আসসালামু আলাইকুম।
মোটরসাইকেল সম্পর্কিত লেখা অনেকেই পড়ছেন দেখে ভাল লাগছে। এবার নিয়ে আসলাম কৌশল পর্ব
রাস্তার কোন অংশ সবচেয়ে ভাল? যদি সম্ভব হয় রাস্তার মধ্যে দিয়ে চালান। রাস্তার মধ্যে থাকলে সুবিধা হচ্ছে রিয়ার ভিউ মিররে সহজেই আপনাকে দেখা যায়। তাছাড়া রাস্তার দু’পাশ থেকে হঠাৎ কেউ এসে পড়লে সাবধান হওয়ার জন্য সময় ও স্পেস দুটোই পাওয়া যায়। তবে যদি খুব ভিড় হয় তাহলে বাম দিক দিয়ে যাবেন। বিদেশে অবশ্য ডান দিক ধরে চলার নিয়ম।
বেশির ভাগ দূর্ঘটনা ঘটে ইন্টারসেকশনে (আড়াআড়ি রাস্তা)। এটা নানা ভাবেই ঘটতে পারে। যখন আপনার সামনের গাড়ী বাম দিকে মোড় নেয় তখন সেটা খুব একটা হয়তো বিপদজনক নয়। কিন্তু ডান দিকের রাস্তায় মোড় নেওয়া গাড়ী প্রায় বিপদ সৃষ্টি করে। অথবা, ডান বা বাম দিকের রাস্তা থেকে উঠে আসা গাড়ী বা অন্য কিছু সবসময় বিপদজনক যদি তারা নিয়ম মত না আসে। আর আমাদের বাংলাদেশে রাস্তায় সবচেয়ে বেশি নিয়ম ভাঙ্গা হয়!! এই নিয়ম ভাঙ্গার খেলায় সবচেয়ে মূল্য দিতে হয় মোটরসাইক্লিস্টদের। অন্যান্য যে কোন যানবাহনের চাইতে মোটর সাইকেলে রিস্ক বেশি। ইন্টারসেকশনে আপনার SEEফর্মূলার সর্বোচ্চ প্রয়োগ প্রয়োজন। আড়াআড়ি রাস্তায় চারটা নিয়ম মনে রাখুন।
ডানে বা বামে মোড় নিতে চাইলে প্রথমে থেমে ট্রাফিক সিগন্যাল লাইট সবুজ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তবে আপনি মানলেও সবাই হয়তো ট্রাফিক সিগন্যাল মানেনা। মাথা এগিয়ে দেখে নিন ডানদিক বা বামদিক থেকে কিছু আসছে কিনা দেখে নিয়ে এগিয়ে যান। এসব ক্ষেত্রে ক্লাচ ও থ্রটলের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকা প্রয়োজন। ট্রাফিক স্টপেজে স্টার্ট বন্ধ করবেননা। মোটরসাইকেল ফার্স্ট গিয়ারে রেখে ক্লাচ চেপে অপেক্ষা করুন।
এ আমি আলোচনা করেছি কিভাবে টার্ন নিতে হয়। উপরের ছবি গুলো দেখলে বুঝবেন এই রকম রাস্তায় কত খানি জায়গা নিয়ে ঘোরা প্রয়োজন।Search করুন রাস্তাটির কত খানি ব্যাসার্ধ, রাস্তাটি শুকনো না ভেজা, অন্য কোন যানবাহন আছে কিনা ইত্যাদি। সব মূল্যায়ন করা হলে টার্নিং এর নিয়ম অনুযায়ী (গতি কমিয়ে তা ধরে রাখা/তাকানো/কাউন্টার স্টিয়ারিং/লীন) আপনার কাজ শেষ করুন। অবশ্যই মনে রাখবেন টার্নিং অবস্থায় গতি কমাবেননা বরং সামান্য বারাবেন এবং ব্রেক করবেননা।
