টেকটিউনস Super Successor গেস্ট: রুবেল হোসেন , CEO এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা, Dukpion.com
সময়: সোমবার, ২৯ আগষ্ট ২০১৭।দুপুর ১২ টা।
ব্যাপ্তি: প্রায় ১৭ মিনিট
স্থান: Dukpion.com এর অফিস, ঢাকা।
টেকটিউনস Super Successor হিসেবে আজকে হাজির আছে বাংলাদেশের E-Commerce industry একজন পরিচিত মুখ এবং টেকটিউনসের একজন নিয়মিত advertisers। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে আছেন টেকটিউনসের সাথে।
E-Commerce industry এর মাঝে নিজেকে গড়বার প্রচেষ্টা এবং E-Commerce industry তে নিজের এক ভিন্নধর্মী চিন্তা নিয়ে এগিয়ে চলবার পথ নিয়ে আজকে তিনি আমাদের বলবে তার কিছু কথা।
আজকে আমরা কথা বলব Dukpion.com এর CEO এবং সহ - প্রতিষ্ঠাতা রুবেল হোসেন ভাইয়ের সাথে।
Dukpion.com এর শুরুর কথাটা আমাদের বলুন?
Dukpion.com নিয়ে ভালো একটি background history আছে। আমি জব করতাম। আমার আরেকটা ভার্সিটির বন্ধু, যখন আমরা ভার্সিটির এমবিএ এর স্টুডেন্ট ছিলাম। ঐ বন্ধুটাও জব করত।আমাদের মাঝে অনেক ভালো একটা সম্পর্ক ছিল। কিছুদিন পরে আমার আরেকটা বন্ধু ছিল। উনি ই-কমার্স এর parttime জব করতেন। আমার বিষয়টা হচ্ছে, যখন আমি জব করতাম তখন থেকেই আমি ই-কমার্স এর প্রতি অনেক interested ছিলাম। আমি ই-কমার্স সম্পর্কে বিভিন্ন artical পড়তাম, ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি করতাম, দেখবার চেষ্টা করতাম আসলে ই-কমার্স জিনিসটা কি, কিভাবে করে। এক কথায় বলা যায় যে আমি খুবই interested ছিলাম ই-কমার্স নিয়ে।
আমার মাথায় একটা planning ছিল যে আমি এটা শুরু করতে পারি কিনা। তো ঐ সময়টাই আমার ঐ বন্ধু বলে যে চল বন্ধু, আমরা একটা ই-কমার্স এর ব্যবসা শুরু করি। তো এমনভাবেই শুরু করাটা। শুরু দিকেই আমি এটাকে part time হিসেবে নিয়েছিলাম। আমার ক্যারিয়ারের ই-কমার্স টা ছিল part time। এটাকে full time বলা যাবে না। আমি যখন জব করতাম তখন পাশাপাশি এটাতে সময় দিতাম। আমরা এখানে ছোট একটা অফিস, একটা পিসি নিয়ে আমরা শুরু করেছিলাম। যেটা হচ্ছে, আমরা প্রতিদিন আমাদের মার্কেট প্ল্যানিং কিভাবে করব, আমাদের প্রোডাক্ট সোর্সিং কিভাবে হবে, আমরা কিভাবে বিজনেস grow করব এ সবকিছু নিয়েই দিনের পর দিন ২-৩মাস আমাদের প্ল্যানিং এর পিছনেই চলে গিয়েছে, মার্কেট রিসার্চ এ চলে গিয়েছে, প্রোডাক্ট sourcing জায়গা গুলোতে রেগুলার যেতাম। এভাবেই ধীরে ধীরে শুরুটা করা। তো শুরুর কথা এটাই বলব যে, শুরুর দিকে আমাদের প্রচুর effort দিতে হয়েছে, অনেক কিছু শিখতে হয়েছে। তো বলা যায় যে আমরা তিলতিল করে আস্তে আস্তে আমরা এত দূর এসেছি।
আমরা বিজনেস শুরু করেছি, ২০১৫ সালের মার্চ মাসে। All most ২ বছরের মত হয়ে গিয়েছে। আমরা ৩ জন বন্ধু এখনও একসাথে আছি। আমরা ৩জন আলাদা আলাদা ৩টা ডিপার্টমেন্ট চালাচ্ছি। আমি মার্কেটিং সাইটটা সম্পূর্ণ দেখছি। আরেক বন্ধু প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে আছে।প্রোডাক্ট sourcing এবং প্রোডাক্ট প্ল্যানিং everything ও করছে। আমাদের আরেক বন্ধু customer care এবং delivary এই সার্ভিসটা দেখছে।
আমাদের প্রায় ৫০০+ কালেকশন আছে। যদি ক্যাটাগরি বলি, আমাদের ক্যাটাগরি বেশি নাই। আমরা শুরু থেকেই প্ল্যান করেছিলাম, যে আমরা খুব বেশি ক্যাটাগরি নিয়ে কাজ করব না। কারণ আমরা দেখেছি, আমাদের মত entrepreneurs এবং ছোট ইনভেস্টদের জন্য এত ক্যাটাগরি maintain করা অনেক কঠিন হয়ে যায়।এজন্য আমরা শুধু মাত্র ফোকাস করেছি আমাদের eye care টাকে। আমাদের এখানে sun-glass এর এক বিশাল কালেকশন আছে। এছাড়াও fashion accessories এর মধ্যে বেল্ট, ওয়ালেট, ওয়াচ এর কালেকশন আছে। Dukpion.com আসলে mainly sun-glass এর জন্যই আলাদা একটা নাম। আমরা আসলে এই sun glass নিয়েই আমাদের branding টা করছি।
আপনার প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অবস্থার কথা আমাদের বলুন?
