অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে, অন্য কারো কোন প্রডাক্টকে কমিশনের বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়া/লিড পাইয়ে দেওয়া। বর্তমানে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস আছে যারা ফিজিক্যাল ও ডিজিটাল প্রডাক্ট অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের প্রমোশনের মাধ্যমে তাদের পণ্য বিক্রি করার সুযোগ দিয়ে থাকে। অন্যতম মার্কেট প্লেস হচ্ছে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম, ক্লিক ব্যাংক, সিপিএ এম্পায়ার, শেয়ার এ সেল, কমিশন জাংশন ইত্যাদি।
শুরু করতে যাচ্ছেন দেখে নিন!
অনেকেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ভিন্ন ভিন্ন প্রসেসে করে থাকেন। প্রডাক্ট, টার্গেট মার্কেট এবং প্রমোশন স্ট্রেটেজির উপর ভিত্তি করে একেক জনের একেক স্টাইল। কেউবা ডিরেক্ট প্রডাক্ট প্রমোট করে কিংবা কেউ ইনফরমেশন বা রিভিউ বেসড সাইট তৈরি করে আবার অনেকেই শুধু মাত্র প্রডাক্টের উপর ল্যান্ডিং পেজ ক্রিয়েট করে সেটা লিড ক্যাপচার করে প্রমোট করার মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকে। তাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে হলেই অনেক কিছু জেনে নিয়ে কাজে নামতে হবে যেমন, কোন প্রডাক্ট বাছাই করবো, কেন বাছাই করবো? এই প্রডাক্ট গুলো কিভাবে টার্গেটেড ট্রাফিকের উপস্থাপন করতে হবে এবং কিভাবে প্রমোট করতে হবে ইত্যাদি।
আচ্ছা যদি ইনফরমেশন বেসড ওয়েব সাইট তৈরি করতে চাই?
হুম। বন্ধুরা আমি বর্তমানে অ্যাফিলিয়েটে কাজ করছি রিভিউ বা ইনফরমেশন বেসড ওয়েব সাইট নিয়ে। ইনফরমেশন বেসড সাইটগুলোতে মূল লক্ষ্য থাকে ট্রাফিককে তাদের অজানা বিষয়ে গাইড করা, বিভিন্ন বিষয়ের উপর নিজস্ব রিভিউ জানানো। এই ধরনের সাইট গুলোতে অনেক অনেক কন্টেন্ট থাকে আর মূল ট্রাফিক স্ট্রেটেজিই তৈরি হয় সার্চ ইঞ্জিনকে টার্গেট করে, কেননা নিশ বাছাই এর সময়ই এমন নিশ খোজা হয় যেখানে টার্গেট মার্কেট সার্চ করে এবং ইনফোরমেশন খোজে।
এই ধরনের ইনফরমেশন বেসড ওয়েব সাইট তখনি ভালো করে যখন পর্যাপ্ত পরিমানে ট্রাফিক সার্চ ইঞ্জিন থেকে আসে। সার্চ ইঞ্জিনে ভালো করতে প্রয়োজন হয় সঠিক কিওয়ার্ড রিসার্স এবং কন্টেন্ট। আপনাদের আরও একটা গুরুত্বপূর্ন বিষয় জানিয়ে রাখি, আমি ইনফরমেশন বেসড ওয়েব সাইট নিয়ে তখনি কাজ করি যখন কোন ভালো মানের নিশ পাই, প্রত্যক্ষ ভাবে সেটার মূল মানিটাইজেশন ফিজিক্যাল কোন প্রডাক্ট দিয়ে ই করতে হয় বা করা যাবে। আর ফিজিক্যাল প্রডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট করতে আমার প্রথম পছন্দ অ্যামাজন এসোসিয়েট! আরও কিছু সুবিধা রয়েছে…
আমার ছোট ভাই ও ব্যাবসায়িক পার্টনার আল আমিন কবির এই লেখাতে জানিয়েছেন কেন অ্যামাজন তিনি অ্যামাজান প্রডাক্ট নিয়ে তিনি কাজ করতে পছন্দ করেন।
ইনফরমেশন বেসড ওয়েবসাইট তৈরি করার ভিত্তি গুলো হলো – নিশ নির্বাচন, কিওয়ার্ড রিসার্চ, প্রডাক্ট নির্বাচন, কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট, অনপেইজ এসইও, লিংক বিল্ডিং ও সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। এই ধরনের সাইট তৈরি করার মেথড নিয়ে আমার সিরিজ লেখাটি পড়তে পারেন এই লিংকে। আশাকরি শুরু করতে পারবেন।
আসুন জেনে নেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে হলে কি কি জানতে হয়…
একজন সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে সর্বশেষ আমি আপনাদেরকে এতটুকু বলতে পারি যে উক্ত বিষয় গুলা যদি আপনি ভালো করে আয়ত্ত করতে পারেন তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। বর্তমানে আমাদের দেশে এন্ট্রি লেভেলের এমন অনেক মার্কেটার আছে যারা মোটামুটি প্রতিমাসে ১০০০ থেকে ২০০০ ডলার আয় করছে। এবং আমি মনে করি এটি অনেক সম্মান জনক পেশা। আপনাদের শুভ কামনাই আজকের মতো শেষ করছি। আশা করছি পরবর্তীতে আরও কিছু টিপস নিয়ে আপনাদের সামনে আসতে পারবো।
আমি ব্লগার মাসুদুর রশীদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 14 টি টিউন ও 189 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ব্লগিং করছি সেই ২০০৮ থেকে। বর্তমানে ডেভসটিম এর কো-ফাউন্ডার ও সি.এফ.ও পদে কর্মরত আছি। বাংলা ব্লগিংয়ের প্রতি অসম্ভব ভালবাসা থেকেই আর্ন ট্রিক্স.কম ব্লগটি তৈরী করা। আর্ন ট্রিক্স ব্লগের প্রধান উদ্দেশ্য হল, সবার মাঝে ওয়েব এন্টারপ্রিনারশিপ মনোভাব তৈরী করা ও নতুনদের সঠিক গাইডলাইন দেওয়া। আমাকে ফেসবুকে পাবেন এখানে । টুইটারে অনুসরণ...
কোথা থেকে শুরু করব সেটাই বুঝতে পারছি না । আচ্ছা আপনার নাম্বারটা পাওয়ার কোন উপায় আছে???