তারপর ছবিতে যা সিলেক্ট করতে বলে তা সিলেক্ট করে ভেরিফাই করতে হবে।
ভেরিফাই সম্পুর্ন হলে I am not robot এর উপর টিক চিহ্ন আসবে। ঠিক নিচের ছবির মতো। তারপর Check Plagiarism এ ক্লিক করতে হবে।
২.এখন যে পেইজটি দেখাবে সেখানে একটু নিচে গিয়ে দেখতে পাবেন শতকরা কতভাগ চেক হলো, কত ভাগ প্লেজিয়ারিজম ধরলো এবং কতভাগ ইউনিক হলো।
একশত ভাগ চেক হবার পর প্লেজিয়ারিজম ধরলে সেগুলো পরিবর্তন করবেন। না ধরলে নির্দিধায় ব্যবহার করবেন।
পরিশেষে একটা কথাই বলবো যে টিউন ভালো লাগলে জোসস দিতে দ্বিধা করবেন না। কোন মন্তব্য থাকলে টিউমেন্ট এ আমাকে জানতে ভুলবেন না। এতক্ষন আমার টিউন মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমি মো তানজিন প্রধান। ২য় বর্ষ, বগুড়া আজিজুল হক কলেজ, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 91 টি টিউন ও 65 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 24 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।
কখনো কখনো হারিয়ে যাই চিন্তার আসরে, কখনোবা ভালোবাসি শিখতে, কখনোবা ভালোবাসি শিখাতে, হয়তো চিন্তাগুলো একদিন হারিয়ে যাবে ব্যাস্ততার ভীরে। তারপর ব্যাস্ততার ঘোর নিয়েই একদিন চলে যাব কবরে।