পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের জন্য আপনার ও অভিভাবকের যা করণীয় [কাজের টিউন]

আসসালামুআলাইকুম। আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমাদের অনেকেরই মনে ভুল ধারণা আছে। আর সেটা হলো, আল্লাহ আমাকে কম ব্রেন দিয়েছেন আর তাকে বেশি ব্রেন দিয়েছেন। কিন্তু এটি আসলে সঠিক নয়। মহান আল্লাহ সবাইকেই একই ব্রেন বা শরনশক্তি দিয়েছেন। তাহলে প্রশ্ন হলো: কেউ পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করে আবার অন্যজন খারাপ রেজাল্ট করে কেন? আসলে এর মূল কারণ হলো পড়ার ধরণ এবং পরিবেশ।
আমরা সবাই পরীক্ষাকে একটু অন্য চোখে দেখি। করো কাছে আবার পরীক্ষা দুই চোখের বিশ। কিন্তু পরীক্ষা নেওয়ার উদ্দেশ্য হলো মেধা যাচাই করা। আমি এখন যে টিউনটি করছি আমার বিশ্বাস আপনাদের সবার কাজে আসবে। আপনারা হয়ত শিরনাম দেখেই বুঝতে পেরেছেন। আমি আশা করি সবধরনের পরীক্ষার জন্যই আমার এই টিউনটি উপকারী হোক সেটি স্কুল পরীক্ষা বা কলেজ পরীক্ষা বা নিয়োগ পরীক্ষা।
যা হোক অনেক্ষন ধরেই বকবক করলাম। এবার আসুন আসল কথায় আসি।
পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের জন্য যদি আপনি নিম্নের টিপসগুলো নিয়মিত অনুসরণ করেন তাহলে ইনসাআল্রাহ আপনার পরীক্ষার রেজাল্ট ভাল হবে।

আপনার পাঠের পরিবেশ:

১.যেখানে আপনি পড়তে কমফোর্ট ফিল করবেন, সেখানেই পড়বেন। সবসময় একই জায়গায় বা পরিবেশে পড়ার চেষ্টা করবেন।
২.এমন জায়গায় পড়তে বসুন যেখানে আপনি সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারবেন।
৩.পড়ার সময় টিভি, রেডিও, কম্পিউটার, মিউজিক প্লেয়ার অফ রাখুন অথবা এগুলো থেকে দূরে নিরব স্থানে পড়তে বসুন।

চিত্রঃ

[পড়ার পরিবেশ ১]

আপনার পস্তুতি এবং আমার পরামর্শ:

১.আপনাকে আপনার পরীক্ষা সম্পর্কে স্পষ্ট ধরণা রাখতে হবে।
২.পরীক্ষার আগেই আপনাকে পরীক্ষার সিলেবাস ভিত্তিক বিষয়, প্রশ্ন কাঠামো এবং নম্বর বন্টন সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। তখনই আপনি আপনার প্রস্তুতি কতটুকু যথার্থ হয়েছে তা উপলব্ধি করতে পারবেন।
৩.পড়াশোনার জন্য সর্বোত্তম এবং সর্বোচ্চ সময়টুকু আলাদা করে বাকি সময়ে অন্যকাজ কর্ম খাওয়া-দাওয়া, ঘুম সহ প্রাত্যহিক কাজ সেরে ফেলবেন।
৪.অতিরিক্ত পড়া উচিত নয়। এতে মস্তিষ্কের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। মস্তিক ক্লান্ত হয়ে পড়ে। মস্তিক পড়া মেমোরাইজ করতে পারে না।
৫.পড়ার সময় একটি টার্ম শেষ না করে হুট করে অন্যটায় চলে যাবেন না।