প্রায় ওভারটেকিং এর প্রয়োজন হয়। আপনি জানেন নিশ্চয়ই যত যানবাহন আছে তার মধ্যে মোটরসাইকেলে সবচেয়ে দ্রুত যাওয়ার অধিকার আছে (তাই বলে আপনাকে খুব জোরে চালাতে বলছিনা!)। জায়গা না পেলে ওভারটেক করবেননা। ভুলেও কখনও বাঁক ঘোরার মূহুর্তে বা যথেষ্ট ফাঁকা জায়গা না পেলে ওভারটেক করবেননা। কোন যানবাহনকে ওভার টেক করতে চাইলে যে কার বা বাসটিকে ওভার টেকিং করতে চান তার সামনে থেকে কোন যানবাহন আসলে ওভারটেক করতে যাবেননা। যানবাহনটির পিছনে দুই সেকেন্ড দূরত্বে থাকুন। এরপর আয়না ও মাথার সাহায্যে দেখে নিন আপনার পিছনে কোন যানবাহন আছে কিনা। নিরাপদ মনে হলে ডান দিক দিয়ে থ্রটল/এক্সিলেটর বাড়িয়ে গাড়ীটি পার হওয়ার দুই সেকেন্ড পর আবার নিজের লেনে ফিরে যান। ওভার টেকিং এর সময় স্পিড হঠাৎ কমাতে যাবেননা। বরং স্পিড একটু বেশি দিয়েই ক্রস করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এ’সময় অবশ্যই টার্ন সিগন্যাল লাইট ব্যবহার করুন। ছবি দেখলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে। ১নং ছবিতে মোটরসাইকেল চালক ডান দিকের সিগনাল জেলে ডান দিকের লেনে গেছেন এরপর বাম দিকের সিগন্যাল লাইট জেলে ওভার টেক করেছেন। ওভারটেক শেষ হলে অবশ্যই সিগন্যাল লাইট বন্ধ করুন।
আপনাকে যখন কেউ ওভারটেক করবেন তখন কি করবেন? অথবা আপনাকে যখন গাড়ি ক্রস করবে তখন কি করবেন? কেউ সামনে যেতে চাইলে তাকে যাওয়ার সুযোগ দিন। গতি বারানোর প্রতিযোগিতায় যাবেন না। জীবনটা ‘‘নিড ফর স্পিড’’ গেম নয়। যে যেতে চায় যাকে ভালমত যাওয়ার সুযোগ দিন। চেষ্টা করুন আপনার ও অন্য যানবাহনের মধ্যে যেন যথেষ্ট ফাঁকা জায়গা থাকে। ফাঁকা জায়গা যথেষ্ঠ না থাকলে কয়েকবার হেডলাইট জালান। আধুনিক মোটরসাইকেলগুলোতে এই কাজের সুবিধার জন্য আলাদা সুইচ থাকে। জায়গার অভাবে অনেকে ডান দিকের সিগন্যাল লাইট জালান। কিন্তু এতে আনাড়ি ড্রাইভার হলে ভুল বুঝতে পারে; ভাববে আপনি ডানে যেতে চান এবং সে আরও বাম দিকে চলে আসে। যার ফলে মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
হেড লাইট আগে জেলে আরেকটা সুবিধা পাওয়া যায়। সেটা হচ্ছে কোন বস্ত্তকে যদি আপনি আসন্ন যানবাহনের আগে পার হতে চান তাহলে আগে হেডলাইট জালান। আসন্ন যানবাহনের ড্রাইভার গতি কমিয়ে আপনাকে আগে সুযোগ করে দেবে।
দিনের চাইতে রাতে বাইক চালানোতে রিস্ক বেশি। যেসব পোশাকে আলো প্রতিফলন করে সেই রকম পোশাক পরুন। যাতে অন্য ড্রাইভার আপনাকে সহজেই দেখতে পায়। সাধারনত: দিনের বেলায় যে গতিতে চালান; রাতে সেই দ্রুত গতি পরিহার করুন। রাস্তা ফাঁকা থাকলে আপনার হেডলাইট সবসময় ‘‘হাই’’ করে রাখুন। তবে অন্যদিক থেকে আসা যানবাহন হাই-লো সিগন্যাল দিলে বুঝবেন তার দেখতে অসুবিধা হচ্ছে। তখন আপনি লো করবেন। এক্ষেত্রে আপনার দেখতে অসুবিধা হলে হাই-লো করতে থাকুন। তাহলে অপরপক্ষ তার হেডলাইট ‘‘লো’’ করবে। তবে এই নিয়ম সব ড্রাইভার মানেনা। তাছাড়া অন্য গাড়ীর সাথে আপনার বাইকের মধ্যে যেন যথেষ্ঠ ফাঁকা জায়গা থাকে। আপনার হেলমেটের প্লাস্টিক যেন অাঁচড় বিহীন হয়। অাঁচড় আপনাকে ধোঁকা