হ্যালো টেকটিউনস কমিউনিটি, কেমন আছেন সবাই? টেকটিউনসের প্রযুক্তি জগতে হাবুঢাবু খেয়েই চলেছেন বুঝি! আশাকরি।
তবে আমি আজকে একটু ব্যতিক্রম, বলতেন পারেন একদম ব্যতিক্রম জিনিস নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। এই টিউনটিকে আপনারা প্রেডিকশনও বলতে পারেন। তবে আমি পুরাপুরি প্রেডিকশন বলতে নারাজ এই কারণে যে এই টিউনে থাকবে কয়েক শত গবেষকের বহুত বাস্তব গবেষণার ফল। সেহেতু আপনারা এটাকে গবেষণালব্ধ টিউনও বলতে পারেন। 🙄
আজকের এই টিউনে থাকবে এখান থেকে কয়েক যুগ পরের জবের চাহিদা নিয়ে বিশদ আলোচনা। তা কেন আমরা এই বিষয়ে জানবো? আপনি এটা আমাকে বলতেই পারেন।
আশাকরি তখন খুব কমই স্টুডেন্ট আছে যারা এই সাবজেক্টের ভবিষ্যৎ চাহিদা কেমন হবে বা আমি যখন পড়াশুনা শেষ করবো তখন এই বিষয়ে ভালো ডিমান্ড পাবো কিনা বা নিজের পছন্দ আছে কিনা! এসব বিষয় নিয়ে ভাবি।
আসলে এটা আমাদেরও দোষ না! আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাই এমন যে এখানে নিজের ইচ্ছামতো পড়াশুনা করার সুযোগ নাই। কারণ আমরা কোন সাবজেক্টে পড়বো তা আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার পরেও বুঝি না। যেটা আমার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিলেক্ট করবে সেটাই আমাকে পড়তে হয়। 😐
যদিও কিছু অতি উৎসাহী স্টুডেন্ট আছেন যারা তাদের যে যে বিষয়ে ভালো লাগে তাঁর মধ্য থেকে একটা ভবিষ্যৎ চাহিদামূলক বিষয়ে পড়াশুনা করেন। সেজন্য অনেক সময় তাদের পরিবার বা সমাজ থেকে হেয় চোখে দেখা হয়। কিন্তু সত্যিকারের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব যে সেই অবাধ্য ছেলে মেয়ে গুলাই দেয় তা আমরা ইতিহাস পড়লেই বুঝতে পারি। 😎
অর্থাৎ আপনি পড়াশুনা করবেন বা জানবেন আজকে কিন্তু আপনাকে ধারণা রাখতে হবে আজ থেকে ১০ বা ২০ বছর পরের হিসাব কি হবে। না হলে তখনকার যুগে আপনি পিছিয়ে থাকবেন অনেক বেশি। আর যদি তেমন কোন বিষয়ে আপনি দক্ষতা বা পড়াশুনা করতে পারেন তাহলে ঐসময় আপনি ভালো উদ্যোক্তা বা ভালো মানের গাইড লাইনার বা জব করবেন। 👿
আজকে আমরা সেই রকম কিছু জব সম্পর্কে জানবো, যেটার চাহিদা আজকে কম থাকলেও এখান থেকে এক যুগ পরে জবই আপনাকে খুজবে। টিউনটি আমি লিখছি বৈকি তবে গবেষণাটা অ্যামেরিকার বিখ্যাত রিসার্চ ইন্সটিটিউটের করা। কি তাহলে জানবেন না, কি সেই জব গুলো! আশাকরি।
এখান থেকে বেশ কয়েক বছর পর থেকে মার্কেট এতো বড় হবে যে অনেক বেশি ডাটা তাদের ম্যানেজ করতে হবে। সেই ডাটার উপর বেজড করেই একটি কোম্পানি তাঁর প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগীতাই টিকিয়ে রাখতে পারবে। অন্যথায় মার্কেট অন্যদের দখলে চলে যেতে পারে। কারণ কাস্টোমার ডাটা বা প্রতিযোগীদের ডাটা ভালো বিশ্লেষণ না করতে পারলে সেটা অন্য প্রতিষ্ঠানের ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে।
আর তখনি প্রয়োজন হবে কম্পিউটারাইজড ডাটা রিসার্চার বা বিশ্লেষক।
গতানুগতিক চিকিৎসা পদ্ধতি এখনি উন্নত দেশগুলোতে কমে গেছে। এখন মানুষ বুঝেছে ৭৫% রোগ মানুষের মানুসিক। সেহেতু যারা মনো বিশেষজ্ঞ বা কাউন্সিলর তাদের চাহিদা দিন দিন বাড়তেই থাকবে। বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠান বা বড় সব সংস্থা তখন মনো বিশেষজ্ঞ বা কাউন্সিলর খুঁজে নিতে চাইবে।
বিজ্ঞান যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে আজ থেকে কয়েক বছর পর থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষক এবং তথ্য প্রযুক্তি গবেষকের খুব বেশি চাহিদা তৈরি হবে। কারণ মানুষ অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন হবে আর নিত্য নতুন প্রযুক্তি গ্যাজেটে সবাই বেশি অভ্যস্থ হবে।
