আমরা এখন স্মার্টফোন, ল্যাপটপ আর WiFi-এর যুগে অভ্যস্ত। কিন্তু, যদি পৃথিবীর বাইরে, মহাকাশ থেকে সরাসরি আপনার ডিভাইসে ইন্টারনেট আসে? সায়েন্স ফিকশন মনে হচ্ছে, তাই না? কিন্তু Elon Musk-এর STARLINK সেই স্বপ্নটাকেই সত্যি করতে চাইছে। তবে, এই SPACE internet market-এ এখন একটা নতুন খেলোয়াড় ঢুকে পড়েছে - চীন! একদিকে STARLINK, অন্যদিকে চীন, আর মাঝে আমরা - এই SPACE Internet War-এর ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাচ্ছে, সেটাই আজকের আলোচনার বিষয়।
প্রথমে জেনে নেওয়া যাক Space Internet আসলে কী। Space Internet হলো, পৃথিবীর চারপাশে Low-Earth Orbit (leo)-এ থাকা হাজার হাজার ছোট ছোট Satellite-এর একটা Constellation। এই Satellite গুলো Ground Station-এর মাধ্যমে Data Receive করে এবং পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে, যেখানে Cable Internet বা মোবাইল নেটওয়ার্ক পৌঁছানো সম্ভব নয়, সেখানে সরাসরি ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দেয়।
বিষয়টা অনেকটা ছাতা পাতার মতো। Leo-তে থাকা Satellite গুলো পৃথিবীর একটা বিশাল অঞ্চল জুড়ে সিগন্যাল কভারেজ দেয়। ফলে, দুর্গম পাহাড়ি এলাকা, প্রত্যন্ত গ্রাম, এমনকি সমুদ্রের মাঝেও নিরবচ্ছিন্ন High-Speed Internet Service পাওয়া যায়।
Space Internet -এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর Reach। ফাইবার অপটিক Cable বা টাওয়ার বসানো যেখানে সম্ভব নয়, সেখানেও এই Satellite Internet সার্ভিস দেওয়া যায়।
স্পেস ইন্টারনেট শুধু একটা নতুন Technology নয়, এটা একটা Game Changer। কেন? কারণ:
যেখানে Conventional Internet Infrastructure তৈরি করা কঠিন বা ব্যয়বহুল, সেখানে Space Internet সহজেই সার্ভিস দিতে পারে।
ভূমিকম্প, বন্যা বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে যখন Ground Network ভেঙে যায়, তখন Satellite Internet Communication System চালু রাখার একমাত্র উপায় হতে পারে।
Remote এলাকায় অনলাইন শিক্ষা, Telemedicine এবং জরুরি স্বাস্থ্য সার্ভিস পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। প্রত্যন্ত অঞ্চলের ডাক্তার Space Internet এর মাধ্যমে শহরের Expert ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
Remote এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেসের সুযোগ তৈরি হয়, যা স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তোলে।
সামরিক Communication এবং Surveillance -এর জন্য অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য একটা মাধ্যম হলো Space Internet।
মোটকথা, Space Internet শুধু Entertainment বা Social Media ব্যবহারের জন্য নয়, এটা Remote Area গুলোর সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য একটা অপরিহার্য Technology।
Elon Musk-এর SpaceX Company -র STARLINK এখন SPACE Internet -এর দুনিয়ায় KING। তারা কয়েক হাজার Satellite LEO-তে Launch করে ফেলেছে এবং UNITED STATES, CANADA, EUROPE, AUSTRALIA সহ বহু দেশে তাদের Service চালু আছে।
STARLINK -এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে, SPACE Internet এখনও Developing Stage-এ আছে। STARLINK -এর Service -এও কিছু সমস্যা আছে, যেমন খারাপ Weather-এ Signal Disruption, High Price ইত্যাদি। আর Competition না থাকলে Innovation -এর গতি কমে যেতে পারে, Service Price বেড়ে যেতে পারে। ঠিক এই জায়গাতেই চীনের Entry টা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
Starlink-কে এখন বেশ কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে চীনের সরকার-সমর্থিত Satellite Internet Initiatives এবং Amazon-এর Project Kuiper-এর সাথে Competition-এ।
চীনের Shanghai-ভিত্তিক SPACESAIL নামের একটা Company STARLINK-কে টেক্কা দেওয়ার জন্য একেবারে কোমর বেঁধে নেমেছে।
Reuters -এর একটা Report বলছে, SPACESAIL নাকি Brazil আর Kazakhstan-এর সাথে Agreement ও করে ফেলেছে! শুধু তাই নয়, আরও ৩০টির বেশি Countries-এর সাথে তাদের আলোচনা চলছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ১৫০০০ Leo Satellite Deployment করার একটা বিশাল Plan তাদের। তার মানে বুঝতেই পারছেন, Spacesail-এর Ambition অনেক বড়, তারা Global Reach-এর দিক থেকে STARLINK-কে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত।
শোনা যাচ্ছে, Shanghai Spacecom Satellite Technology (SSST) নামক একটা Organisation-এর মাধ্যমে State-Backed Funding ও পাচ্ছে তারা। তার মানে বুঝতেই পারছেন, China Government বিষয়টিকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে। এই বিশাল Investment এবং Political Support Spacesail-কে STARLINK-এর সাথে পাল্লা দেওয়ার ক্ষমতা যোগাবে।
জেফ বেজোস ও কিন্তু এই Space Internet Race-এ পিছিয়ে থাকার পাত্র নন। তাদের Project Kuiper ও $16 Billion Investment নিয়ে Satellite Broadband Industry-তে Entry করতে চলেছে। ২০২৫ সালের মধ্যে Satellite Launches -এর জন্য প্রায় $3.5 Billion খরচ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের, যাতে Widespread Internet Access দেওয়া যায় এবং Amazon Web Services (aws)-এর সাথে Integrate করা যায়। যদিও Market Presence আর Brand Recognition-এর দিক থেকে Starlink এখন অনেকটাই এগিয়ে, Project Kuiper ও কিন্তু লড়াইটা জমিয়ে দিতে তৈরি।
Amazon-এর Infrastructure, Aws -এর মতো Platform এবং বিশাল Customer Base থাকায় Project Kuiper -ও কিন্তু খুব সহজে পিছিয়ে পরার মতো নয়। তারা হয়তো Starlink -এর থেকে কম দামে Service দিতে পারবে, আবার Aws-এর সাথে Integrate করার ফলে Enterprise Solution ও দিতে পারবে। অর্থাৎ, আগামীতে Space Internet Market-এ একটা ত্রিমুখী লড়াই দেখার সম্ভাবনা রয়েছে - Starlink, Spacesail, এবং Project Kuiper.
