আপনি কি সারা দিন-রাত কম্পিউটারের সামনে বসেই থাকেন? আপনি কি জানেন এটি আপনার চোখের জন্য ক্ষতিকারক? কিন্তু এই সমস্যার সমাধান আসলো এবার!! চোখকে এবার বিশ্রাম দিন – আবার কম্পিউটারও সারা দিন ব্যবহার করুন!!  পরীক্ষিত সফটওয়্যার দিয়ে কিভাবে এই কাজে সফল হবেন এ টু জেড জেনে নিন। একদম ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন আপনি এটি!!!

টিউন বিভাগ টিপস এন্ড ট্রিকস
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

হ্যালো সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় আপনারা টেকটিউনসে প্রযুক্তির স্বাদের মাঝে ভালোই আছেন। আমি ঠিক আগের মতোই নতুন প্রযুক্তি টিপস নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির।

প্রযুক্তি প্রেমীদের বেশিরভাগই কম্পিউটারের প্রতি অসম্ভব ধরনের নেশা আছে। দিনের পর দিন কিংবা রাত তাদের কম্পিউটারের সামনে দিন কাটাতে হয়। এই আজকের নতুন টিপস জানা বা এই মুহূর্তে ঘটে যাওয়া নতুন বিষয় নিয়ে উঠে পড়ে লেগে গেছেন জানার জন্য। রাত শেষ হয়ে যায় তাও আপনার কম্পিউটারের মাউস চলতে থাকে।  🙄

আর যারা প্রোগ্রামিং করেন বা নতুন সব প্রযুক্তি অলিগলি নিয়ে পড়ে থাকেন তাদের তো দিন – রাত কিভাবে চলে যায় তারই ধারনা থাকে না।

আমি নিজে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ঘন্টার বেশি সময় পিসির সামনে বসে থাকি, কাজ থাকলেও থাকতে হবে- না থাকলেও। কেউ নেশা গ্রস্ত হলে নাকি সেটা তাকে নির্দিষ্ট সময় পর পর নিতেই হয়। না হলে নাকি সে বাঁচবে না কিংবা তার দৈনন্দিন কাজ আর যায় না। ঠিক আমার অবস্থা এমন। দিনের পর দিন চলেছি এভাবেই।

কিন্তু আপনি বা আমি দিনের পর দিন কম্পিউটারের সামনে বসে থাকছি কিন্তু একবারও কি ভাবছি এর ফলে আমাদের চোখের কি হাল হচ্ছে। এতো সময় আমি কম্পিউটারের সামনে কাটাচ্ছি কিন্তু চোখের যে বিশ্রাম দরকার। কিন্তু এটা ভেবে কি হবে? নেশা তো বাদ দেওয়া যায় না। আমিও তাই ভাবতাম নেশাও থাকবে কিন্তু চোখেরও ক্ষতি হবে না, এমন কোন পদ্ধতি আছে কিনা। অবশেষে বের করেই ফেললাম সর্বজন স্বীকৃত সেই মাধ্যম যেটা আপনাকে দিন বা রাত সব সময় পিসির সামনে থাকলেও আপনার চোখের কনো সমস্যা করবে না। আপনার চোখকে অসম্ভব ভালো লাগা একটা অনুভুতি দিবে।  👿

কিন্তু এতো কিছু কিভাবে? আমি তো এসে গেছি তাইনা। সেহেতু সমস্যার সমাধান করেই তারপর যাবো। এক নজরে স্টেপগুলো অনুসরণ করুন। দেখবেন আপনি এগিয়ে চলেছেন  খুব ভালোভাবে।

চোখকে এবার বিশ্রাম দিন – আবার কম্পিউটারও সারা দিন ব্যবহার করুনঃ

চোখকে বিশ্রাম দিয়ে কিভাবে কম্পিউটার ২৪ ঘণ্টা ব্যবহার করবেন আবার চোখেরও সমস্যা হবে না ঠিক এরকমই কিছু টিপস থাকছে আজকের আলোচনায়। আসুন তাহলে দেখে নিই-

১) প্রথমে flux নামক সফটওয়্যারটি এই লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে নিন। flux সম্পর্কে একটু বলে রাখি। এটি মাত্র ৫৮৩ কেবি. একটি ছোট্ট সফটওয়্যার। যেটা আপনার টোটাল কম্পিউটারের স্ক্রিন সময় মতো বদলে দিবে। যেটা আপনার চোখের জন্য আরাম দায়ক। মনিটরের  কালার কম্বিনেশন করার জন্য সবাই ব্যবহার করছেন  flux।

২) এবার সেট-আপ ফাইল থেকে ডাবল ক্লিক করে (অন্যান্য সকল সফটওয়্যারের মতো প্রসেস) ইন্সটল করুন।

