হ্যালো টেকটিউনস কমিউনিটি, কেমন আছেন সবাই? নিত্য-নতুন প্রযুক্তি স্বাদের ভেতরে খুব খোশ মেজাজে আছেন আশা করি। আর আপনাদের দীর্ঘ দিনের চাওয়া টেকটিউনস (পবিত্র মাহে রমজান এবং ঈদুল ফেতর উপলক্ষে) ইউজার রেজিস্ট্রেশন প্যানেল খুলে দিয়েছে তাতে আশা করি আপনাদের আনন্দের মাত্রা আরও বেড়ে গেছে। আসলে প্রতিদিন এতো প্রযুক্তি প্রেমীর এই একটা উত্তর দিয়ে আমি বিরক্ত হতাম সেটা হল কবে টেকটিউনস তাঁর রেজিস্ট্রেশন প্যানেল নতুনদের জন্য খুলে দিবে। অনেকে বিশ্বাসে নিতো না। কিন্তু এবার অন্তত বিশ্বাস হলো তো। 🙄
আজকের এই টিউন আমি ২ ভাগে ভাগ করেছি। এক নতুনরা যারা টিউন করতে বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে আমাকে নক করছেন তাদের কিছু সমধান দেওয়ার চেষ্টা, আর দ্বিতীয় ভাগে থাকবে কিছু নিজস্ব মতামত। আসুন তাহলে শুরু করি।
নতুন টিউন করতে সবাই হয়তো পারেন। তবে কিছু নতুন টিউনার সেটা বুঝে উঠতে পারছেন না। তারা এই টিউন ভালোভাবে ফলো করুন।
১) প্রথমে আপনার ইউজার প্যানেলের ড্যাশবোর্ডে প্রবেশ করুন। কীভাবে নিচের ছবি দেখুন।
২) তারপর টিউনস থেকে নতুন টিউনসে ক্লিক করুন। স্পষ্ট বুঝতে নিচের স্ক্রিনশট দেখুন।
৩) তারপর দেখবেন আপনার টিউন করার ড্যাশবোর্ড চলে এসেছে। এখানে টেকটিউনসের নির্দেশনামূলক কিছু টেক্সট ডিফল্টভাবে দেওয়া আছে। এটা শুধুমাত্র আপনার টিউন করার সুবিধার জন্য। এই টেক্সট সব আপনাকে মুছে টিউন করতে হবে। সেজন্য শিরোনাম টেক্সট মুছতে সেখানে কারচার রেখে Ctrl+A চেপে সব সিলেক্ট করে একবারে ব্যাকস্পেস (BackSpace) চেপে আপনি সেগুলো মুছে আপনার টিউনের শিরোনাম দিন। (এটা অবশ্যই করতে হবে)
তাঁর পর যেখানে আপনার টিউন লিখবেন সেই জায়গায় টেকটিউনসে টিউন করার সন নিয়মাবলী দেওয়া আছে, এটা এখানে থাকবে না। এই টেক্সটগুলোও আপনি কারচার রেখে Ctrl+A চেপে সব সিলেক্ট করে একবারে ব্যাকস্পেস (BackSpace) চেপে আপনি সবগুলো লেখা মুছে আপনার টিউন লিখুন।
টেকটিউনসে টিউন করতে হলে সর্বনিম্ন একটি বিভাগ (১ টির বেশি বিভাগ আপনি নির্বাচন করতে পারবেন না) আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। আপনার টিউন প্রযুক্তির কোন বিষয়ে সেটা ঠিক করে আপনি এই বিভাগ সিলেক্ট করুন। ডিফল্টভাবে এটি অন্যান্ন নিয়ে নিবে, কিন্তু অন্যান্ন বিভাগের টিউন প্রকাশ হয় না। সেহেতু অন্যান্ন বিভাগ তুলে আপনার লেখা টপিকসের উপর ভিত্তি করে আপনাকে টিউন করতে হবে।
আর ট্যাগ অবশ্যই সর্বনিম্ন ৩ টি ট্যাগ নির্বাচন করতে হবে। তবে ৩ টির বেশি করলে ক্ষতি নাই। এক্ষেত্রেও আপনার টিউনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ট্যাগ নির্বাচন করুন।
টিউনকে আকর্ষণীয় করতে মিনিমাম ৭ থেকে ১০ টি ছবি দেওয়া বাঞ্ছনীয়। তবে অযথা ছবি দেওয়ার আবার কোন মানে নেই। কারণ একটি ছবি ১০০ ওয়ার্ড লেখার কাজ করে দেয়। সেহেতু টিউনের সাথে মিল রেখে স্ক্রিনশট নিন এবং গুগল থেকে সামঞ্জস্য ছবি নিয়ে টিউন করুন। কিন্তু ছবি যোগ করবো কীভাবে?
প্রথমে Choose File থেকে আপনার ছবির লোকেশন দেখিয়ে দিন। তারপর আপলোড ক্লিক করুন। তারপর আপনার টিউনে যেখানে ছবি আপলোড করতে চান সেখানে কারচার রেখে Insert Into Post এ ক্লিক করুন। দেখবেন সেই ছবি আপনার টিউনে ঠিক জায়গায় বসে গেছে। ক্যাপশন দিতে চাইলে ক্যাপশন ঘরে আপনার ছবির পরিচয় দিন। ভালোভাবে বুঝতে স্ক্রিনশট দেখুন।
অনেক ছবি যোগ করতে পারলেও ফিচারড ইমেজ যোগ করতে পারছেন না। তাদের আগে থেকেই একটু বলি ফিচারড ইমেজ যেটা আমরা টিউন থাম্বানীল হিসাবে দেখতে পাই সেটা।
সেহতু একটি আকর্ষণীয় এবং রুচিশীল ফিচারড ইমেজ আপনার টিউনের ভিউ বাড়াতে সহায়তা করে এবং দেখতেও সুন্দর দেখায়। যেকারনে ফিচারড ইমেজ দেওয়া বাধ্যতামূলক। এজন্য আপনি ফিচারড ইমেজ না দিলে সেই টিউন প্রকাশিত হয় না।
ফিচারড ইমেজের জন্য আপনি ছবিটা প্রথমে আপলোড করুন। তারপর ছবি যেভাবে টিউনে যোগ করছিলেন “Insert Into Post” এর মাধ্যমে তাঁর ঠিক ডান পাশেই দেখুন Set as Featured images এখানে ক্লিক করলে সেটা ফিচারড ইমেজ হিসাবে সেট হবে।
তবে ছবি আপলোড করার সময় অবশ্যই 300 * 300 সাইজের ছবি আপলোড করবেন। এটা টেকটিউনসের ডিফল্ট ইমেজ সাইজ।
সেক্ষেত্রে আপনাকে Bold, Italic এবং হিডার ট্যাগ (Heading 1, 2, 3, 4) ব্যবহার করতে হবে। এটি টিউনকে যেমন আকর্ষণীয় করে, তেমনি পড়তেও ভালো লাগে।
আমি সাধারণত এই ইমো ব্যবহার করি টিউনের সময়। এজন্য অনেকে এটা কীভাবে জানতে চান। কারণ ইমো টিউনে টিউনারের এক্সপ্রেশন প্রকাশ পাই। সেহেতু এটা আপনারা সবাই এখন ব্যবহার করবেন আশা করি। 😉
নিচের স্ক্রিনশট দেখুন দেওয়ার জন্য। মেনু থেকে শুধু সিলেক্ট করলেই সেটা আপনার টিউনে চলে আসবে।
টিউনের লিমটেশন নাই। তবে একটি পারফেক্ট টিউন ৫০০+ শব্দের হয় (তবে আপনি যতো বেশি টিউনে বোঝাতে পারবেন ততো ভালো) এবং মিনিমাম ৫ টি ইমেজ থাকে। এটি পাঠক প্রিয়তা পেতে সহায়তা করে।
ব্যস কয়েক মিনিটের ভেতর আপনার প্রোফাইল পিকচার চেঞ্জ হয়ে যাবে। 👿
নতুন টিউনাররা বার বার যেসব প্রশ্ন করছেন তাঁর উত্তর নিয়ে সাজানো এই অংশ। সেহেতু যেখানেই প্রশ্ন করবেন আমি এই টিউনের লিঙ্ক দিবো, আপনি আপনার উত্তর নিয়ে নিবেন এখান থেকে।
১) আমার তো কম্পিউটার নাই আমাকে একটা একাউন্ট করে দিন? – ভাই আপনি যদি টেকটিউনসের গর্বিত টিউনার হতে চান তাহলে একটু কষ্ট করে অন্য কারও পিসি থেকে নিজে একাউন্টটা খুলুন অথবা সাইবার ক্যাফেতে যেয়ে একাউন্ট করে আসুন। কারণ একাউন্ট করার থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।
২) আমাকে টিউন করা শেখায়ে দিবেন? – উপরের স্টেপগুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করুন। পেরে যাবেন আশা করি।
৩) টেকটিউনস আমার টিউন পেন্ডিং করে কেন? – আপনি টেকটিউনসের নীতিমালা না মেনে টিউন করলে পেন্ডিং তো করবেই। আর পুনাঃ বৃতি করলে আপনার স্বাদের আইডি টাও যাবে। আমি এডমিন না আমাকে রিকুয়েস্ট করে কোন লাভ হবে না।
৪) টেকটিউনসে এতো অ্যাড কেন দেয়? – একটা ব্লগ চালাতে গেলে কতো খরচ হয় মাসে বা বছরে জানেন? আর টেকটিউনস খুব সম্ভবত ডেডিকেডেট সার্ভারে হোস্ট করা, না হলে এতো ভিজিটর সে কখনই নিতে পারবে না। তাছাড়া অফিস চালাতে বা নিজেদের পারিশ্রমিক তো আছে নাকি! বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনেক ব্লগ বন্দ করে দিছে জানেন। প্রথম-আলো ব্লগ পর্যন্ত বন্দ হয়ে গেছে চালাতে না পেরে। সেহেতু একটু অ্যাড না থাকলে চলবে কীভাবে আপনার – আমার টেকটিউনস। শেখ হাসিনা টাকা দিবে নাকি?
৫) টেকটিউনসের প্রতিষ্ঠাতা কে? – মেহেদী হাসান আরিফ - প্রতিষ্ঠাতা সি,ই,ও এবং সি,টি,ও - টেকটিউনস।
৬) আমি টেকটিউনসের সাথে যোগাযোগ করবো কীভাবে? -- উপরের মেনু থেকে টেকটিউনস ডেস্ককে বলুন ক্লিক করুন। পেয়ে যাবেন এডমিনদেরকে।
এই টিউন আমার কাছে যারা বিভিন্ন প্রশ্ন করবে তাদেরকে সাহায্য করার জন্য আপডেট হবে। ভিন্ন জায়গায় উত্তর না দিয়ে এই টিউন প্রতিনিয়ত আপডেট করবো। সেহেতু যেকোনো বিষয়ে এখানে প্রশ্ন করুন আমার কাছ থেকে উত্তর আশা করলে। 😆
আর যারা স্প্যাম করছেন, তারা মনে রাখবেন, জীবনে যদি বড় হতে চান আজ থেকেই যা করবেন বৈধ ভাবে করুন। তাতে আপনি, আপনার সমাজ এবং দেশ সবাই উপকৃত হবে।
কোন সমস্যা হলে আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
ধন্যবাদ সবাইকে। 👿
আমি আইটি সরদার। Web Programmer, iCode বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 261 টি টিউন ও 1750 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 22 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি ইমরান তপু সরদার (আইটি সরদার),পড়াশুনা করেছি কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি নিয়ে; পেশা কন্টেন্ট রাইটার এবং মার্কেটার। লেখালেখি করি নেশা থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৩ থেকে। লেখালেখির প্রতি শৈশব থেকেই কেন জানি অন্যরকম একটা মমতা কাজ করে। আর প্রযুক্তি সেটা তো একাডেমিকভাবেই রক্তে মিশিয়ে দিয়েছে। ফলস্বরুপ এখন আমার ধ্যান, জ্ঞান, নেশা সবকিছু...
আমাদের মতো নতুনদের কাজে আসবে,, ধন্যবাদ আপনাকে।।। 🙂