দিতে পারে। দুটো হেডলাইটকে চারটা দেখতে পারেন। যার ফলে আপনার সিদ্ধান্ত ভুল হতে পারে। রাতে দূরত্ব সম্পর্কেও ভাল ধারনা পাওয়া যায়না। আপনার সামনে car থাকলে তার পিছনে থাকলে বেশ লাভবান হবেন। তার আলো আপনাকে সাহায্য করবে। তবে ঐ গাড়ী থেকে আপনার দূরত্ব তিন সেকেন্ড বা তার বেশি হওয়া উচিত। কোন গাড়ী সামনে থেকে যখন আসবে তখন সরাসরি সেটার হেডলাইটের দিকে তাকাবেননা। নইলে কয়েক সেকেন্ড এর জন্য অন্ধ হয়ে যাবেন। আপনার হেড লাইটের আলো যেদিকে গেছে সেদিকে তাকিয়ে বাইক চালান।
বাঁক নেওয়ার সময় স্কিড বা স্লিপ যাতে না হয় তার নিয়ম আমরা শিখেছি। কিন্তু তারপরও যদি আপনার বাইক স্কিড করতে পারে। তৈলাক্ত রাস্তা বা স্যান্ড থাকলে ব্রেক না করলেও স্কিড করার সম্ভবনা থাকে। আপনার মোটর সাইকেল যদি বেশ স্পিডে থাকে এবং বাঁক নেওয়ার জায়গাটুকুতে যদি স্যান্ড থাকে তাহলে আপনি চাকা যেদিকে স্কিড করছে হ্যান্ডেল সামান্য সেদিকে ঘোরান। এতে আপনার বাইক তার ব্যালান্স ফিরে পেতে পারে। তৈলাক্ত জায়গায় ব্রেক করার কারনে স্কিড করলে সামনের ব্রেক একবার ছেড়ে আবার মসৃনভাবে ব্রেক করুন। বাইক খুব স্পিডে না থাকলে আপনার পা মাটিতে নামিয়ে ব্যালান্স রক্ষার শেষ চেষ্টা করতে পারেন। লক্ষ্য রাখুন লিখেছি ‘‘শেষ চেষ্টা’’। কোন উপায় না থাকলেই শুধু পায়ের সাহায্যে নিবেন। এর আগের পরিচ্ছদ থেকে আপনি শিখেছেন বাঁক ঘুরতে চাইলে ঘোরার মুহূর্তে থ্রটল কমানো যাবেনা বরং সামান্য বারানো যেতে পারে। কথাটি ঠিক। তবে কোন কারণে স্কিড করলে এ' অবস্থায় থ্রটল বারাবেননা। একটি চলন্ত চাকার চাইতে থেমে থাকা চাকা নিয়ন্ত্রণ এসময় অনেক সহজ।
বাজে রাস্তা বিপদজনক। তবে নিয়ম মেনে চললে বিপদ অনেকটাই কমে যায়। রাস্তা হিসেবে কিভাবে চলতে হবে তা লিখছি। বৃষ্টিভেজা রাস্তা বৃষ্টি শুরুর প্রথম ১০ মিনিট খুব স্লিপারি হয়ে যায় কারন প্রথম দিকে রাস্তার তেল ও ময়লা পানির সাথে মিশে যায়। পরের দিকে রাস্তা অনেকটাই চলাচলের যোগ্য হয়ে ওঠে। বৃষ্টির মধ্যে চালাতে চাইলে আপনার সামনে যাওয়া কোন বাস, ট্রাক বা কারের বামদিকের চাকার দাগের ওপর দিয়ে চালালে পিছলে পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা অনেক কম থাকে। তবে অবশ্যই সামনের যানবাহন থেকে বৃষ্টির দিনে ১০ মিনিট দুরত্বে থাকুন। কারন এই সময় ব্রেকিং স্টপেজ কমে যায়। পানিতে ডুবে যাওয়া অপরিচিত রাস্তায় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করুন। পানির নিচে গর্ত, ইট ইত্যাদি থাকতে পারে যা আপনার ব্যালান্স নষ্ট করে দিতে পারে। ভাঙ্গা চোরা রাস্তায় স্যান্ড,পাথর, ধারালো বস্ত্ত ইত:স্তত ছড়িয়ে থাকে। সেগুলোর দিকে নজর রেখে বাইক চালান। আলকাতরা, তেল, কলার খোসা, ধান ইত্যাদিও খুব পেছল। এসবের উপর দিয়ে চলতে হলে ধীরে চলুন। হ্যান্ডেল শক্ত হাতে ধরে সোজা রাখার চেষ্টা করুন। বাজে রাস্তায় জোরে চালাবেননা। এটাই হচ্ছে মুল কথা। আর বাঁক নিবেন যখন খুবই সাবধান থাকুন।
