আপনি যদি Youtube এ সফল হতে চান তাহলে এই 6 টি পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারেন !

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। এটা আমার Techtunes এর প্রথম টিঊন আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। আসলে Techtunes এ অনেকদিন ধরে লিখবো লিখবো ভাবি কিন্তু কোন বিষয় নিয়ে লিখবো এটা ভাবতে ভাভতে আর লেখা হয় না তাই আজ লিখেই ফেললাম। তো বেশি কথা না বাড়িয়ে টিপস গুলা শেয়ার করছি আশাকরছি আপনাদের কাজে লাগবে। (ভূল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)

(1) ভালো মানের ইকুয়েপমেন্টস (যন্ত্রপাতি)

মানসম্মত ভিডিও তৈরির প্রথম পদক্ষেপ ভালো ইকুয়েপমেন্টস সংগ্রহ। শুধু ভিডিও বানাতে পারলেই হবে না, ভিডিওটির গ্রহণযোগ্যতার জন্য প্রয়োজন কোয়ালিটি।ভালো মানে ভিডিওর জন্য ভালো এডিটিং সফটওয়ার, ভালো সাউন্ড রেকর্ডার, মাইক্রোফোন, লাইট, ক্যামেরা প্রয়োজন।শুনতে ও দেখতে ভালো না দেখালে আগ্রহী সাবস্কাইবার তৈরি সহজ ব্যাপার হবে না। তাই ভালো যন্ত্রপাতি সংগ্রহের দিকে দিকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে।

(2) স্ক্রিপ্ট লিখে রাখা

ভালো ভিডিওর জন্য আগেই স্ক্রিপ্ট লিখে রাখার মত কৌশল অবশ্যই চর্চা করতে হবে। ভিডিওতে আপনার বক্তব্য স্বতস্ফূর্ত না হলে দর্শক ও শ্রোতারা বিরক্ত হবেন।কি কি তথ্য দেওয়া হবে, কোনটার পর কোনটা হবে তা স্ক্রিপ্টে আগে থেকে উল্লেখ থাকলে কাজটা সহজ হয়ে যায়।অকপটে বর্ণনার সঙ্গে তা তথ্যসমৃদ্ধ হলে ভিডিওটি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে সহজেই।আর একটি কথা মনে রাখতে হবে কখনোই ভুল তথ্য দেওয়া যাবে না। কোন কিছু জানা না থাকলে আগে স্ট্যাডি করে নিতে হবে। প্রয়োজনে তা পরিহার করতে হবে কিন্তু ভুল তথ্য দেওয়া যাবে না।

(3) কপিরাইটের দিকে খেয়াল রাখা

কপিরাইট বেশ স্পর্শকাতর একটা ব্যাপার।(বিশেষ করে আমরা বাংগালীরা) খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনার ভিডিওটিতে অন্য কারও ভিডিও ক্লিপ না থাকে। ভিডিওতে কোনো গান বা ভিডিও চিত্রের অডিও ব্যবহার করা হলে তা যেন কপিরাইট যুক্ত কনটেন্ট না হয়।এ ক্ষেত্রে ইউটিউব থেকে সতর্ক করে দেওয়া হবে আপনাকে। কপিরাইটেড কিছু থাকলে তার প্রভাব পড়বে টিউমেন্ট ও লাইকে। এক্ষেত্রে আপনি হারাবেন সাবস্ক্রাইবার।

(4) সঠিক ড্রেসআপ

ভিডিওতে যারা কাজ করবেন বা আপনি যদি নিজেই ক্যামেরার সামনে কাজ করেন সেক্ষেত্রে ড্রেসআপের দিকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে।ভিডিওর বিষয়, কনটেন্টের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সঠিক ড্রেসআপ ভিডিওটির জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিতে ভূমিকা রাখবে।

(5) সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার

দর্শকের কাছে পোঁছানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিকল্প নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুক ও টুইটারে ভিডিওটি শেয়ার করে পৌঁছে দিতে পারেন দর্শকদের কাছে।তৈরি করে নিতে পারেন ব্লগ সাইট, যেখানে ভিডিওগুলো শেয়ার করা যাবে। এতে নিজের কিছু দর্শক শ্রোতা তৈরি হবে। ভিডিওটির রিভিউ পাওয়া গেলে তা আরও প্রচার বাড়াতে কাজে দেবে।

(6) নিয়মিত বিরতিতে ভিডিও তৈরি

নিয়মিত বিরতিতে ভিডিও তৈরি না করলে হারিয়ে যেতে পারে আপনার দর্শক ও সাবস্ক্রাইবাররা। আপনি যদি কোনো টিউটোরিয়াল সিরিজ তৈরি করেন তবে অবশ্যই তা শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে।তা না হলে হারিয়ে যেতে পারে আপনার ভিউয়াররা। নিয়মিত বিরতিতে ভিডিও তৈরি করলে প্রতিনিয়ত আপনার সাবস্ক্রাইবার বাড়বে।

Youtube এ কাজ করতে হলে একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন,একটি ভিডিও বানাতে হয়তো আপনার অনেক কষ্ট করতে হবে, কিন্তু কষ্টটা হবে একদিন ই আর ইনকাম টা কিন্তু হবে সারা জীবন। কাজেই যারা সফল Youtuber হতে চান তারা অবশ্যই বিষয় গুলো নিয়ে চিন্তা করে দেখবেন।

দেখা হবে পরবর্তী কোনো টিউন নিয়ে,সবাই ভালো থাকবেন।

Level 0

আমি Rj Shariful। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 22 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস