আমাদের প্রায় সবারই পিসি আছে। কিন্তু যারা হেডফোনের প্রয়োজন অনুভব করছেন তাদের জন্যই আজকের এই বিকল্প টিউন। এখন আপনাদের দেখাবো কিভাবে মোবাইলের ইয়ারফোন পিসিতে মাইক্রোফোন ও হেডফোন হিসেবে ব্যবহার করবেন!! যাদের ৩.৫ জ্যাক বিশিষ্ট ইয়ারফোন আছে তাদের ইয়ারফোন এই কাজে ব্যবহার করা যাবে। এতে বেঁচে যাবে আপনের হেডফোন কেনার বাড়তি খরচ!
3.5 mm jack
মোবাইলের ইয়ারফোন পিসিতে ব্যবহার করে আপনি স্কাইপ কথোপকথোন, স্ক্রিন ভিডিও ক্যাপচার এ অডিও রেকডিং, কারো সাথে ভয়েস চ্যাটিং ইত্যাদি অনায়াসেই করতে পারবেন।
আপনি যদি স্কাইপে কথা বলার কাজে এই ইয়ারফোনকে ব্যবহার করতে চান, তাহলে আপনের ইয়ারফোনের জ্যাকটি পিসির পেছনের মাইক্রোফোনের পোর্টে ঢুকিয়ে দিন।
মাইক্রোফোনের পোর্ট সাধারণত কিছুটা লাল রঙ্গের দেখতে। পিসির ক্যাচিঙ্গের পেছনে যে ৩টি পোর্ট রয়েছে তারমাঝে বামপাশের পোর্টটি মাইক্রোফোনের জন্য। পোর্টে জ্যাক ঢুকানোর পর একটি স্টার্টাপ মেনু পিসির স্ক্রিনে আসবে।
এখান থেকে মাইক্রোফোন সিলেক্ট করুন। তারপর ওকে দিন। ব্যাস।
(আপনের পিসির মাইক্রোফোনের সেটিংটা একটু কষ্ট করে চেক করে দেখুন)
ভাবছেন যার সাথে স্কাইপে কথা বলবেন তার কথা আপনি কি ইয়ারফোন দিয়েই শুনতে পাবেন?
সোজা উত্তর হচ্ছে না। যেহেতু প্রত্যেকেরই স্পিকার আছে তাই আপনি আপনের স্পিকার এই কাজের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। অর্থ্যাৎ ইয়ারফোন মাইক্রোফোনের কাজ করবে ও স্পিকার শোনা বা হেডফোনের কাজ করবে। ভাবছেন এটা আবার কেমন হল? আরে ভাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর চেষ্টা করুন।
আপনি যদি ইয়ারফোনকে হেডফোন হিসেবে ব্যবহার করতে চান, তাহলে আপনের ইয়াফোনের জ্যাকটিকে সিপিইউ এর পেছনের মাঝখানের (সবুজ রঙ্গের) পোর্টে ঢুকিয়ে দিন।
পোর্টে জ্যাক ঢুকানোর পর একটি স্টার্টাপ মেনু পিসির স্ক্রিনে আসবে।
এখান থেকে হেডফোন সিলেক্ট করুন। তারপর ওকে দিন। ব্যাস। এবার পিসির কোনো কিছু প্লে করুন আর ইয়ারফোনকে হেডফোন হিসেবে শোনার কাজে ব্যবহার করুন।
বিঃদ্রঃ একটি ইয়ারফোন দিয়ে হেডফোন ও মাইক্রোফোন দুটোর কাজই চালাতে পারবেন। কিন্তু একসাথে দুটো কাজ চালাতে পারবেন না। মানে হেডফোন হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলে একই সাথে মাইক্রোফোন হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন না
ফেসবুকে আমি 😛 (টিউনটি পূর্বে
আমার ব্লগে প্রকাশিত) আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আর হ্যাঁঃ টিউনটি পড়ার জন্য সবাইকে এত্তগুলা ধন্যবাদ 😆
thnx bro..