জাদুর কথা শুনলেই আমরা অনেকে নড়েচড়ে বসি জাদুকর জাদু দেখানোর সময় তার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে থাকি এটা দেখার জন্য যে,সে কি আসলেই কোন ভাওতাবাজি করছে কিনা,আর জাদুকরও হয়ত এ কারণেই ধরা পড়ার ভয়ে একটা জাদু একবারের বেশী দেখাতে চায়না যদিও জাদু হাতের কারসাজি অথবা বৈজ্ঞানিক কোন কারিশমা ছাড়া আর কিছু নয়। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে যে জাদু নিয়ে কথা বলব এটাও আসলে একটা কারিশমা,মূলত এটা একটা অঙ্কের কারিশমা যার মাধ্যমে আপনি ক্যালেন্ডার দেখা ছাড়াই বলে দিতে পারবেন বছরের কোন তারিখ কি বার পড়ে অর্থাৎ কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে “অমুক বছরের অমুক মাসের অমুক তারিখ কি বার পড়ে?” তাহলে আপনি অনায়াসেই ক্যালেন্ডার না দেখে তা বলে দিতে পারবেন। আর এ জাদু আপনি যতবার ইচ্ছা দেখাতে পারেন,ধরা পড়ার ভয় নেই।আসুন তাহলে শুরু করা যাক।
আমরা জানি সপ্তাহে শনি থেকে শুক্র পর্যন্ত সাত দিন । সপ্তাহের প্রথম দিন শনি।অর্থাত শনিবার হল ১নাম্বার দিন,রবি ২ নাম্বার দিন,সোম ৩ নাম্বার দিন।এভাবে যেতে যেতে শুক্র হয় ৭ নাম্বার দিন।কোন তারিখে কি বার পড়ে তা বের করার জন্য আমাদেরকে ঐ তারিখের সাথে ১ থেকে ৭ পর্যন্ত বিভিন্ন সংখ্যা যোগ করে যোগফল যদি ৭ থেকে বড় হয় তবে ৭ দিয়ে ভাগ করতে হবে(হিসেবের সুবিধার্থে)। বিষয়টি নিচে পরিষ্কার ভাবে ব্যাখ্যা করা হল।
জাদু দেখানোর পূর্বে আপনাকে যা করতে হবে।
নিচের মান গুলো মনে রাখুন
২০১১ সালের
জানুয়ারী – ০
ফেব্রুয়ারী- ৩
মার্চ- ৩
এপ্রিল- ৬
মে- ১
জুন- ৪
জুলাই- ৬
আগস্ট- ২
সেপ্টেম্বর- ৫
অক্টোবর-০
নভেম্বার- ৩
ডিসেম্বর- ৫
আপনাকে এখন যা করতে হবে একটু কষ্ট করে উপরে কোন মাসের সাথে কোন সংখ্যা সংশ্লিষ্ট আছে তা মনে রাখতে হবে,ব্যস।
এমনি ভাবে পরবর্তী বছরের যেকোন মাসের সংশ্লিষ্ট সংখ্যা হবে পূর্ববর্তী বছরের প্রতিটা মাসের সংশ্লিষ্ট সংখ্যা থেকে ১ বেশী।
পরবর্তী বছরে লিপ ইয়ার থাকলে ঐ বছরে ফেব্রুয়ারী মাসের পরের সব মাসের সংশ্লিষ্ট সংখ্যা বর্তমান মাসের সংশ্লিষ্ট সংখ্যা থেকে ২ বেশী হবে(ব্যতিক্রম)।তবে জানুয়ারী আর ফেব্রুয়ারীর সংশ্লিষ্ট সংখ্যা এই ব্যতিক্রমের অধীনে নয়।
পূর্ববর্তী বছরের যেকোন মাসের সংশ্লিষ্ট সংখ্যা হবে বর্তমান বছরের প্রতিটা মাসের সংশ্লিষ্ট সংখ্যা থেকে ১ কম।
পরবর্তী বছরে লিপ ইয়ার থাকলে ঐ বছরে ফেব্রুয়ারী আর জানুয়ারীর সংশ্লিষ্ট সংখ্যা হবে পূর্ববর্তী বছরের ঐ মাস সংশ্লিষ্ট সংখ্যা থেকে ২কম(ব্যতিক্রম)।তবে এছাড়া অন্য মাসগুলো এ ব্যতিক্রমের অধীনে নয়।
এভাবে পূর্ববর্তী,বর্তমান বা পরবর্তী কোন বছরের মাস সংশ্লিষ্ট সংখ্যা যদি ৭ হয় তবে সে ক্ষেত্রে ৭ এর পরিবর্তে ০ ধরবেন।
এখন আপনাকে যদি ২০১১ সালের অমুক মাসের অমুক তারিখে কি বার পড়ে তা বের করতে বলা হয় তাহলে আপনাকে যে মাসের বার বের করতে বলা হল সে মাস সংশ্লিষ্ট সংখ্যা(উপরে প্রদত্ত) উক্ত তারিখের সাথে যোগ করে নিবেন।এরপর যোগফলকে ৭ দিয়ে ভাগ দিবেন।ভাগ দেয়ার পরে যত সংখ্যা ভাগশেষ থাকবে,তত নাম্বার দিনটিই ঐ তারিখের দিন বা ঐ তারিখের বার।যেমন
আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হল “২০১১ সালের ফেব্রুয়ারীর ৫ তারিখ কি বার পড়ে?” আপনি বার বের করার জন্য যা করবেন তা হল