৬.কখনোই শুয়ে শুয়ে পড়বেন না।

৭.পড়ার সময় ভারি খাবার গ্রহন করবেন না।
৮.একটানা এক ঘন্টা পড়ার ভেতর ৫-১০ মিনিট বিরতি নিয়ে আবার পড়া শুরু করুন। এতে মস্তিষ্কের ওপর চাপ সৃষ্টি হয় না।
৯.পরীক্ষার প্রয়োজনীয় সামগ্রী (যেমন: পেন্সিল, কলম, ক্যালকুলেটর, অ্যাডমিট কার্ড, টাকা ইত্যাদি) আগে থেকে প্রস্তুত করে রেখে দিন।
১০. পড়ার সময়টাকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে পরিকল্পনা মতো পড়ুন।
১১. পরীক্ষা শুরুর আগে দিনগুলোতে খুব বেশি করে পড়তে যাবেন না, যদি যখার্খ প্রস্তুতি থাকে।
১২.যেকোন প্রয়োজনে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, ভারসিটিতে পড়ুয়া বড় ভাই বা আপুর সাহায্য ও পরামর্শ নিন।
১৩.ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঐ দিনের পড়াগুলোর উপর একটু চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন।
১৪.পরীক্ষার আগের দিন রাত জেগে পড়বেন না।
১৫. আপনার চারপাশের সামান্য বিষয় বা ঘটনা আপনার মনকে এলোমেলো করে দিতে পারে। তাই পড়ার সময় মোবাইল ফোন, গল্পগুজব, সংবাদ পত্র, ম্যাগাজিন ইত্যাদি থেকে দুরে থাকুন।

১৬. পড়ার টাইমটেবিল এমন ভাবে প্রস্তুত করুন, যেন পরীক্ষার আগে রিভিশনের যথেষ্ট্য সময় থাকে।

আপনার খাবার:

১. আপনাকে পরীক্ষার প্রস্তুতীর সময় খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে। কেননা জীবণুযুক্ত খাবার আপনার অসুখের কারণ হতে পারে এবং পরীক্ষাকে বাধা গ্রস্ত করতে পারে।
২. পুষ্টি যুক্ত খাবার গ্রহন করুন। সতেজ ফলমুল খাবাব খাবেন এবং পর্যাপ্ত পরিমান পানি পানকরুন।

৩. খাবার গ্রহন করার সময় পড়বেন না।
৪. ফুটপাতের ধুলাবালি ও জীবাণুযুক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।
৫. পরীক্ষার আগে কখনই বেশী করে চা বা চা-কফি বা ফিজি জাতীয় খাবার (যেমন: কোকাকোলা বা টাইগার) খাবেন না।

৬. বিভিন্ন কুসংস্কার যেমনঃ পরিক্ষা দেওয়ার আগে ডিম খাওয়া উচিত নয়, এগুলো কুসংস্কার থেকে দুরে থাকুন। ডিম খেলে আপনি যেমন শারিরীক দিক থেকে শক্তি পাবেন তেমনি মানসিক দিক থেকেও শক্তি পাবেন। অতএব ডিম খাবেন। এতে কোন সমস্যা নেই।
৭. দুধ পান করুন। এতে মানসিক ও শারিরীক বল পাওয়া যায়।

আপনার বিশ্রাম ও ঘুম:

১. পরীক্ষার আগে ও চলাকালে নিয়ম করে ৬ ঘন্টা ঘুমাবেন। মনে রাখবেন পর্যাপ্ত ঘুম আপনার পড়াকে মেমোরাইজড করতে সাহায্য করে।
২. উদ্বেগের কারণে ঘুম না হলে কখনোই ঔষধ (ঘুমের ঔষধ) খাবেন না।

৩. ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিজেকে টেনশন মুক্ত করে প্রশান্ত মনে ঘুমাতে যাবেন।
৪. দু-এক দিন ঘুম কম হলেও এত উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

অভিভাবকের যেসব দায়িত্বঃ

১. পরীক্ষার সময় আপনার সন্তানকে যত্নের ভিতর রাখুন।
২. আপনার সন্তানকে বেশী রাত জাগতে দেবেন না।
৩. তাকে পড়াশোনা ব্যাতিত অন্যকাজ করতে দেবেন না। বিশেষ করে পরীক্ষা চলাকালীন।
৪. পরীক্ষার দিন তার প্রয়োজনীয় সামগ্রী (যেমন: পেন্সিল, কলম, ক্যালকুলেটর, অ্যাডমিট কার্ড, টাকা ইত্যাদি) গুছিয়ে রাখুন।
৫. পরীক্ষা খারাপ হলে তাকে বকাঝকা করবেন না। বরং তাকে আশ্বাস দিন এবং পরবর্তী পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করার জন্য তাকে উৎসাহ দিন।