নিচের ছবিটি দেখুন। রাস্তায় অনেক সময় এ’রকম বাধা পেরুতে হয়। এরকম বাধার ক্ষেত্রে যা করতে হবে সেগুলো হচ্ছে-
মনে রাখবেন, যে কোন বড় কিছুর সাথে ধাক্কা লেগে যাওয়ার চেয়ে ছোট কোন কিছুর সাথে ধাক্কা খাওয়া ভালো। একটা মুরগী বা ছাগলের বাচ্চা বাঁচাতে গিয়ে গাড়ী সাথে ধাক্কা লাগিয়ে দেওয়া অনেক বেশি বিপদজনক। তবে সবচেয়ে ভালো কাউকে ধাক্কা না লাগানো। কোন কোন বজ্জাত কুকুর মোটরসাইকেল দেখলেই তাড়া করে । কুকুরের ক্ষেত্রে গিয়ার কমিয়ে কাছে যান। এরপর থ্রটল হঠাৎ বাড়িয়ে দিয়ে তাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যান। যেদিকে যেতে চান সেদিকে দৃষ্টি রাখুন। কখনও ভুলেও বাইক থেকে লাথি মারতে যাবেননা। এতে আছাড়ের সাথে কুকুরের কামড় খাওয়ারও সম্ভবনা থাকে। ছাগল,গরু,মোষের ক্ষেত্রে তাদেরকে প্রথমে রাস্তা পার হওয়ার সুযোগ দিন। কারন তারা হঠাৎ কখন দৌড় মারবে তা বলা মুশকিল। আরেকটা কথা, চেষ্টা করুন জীবজন্তুগুলোর পিছনের দিক দিয়ে বের হয়ে যেতে। জানেন তো- গরু,ছাগলের কোন ব্যাক গীয়ার থাকেনা!!
উঁচু রাস্তায় উঠতে চাইলে বাইকের গতির সাথে গিয়ারের সমন্বয় সাধন জরুরী। ফোর বা ফাইভ গিয়ারের বাইকে থার্ড গিয়ার ব্যবহার করতে পারেন। আরও বেশি খাড়া হলে সেকেন্ড বা ফার্স্ট গিয়ার ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ দক্ষতা ছাড়া পাহাড়ী রাস্তায় বাইক চালানো কঠিন। ব্রেক ও ক্লাচের উপর পূর্ন নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে। নইলে বাইক পিছনে নেমে যেতে পারে। আপনার দুইপা থাকবে মাটিতে-এক পা রাখা যায় কিন্তু ব্যালান্স রাখাটা দুইপায়ে সুবিধা হয়। সামনের ব্রেক চেপে থাকবেন। থ্রটল বাড়িয়ে ক্লাচ আস্তে আস্তে ছাড়তে থাকুন সেই সাথে সামনের ব্রেকও ছাড়তে থাকুন। যখন উপর দিকে ওঠা শুরু করবে শুধু তখনই দুইপা ফুট রেস্টে নিয়ে আসবেন। পাহাড়ী রাস্তায় সাধারন রাস্তার চাইতে থ্রটল বেশি ঘোরাতে হয়।
মোটরসাইকেলের পিছনে কোন সুন্দরীকে নিয়ে ঘুরতে কার না ভালো লাগে? তবে সেই সুন্দরী যদি আমাদের দেশের নায়িকাদের মত মোটা হন তাহলে বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। পিছনে প্যাসেঞ্জার বা অন্য কোন মাল নিলে মোটরসাইকেলের পারফরমেন্স সব দিক থেকেই সামান্য হলেও কমে যায়-বিশেষ করে আমাদের দেশের কম সি.