যেহেতু প্রত্যেকটি কোম্পানি লেটেস্ট প্রযুক্তির সাথে থাকতে চাই বা না থাকলে তাদের মার্কেট অচল হয়ে যাবে সেহেতু কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার বা সিস্টেম এনালেটিক্সে জবের চাহিদা তুলনামূলক হারে বেড়ে যাবে। যেখানে তারা কোম্পানির হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার বা নেটওয়ার্কসের মাঝে সমন্বয় সাধন সহ বিভিন্ন প্রযুক্তি বান্ধব নতুন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করবে।
যেহেতু এখনি মানুষ পোষা প্রাণীকে খুব ভালোবাসে এবং তাদেরকে পরিবারের সদস্যের মতো গ্রহন করে। সেহেতু তাদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ খুব বেশি প্রয়োজন পড়বে। যেটা দিন দিন বেড়েই চলছে।
যেহেতু আবহাওয়া আমাদের পরিবেশকে নিয়ন্ত্রণ করে আর দিন দিন এটা অবনতির দিকে যাচ্ছে, সেহেতু প্রযুক্তি জ্ঞানী খুবই দক্ষ পরিবেশ বিজ্ঞানী এবং বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন পড়ছে। যেটা ভবিষ্যতেও বেড়ে যাবে। যারা পরিবেশ এবং বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির মধ্যে একত্ব হয়ে বসবাসযোগ্য পৃথিবী তৈরিতে কাজ করবে।
অর্থনীতি বা ফিন্যান্স প্রতিটি কোম্পানির প্রধান অংশ। যেহেতু বিভিন্ন দেশ অর্থনীতি ক্রাইসিসে পড়ে সেহেতু অর্থনীতি বিশারদের খুব চাহিদা আছে-থাকবে।
আমাজান, ফেসবুক, টুইটার বা অ্যাপেলের মতো কোম্পানি যেহেতু ব্যক্তি উদ্যোগে তৈরি হয়েছে, দিন দিন এই পরিমান বাড়তেই থাকবে। তখন নতুন নতুন পরিকল্পনা নিয়ে মানুষ এটার পিছনে নিজের শ্রম দিয়ে নতুন কিছু করার চেষ্টা করবে।
মানুষ দিন দিন বেশি ব্যস্ত এবং সেই সাথে স্বাস্থ্য সচেতন হবে। সেহেতু মানুষ সেবা এবং বেবি কেয়ার দিন দিন বাড়তেই থাকবে। সেহেতু এই বিষয়ে অভিজ্ঞরা এগিয়ে থাকবে এই জবে।
ম্যানেজার একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যয় কমিয়ে আয় বাড়ানোর পরিকল্পনা করতে পারে এবং বাস্তবে ঘটাতে পারে। এজন্য কোম্পানিগুলো এই বিষয়ে এক্সপার্টদের অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়।
এক্ষেত্রে অবশ্য মিশ্র অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় কোম্পানি অনুসারে। যে যতো বেশি বিষয়ে জানবে সে ততো লাভবান।
উপরের স্যালারিগুলো সবই বর্তমান হিসাবে তবে জব প্রেডিকশন এখান থেকে ১০ বছর পরের। সেহেতু সেই সময় স্যালারি আরও বেশি হবে এটা স্বাভাবিক। 😉
আর আমাদের দেশে হিসাব করতে ১ ডলার= ৭৫ টাকা ধরে হিসাব করতে পারেন।
তবে উপরের আলোচনা থেকে দেখা যায় প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের অর্থাৎ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের বা ঐ সম্পর্কিত অভিজ্ঞদের (সকল জবে) চাহিদা আজ থেকে কয়েক যুগ পরেও সমান তালে বেড়ে চলবে।
আপনাদের দক্ষতা উন্নয়ন ভবিষ্যৎ মুখী হবে এই কামনায় আজ আমি এখানেই শেষ করছি।
ধন্যবাদ সবাইকে। 🙄
আমি আইটি সরদার। Web Programmer, iCode বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 261 টি টিউন ও 1750 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 22 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি ইমরান তপু সরদার (আইটি সরদার),পড়াশুনা করেছি কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি নিয়ে; পেশা কন্টেন্ট রাইটার এবং মার্কেটার। লেখালেখি করি নেশা থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৩ থেকে। লেখালেখির প্রতি শৈশব থেকেই কেন জানি অন্যরকম একটা মমতা কাজ করে। আর প্রযুক্তি সেটা তো একাডেমিকভাবেই রক্তে মিশিয়ে দিয়েছে। ফলস্বরুপ এখন আমার ধ্যান, জ্ঞান, নেশা সবকিছু...
wow vi kazer moto akta post