৬. আপনার সন্তান যেন পরীক্ষা নিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ না নেয় সে বিষয়ে সচেতন থাকবেন।
৭. আপনার সন্তান যেন সুন্দর পরিবেশে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে পারে এ বিষয়ে আপনি সচেতন থাকুন।

পরীক্ষার দিনে যা করবেনঃ

১. পরীক্ষার দিন নিজেকে রিল্যাক্স মুডে রাখতে চেষ্টা করুন। অস্থির হবেন না। নিজেকে শান্ত রাখুন।

২. বাসা থেকে বের হওয়ার আগে দেখে নিন আপনার অ্যাডমিট কার্ড সহ আপনার প্রয়োজনীয় সকল জিনিষ পত্র সঙ্গে নিয়েছেন কী না।
৩. পরীক্ষার প্রথম দিনে পরীক্ষার হলে একটু আগে ভাগে রওনা দিন। কারণ পরীক্ষার জন্য রোল নম্বর খুজতে সময় পাওয়া যাবে।
৪. পরীক্ষা শুরুর আগে কীভাবে কতসময়ের ভেতর পরীক্ষা দেবেন তার একটা পরিকল্পনা করে নিন।

পরীক্ষার সময় বা হলে যা করবেনঃ

১. একটি প্রশ্নের উত্তর করার সময় কোন ক্রমেই অন্য প্রশ্ন নিয়ে মাথা ঘামাবেন না।

২. যেহেতু পরিক্ষার হলে সময় খুব অল্প, তাই প্রথম দিকে জানা প্রশ্নের উত্তর দিন।
৩. লুজশিট নেওয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল করবেন লুজশিটে ক্লাস শিক্ষকের সাক্ষার দেওয়া আছে কী না।
৪. লেখার সময় বানান শুদ্ধ করে লেখার চেষ্টা করবেন।
৫. লেখা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে লিখবেন, এতে করে নম্বর বেশি পাওয়ার সম্ভনা থাকে।
৬. প্রশ্নে ভুমিকা, বর্ণনা এবং উপসংহার সহকারে লেখা উচিত, এর ফলে সম্পূর্ণ নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৭. পরিক্ষার খাতায় বিভিন্ন শব্দ যেমনঃ PTO লেখা উচিত নয়। এতে করে শিক্ষক কম নম্বর দিতে পারে।
৮. লেখার লেআউট সঠিক রাখার চেষ্টা করবেন।
৯. ভদ্রতা বজায় রাখুন।
১০. নকল করা বা অন্যের দেখা, কারো সাথে কথা বলা ইত্যাদি বদ অভ্যাস থেকে বিরত থাকুন। কারণ এর ফলে পরিক্ষা থেকে বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
১১. একজাম পেপার জমা দেওয়ার আগে দুতিনবার দেখে নিন কোথাও কোন ভুল-ত্রুটি আছে কি-না।
১২. খাতায় অবশ্যই মারজিন ব্যবহার করবেন এবং মারজিনের বাহিরে কোন কিছু লিখবেন না।
১৩. প্রশ্ন লেখার পূর্বে নম্বর লিখুন যেমনঃ ১ নং প্রশ্নের ক নং উত্তর। এটি অধিকাংশ শিক্ষকরাই পছন্দ করে।