Dukpion.com এর বেশির ভাগ প্রোডাক্ট হচ্ছে থাইল্যান্ডের প্রোডাক্ট, চায়না প্রোডাক্ট তো অবশ্যই আছে। কারণ চায়নার প্রোডাক্ট ছাড়া তো এখন বিজনেস এর কথা চিন্তাই করা যায় না এবং ভালো করা সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের প্রোডাক্ট Sourcing আরেকটি চ্যানেল হচ্ছে ইন্ডিয়া। এছাড়া দেশে বিদেশের আরও অনেক জায়গা আছে আমাদের প্রোডাক্ট Sourcing করে থাকি।
এখন যদি আমাদের buisness এর পরিস্থিতির কথা বলি, তাহলে বলব আলহামদুলিল্লাহ আমরা ভাল করছি। আমরা এখন gradually increase করছি, এখন আপনি profit বলেন, branding বলেন, marketing বলেন, আমাদের ডাটাবেস বলেন সব কিছুই নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এবং প্রতিনিয়ত increase করবার চেষ্টা করছি। তো আমরা gradually এগিয়ে যাচ্ছি step by step।
বাংলাদেশের E-Commerce industry নিয়ে কিছু বলুন?
বাংলাদেশের E-Commerce industry অনেক বড় একটা প্ল্যাটফরম। এখানে অনেক বড় বড় opportunity আছে। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে, এখানে যেই entrepreneur আছে, তাদের যে ধরনের support দরকার, invest দরকার, training দরকার এ সকল ধরনের কোন ধরনের সহায়তা আমরা সরকার থেকে পাচ্ছি না। আর একটা বড় ব্যাপার হচ্ছে logistics support, যা আমরা ঠিক মত দিতে পারছি না। logistics support এর জন্য যেই Patner রা আছে বা delivery যেই company গুলো আছে। আমরা customer commitment ঠিক মত রাখতে পারছি না। ভাল হয়তো অনেকেই করছে, কিন্তু আমি বলব customer service অনেক বড় একটা ব্যাপার। যেমন ধরুন, আপনি customer এর সাথে delivery এর জন্য commitment করলেন। এখন যদি আপনি commitment না রাখতে পারেন তাহলে customer আপনার শপ এ second time আর ঢুকবে না। এজন্য আমরা আমাদের নিজস্ব delivery boy দ্বারা আমাদের প্রোডাক্ট delivery করছি। আমরা চেষ্টা করি on time এ delivery করবার জন্য।
বাংলাদেশে অনেক ই-কমার্স সাইট আছে। কিন্তু customer এর দিক থেকে আমি যদি চিন্তা করে বলি, আমি চাব quality product, ontime services। customer commitment টা অনেক বড় একটা issue ই-কমার্স business এ।
আমি বিশ্বাস করি যদি এই সব গুলো বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রেখে আমরা ই-কমার্স business করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে আমি মনেকরি। এখানে অনেক বড় আরেকটা বিষয় হচ্ছে customer trust টা রক্ষা করা। এক্ষেত্রে customer অনেক সময় complain করে যে, আপনারা অনলাইনে যেটা show করছেন আমরা physical সে প্রোডাক্টটা পাচ্ছিনা। তো এই যে customer এবং company এর মাঝে trust এর যেই ব্যাপারটা সেটাই ফিরিয়ে আনাটা এখন মূল চ্যালেঞ্জ বলে আমি মনেকরি।
আপনার প্রতিষ্ঠান নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
আমাদের future planning হচ্ছে, বাংলাদেশে নিজেদের আলাদা ভাবে একটা পরিচিতি পেতে চাই। যেটা হচ্ছে, specially for eye product বা eyecare। বাংলাদেশে eyecare সার্ভিসটা আমরা door to door পৌঁছে দিতে চাই। কারণ মানুষজন এখনও শপ এ গিয়ে কিনছে। এখন prescription এর মাধ্যমে বাসায় বসে যদি আমরা customer কে home delivery দিতে পারি। যেমন ধরুন, কোন customer এর চোখে সমস্যা। তো তাকে আগে কি করতে হচ্ছে, আগে তাকে ডাক্তার দেখাতে হচ্ছে।
তারপর prescription নিয়ে অন্য কোন শপ এ গিয়ে তাকে লেন্স তৈরি করতে দিতে হচ্ছে। যেটা অনেক সময় সাপেক্ষ একটা ব্যাপার। তো আমরা চাচ্ছি যে, কোন customer যদি আমাদের কে তার prescription মেইল করে বা মেসেজ করে আমরা সেই অনুসারে তার contact lens বা sunglass তৈরি করে তাকে দিতে পারব। তো আই রিলেটেড যত সমস্যা আছে বা যারা sunglass এর অনেক fan। তো আমরা চাচ্ছি যে আমরা তাদেরকে একটা dedicated service দিব। আর পাশাপাশি আমরা ভাবছি যে আমরা selective কিছু category নিয়ে কাজ করব। যেখানে বাংলাদেশের মধ্যে আমাদের একটা আলাদা পরিচিতি থাকবে সার্ভিস এর দিক থেকে এবং কোয়ালিটির দিক থেকে। আমরা বাংলাদেশের মার্কেটে sunglass নিয়ে আলাদা একটা পরিচিতি পেতে চাচ্ছি।
আমাদের তরুণদের জন্য কিছু বলুন। যারা আপনার মত E-Commerce industry তে আসতে চায়?
তরুণরা যারা এখনও ই-কমার্স ব্যবসায় আসেনি বা আসবেন বলে চিন্তা করছেন তাদের কে বলতে চাই, অবশ্যই আইডিয়াটা ইউনিক হতে হবে। আমরা বর্তমান ই-কমার্স গুলো খেয়াল করলে দেখতে পারব যে, বেশির ভাগই হচ্ছে কাপড়ের বা গেজেট প্রোডাক্ট এর ই-কমার্স সাইট। অবশ্যই আপনাকে চেষ্টা করতে হবে ইউনিক কিছু আইডিয়া বের করা। এরপর যেটা করতে হবে, আমরা যেই আইডিয়াটা বের করব ঐটা বাস্তবায়ন করবার জন্য যে বিষয় গুলো আছে, সেই বিষয় গুলো অবশ্যই proper channels এবং পলিসির মাধ্যমে শুরু করতে হবে।অনেক গুলো ক্যাটাগরি, অনেক গুলো প্রোডাক্ট নিয়ে আপনি ব্যবসা শুরু করলেন কিন্তু আপনি কাস্টমারকে সঠিক প্রোডাক্ট ও সার্ভিস দিতে পারবেন না, এই যেই বিষয় গুলো, এসকল বিষয়গুলো আপনার capacity এবং দক্ষতা অনুযায়ী আপনি আপনার buisness শুরু করেন। ঠিক আছে, আপনি একটা প্রোডাক্ট নিয়ে শুরু করেন কিন্তু অবশ্যই সেই প্রোডাক্টটা কাস্টমারকে proper way তে পৌঁছে দিতে হবে।
তো যারা buisness এ আসতে চায়, অবশ্যই একটু ভিন্নধর্মী আইডিয়া দিয়ে শুরু করতে হবে। আমাদের দেশে এখনও অনেক বিষয় আছে কাজ করার বাকী, অনেক বিষয় আছে কাজ করবার জন্য।
টেকটিউনস বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতে এক বিশাল অবদান রেখেছে। এ বিষয়ে আপনার মতামত কি?
টেকটিউনস বাংলাদেশের এর one of the best platfrom। আমরা দেখেছি আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের সাইট রয়েছে, টেকটিউনস সম্পূর্ণ আলাদা একটা সাইট।এদের artical অনেক helpful। তো টেকটিউনসের সব কিছু মিলিয়ে আমি super satisfied। টেকটিউনস ভালো করুক এবং এগিয়ে যাক এটাই আমি দোয়া করি।
টেকটিউনস এডভারটাইজিং সম্পর্কে আপনার কোন পরামর্শ আছে?
টেকটিউনস এডভারটাইজিং সম্পর্কে আমি বলতে চাই, টেকটিউনস এডভারটাইজিং পলিসিটা ভালো আছে, কিন্তু আমার মনে হয় টেকটিউনস ট্রাফিকটা যদি আরেকটু improve করলে মনে হয় আরেকটু ভালো হয়। আমি যেটা মনেকরি, টেকটিউনসের কাস্টমার হচ্ছে young generation। তো আমি যখন এখানে এডভারটাইজিং করব, আমার টার্গেট কাস্টমার যদি হয় ৫০+ তাহলে কিন্তু মনে হয় আমি ঐ পরিমাণ ট্রাফিক এখান থেকে পাব না। এখানে এডভারটাইজিং এবং প্রোডাক্ট এর যেই বিষয়টা এটার সাথে আর একটু ব্যালেন্স থাকা উচিত।
আমি টেকটিউনস। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 131 টি টিউন ও 2929 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 530 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1590 টিউনারকে ফলো করি।
মেতে উঠুন প্রযুক্তির সুরে।