সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ভালো আছেন সবাই। আজ আবার ও গুগল পাণ্ডা নিয়ে লিখতে বসলাম, আজ আমি আপনাদেরকে বলবো কিভাবে এই পাণ্ডার হাত থেকে আপনার ওয়েব সাইট কে রক্ষা করবেন, কি কি বিষয় বা কৌশল এখন ও কাজ করছে ইত্যাদি। তো চলুন শুরু করা যাক
গত টিউনে আমি গুগল পাণ্ডা কি , এর ভার্সন বা আপডেট সম্পর্কে বলেছেলাম। যারা মিস করেছেন তারা দেখে নিতে পারে।
আশা করি কেউই চাইবেন না পাণ্ডার কিক খেয়ে রেংক হারাতে। গুগল পাণ্ডা আপনাকে তখনই কিক মারার জন্য প্রস্তুতি নিবে যখন নিচের বিষয় গুলো আপনার ওয়েবসাইট এ থাকবে, তো দেখে নিই কি কি বিষয় আপনার ওয়েবসাইটকে দুর্বল করে দিতে পারে।
১. খুবই অল্প পরিমাণের অরজিনিয়াল কন্টেন্ট থাকলে,
২. নিম্নমানের ও খুব কম ইনবন্ড লিংক আপনার সাইট এ থাকলে
৩. বাউন্স রেট বেশি হলে বা ভিজিটরা কম সময় সাইট ভিজিট করলে
৪. সর্বচ্চো পরিমানের % কপি- পেস্ট কন্টেন্ট থাকলে,
৫. অনেক পেজ ওয়েবসাইট এ কিন্তু কাজের পোস্ট একটাও নাই , মানে সব ই আপনার ওয়েবসাইটের বিষয়ের সাথে মিল নেই।
৬. আজে বাজে শব্দ দ্বারা পূর্ণ ওয়েব সাইট
৭. অধিক মাত্রায় অবাঞ্ছনীয় ব্যাক লিংক থাকলে।
গত টিউনে আসিফ ভাইয়া একটা কমেন্ট করেছিলে। সেখানে আসিফ ভাইয়া বলেছেন “পান্ডা আসলে, সার্চ কোয়ালিটি আপডেট” আমি ও উনার কথার সাথে মিল রেখে বলতে চাই যদি আপনি গুগল পাণ্ডা কে বধ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার সাইটকে এমন ভাবে আপডেট করতে হবে যাতে করে সেটি এই সার্চ কোয়ালিটির আপডেটের মধেই থাকে। তো গুগল পাণ্ডাকে টপকে উপরের দিকে যেতে হলে আপনাকে যা যা করতে হবে তার মধ্যে রয়েছে।
একটা সময় ছিল যখন কোন সাইটকে ১ম এ নিয়ে আসতে গেলে, সবাই কন্টেন্ট এর চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিত লিংক বিল্ডিং এ। তা অবশ্য অনেক কাজেও আসতো। তাইতো সব্বাই মিলে যেভাবেই পারত নিজের ওয়েব সাইট কে প্রথমে নিয়ে আসার জন্য ফোরাম প্রোফাইল লিংকিং, স্প্যামিং ব্লগ কমেন্টিং , একই এঙ্কর টেক্স বার বার ব্যবহার করা ইত্যাদি কাজ করত। যার মধ্যে ৭০% ই থাকতো স্পামিং, অর্থাৎ আপনার ওয়েব সাইটের বিষয়ের সাথে আপনার ব্যাক লিংক করা ওয়েব সাইটের কোন মিল ই থাকতো না।কিন্তু গুগল পাণ্ডা আপডেট আসার পর এই কৌশল দিন দিন পড়তে শুরু করেছে। তাই ব্যাক লিংক করুন কোয়ালিটির জন্য কোয়ানটিটি (পরিমাণ) এর জন্য নয়।
সব্বাই বলে “Content Is King” , কিন্তু এখন গুগল পাণ্ডার কাছে “unique Content Is a King” । তাই যেভাবেই হয় একদম ইউনিক কন্টেন্ট লিখুন, পাকনামো করে আবার “Article Spinning “ করতে গেলে হিতে বিপরীত হয়ে যাবে। কারন গুগল এখন স্পিনিং কন্টেন্ট ও ধরে ফেলতে পারে। কন্টেন্ট লেখার সময় অবশ্যই অন-পেজ অপটিমাইজেশন এর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। না হলে আপনার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল নাও পেতে পারে।
যতটা সম্ভব কনটেন্টকে আপনার ওয়েব সাইটের সাথে মিল রাখার চেষ্টা করেন। এক পোস্ট যেন বার বার না আসে সেই দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
আর কপি পেস্ট.....................। ডু-ল্যান্সার এর মত ১০০ হাত দূরে থাকুন 😀
আমরা অনেকই সাইট ডিজাইনের সময় কিছু কিছু বিষয় গুলো ভুলে যায়, যেমন আপনি যে থিম বা টেম্পলেট ব্যাবহার করছেন অদ্য ও কি সেটা এসইও ফ্রেন্ডলি? ন্যাভিগেশন বার কেমন আপনার ওয়েবসাইট এ? এমন কিছু কি আছে যা আপনার ওয়েব সাইটকে সুন্দর করার জন্য করেছেন, যার জন্য গুগল বট আপনাকে হাজার চেষ্টা করেও ইনডেক্স করতে পারে নাই?