পরিক্ষার আগে ও পরে যে সকল কাজ করা উচিত নয়ঃ

১. অভ্রতা পরিহার করুন।
২. অশ্লিল কাজ থেকে বিরত থাকুন। অশ্লিল কাজ কর্ম শারীরিক ক্ষতি করে এবং পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটায়।
৩. নকল করা, দেখা-দেখি করে লেখা বা পরীক্ষার সময় কারো সাথে কথা বলা উচিত নয়। এতে পরীক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয় এবং পরীক্ষা থেকে বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৪. প্রশ্ন পত্র আউট হলে সেই প্রশ্ন পত্র পড়ে পরীক্ষা দেওয়া উচিত নয়। এতে আপনি কিছু শিখতে পারলেন না। ফলে আপনি শুধু নামে শিক্ষিত হবেন কিন্তু বাস্তবে আপনি কোন শিক্ষা অর্জন করতেই পারেন নি। এতে করে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীত হতে পারেন।
৫. শিক্ষকদেরকে ঘুষ বা হুমকি দিয়ে পরিক্ষায় ভাল রেজাল্ট করা উচিত নয়। এতে করে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীত হতে পারেন।

৬. ধুমপান বা যে কোন ধরণের মাদক পরিহার করুন। এতে করে সমাজিক পরিবেশ নষ্ট হয় এবং পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটায়।

আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে কীভাবে পড়ালেখা করলে বা কী ধরনের নিয়ম অনুসরন করে পড়ালেখা করলে পরীক্ষার রেজাল্ট ভাল হবে। যদি এই টিউনটি কারো উপকারে আসে তাহলে আমার পরিশ্রম সার্থক হবে। আর যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে বা কোন কিছু না থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টস করে আমাকে জানাবেন। ভাল লাগলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না যেন। সবাই ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ,
আব্দুর রহিম

আমার ওয়েব সাইটে একবার ঘুরে আসতে পারেনঃ http://www.itworld.com.bd/

Level 0

আমি আব্দুর রহিম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 25 টি টিউন ও 451 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

খুঁদে কম্পিউটার বিজ্ঞানী হতে মন চাইলেও মনের দিক থেকে আমি কিন্তু সাদা মনের মানুষ


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভাল হইছে……………………………

Level 0

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আসলেই এটা অনেক কাজের একটা টিউন সবারি কাজে আসবে । কিন্তু আপ্নে একটা কথা বললেন যে ।________আমাদের অনেকেরই মনে ভুল ধারণা আছে। আর সেটা হলো, আল্লাহ আমাকে কম ব্রেন দিয়েছেন আর তাকে বেশি ব্রেন দিয়েছেন। কিন্তু এটি আসলে সঠিক নয়। মহান আল্লাহ সবাইকেই একই ব্রেন বা শরনশক্তি দিয়েছেন।_______ এ বিষ্য আমি আপনার সাথে
এক মত না

    ধন্যবাদ। ভাই দয়া করে কী বলবেন কেন আপনি কথাটির সাথে একমত না?

    সহ মত প্রকাশ করিছ। আল্লাহ সুবহান তায়ালা সবাইকে একই ব্রেনই দিলে কেউ উকিল, কেউ ডাক্তার, কেউ লেবার হতনা। তবে হয় আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি, আল্লাহ তায়ালা সবাইকে কিছু না কিছু বিশেষ গুণ দিয়েছে, যার জন্য সে পৃথিবীতে টিকে থাকে বা আমরা সবাই তাকে প্রয়োজন বোধ করি।

    আপনার সাথে আমি একমত 😀

    আব্দুর রহিম ভাই, আমি দুঃখিত আপনার টিউন সমন্ধে মন্তব্য করতে miss করেছি বলে। আপনার টিউন-টি ভাল হয়েছে… (আপনি আমাকে সহমত প্রকাশ করার জন্য নয়)। সত্যি বলছি খুব ভাল হয়েছে… আমাদের অনেক উপকারে আসবে। আশা করি আরও ভাল ভাল টিউন আমাদেরকে উপহার দিবেন।