১) ফেব্রুয়ারী মাসের সংশ্লিষ্ট সংখ্যাটি মনে করুন(উপরে দেয়া আছে)।ফেব্রুয়ারী সংশ্লিষ্ট সংখ্যা ৩ । এই সংখ্যাটিকে উক্ত তারিখ (অর্থাৎ যে তারিখের বার বের করতে হবে,এক্ষেত্রে ৫) এর সাথে যোগ করুন। ৫+৩=৮। এবার ৮ কে ৭ দিয়ে ভাগ করলে ভাগশেষ থাকে ১। আর ১ নাম্বার দিন হচ্ছে শনিবার।সুতরাং,৫ তারিখ শনিবার। (বিশ্বাস না হলে এবার নিজেই দেখুন ঠিক আছে কিনা।)
২)আপনাকে যদি আগস্টের ৩ তারিখ কি বার পড়ে তা বের করতে বলা হয় তাহলে এই ৩ তারিখের সাথে যোগ করুন আগস্ট মাস সংশ্লিষ্ট সংখ্যা যা উপরে দেয়া আছে।আগস্ট সংশ্লিষ্ট সংখ্যা ২। ৩+২=৫ । এই ৫ কে ৭ দিয়ে ভাগ করলে ভাগশেষ ৫ ই থাকে। আর ৫ নাম্বার দিন হল বুধবার। আগস্টের ৩ তারিখে বুধবার পড়ে।
৩)এখন আপনাকে যদি ২০১১ সাল না বলে যদি ২০১২ ব ২০১০ এর কোন তারিখের বার বের করতে বলা হয় তখন কি করবেন?কিছুই করতে হবেনা।আপনাকে যে সালের তারিখের বার বের করতে বলা হয়েছে সে সালটি ২০১১ সালের যত বছর আগে বা পরে তত সংখ্যাটিকে আপনার মাস সংশ্লিষ্ট সংখ্যা থেকে বাদ দিন বা যোগ করুন।
প্রশ্ন জাগতে পারে, এই মাস সংশ্লিষ্ট সংখ্যা কিভাবে বের করা হল,তাই এবার জেনে নিন।
১) ২০১১ সালের ক্যালেন্ডার হাতে নিন।
২)দেখুন,ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম দিনটি মঙ্গল বার,অর্থাত ৪নম্বর দিন। ১ এর সাথে যত যোগ করলে উক্ত মাসের প্রথম দিনটির নম্বর পাওয়া যায় তত সংখ্যাই ঐ মাস সংশ্লিষ্ট সংখ্যা।যেমন ,ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম দিনটি মঙ্গলবার,৪নম্বর দিন।১ এর সাথে ৩ যোগ করলে ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম দিন মঙ্গলবার(৪নম্বর দিন) পাওয়া যায়।সুতরাং ৩ হল ফেব্রুয়ারী মাস সংশ্লিষ্ট সংখ্যা।
একটি গুরুত্বপূর্ন কথাঃ কম্পিউটার রিলেটেড যে কোন কিছুর প্রতিই আমার আগ্রহটা বরাবর বেশি। আর একারনেই রুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের একজন ছাত্র হওয়া সত্বেও কম্পিউটারসাইডের যেকোন বিষয় নিয়েই আমি তুলনামূলকভাবে আমার পড়ালেখার চেয়ে বেশি সময় দিয়েছি।আর একারনে সেকেন্ড ইয়ার থেকেই আমি শুরু করি সি,ভিজুয়াল বেসিক,এইচটিএমএল,সিএসএস,মায়া,পিএইচপি এবং ফটোশপ ইত্যাদি নিয়ে পড়াশোনা করা।টেকটিউন্স নিয়ে আমার আশা ছিল,ভেবেছিলাম আমার এসকল ল্যাঙ্গুয়েজ ও সফটওয়্যার সম্পর্কে যা জানা সকল কিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তাই টেকটিউন্সে আমি ফটোশপের উপরে ধারাবাহিক টিউটরিয়াল টিউন করা শুরু করি।কিন্তু পরবর্তীতে ব্যস্ততার কারণে আর টিউন করা হয়ে উঠেনি। তবে ফটোশপ টিউটরিয়াল হয়ত পাঠকদের চাহিদার বস্তু নয় একারণেও আমি দিধান্বিত হয়ে যাই।কারণ,পাঠকদেরই যদি আগ্রহ না থাকে তাহলে হয়ত এত ব্যস্ততা থেকে সময় বের করে টিউটোরিয়াল করাটা আমার উচিত হবে না। তবে আপনারা যদি চান,তবে আবার ধারাবাহিকভাবে ফটোশপের উপর টিউটোরিয়াল লেখা শুরু করতে পারি।এ ব্যাপারে আপনাদের মতামত আশা করছি,কারণ আমি জানি না,ফটোশপের ব্যাপারে আপনাদের আগ্রহ কেমন। আপনাদের আগ্রহের উপরই নির্ভর করছে ব্যস্ততা থেকে সময় বের করে টিউটোরিয়াল করা হবে কিনা। আমার এই টিউনে এ ব্যাপারে সবার মন্তব্য জানতে চাচ্ছি। ধন্যবাদ।
আমি MITHU। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 88 টি টিউন ও 1232 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ মিঠু ভাই……………