আসসালামু আলাইকুম। ছুটির দিন কেমন কাটছে আপনাদের। প্র্যাকটিস কি শুরু করেছেন? আজ আমি আলোচনা করব
শরীরের কোন অংশ ব্যবহার করে আঘাত করতে হয়। আমরা ছোটবেলা থেকেই ঘুষোঘুষি করে থাকি ( বিশেষ করে এখনকার বাচ্চারা তো ভয়ানক সন্ত্রাসী!! তারা সারাদিন রেসলিং দেখে আর সুযোগ পেলেই তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করে 😆 😆 😯 )। কিন্তু ঘুষি পাকানোর একটা নিয়ম আছে। ঠিকমত ঘুষি মারতে না পারলে আপনি নিজেই ব্যথা পেতে পারেন। এমনকি হাত ঠিক মত সোজা না থাকলে কব্জি ভেঙ্গে যেতে পারে! নিচের ছবি গুলো দেখুন:
এ. আঙ্গুল গুলো পরস্পর দৃঢ় ভাবে লেগে থাকবে।
বি. চার আঙ্গুল মুঠি পাকান।
সি. বৃদ্ধাঙ্গুল শক্ত ভাবে কনিষ্ঠা ও মধ্যমার নিচে রাখুন।
ডি. আপনার মুষ্ঠিবদ্ধ হাত একদম ফোর আর্মস এর সোজা থাকবে। একটুও ডানে-বামে বা উপর-নিচ হয়ে থাকবেনা।
ই. তায়কোয়ান্দোর নিয়ম অনুযায়ী কনিষ্ঠা ও মধ্যমার উচু হয়ে থাকা অংশ দিয়ে আঘাত করতে হবে। এই দুই হাড়
সবচেয়ে শক্ত হয়। কোন জায়গাটা বুঝেছেন- জেট লি’র তীর চিহ্নিত ছবিটি দেখুন। সিনেমাটা দারুন। পারলে দেখবেন।
যেভাবে মুঠি/ঘুষি পাকানোর নিয়ম বলা হলো সেভাবে করে এখন পাঞ্চিং ব্যাগটিকে ধীরে ধীরে ঘুষি মারতে থাকুন। ব্যাপারটা প্রথমে বুঝে নিন। তারপর গতি বাড়ান। প্রথম প্রথম হাত ব্যথা করবে, পরে হাত শক্ত হয়ে গেলে আর ব্যথা লাগবেনা। ব্যথার জন্যে কোন পেইনকিলার খাবেননা। অনেকবার বলেছি, আবার বলছি-ঘুষি মারার মূহূর্তে আপনার কব্জি যেন কোন দিকে বেঁকে না যায়। এখানে বলা রাখা ভাল, প্র্যাকটিসের আগে অবশ্যই প্রথম পর্বে দেখানো স্ট্রেচ গুলো করবেন।
হাতের কিনারা দিয়ে প্রচন্ড জোরে মারা যায়। কিভাবে বা কোথায় মারতে হয় সেটা পরে দেখব। এখন হাতের ভঙ্গিটা কেমন হবে? প্রথমে নিচের ১নং ছবির মত হাতের আঙ্গুল গুলো পরস্পর দৃঢ়ভাবে লেগে থাকবে। আঙ্গুল গুলো বাঁকা করতে পারেন-অথবা সোজা রাখলেও ক্ষতি নেই। বৃদ্ধাঙ্গলটি ভাঁজ করে ভেতর দিকে মুড়ে রাখবেন। ২নং ছবিতে পরিষ্কার বুঝবেন। আঘাতের সময় শুধু বক্সের মধ্যের মাংসল অংশ টুকু ব্যবহার করে আঘাত করতে হবে। এটাও পাঞ্চিং ব্যাগে মেরে মেরে হাত পাকিয়ে ফেলুন।
মধ্যমা দিয়ে দিয়ে আঘাত করতে পারেন। নিয়ম অনুযায়ী মুঠি/ঘুষি পাকান। এবার মধ্যমা ছবির মত বের করে দিন।
এক্ষেত্রে মধ্যমা খুব শক্ত করে রাখবেন না, একটু ফ্লেক্সিবল হলে ভাল। এই মধ্যমা দিয়ে আঘাত করবেন খুব নরম ও দূর্বল জায়গায়। যেহেতু ফ্লেক্সিবল- সেহেতু জোরে আঘাত হবেনা। অতিরিক্ত সেনসেটিভ জায়গায় জোরে মারলে মানুষ মূহূর্তের মধ্যে মারা যেতে পারে। কোথায় কত দূর্বলতা, কোথায় প্রান খুলে মারতে হবে-মৃত্যু ভয় থাকবেনা; তা ধীরে ধীরে জানবেন।
কনুই দিয়ে্ও মারতে পারেন। সামনে কনুই ঘুরিয়ে অথবা পেছনেও মারা যায়।
এবার শিখবো পায়ের কোন অংশ দিয়ে আঘাত করতে হয়। ছবি অনুযায়ী বর্ননা করছি।
এ. পায়ের আঙ্গুলের নীচের মাংসল জায়গা।
বি. পায়ের উপরের অংশ
সি. গোড়ালী বা হীল
ডি. পায়ের বাইরের ধারাল অংশ (দু’পাশেই)
ই. বুড়ো আঙ্গুলের নীচের অংশ (প্রায় এ. এর মতই)
এফ. আঙ্গুল বাদে পুরো পায়ের তলা।
যখন পায়ের যে অংশদিয়ে মারবেন, মারার ভঙ্গিটা যেন ছবির মত হয়। নইলে নিজেই ব্যথা পাবেন। পায়ে একটা জুতা থাকলে তো আরও ভাল। যত শক্ত জুতা, তত ব্যথার পরিমাণ বেশি। তবে খালি পায়ের মারও প্রচন্ড ধ্বংসাত্মক 😆 !! হাতের চেয়ে ৪ গুন বেশি!!
ছবিতে যেভাবে দেখানো হয়েছে এভাবে পাঞ্চিং ব্যাগে লাথি প্র্যাকটিস করুন। হাতের কাজ, পায়ের কাজ ইত্যাদি স্টেপ বাই স্টেপ দেওয়া হবে।
আপাতত: এ’ পর্যন্তই।
আমি মুহাম্মদুল্লাহ চৌধুরী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 19 টি টিউন ও 96 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
এক্সপ্লোরার......
ভাই আমি শেষ, কালকেরটা করেই অবস্থা খারাপ, আমি আর নাই 🙁