৩) সঠিক ভাবে ইন্সটল হলে একটি ওয়েলকাম বার্তা পাবেন আপনি। ইন্সটলের সাথে সাথে সফটওয়্যারটি ওপেন হবে। কিংবা আপনি নিজে ডেস্কটপ শর্টকার্ট থেকে সফটওয়্যারটি ওপেন করুন।

৪) ওপেন করলে নিচের মতো আপনার পিসি এবং আপনার টাইম জোন (আপনার লোকেশন অবশ্যই আগে থেকে সেট করতে হবে) অনুসারে flux সফটওয়্যারটি কাজ শুরু করবে।

৫) এবার আপনি ইচ্ছামতো আপনার লোকেশনের আলোর মাত্রা অনুসারে সেটিং থেকে সফটওয়্যার কনফিগার করে নিন।

নিচের স্ক্রিনশট দেখুন-

 

৬) প্রয়োজন অনুসারে আপনি আরও বেশি কনফিগার করতে পারবেন সফটওয়্যারটি। নিচের স্ক্রিনশট দেখুন-

 

৭) যদি পুনরায় কখনও আপনার হাই কয়ালিটির স্ক্রিন প্রয়োজন হয় তাহলে সফটওয়্যারটি ডিজাবল করে রাখলেই চলবে। নিচের স্ক্রিনশট দেখুন-

আশা করি আপনাদের বুঝতে সমস্যা হবে না। মনে রাখবেন আপনার পিসি এবং সময় অনুসারে কালার এডজাস্ট করতে কিছুটা সময় নিবে।

আপনি ম্যাক, মোবাইল বা ট্যাবলেট সবধরনের ডিভাইসে সফটওয়্যারটির নতুন ভার্সনগুলো নিলে চালাতে পারবেন। তবে আপনি যতো সুন্দরভাবে আপনার পিসির লোকেশন অনুসারে সেটিং চেঞ্জ করতে পারবেন ততো পারফরমেন্স ভালো পাবেন।

তারপরও কোন প্রশ্ন থাকলে এখানে করতে পারেন বা faq থেকে সাহায্য নিতে পারেন। আশা করি আপনার কম্পিউটার জীবন আর বেশি সুন্দর হবে এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।

আর বরাবরের মতো একটি প্রশ্ন রেখে বিদায় নিবো, “আপনি কতক্ষণ কম্পিউটারের সামনে থাকেন নিজেকে প্রযুক্তির সাথে সংযুক্ত রাখতে?”

শুধু সংখ্যাটা লিখলেই বুঝে নিবো আমরা। আপনার টিউমেন্টে উত্তরের অপেক্ষায় এবং সুন্দর প্রযুক্তি জীবন কামনায় আজকের মতো আমি বিদায় নিচ্ছি।

ধন্যবাদ সবাইকে!!  😉

আর একটি অনুরোধ যেহেতু রমজান মাস চলছে, বন্ধুরা মিলে বড় বড় রেস্টুরেন্টে প্রয়োজনের তুলনায় না খেয়ে যারা দিনে এক বেলা খাওয়ার জন্য সারা দিন রিকশা চালাচ্ছে বা খেটে বেড়াচ্ছে বা তাও করতে পারছে না তাদের প্রতি একটু আপনার বা আপনার বন্ধুদের ঐ বিলের সামান্য অংশ দিন। আপনার রোজার দিনটি অনেক ফুর্তিতে যাবে আশা করি। তবেই সঠিক হবে বলা, মানুষ মানুষের জন্য!!  🙂

Level 2

আমি আইটি সরদার। Web Programmer, iCode বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 261 টি টিউন ও 1750 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 22 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি ইমরান তপু সরদার (আইটি সরদার),পড়াশুনা করেছি কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি নিয়ে; পেশা কন্টেন্ট রাইটার এবং মার্কেটার। লেখালেখি করি নেশা থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৩ থেকে। লেখালেখির প্রতি শৈশব থেকেই কেন জানি অন্যরকম একটা মমতা কাজ করে। আর প্রযুক্তি সেটা তো একাডেমিকভাবেই রক্তে মিশিয়ে দিয়েছে। ফলস্বরুপ এখন আমার ধ্যান, জ্ঞান, নেশা সবকিছু...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ধন্যবাদ ভাইয়া……
আমাকে প্রতিদিনই সকাল ০৯ টা থেকে ১০টা পর্যন্ত পিসিতে বসে থাকতে হয়
কারো লাগুক আর নাই লাগুক সফটওয়ারটা আমার কাজে লাগবে……

    সুজন ভাই, আপনি তো আমাকেও ছাড়িয়ে গেছেন দেখছি!! আমার কম্পিউটার ব্যবহার দেখে আমার পড়শিরা বলে কম্পিউটার বয়, কিন্তু আপনি তো দেখছি কম্পিউটার ম্যান ++

    বৃষ্টির দিনে ধনে পাতারই শুভেচ্ছা!!

