আমরা কম বেশি সবাই উইন্ডোজ এর ৩২ বিটের অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে থাকি।তাছাড়া আমরা যখন কোন নতুন কম্পিউটার কিনতে যায় তখন বিক্রেতা আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করে আমরা কত GHz এর প্রোসেসোর নিব কিন্তু দোকানাদার কখনও জিজ্ঞাসা করে না কত বিটের প্রোসেসর নিবেন। এবং তারা এই সুযোগে আমাদেরকে ৩২ বিটের প্রোসেসর দিয়ে থাকেন। আমরা যারা উইন্ডোজ ৭ এর ৬৪ বিটের অপারেটিং ব্যবহার করি তারা হয়ত সবাই জানি যে, উইন্ডোজ ৩২ বিটের অপারেটিং সিস্টেমগুলো এক ধরনের সেবা দিয়ে থাকে এবং ৬৪ বিটের অপারেটিং সিস্টেমগুলো অন্য ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকে। আজ আমি আপনাদেরকে উইন্ডোজ ৭ এর ৬৪ বিটের অপারেটিং সিস্টেমের নানা সুবিধাগুলো তুলে ধরব।
১। Windows ৭-এ এর Performance কে উন্নতি সাধন
উইন্ডোজ ৭ এ ৬৪ বিটের অপারেটিং সিস্টেমগুলোতে সবচেয়ে যে লক্ষ্যনীয় ব্যাপার হল তা হচ্ছে এর কাজ করার পদ্ধতি। এই ৬৪ বিটের কম্পিউটারে আপনি একসাথে অনেকগুলো প্রোগ্রাম একসাথে চালনা করতে পারবেন যা কিনা অন্যান্য বিটের অপারেটিং সিস্টেম এর তুলানায় অনেক লক্ষ্যনীয়।
২। Windows ৭ এর Memory কে বৃদ্ধি করা হয়েছে
যে সকল অপারেটিং সিস্টেমগুলোতে অনেকগুলো প্রোগ্রাম এবং বড় কোন প্রোগ্রাম চালনা করতে হয় সেগুলোতে অনেক মেমোরির প্রয়োজন হয়। আর যদি আপনার পর্যাপ্ত মেমোরি না থকে তাহলে আপনার প্রোগ্রামগুলো ঠিকমত কাজ করে না (মানে আটকে থাকে)। তাছাড়া উইন্ডোজ ৭ এর ৩২ বিটের কম্পিউটারে আপনি ৪ GB RAM এর বেশি ব্যবহার করতে পারবেন না। কিন্তু মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ৭ এর ৬৪ বিটের অপারেটিং সিস্টেমে এই সীমাবদ্ধতা তুলে নিয়েছে।
নিচে উইন্ডোজ ৭ এর ৬৪ বিটের অপারেটিং সিস্টেমের বিভিন্ন ভার্সনের এবং তাদের মেমোরি সম্পর্কে লেখা হলঃ
Windows 7 Edition Memory
Home Basic / Home Basic N 8 GB
Home premium 16 GB
Professional / professional N 128 GB or more
Enterprise / Ultimate 128 GB or more
৩। Windows ৭ এর Device support কে উন্নতি সাধন
যদিও ৬৪ বিটের প্রোসেসর কম ছিল আগের সময়, এবং অতীতে এই প্রোসেসর এর জন্য 3rd party Driver পাওয়া খুবই কষ্টকর ছিল ।কিন্তু যখন উইন্ডোজ ভিস্তা এর ৬৪ বিটের অপারেটিং সিস্টেম প্রথম বাজারে ছাড়া হয় তখন মাইক্রোসফট এই ৬৪ বিটের অপারেটিং সিস্টেমের জন্য যাতে সহজে Driver পাওয়া যায় তার জন্য ব্যবস্থা করেছে। আর উইন্ডোজ ভিস্তাতে যে পদ্ধতিটা অনূসরণ করা হয়েছে, উইন্ডোজ ৭-এ একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। যার কারণে উইন্ডোজ ভিস্তাতে যে প্রোগ্রামগুলো কাজ করে তা উইন্ডোজ ৭-এ কাজ করে।
৪। Security কে অনেক জোরালো করা হয়েছে উইন্ডোজ ৭-এ ৬৪ বিটের অপারেটিং সিস্টেমগুলোতে
Intel এবং AMD এর ৬৪ বিটের প্রোসেসর-এর যে গঠন পদ্ধতি এবং বৈশিষ্ট্য রয়েছে তাতে নিরাপত্তার বিষয়টি অনেক বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর তাহল
* Kernel Patch Protection : এইটি আপনার অপারেটিং সিস্টেমের KERNEL কে সুরক্ষিত রাখে
* Mendatatory Kernel-mode driver singing : স্বাক্ষরিত Driver এটা কোন সফটওয়্যারের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করে থাকে। আর উইন্ডোজ ৭ এর ৬৪ বিটের কম্পিউটারে অবশ্যই Kernel-mode এর Driver এর Digital signed থাকতে হয় ব্যবহার করার জন্য।
* Data Exceution Preventation : এইখানে সফটওয়্যার এর ব্যাতিত হার্ডওয়্যার কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। যার ফলে আপনার কম্পিউটারে থাকা ক্ষতিকর সফটগুলো অপারেটিং সিস্টেমের System Failure করতে পারে না
৫। Windows 7 এর 64 বিটের ভার্সনের সীমাবদ্ধতা
উইন্ডোজ ৭ এ একটি সীমাবদ্ধতা হলে এটি ১৬ বিটের Windows on Windows (WOW) environment কে সাপোর্ট করে না।
আরো বিস্তারিত দেখুন Advantages of using 64bit editions of windows 7 এইখানে
আমি emdad। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 47 টি টিউন ও 322 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি একজন সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারি। আমি নেটওয়ার্কিং, ওয়েভ ডেভেলপমেন্ট এবং ব্লগিং নিয়ে ইন্টারনেটে বিচরণ করি। আমি এখন www.software-blogmania.com এই ঠিকানায় অবস্থান করছি।
ধন্যবাদ