আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় বন্ধু সকল কেমন আছেন আপনারা। আশা করি ভালো। আজকে আমি এমন একটি বিষয় নিয়ে টিউন লিখছি যা হলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের খুবই কাজের জিনিস। আর তা হল প্রিন্টার। প্রিন্টার সাধারণত ব্যাংক, বীমা, স্কুল-কলেজ, শিল্প-কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের আধিক্য লক্ষ্য করা গেলেও, হোম ইউজাররাও এর ব্যবহার থেকে পিছিয়ে নেই। ধারাবাহিক টিউনগুলো নিচে দেখুন।
প্রযুক্তির যত উন্নতি সাধিত হচ্ছে, আমরা তত বেশি এর ব্যবহারের মাধ্যমে অলস হতে চলেছি। এখন কিছু ডকুমেন্ট প্রিন্ট করার জন্য আর দোকানে যেতে হয় না। কারন এখন আপনি একটা UPS- এর দামে Canon অথবা HP এর ভালো মানের InkJet প্রিন্টার পাবেন। প্রিন্টার ব্র্যান্ড গুলো বিভিন্ন ধরনের ভোক্তার চাহিদার কথা মাথায় রেখে তৈরি করছে নানা ধরনের, বিভিন্ন দামের প্রিন্টার।
প্রিন্টারের ব্যবহার কোন্ কোন্ ক্ষেত্রগুলোতে হয়ে থাকে তা অনেক ব্যাপক আলোচনার বিষয়। আমি প্রধানত দুই শ্রেনীর ব্যবহারকারী ধরে নিয়েছি, লেখা সংক্ষেপ করার জন্যে।
১. হোম ইউজারঃ
উপরে ব্যবহারের কিছু পয়েন্ট তুলে ধরলাম। এতে করে বুঝতে সহজ হবে।
প্রিন্টার কাজের উপর ভিত্তি করে কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। যেমনঃ Ink Jet, Laser, Dot Matrix, Pose Printer ইত্যাদি।
Ink Jet প্রিন্টার হোম ইউজারদের পছন্দের প্রিন্টার। এসব প্রিন্টারের দাম খুবই কম। দাম কমের কারনে এসব প্রিন্টার কিনতে কোন ধরনের বেগ পেতে হয় না। আপনি যেকোনো ধরনে “টেক্সট বা ছবি” সাদাকালো বা রঙ্গিন ফরমেটে প্রিন্ট দিতে পারবেন। প্রিন্ট করার পাশাপাশি স্ক্যানিং ও কপি করার জন্য অল-ইন-ওয়ান প্রিন্টার নিতে পারেন।
হোম ইউজারদের জন্য ২৬০০-৬৫০০ টাকার InkJet প্রিন্টার।
এই প্রিন্টারটি ছোট আকারের একটি ইন্কজেট প্রিন্টার। এর কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্য নিচে দেওয়া হলঃ
অধিক প্রিন্টের জন্য, ৯০% খরচ বাচাঁনোর জন্য এর মধ্যে CISS(Continue Ink Supply System) ব্যবহার করা যায়। যা Drum নামে বেশি প্রচলিত।
এই প্রিন্টারটি আকারে ছোট। ছোট বাচ্চারাও এটা বহন করতে পারবে। প্রিন্ট কোয়ালিটি চমৎকার। আরো কিছু জানুন নিচ থেকে।
এর মধ্যে CISS(Continue Ink Supply System) ব্যবহার করা যায় না।
EPSON-এর এটি একটি নতুন সংস্করন। খুবই ছোট আকারের এই প্রিন্টারটিতে চারটি Individual Cartridge ব্যবহার হয়েছে। আরো কিছু জানতে নিচে দেখুন।
অধিক প্রিন্টের জন্য, ৯০% খরচ বাচাঁনোর জন্য এর মধ্যে CISS(Continue Ink Supply System) ব্যবহার করা যায়। যা Drum নামে বেশি প্রচলিত।
অল ইন ওয়ান মানে প্রিন্ট, স্ক্যান, কপি করা যাবে একই প্রিন্টারে। MP-237 অসাধারন একটি প্রিন্টার। এর প্রধান কিছু বৈশিষ্ট্য নিচে তুলা ধরা হলঃ
অধিক প্রিন্টের জন্য, ৯০% খরচ বাচাঁনোর জন্য এর মধ্যে CISS(Continue Ink Supply System) ব্যবহার করা যায়। যা Drum নামে বেশি প্রচলিত।
অল ইন ওয়ান প্রিন্টার হিসেবে এর আকার ছোট। যার প্রিন্টিং পারফরমেন্স HP DeskJet 1000 এর মতই। আরো কিছু জানতে নিচে দেখুন।
এর মধ্যে CISS(Continue Ink Supply System) ব্যবহার করা যায় না।
অল ইন ওয়ান প্রিন্টার হিসেবে এর আকার ছোট। যা HP DeskJet 1050 প্রিন্টারের কাছাকাছি। HP এর পক্ষ থেকে এই প্রিন্টারের থিম Ink Advantage: Quality Print up to 480pages at a low cost.
এর মধ্যে CISS(Continue Ink Supply System) ব্যবহার করা যায় না।
হোম ইউজারদের জন্য ৬০০০-৮২০০ টাকার Laser Jet প্রিন্টার
এই লেজারজেট প্রিন্টারগুলো শুধুমাত্র সাদাকালো।
1. Samsung ML-2165 Laser Jet
লেজার প্রিন্টারের মধ্যে দামে সাশ্রয়ী এই প্রিন্টারটি আকারে ছোট। ভালো মানের প্রিন্ট কোয়ালিটির নিশ্চয়তা দেয়।
৬০% খরচ কমানোর জন্যে Compatible Toner পাওয়া যায়। ভালো মানের প্রিন্টিংয়ের জন্য অরিজিনাল টোনার ব্যবহার করাই ভালো।
Canon-এর এই প্রিন্টারটি দামে সাশ্রয়ী এবং হ্যাভি ডিউটি প্রিন্টার। নিচে এর কিছু বৈশিষ্ট্য দেখুন।
৬০% খরচ কমানোর জন্যে Compatible Toner পাওয়া যায়। ভালো মানের প্রিন্টিংয়ের জন্য অরিজিনাল টোনার ব্যবহার করাই ভালো।
বাজারে এই মডেলের প্রিন্টারটি যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। প্রিন্টিং কোয়ালিটি খুবই ভালো। নিচে আরো কিছু দেখুন।
৬০% খরচ কমানোর জন্যে Compatible Toner পাওয়া যায়। ভালো মানের প্রিন্টিংয়ের জন্য অরিজিনাল টোনার ব্যবহার করাই ভালো।
হোম ইউজাররা এর বাইরেও আরো বেশি দামের InkJet এবং LaserJet প্রিন্টার কিনতে পারেন। যার বিস্তারিত আলোচনা পাবেন নেক্সট টিউনে ইনশাআল্লাহ। আর নেক্সট টিউন হবে প্রফেশনাল ইউজারদের নিয়ে।
আমাদের পাশে থাকুন
আমি মুহাম্মাদ জিয়া। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 56 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Ensure your TECH shopping with us. In Shaa Allah we try to provide your best choice.
তথ্য সমূর্ন ভাল লাগলো।
আমিও ব্লগিং জগতে প্রবেশ করেছি। আমার সাইট প্রযুক্তির খেলা.কম