1 উইন্ডোজের মজার টিপস
উইন্ডোজের কিছু লুকানো মজা আছে যা হয়তো অনেকেই জানেন না।সেরকমই কিছু ইপস এখানে দেয়া হলো।
Windows Funny Speaks:
(১) প্রথমে control panel-এ যেতে হবে
(২) “speech” ওপেন করুন
(৩)”preview voice” -এ গিয়ে টাইপ করুন SOY
(৪) “preview voice”-প্রেস করুন
Windows Error Speaks:
(১) প্রথমে control panel-এ যেতে হবে
(২) “speech” ওপেন করুন
(৩)”preview voice” -এ টাইপ করুন Crotch
(৪) “preview voice”-প্রেস করুন
“Crotch”-এর বদলে “Crow’s nest” উচ্চারন করে
Hidden Movie(লুকানো সিনেমা):
Start /Run এ গিয়ে টাইপ করুন telnet towel.blinkenlights.nl
Star Wars মুভি ASCII কোডে দেখা যাব।
[hidden movie দেখার জন্য ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে]
Windows Classic Scroll Bars:
(১) MS Paint খুলুন
(২) Image অপশন থেকে Attributes-এ যান
(৩) size ৫০x৫০ ইঞ্চি করুন
(৪)OK ক্লিক করুন
(৫)Text Tool সিলেক্ট করুন
(৬)একটি Textbox তৈরী করুন
(৭)এবার খালি জায়গায় ক্লিক করুন
Scroll Bar পরিবর্তন হয়ে যাবে
2উইন্ডোজ এক্সপিতে কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় কম্পিউটারের সব কাজ থেমে যেতে পারে (হ্যাং হওয়া)। এ অবস্থায় Not Responding লেখা বার্তা এলে Close বাটনে ক্লিক করতে হয়।এর ফলে সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ইচ্ছে করলে এ সমস্যাটি এড়ানো যায়।
এ জন্য Start বা Run-এ গিয়ে regedit লিখে Enter চাপুন। এখন HKEY_CURRENT_USER/Control Panel/Desktop ঠিকানায় যান। এখন ডানপাশের AutoEndTask অপশনে দুই ক্লিক দিন এবং এখানে Value data হিসাবে 0-এর পরিবর্তে 1 লিখে OK করে বের হয়ে আসুন। এখন Not Responding প্রোগ্রামটি বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে পিসি হ্যাং হবে না।
3 জিমেইলে কোন ফাইল পাঠাতে বা ডাউলোড করতে চাইালে একটু হিসাব করতে হয়। কারন জিমইলে .exe, .dll, .ocx, .com .bat ফরম্যাটের ফাইলগুলো সেন্ড (এট্যাচ করা) বা মেইলে আসা এইসব ফরম্যাটের ফাইল ডাউনলোড করতে দেয় না। কিন্তু জিমেইল অনান্য ফরম্যাট যেমন, zip, .tar, .tgz, .taz, .gz .rar পাঠাতে বা ডাউনলোড করতে দেয়। আর zip এর ভিতরে exe বা উপরোক্ত ফরম্যাটের ফাইল থাকলে সেগুলোও তা সেন্ড বা ডাউনলোড করা যায়না। তবে একটু চালাকি করলে এসব ফাইলও পাঠানো যায়।
আপনি যে ফাইলটি মেইল করতে চান সেটি যদি setup.exe ফাইল হয় তাহলে এক্সটেনশন রিনেম করে setup.exe.remove করে সেন্ড করুন। প্রাপক শুধু .remove মুছে ফেলবে তাহলে মূল ফাইল হয়ে যাবে। আর এ্যাপলিকেশন ফাইল যদি বেশী হয় তাহলে সেগুলো জিপ করে zip এক্সটেনশন রিনেম করে মেইল করতে পারেন। আর যদি .rar ফরম্যাটে জিপ করেন তাহলেতো কোন সমস্যায় নেই
4সাধারনত পেন ড্রাইভ FAT, FAT 32 ফাইল সিস্টেমে চলে,ফলে এখানে ফাইল compression বা সংকোচনের কোন সুবিধা পাওয়া যায় না। কিন্তু NTFS ফাইল সিস্টেমে compression সুবিধা রয়েছে।যেমন,৫০ মেগাবাইটের একটি ফাইল ফরম্যাটের ড্রাইভে মাত্র ৩০ মেগাবাইট জায়গা নেবে।তাই NTFS ফাইল সিস্টেমে পেন ড্রাইভের মেমোরি অনেক সাশ্রয় হয়।আপনার পেন ড্রাইভকে NTFS ফরম্যাটে কনভার্ট করতে Start/Run - এ গিয়ে cmd লিখে কমান্ড খুলন এবং convert X: /FS:NTFS লিখে Enter চাপুন (X এর জায়গায় পেন ড্রাইভ যে ড্রাইভে রয়েছে তার অর হবে,যেমন L ড্রাইভে হলে হবে L)এখন My computer এ গিয়ে পেন ড্রাইভের আইকনে ডান কীক করে Properties এ যান।এখান থেকে ’ Compress Drive to Save Disk Space ’ অপশনে টিক দিয়ে ঙক করুন,এখন ’ Apply To Sub Folders and Files ’ অপশন (যদি আসে) OK করে বের হয়ে আসুন।ব্যস কাজ শেষ। এখন পেন ড্রাইভে কোন ফাইল কপি করলে সেটা খুব বেশী জায়গা নেবে না,ফলে পেন ড্রাইভের মেমোরি অনেক সাশ্রয় হবে