February ২০২৫ এর হিসাব অনুযায়ী, Spacex -এর Starlink ইতিমধ্যেই United States, United Kingdom এবং Europe, South America ও Asia মহাদেশের বিভিন্ন Countries মিলিয়ে প্রায় ১০০ টিরও বেশি দেশে Satellite Internet Services দিচ্ছে। তারা তাদের Service -এর Coverage Area ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছে এবং নতুন নতুন Technology নিয়ে কাজ করছে যাতে Internet Speed আরও বাড়ানো যায়। ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করার জন্য তারা নিয়মিত Software Update ও Release করছে।
Amazon-এর Project Kuiper এখন Developmental Phase-এ আছে। তারা ২০২৫ সালের শুরুতেই Production Satellites Deployment করে Broadband Services চালু করার পরিকল্পনা করছে। যদিও Service Regions সম্পর্কে এখনো কিছু জানায়নি, তবে তাদের লক্ষ্য হলো সারা বিশ্বে যেখানে Internet Service নেই অথবা দুর্বল, সেই সমস্ত Communities-এ High-Speed, Low-Latency Broadband পৌঁছে দেওয়া। বিশেষ করে গরিব দেশগুলোতে Internet Access বাড়ানোটা তাদের অন্যতম লক্ষ্য। Amazon হয়তো Rural Broadband Initiatives-এর সাথে Partnership করে কম দামে Service দেওয়ার চেষ্টা করবে।
এখানেই কিন্তু একটা বড় প্রশ্ন উঠে আসছে। চীনের Satellite Expansion নিয়ে অনেকের মনেই Data Security নিয়ে একটা ভয় কাজ করছে। এর আগে Huawei -এর Telecom Infrastructure নিয়ে অনেক Western Governments Cybersecurity Threat-এর আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল। Tiktok নিয়েও Data Sharing-এর কিছু অভিযোগ উঠেছিল। আসলে, যেকোনো দেশের সরকারই চাইবে তাদের দেশের Data যেন সুরক্ষিত থাকে, কিন্তু China-এর ক্ষেত্রে বিষয়টা একটু আলাদা।
Commercial Competitors-দের থেকে চীনের Internet Providers গুলো Government Oversight -এর অধীনে কাজ করে। তাই Beijing চাইলে Global Communications Infrastructure -এর উপর Control রাখতে পারে, এমন একটা আশঙ্কা থেকেই যায়। Chinese Satellites-এর মাধ্যমে Transmit হওয়া Data Authorities Monitor করছে কিনা, সেই Questions ও উঠছে, যা User Privacy-এর জন্য একটা বড় Threat হতে পারে। Western Countries গুলো তাই একটু চিন্তিত। তারা হয়তো ভবিষ্যতে Chinese Satellites -এর উপর কিছু Restriction জারি করতে পারে।
Satellite Internet-এর Competition যত বাড়বে, Data Security আর Geopolitical Risks গুলোও কিন্তু আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। Chinese Satellite Services-এর Expansion Western Governments কিভাবে নেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়। বিশেষ করে যখন অনেক দেশই Leo-Based Connectivity Solutions-এর দিকে ঝুঁকছে, তখন এই Competition একটা নতুন মোড় নিতে পারে।
তবে একটা বিষয় নিশ্চিত, Space Internet আমাদের জীবনযাত্রাকে অনেক সহজ করে দেবে। Remote Learning থেকে শুরু করে Telemedicine, Smart Agriculture -এর মতো অনেক কিছুই Space Internet-এর মাধ্যমে সম্ভব হবে। শুধু Technology-র উন্নতি নয়, এর সাথে সাথে Security আর Privacy-র বিষয়গুলোও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। এই Technology যেন সবার জন্য সমান সুযোগ নিয়ে আসে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
তো বন্ধুরা, আজকের টিউনটি কেমন লাগলো, জানাতে ভুলবেন না। Space Tech নিয়ে আরও নতুন কিছু জানতে চোখ রাখুন টেকটিউনসে। টিউমেন্ট করে জানান আপনারা Space Internet নিয়ে আর কী জানতে চান। আপনাদের মতামত খুব মূল্যবান। ধন্যবাদ! 😊
-
টেকটিউনস টেকবুম
আমি টেকটিউনস টেকবুম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 637 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।