সি যুক্ত মোটরসাইকেল গুলোর । প্যাসেঞ্জারের ওজন যত বেশি, সমস্যা ঠিক ততটাই। সেগুলো হচ্ছে- হ্যান্ডেল কন্ট্রোল কঠিন হয়, হঠাৎ গতি বারানো যায়না, কোন বস্ত্তকে ক্রস করতে চাইলে স্থান ও সময় বেশি প্রয়োজন হয়, ব্রেকিং এর স্টপিং ডিসট্যান্স বেড়ে যায় অর্থাৎ একা থাকলে ব্রেক করলে বাইক যেখানে থামবার কথা ছিল; ডাবল থাকলে দেখবেন সেখানে না থেমে আরও দুরে গিয়ে বাইকটি থামবে। যেহেতু আমরা প্রায় প্যাসেঞ্জার বয়ে নিয়ে বেড়াই, সেহেতু আপনার বাইকের সাসপেনশন ও টায়ারের এয়ার প্রেসার এ্যাডজাস্ট করে রাখুন। প্যাসেঞ্জারের জন্য কত এয়ার প্রেসার লাগে তা আপনার বাইকের ম্যানুয়ালেই দেয়া আছে। পিছনে প্যাসেঞ্জার থাকলে রিয়ার ভিউ মিরর রাস্তায় নেমে এ্যাডজাস্ট করে নিন। সাধারনত: যে গতিতে বাইক চালান, প্যাসেঞ্জার বহনের ক্ষেত্রে তার চেয়ে কম গতিতে চালাবেন। থামতে হলে বেশ আগে থেকেই প্রস্ত্ততি নিন। হঠাৎ থামতে চাইলে তাকে সাবধান করুন। বাঁক ঘুরতে চাইলে যথেষ্ঠ জায়গা ও সময় নিয়ে ধীরে বাঁক ঘুরুন। প্যাসেঞ্জারকে নিচের দেওয়া নির্দেশ গুলো মেনে চলতে বলুন তাতে আপনার ও তাঁর দু’জনেরই মঙ্গল। সুরক্ষার জন্য আপনি যা পরবেন, তাকেও পরতে বলুন। অন্তত: হেলমেট অবশ্যই পরতে হবে।
মোটরসাইকেল মূলত: মালবহনের জন্য তৈরী নয়। তবে প্রয়োজনে তা করতেই হয়। বাইকের ম্যানুয়ালে দেখুন আপনার বাইক কত কেজি লোড বহন করতে সক্ষম। সাধারনত: ১২৫ সি.সি. মোটরসাইকেলে ১৫০ কেজি পর্যন্ত বলে থাকে। আমরা সাধারনত: তারচেয়ে অনেক বেশি করে থাকি। তারপরও অতিরিক্ত বোঝা বহন না করায় ভালো। প্যাসেঞ্জার বহনের মত এক্ষেত্রেও সাসপেনশন ও টায়ার প্রেসার চেক করা দরকার।
যথেষ্ঠ শক্ত করে আপনার লোডটি বেঁধে নিন। পিছনের ক্যারিয়ার কিন্তু মাল বহনের জন্য তৈরী হয়নি। স্যাডল ব্যাগ থাকলে সেটাতে রাখতে পারেন। তবে খুব হালকা হলে পিছনের ক্যারিয়ারে ভালমত বেঁধে নিতে পারেন। এমন ভাবে বাঁধুন যাতে ব্যাক লাইট, সিগন্যাল লাইট ঢাকা না পড়ে। তবে এটা নিয়ম না। আপনার লোডটি পিছনের চাকা অ্যাক্সেলের সরাসরি উপরে বা সামনে থাকবে। লক্ষ্য রাখবেন লোডটি যেন অন্যদিকে ঝুলে না পড়ে মাঝ বরাবর থাকে। পিছনের ক্যারিয়ার কিন্তু পিছন চাকার অ্যাক্সেলের পিছনে। সুতরাং সেখানে ভারী লোড নেওয়া একেবারেই অনুচিত। মাঝে মাঝে থেমে লোড ঠিকমত বাঁধা আছে কিনা পরীক্ষা করে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
আমি মুহাম্মদুল্লাহ চৌধুরী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 19 টি টিউন ও 96 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
এক্সপ্লোরার......
মোটরসাইকেলের পিছনে কোন সুন্দরীকে নিয়ে ঘুরতে কার না ভালো লাগে? 😉
কোন কোন বজ্জাত কুকুর মোটরসাইকেল দেখলেই তাড়া করে । 😡
গরু,ছাগলের কোন ব্যাক গীয়ার থাকেনা!! 😆
মজাই মজা! হাসতে হাসতে শেষ! 😀 😛