    টিউনটি খুব ভালো হয়েছে, খুব সুন্দর করে গোছানো লেখা। কিন্তু ভূমিকাতে “আমাদের অনেকেরই মনে ভুল ধারণা আছে। আর সেটা হলো, আল্লাহ আমাকে কম ব্রেন দিয়েছেন আর তাকে বেশি ব্রেন দিয়েছেন। কিন্তু এটি আসলে সঠিক নয়। মহান আল্লাহ সবাইকেই একই ব্রেন বা শরনশক্তি দিয়েছেন।” -এ বিষয়ে একমত হতে পারছি না। কারণ পবিত্র কোরআনে এরকম কিছু বলা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আর বিজ্ঞানের দিক দিয়ে দেখলে এটা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ প্রতিটি মানুষের মস্তিস্কের পরিমান আলাদা, গঠন আলাদা। তাইতো প্রত্যেকের চিন্তা-ভাবনা, ধ্যান-ধারণা, বুদ্ধি-মেধা-স্মরণশক্তিতে পাথর্ক্য রয়েছে। তবে মস্তিস্কের (brain matter) পরিমান কম-বেশী হলেই একজন মানুষ সারা জীবনে তার মস্তিষ্কের খুব সামান্য অংশই ব্যবহার করতে পারে। যেমন আমার কম্প্যুটারের হাড্যিস্ক ১ টিবি হলেও ব্যবহৃব হয়েছে মাত্র কয়েক জিবি। তাই যে প্রতিনিয়ত অধ্যবসায়ের দ্বারা মস্তিস্কের যত ব্যবহার করতে পারে সে তত মেধাবী। সাথে রয়েছে পড়ার ধরণ এবং পরিবেশ।
    আশা করি ব্যপারটা পরিস্কার হবে।

    আর হ্যাঁ, আল্লাহ সবাইকেই একই ব্রেন বা শরনশক্তি না দিলেও প্রত্যেককেই পর্যাপ্ত পরিমানে দিয়েছেন, যা কারো পক্ষেই সারা জীবনে সম্পূর্ণ ব্যবহার করা সম্ভব নয়।

Level 0

কারন এই দুনিয়ার সকল মানুষের ব্রেন যদি একিরকম হত তা কনো লকেরি কনো লকের প্রজন হতনা সবাই অস্তাদ হয়া গেত

এই যে দেখেন আপনি ৮ টা টিউন করসেন কিন্তু আমি এখন প্রজন্ত একটা টিউন করতে পাতি নাই কারন আমার ব্রেন কম

    হ্যা এটা অবশ্য একটা সঠিক কথা বলেছেন। যদি সবার ব্রেন এক হতো তাহলে সবাই ওস্তাদ হয়ে যেত। কাউকেও কারো দরকার হতো না। 😀

    এই ভুলটির জন্য মাফ করবেন।

    হা হা হা আমি একমত না। কারন আছে অনেক, যুক্তিও আছে অনেক। সব বলতে পারব না। একটা কথা বলি, পৃথিবীতে সবাই একই মাথা(ব্রেন) নিয়ে জন্মায়। এরপর যা আছে তা হল পরীক্ষা আর ফলাফল। যেমন ধরেন আমি যদি এখানে টিউন করার যোগ্যতা(পরীক্ষা পাশ) অর্জন করি, তাহলেই আমি এখানে টিউন করার ক্ষমতা অর্জন করতে পারব। আর তখনই আমি টিউন করব। আমার মাথায় আরো জঠিল জঠিল কিছু কথা আসছিল। বোঝানোর যোগ্যতা অর্জন করতে পারি নাই। তাই বলতেও পারলাম না। যদি বলেন পরীক্ষাটা দিব কার কাছে। তাহলে আমি বলব নিজের কাছে, সৃষ্টিকর্তার কাছে।

চমৎকার উপস্থাপনায় সুন্দর একটি টিউন

    ধন্যবাদ ভাইয়া। চেষ্টা করব যেন আরো ভালো ভালো পোষ্ট আপনাদেরকে উপহার দিতে পারি। 😀

দারুন টিউন । অনেকগুলো ভাল টিপস একসাথে পাওয়া গেল ।

আমার মনে হয় অধ্যাবসায়, উপযুক্ত শিক্ষক আর উপযুক্ত রিডিং পার্টনার এই তিনটা জিনিস এর সমন্বয় ঠিকমতো হলে ভাল রেজাল্ট করা অনেক ইজি হয়ে যায় ।