Level New

মনে মনে এতদিন এটিই খুজছিলাম ভাই!!!!! আপনাকে ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য আইডি তে লগইন করতে গেলাম, দেখি পাসওয়ার্ড ভূল! তারপর পাসওয়ার্ড রিসেট করে টিউমেন্টে করলাম! আবারো ধন্যবাদ!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

    এতো কষ্টের পরেও যে আগের অবস্থা পেয়েছেন এটাই কতো!
    আর টিউমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ নীল!!! 🙂

সকাল ৮ থেকে ১০টা। দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা। রাত ৮টা থেকে ভোর ৫টা্। কত ঘন্টা হল?

    ১৪ ঘন্টা হলো মনে হয়!! আমিতো শিশু এখনও কম্পিউটার ব্যবহারে মনে হচ্ছে।
    ধন্যবাদ ভাই!! 🙂

Uff Bachailen Sordar Vai! 🙂 Sardar Ji You Are The Great !

thanks vaia amer jonno ai tune ta kaje lagbe

Level New

আমি রাত ৪ টা পর্যন্ত কম্পিউটার চালিয়ে ঘুমানোর পর বিকাল ৫টায় ঘুম থেকে উঠি! ঘুম থেকে উঠেই আবার কম্পিউটার গুতাগুতি করি!

অনেক ধন্যবাদ। সুন্দর একটা জিনিস।

কাজের একটা জিনিষ দিয়েছেন ।
আপনাকে ধন্যবাদ!! 🙂

    আপনাকেও ধন্যবাদ!!

      অনেক আগে এক ফ্রেন্ড বলেছিলো এই সফটয়্যার ব্যবহার করার করণে তার চোখে সমস্যা দেখা দিয়েছিলো, পরে নাকী তাকে ডাক্তার দেখাতে হয়েছিলো, তবে আমার কোন সমস্যা হয়না, আর কতক্ষণ কম্পিউটারের সামনে থাকি, এক থেকে দেড় বছর আগের কথা বলছি সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা বা ৩টা পর্যন্তও কম্পিউটার এর সামনে থাকতাম, তবে এখন কম বসা হয়, কারণ এখন একটানা ৩-৪ ঘন্টা বসে থাকলে মেরুদন্ডে ও হাতের কব্জিতে ব্যথা করে। তাই কম ব্যবহার করি, তবে এখনও প্রতিদিন ৮-৯ ঘন্টা বা তার কমও বেশি থাকা হয়। শেষ কথা বলবো আমি কম্পিউটারে তথ্য প্রযুক্তি বা বিভিন্ন সফটয়্যার নিয়েই বেশি ঘাটাঘাটি করে থাকি, ফেসবুক বা মুভি দেখার সময় পাইনা।

        আপনি কিন্তু স্পেশাল ইউজার এবং সিস্টেমেটিক!! কাজের কাজই করা আরকি।
        অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই!!! 🙂

Level 2

হা হা হা
ভাছিলাম কি জানি আছে ভিতরে দেখি
এখন দেখি সেই আগের মাল

    তাহলে ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আছে!! ধন্যবাদ!! 🙂

Level New

ঘুম আর ভাত খাওয়া ছাড়া বাকি সময় কম্পিউটার এ। কম্পিউটার আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড।

অনেক ধন্যবাদ

কাজের জিনিষ, আমি নিয়মিত ব্যবহার করি, চমৎকার উপস্থাপনায় টিউনটি নতুনদের অনেক কাজে আসবে।

অনেক আগে থেকে ব্যাবহার করছি Flux ছাড়া কাজ করা যায় না,ধন্যবাদ টিউনের জন্য ।

অনেক সুন্দর একটা টিউন উপহার দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আমি প্রতিদিন ভোর 5 টা থেকে মোটামুটি 10 / 11 পর্যন্ত ঘুমোই, তাছাড়া নামায, গোসল বাদে সারাক্ষণই ল্যাপটপ আমার চোখের সামনেই থাকে (নতুন কোডিং শিখছিতো বুঝতেই পারছেন) 🙂 এতদিন 3D glass ব্যবহার করতাম। 😀

আমি ডাউনলোড দিলাম এবং ইউজ করছি, অসাধারণ, ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

আমি ডাউনলোড দিলাম কিন্তু কাজ হচ্ছনো samsung led s19c300 মডেল বিষয় টা একটু দেখবেন কি।