যদি এসব আপনি না ভেবেই সাইট এ হাজার হাজার কন্টেন্ট, ব্যাক লিংক করেন তাহলে কোন লাভ ই হবে না, তাই সাইট ডিজাইনের অবশ্যই সতর্ক হতে হবে, যেমন
১. যে থিম বা টেম্পলেট ব্যাবহার করছেন সেটাতে কি কি ধরনের কোড ব্যাবহার হয়েছে,
২. সাইট সুন্দর করার জন্য CSS কে ভালভাবে ব্যাবহার করুন।
৩. H1, H2 <b>, ul, il এদেরকে চেষ্টা করবেন সবসময় ক্লিন রাখার জন্য, যেমন <h2> This is Headline </h2> এটির কার্যকারিতা <h2 class=”css”> This is Headline</h2> এর চেয়ে বেশি।
৪. আমার মতে ভালো থিমের স্ট্রাকচার হল
<html>
<-- Start Meta 1st in Head -!>
<head>
<-- All of your meta content and CSS Java etc -!>
<meta content >
</head>
<body>
<nav>
Menu1 | Menu1 | Menu1 | Menu1 |
</nav>
<-- Start your article body form here -!>
<div id=”content”>
You need to put your article here
</div>
<-- Start your Sidebar or others HTML after the content sector -!>
<div id=”Siderbar”>
Here will be sidebar code
</div>
<-- Start Footer Sector HTML Code -!>
<div id=”footer”>
Here will be Footer or Copyright Content
</div>
</body>
</html>
টেম্পলেট কন্টেন্ট হল আপনার একই টেক্স আপানার ওয়েব সাইটের অনেক গুলো পেজে থাকা, যারা ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করেন তারা বিষয়টা ভালো বুঝতে পারবেন, আপনি যখন একটা পোস্ট লিখেন, তখন সেটির কিছু অংশ ( ডেসক্রিপশন ) থাকে হোম পেজ এ। একই টেক্সট থাকে ক্যাটাগরিতে, ট্যাগ এ আর্কাইভ এ। তখন কিন্তু সেটি ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট এর আওতায় পড়তে পারে। তাই যারা ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করেন তাদের জন্য উচিত ক্যাটাগরি, ট্যাগ, আর্কাইভ ইত্যাদি গুলোকে “NO Index” করে রাখা, যেটি আপনি “All in One SEO pack” প্লাগিন্স দিয়েই করতে পারেন।
সেই দিন শেষ হয়ে গেছে যখন ওয়েব মাষ্টাররা লিংক বিল্ডিং করার সময় একই এঙ্কর টেক্সট বার বার ব্যবহার করত। এতে অনেক ভালো কাজও হত। কিন্তু এখন “গুগল পাণ্ডা” একই এঙ্কর টেক্সট বার বার দেখলে সেটিকে স্পামিং লিংক বিল্ডিং হিসাবে চিহিত করে। তাই আপনি সব সময় লিংক বিল্ডিং করার সময় অবশ্যই মাথায় রাখবেন যাতে করে গুগল পাণ্ডা বুঝতে না পারে আপনি নিজেই সব লিংকিং করেছেন। যতটা সম্ভব ন্যাচারাল থাকা যায়।
আর স্পিনিং আর্টিকেল এ ব্যাক লিংক করবেন না। ছোট হোক কিন্তু নিজের লেখা এমন কিছু আর্টিকেল লিখে লিংক বিল্ডিং করতে থাকেন।
এখন বলা চলে যার অন-পেজ এসইও সবচেয়ে ভালো সে অল্প কিছু অফ পেজ এসইও করলেই তার সাইটটি রেংক আপ করারনো যায়। তাই আপনি অন পেজ এ এমন কিছু বাদ দিবেন না যার জন্য আপনি আপনার রেংক হারাতে পারেন। যেমনঃ
১. বার বার একই কী-ওয়ার্ড ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
২. কী-ওয়ার্ড ডেনসিটি ১%-৩% এর ভিতরে রাখুন।
৩. Title ট্যাগ এ এমন ভাবে সাজান যাতে করে একটি টাইটেল এই সব কী-ওয়ার্ড থাকে, যেমন আপনার কী-ওয়ার্ড যদি হয় Bangladesh newspaper, Bangladesh newspapers, Bangladesh newspapers online তাহলে আপনি সাজাতে পারেন এভাবে।
Bangladesh Newspapers Online website Link or List.
৪. চেষ্টা করুন কী-ওয়ার্ড টাইটেল এর প্রথমেই রাখতে/
৫. H1-H6 ট্যাগ গুলোতে বার বার কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না
৬. সাইট ম্যাপ অবশ্যই ব্যবহার করুন
৭. দয়া করে পুরানো ব্ল্যাক হ্যাট এসইও কইরেন না, কারন সবই এখন গুগল পাণ্ডা মামার মুখস্ত 😀
এইত গেল সব প্রধান প্রধান বিষয় গুলো যে কিভাবে আপনার সাইটকে রক্ষা করবেন ‘গুগল পাণ্ডা’ আপডেট থেকে। সব কথার শেষ কথা হল আপনি যতটা সম্ভব ন্যাচারাল এসইও করতে থাকেন। গুগল পাণ্ডাকে বুঝতে দিয়েন না যে আপনি বেশি এসইও করছেন। আজ এ পর্যন্তই , আশা করি নতুন কিছু আপনাদেরকে উপহার দিতে পেরেছি। ধন্যবাদ সবাইকে। তবে যাওয়ায় আগে একটা ছোট কথা বলে যাই সেটা হল “গুগল কিন্তু ১০০% সত্যি কথা বলে না” 😛
আমি সজীব রহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 69 টি টিউন ও 819 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ভাল লাগলো।