5যারা win+R চেপে regedit এ যেতে ভয় পান তাদের জন্য এ টিউন। কিছু দরকারী কথা শুনুন আর ভয় লাগবে না।
রেজিষ্ট্রি এর গঠনঃ
আপনি যখন উইনডোজের রেজিষ্ট্রি খুলবেন, দেখবেন সেখানে দুটি প্যান রয়েছে। বামের প্যানে পাঁচটি প্রধান ‘কি’ রয়েছে। সেগুলোর আবার বহু সাব-কি, সাব-সাব-কি রয়েছে। পাঁচটি মেইন কি গুলো হলঃ
+HKEY_CLASSES_ROOT
+HKEY_CURRENT_USER
+HKEY_LOCAL_MACHINE
+HKEY_USERS
+HKEY_CURRENT_CONFIG
আপনি এগুলোর যেকোন ধরনের পরিবর্তন করার আগে আপনার প্রধান কাজ ব্যাকআপ তৈরি করে নেয়া।
রেজিষ্ট্রি ব্যাকআপ এর ধরন:
রেজিষ্ট্রি ব্যাকআপ আপনার সবচেয়ে বেশী জরুরী কাজ। একটু অবহেলার কারণে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। ব্যাকআপের জন্য প্রথমে Start>Run(Win+R) এ গিয়ে Regedit লিখে ok করুন। File > Export এ যান। Save As option এ দেখবেন নিন্মোক্ত পাঁচটি অপশন রয়েছে।
১. Registration Files (*.reg)
২. Registry Hive Files (*.*)
৩. Text Files (*.txt)
৪. Win9x/NT 4 Registration Files (*.reg)
৫. All Files
এখানের প্রতিটি অপশনই অনেক গুরুত্ব বহন করে। ভুল অপশন এর জন্য অপ্রত্যাশিত ফলাফলের মুখোমুখি হতে পারেন। তাই এগুলো সম্পর্কে চলুন এক নজরে জেনে নিই।
১. Registration Files (*.reg)- এটি বহুল ব্যাবহৃত পদ্বতি। এর সুবিধা সবচেয়ে বেশি। কেননা এর মাধ্যমে ব্যাকআপ নিলে ডাবল ক্লিক করেই রিষ্টোর করা যায়। তাছাড়া .reg ফাইল টি notepad এর মাধ্যমে ওপেন করে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে। আবার Merge করতে পারবেন।
২. Registry Hive Files (*.*): আমার মতে এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অপশন। এটি আপনার উইনডোজের একটি পারফেক্ট ছবি তৈরি করে রাখবে। যা আপনি Notepad তো দূরে থাক অন্য কোন এডিটর দিয়েও এডিট করতে পারবেন না।
৩. Text Files (*.txt): বুঝতেই পারছেন, এটা উইনডোজের রেজিষ্ট্রি এর একটা টেক্সট রুপ ব্যাকআপ রাখবে। তবে আপনি চাইলে এর প্রয়োজনীয় সংস্কার করে এটিও মার্জ করতে পারবেন।
৪. Win9x/NT 4 Registration Files (*.reg):এই অপশনটার কাজ প্রায়ই প্রথম টার মত একটা .reg ফাইল তৈরি করা। এটি উইনডোজের আগের ভার্সনে ব্যবহার করা হয়। বলতে গেলে অনেকটা বর্তমান ভার্সন থেকে আগের ভার্সনে ‘কি’ বহন করাই এর কাজ।
ঊপরের সবগুলো অপশন এ সবচেয়ে দরকারী হল দ্বিতীয়টি। আপনি রেজিষ্ট্রিতে যেকোন ভুল করে ফেললে এর বিকল্প নাই।
তো Backup বানিয়ে ফেলে নিশ্চিন্তে যেকোন ট্রিক্স ফলো করুন। কোন সমস্যা হলেই Backup File টা Restore করে ফেলবেন।
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
যেকোন সফটওয়্যার ইনষ্টল এর জন্য ডিফল্ট একটা লোকেশন ঠিক করে দিনঃ
———————————————–
আমরা যেকোন সফটওয়্যার ইনষ্টল করার সময় যে জিনিসটা দেখি, সেটা হল সব সফটওয়্যার এর মেইন টার্গেট c:/progrm files. অথচ আমরা জানি যে কম্পিউটারকে রক্ষা করতে সি ড্রাইভ সুরক্ষিত রাখতে হয়। তাই বারবার এই ড্রাইভ চেঞ্জ না করে, একবারেই করে দিলে কেমন হয়। চলুন দেখি কিভাবে করা যায়।
প্রথমে Start > Run এ যান regedit টাইপ করে ওকে করুন।
এরপর HKEY_LOCAL_MACHINE > SOFTWARE > Microsoft > Windows > CurrentVersion সিলেক্ট করুন ।
ডান পাশের প্যান থেকে ProgramFilesDir খুজে বের করুন। (এত কিছু করতে না চাইলে রেজিষ্ট্রি ওপেন করে ctrl+F চাপুন এরপর ProgramFilesDir লিখে সার্চ দিন)
দেখবেন বাই ডিফল্ট এর ভ্যালু C:\Program Files দেয়া আছে। আপনার পছন্দের যায়গাটির ঠিকানা দিয়ে দিন এর পরিবর্তে। ব্যাস।
আমার প্রথম টিউন............দোয়া করবেন।
আমি MASHUK RAHMAN। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 7 টি টিউন ও 57 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
কি বলব আর...।। আমি কিছহুই জানি না,শিক্তেসি
অনেক সুন্দর করে সবকিছু লিখেছেন।আপনাকে স্বাগতম টেকটিউনসে।