ব্রেন কম বেশি নিয়ে কয়েকটা কমেন্ট দেখলাম । আমার বিশ্বাস আল্লাহ মানুষকে পরিপূরক গুনাবলী দিয়ে পাঠায় । সেটা নির্ভর করে কার আগ্রহ কোনদিকে বেশি সেটার উপর । যার পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বেশি সে পড়ায় ভালো বা ভাল ছাত্র , যার পোস্ট লেখায় আগ্রহ বেশি সে ভাল লেখক, যার পোস্ট পড়ায় আগ্রহ বেশি সে ভাল ভিজিটর ইত্যাদি ।

.দারুন টিউন । অনেকগুলো ভাল টিপস একসাথে পাওয়া গেল ।

আমার মনে হয় অধ্যাবসায়, উপযুক্ত শিক্ষক আর উপযুক্ত রিডিং পার্টনার এই তিনটা জিনিস এর সমন্বয় ঠিকমতো হলে ভাল রেজাল্ট করা অনেক ইজি হয়ে যায় ।

ব্রেন কম বেশি নিয়ে কয়েকটা কমেন্ট দেখলাম । আমার বিশ্বাস আল্লাহ মানুষকে পরিপূরক গুনাবলী দিয়ে পাঠায় । সেটা নির্ভর করে কার আগ্রহ কোনদিকে বেশি সেটার উপর । যার পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বেশি সে পড়ায় ভালো বা ভাল ছাত্র , যার পোস্ট লেখায় আগ্রহ বেশি সে ভাল লেখক, যার পোস্ট পড়ায় আগ্রহ বেশি সে ভাল ভিজিটর ইত্যাদি ।

    ধন্যবাদ।
    —–আমার বিশ্বাস আল্লাহ মানুষকে পরিপূরক গুনাবলী দিয়ে পাঠায় । সেটা নির্ভর করে কার আগ্রহ কোনদিকে বেশি সেটার উপর । যার পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বেশি সে পড়ায় ভালো বা ভাল ছাত্র , যার পোস্ট লেখায় আগ্রহ বেশি সে ভাল লেখক, যার পোস্ট পড়ায় আগ্রহ বেশি সে ভাল ভিজিটর ইত্যাদি ।———-
    এই কথাটার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত! 😀

সুন্দর হয়েছে ধন্যবাদ

প্রথমেই টিউনটিকে স্টেকি করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
অসাধারন একটি টিউন সামনে এই ধরনের আরো ভাল ভাল টিউন আশা করছি।
**আর মানুষের ব্রেন যাই হোক চেষ্টা করলে কিন্তু সব ব্রেনেরই উন্নয়ন ঘটে,
আর আল্লাহ বলেছেন হাদীসে কুদসিতে আছে,”মানুষের আমল বা কর্ম তার নিয়তের উপর”
অর্থাৎ আপনি মনে প্রানে একটা সংকল্প করবেন এবং তার জন্য একাগ্রতার সহিত কাজ করে যাবেন সফলতা আপনি পাবেনই।
টিউনের জন্য ধন্যবাদ।

খুবই ভাল হয়েছে… ধন্যবাদ আব্দুর রহিম ভাই…:)

খুবই ভাল লাগল এবং খুবই সুন্দর উপস্থাপনায় একটি অত্যান্ত মানসম্পন্ন টিউনের রূপ পেয়েছে। ধন্যবাদ।

অসাধারন!
খুব সুন্দর এবং গুছিয়ে লিখেছেন।
অনেক ধন্যবাদ।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর টপিকে টিউন করার জন্য। একটু বড় তাই পড়া হলো না পরে পড়ে নিব। ভালো থাকুন শুভ কামনা

ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর হয়েছে.
শুভ কামনা.

ধন্যবাদ। আপনাদের সবার উপকারে এসেছে এতেই আমি খুশি। আর হ্যা আজকেই জানতে পারলাম যে আল্লাহ সব মানুষকে একই ব্রেন দেননি। পর্যাপ্ত পরিমাণ দিয়েছেন। যার যতুটুকু দরকার। কিন্তু মানুষ তার সারা জীবনে ০.১ পারসেন্টও ব্যবহার করতে পারবেনা।
😀
ধন্যবাদ।

Level New

খুবই ভাল হয়েছে…

Level 0

অনেক সুন্দর post রহিম ভাই।।thanks